কাঁদছে মানুষ, কাঁদছে আকাশ-বাতাস
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৯ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:৫১:৫২ দুপুর
সুদূর ঢাকা থেকে একজন মানুষ এসে কবরের কাছে এসে কাঁদছেন । খুব সরল আর সহজ সেই লোকটি ঢাকায় কোন এক গাড়ীর হেলপার ছিলেন। সে একবার পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ঢাকাস্থ কারাগারে যান। তার গায়ে কালিমাখা আর নোংড়া পোশাক ছিল যেমনটি একজন হেলপারের থাকার কথা। তাকে জেলখানায় একজন দেখে বললেন তোমার গায়ে এত কালি, তো হাতমুখ ধুয়ে নাও। বলল সাবান নেই। সেই লোকটি তাকে কয়েকটি সাবান এনে দিয়ে বললেন নাও হাত-মুখ ধুবে।
সেদিন শেষ পরদিন আবার সেই লোকটির সাথে দেখা সেই বাস হেলপারের। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন- খেয়েছ? সেই হেলপার বলল- খেয়েছি কিন্তু পেট ভরে নাই, ক্ষুধা আছে। ১টি মাত্র রুটি দিয়ে কি আর পেট ভরে। সেই লোকটি একটু চুপ করে থাকলেন এবং চলে গেলেন।
পরদিন আবার সেই মহৎ লোকটির সাথে জেলখানায় দেখা তিনি যথারীতি হেলপার কে জিজ্ঞাস করলেন খেয়েছ? হেলপার বললেন হ্যা আজ তো পেট ভরে খেয়েছি ৬টি রুটি, ডিম এবং আরও কিছু দিয়েছে। নিজে খেয়ে অন্যকেও দিয়েছি। তখন মহৎ লোকটি বললেন, এখন থেকে আর খাবার সমস্যা হবে না।
এরপর হেলপার কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল জনাব আপনি কে? মহৎ লোকটি বলল আমাকে চেননা? হেলপার বলল না। সেই লোক বলল ছোট থেকে ঢাকায় থাকি আর কাজ করি, কি করে চিনব আপনাকে। তিনি বললেন- আমি "কামারুজ্জামান"। সেই হেলপার ভাই অশ্রুসজল চোখে তার হাত ধরে কাঁন্না থামাতে পারলেন না। তার পা ধরতে গেলেন। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান তাকে বুকে টেনে নিলেন। আর সেই হেলপার কামারুজ্জামানের ফাঁসির খবর পেয়ে তার পরিবার পরিজন নিয়ে সুদূর ঢাকা থেকে শহীদ কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারত করতে এসে আকাশ কাঁপানো চিৎকার করে কান্নায় অশ্রুসজল কণ্ঠে দুহাত তুলে দোয়া করছেন শহীদ কামারুজ্জামান সাহেবের জন্য। তিনি বলেছেন আমার সাথে এমন ভাল ব্যবহার, এত দরদময় আচরণ আর কোন লোক করে নাই। এই হল মুহম্মদ কামারুজ্জামান।
কথা গুলো গল্পের মত শুনালেও বাস্তব। । এমন অনেক লোক আজ তার কবরের পাশে এসে কাঁদছেন প্রতিদিন আর দোয়া করছেন প্রতিনিয়ত। বিশ্বাস না হলে ঘুরে আসুন কামারুজ্জামানের গ্রামের বাড়ী শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়েনর মুদিপাড়া গ্রাম।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৭) তারপর যে অতি অল্প পরিমাণ ভালো কাজ করবে সে তা দেখে নেবে
.
﴿وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ﴾
৮) এবং যে অতি অল্প পরিমাণ খারাপ কাজ করবে সে তা দেখে নেবে৷ ৭
৭. এটি হচ্ছে এর একটি সহজ সরল অর্থ। আবার একথা সম্পূর্ণ সত্য যে , মানুষের অনু পরিমাণ নেকী বা পাপ এমন হবে না যা তার আমলনামায় লিখিত হবে না। তাকে সে অবশ্য দেখে নেবে। কিন্তু দেখে নিবার মানে যদি এই হয় যে , তার পুরস্কার ও শাস্তি দেখে নেবে , তাহলে এর এ অর্থ নেয়া ভুল হবে যে আখেরাতে প্রত্যেকটি সামান্যতম নেকীর পুরস্কার এবং প্রত্যেকটি সামান্যতম পাপের শাস্তি প্রত্যেক ব্যক্তিকে দেয়া হবে । আর কোন ব্যক্তিও সেখানে নিজের কোন নেকীর পুরস্কার থেকে বঞ্চিত এবং পাপের শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে না। কারণ তাই যদি হয় তাহলে প্রথমত এর মানে হবে , প্রত্যেকটি খারাপ কাজের শাস্তি এবং প্রত্যেকটি ভালো কাজের পুরস্কার আলাদা আলাদা দেয়া হবে। দ্বিতীয়ত এর মানে এও হবে , কোন উচ্চ পর্যায়ের সৎ ও মু'মিন কোন ক্ষুদ্রতম গোনাহর শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে না। আর কোন জঘন্যতম কাফের , জালেম এবং পাপীও কোন ক্ষুদ্রতম সৎকাজের পুরস্কার না পেয়ে যাবে না। এ দু'টি অর্থ কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট বক্তব্য বিরোধী এবং বুদ্ধিও একে ইনসাফের দাবী বলে মেনে নিতে পারে না। বুদ্ধির দৃষ্টিতে বিচার করলে একথা কেমন করে বোধগম্য হতে পারে যে , আপনার এখন কর্মচারী আপনার একান্ত অনুগত , বিশ্বস্ত ও নিবেদিত প্রাণ কিন্তু তার কোন সামান্যতম ক্রুটির আপনি মাফ করেন না ৷ তার প্রতিটি সেবা - কর্মের পুরস্কার দেবার সাথে সাথে তার প্রতিটি ত্রুটির জন্য ও আপনে গুণে গুণে তাকে শাস্তিও দেবেন ৷ ঠিক তেমনি বুদ্ধির দৃষ্টিতে একথাও দুর্বোধ্য যে , আপনার অসংখ্য অনুগ্রহ , সে আপনার সাথে বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকাতা করে এবং অনুগ্রহের জবাবে হামশা নিমকহারামী করতে থাকে। কিন্তু আপনি তার সামগ্রিক কার্যক্রম ও দৃষ্টিভংগী উপেক্ষা করে তার প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য তাকে পৃথক শাস্তি এবং তার ছোট - খাটো কোন সেবা মূলক কাজের জন্য হয়তো সে কখনো আপনাকে খাবার জন্য এক গ্লাস পানি এনে দিয়েছিল বা কখনো আপনাকে পাখা দিয়ে বাতাস করে ছিল --- আপনি তাকে আলাদাভাবে পুরস্কৃত করবেন আর কুরআন ও হাদীসের ব্যাপারে বলা যেতে পারে , সেখানে সুস্পষ্টভাবে মুমিন , মোনাফেক , কাফের, সৎ মু'মিন , গোনাহগার মু'মিন, জালেম ও ফাসেক মু'মিন , নিছক কাফের এবং জালেম ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কাফের ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের লোকদের পুরস্কার ও শান্তির জন্য একটি বিস্তারিত আইন বর্ণনা করা হয়েছে । আর এই পুরস্কার ও শাস্তি মানুষের সমগ্র জীবনের ওপর পরিব্যাপ্ত ।
এ প্রসংগে কুরআন মজীদ নীতিগতভাবে কয়েকটি কথা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বর্ণনা করে :
এক : কাফের , মুশরিক ও মোনাফেকের কর্মকাণ্ড ( অর্থাৎ এমনসব কর্মকাণ্ড যেগুলোকে নেকী মনে করা হয় ) নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। আখোরাতে তারা এর কোন প্রতিদান পাবে না। এগুলোর যা প্রতিদান , তা তারা দুনিয়াতেই পেয়ে যাবে। এ জন্য উদাহরণ স্বরূপ দেখুন আল আরাফ ১৪৭ , আত তাওবা ১৭, ৬৭ - ৬৯ , হুদ ১৫- ১৬ , ইবরাহীম ১৮ , আল কাহফ ১০৪- ১০৫ , আন নূর ৩৯ , আল ফুরকান ২৩, আল আহযাব ১৯ , আয যুমার ৬৫ এবং আল আহকাফ ২০ আয়াত )
দুই : পাপের শাস্তি ততটুকু দেয়া হবে যতটুকু পাপ করা হয়। কিন্তু নেকীর পুরস্কার মূল কাজের তুলনায় বেশী দেয়া হবে। বরং কোথাও বলা হয়েছে , আল্লাহ নিজের ইচ্ছেমতো নেকীর প্রতিদান বাড়িয়ে দেবেন। দেখুন আল বাকারাহ ২৬১ , আল আনআম ১৬০ , ইউনুস ২৬- ২৭ , আন নূর ৩৮ , আল কাসাস ৮৪ , সাবা ৩৭ এবং আল মু'মিন ৪০ আয়াত।
তিন : মু'মিন যদি বড় বড় গোনাহ থেকে দূরে থাকে তাহলে তার ছোট গোনাহগুলো মাফ করে দেয়া হবে। দেখুন আন নিসা ৩১ , আশ শূরা ৩৭ এবং আন নাজম ৩২ আয়াত ।
চার : সৎ মু'মিনের কাছ থেকে হালকা হিসেব নেয়া হবে । তার গোনাহগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হবে । তার ভালো ও উত্তম আমলগুলোর দৃষ্টিতে বিচার করে তাকে প্রতিদান দেয়া হবে। দেখুন আনকাবুত ৭ , আযযুমার ৩৫ , আল আহকাফ ১৬ এবং আল ইনশিকাক ৮ আয়াত ।
হাদীসের বক্তব্য এ বিষয়টিকে একেবারে পরিস্কার করে দেয়। ইতিপূর্বে সূরা ইনশিকাকের ব্যাখ্যার কিছু হাদীস উল্লেখ করেছি। কিয়ামতের দিন হালকা ও কড়া হিসেবের বিষয়টিকে বুঝাবার জন্য রসূলুল্লাহ (সা) এর ব্যাখ্যা করেছেন। ( এ জন্য দেখুন তাফহীমূল কুরআন , সূরা আল ইনশিকাক ৬ টীকা ) হযরত আনাস ( রা) থেকে বর্ণিত , একবার হযরত আবু বকর সিদ্দীক ( রা) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে আহার করেছিলেন এমন সময় এই আয়াতটি নাযিল হয়। হযরত আবু বকর ( রা) খাবার থেকে হাত গুঁটিয়ে নেন। তিনি বলেন : " হে আল্লাহর রসূল ! যে অণু পরিমাণ খারাপ কাজ আমি করেছি তার ফলও কি আমি দেখে নেবো ৷" জবাব দেন : " হে আবু বকর ! দুনিয়ায় যেসব বিষয়েরই তুমি সম্মুখীন হও তার মধ্যে যেগুলো তোমার অপছন্দীয় ও অপ্রীতিকর ঠেকে সেগুলোই তুমি যেসব অণু পরিমাণ অসৎকাজ করেছো তার বদলা এবং সেসব অণু পরিমাণ নেকীর কাজই তুমি করো সেগুলো আল্লাহ আখেরাতে তোমার জন্য সংরক্ষণ করে রাখছেন । " ( ইবনে জারীর , ইবনে আবী হতেম , তাবারনী ফিল আওসাত , বাইহাকী ফিশ শু'আব , ইবনুল মুনযির , হাকেম , ইবনে মারদুইয়া ও আবদ ইবনে হুমাইদ ) এই আয়াতটি সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবু আইউব আনসারীকেও বলেছিলেন : " তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই নেকী করবে বিপদ - আপদ ও রোগের আকারে এই দুনিয়ায় তার শাস্তি পেয়ে যাবে । " ( ইবনে মারদুইয়া ) । কাতাদাহ হযরত আনাসের ( রা) বরাত দিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিম্নোক্ত বাণীটি উদ্ধৃত করেছেন : " আল্লাহ মু'মিনের প্রতি জুলুম করেন না। দুনিয়ায় তার নেকীর প্রতিদানে তাকে রিযিক দান করেন এবং আখেরাতে আবার এর পুরস্কার দেবেন। আর কাফেরের ব্যাপারে দুনিয়ায় তার সৎকাজের প্রতিদান দিয়ে দেন , তারপর যখন কিয়ামত হবে তখন তার খাতায় কোন নেকী লেখা থাকবে না। " ( ইবনে জারীর ) মাসরূক হযরত আয়েশা (রা) থেকে রেওয়ায়াত করেছেন : তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন , " আবদুল্লাহ ইবনে জুদ'আন জাহেলী যুগে আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার করতো , মিসকিনকে আহার করাতো , মেহমানদের আপ্যায়ন করতো , বন্দিদের মুক্তি দান করতো। আখেরাতে এগুলো কি তার জন্য উপকারী হবে ৷ " রসূলুল্লাহ (সা) জবাব দেন " না , সে মরার সময় পর্যন্ত একবারও বলেনি , (আরবী --------------------------------) ( হে আমার রব । শেষ বিচারের দিন আমার ভুল ত্রুটিগুলো মাফ করে দিয়ো ।) " (ইবনে জারীর )অন্যান্য আরো কিছু লোকের ব্যাপারেও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই একই জবাব দেন। তারা জাহেলী যুগে সৎকাজ করতো কিন্তু কাফের ও মুশরিক অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন কোন বাণী থেকে জানা যায় , কাফেরের সৎকাজ তাকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করতে পারবে না ঠিকই তবে জালেম ফাসেক ব্যভিচারী কাফেরকে জাহান্নামে যে ধরনের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে তার শাস্তি তেমনি পর্যায়ের হবে না। যেমন হাদীসে বলা হয়েছে : হাতেম তাঈ এর দানশীলতার কারণে তাকে হালকা আযাব দেয়া হবে। ( রূহুল মা ' আনী )
তবুও এ আয়াতটি মানুষকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্যের ব্যাপারে সজাগ করে দেয়। সেটি হচ্ছে , প্রত্যেকটি সামান্যতম ও নগণ্যতম সৎকাজের ও একটি ওজন ও মূল্য রয়েছে এবং অনুরূপ অবস্থা অসৎকাজেরও । অর্থাৎ অসৎকাজ যত ছোটই হোক না কেন অবশ্যি তার হিসেব হবে এবং তা কোন ক্রমেই উপেক্ষা করার মতো নয়। তাই কোন ছোট সৎকাজকে ছোট মনে না করা উচিত । কারণ এই ধরনের অনেকগুলো ছোট গোনাহ একত্র হয়ে একটি বিরাট গোনাহের স্তূপ জমে উঠতে পারে। একথাটিই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাদীসে ব্যক্ত করেছেন। বুখারী ও মুসলিমে হযরত আদী ইবনে হাতেম ( রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : " জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো -- তা এ টুকরা খেজুর দান করার বা একটি ভালো কথা বলার বিনিময়েই হোক না কেন " হযরত আদী ইবনে হাতেম থেকে সহীহ রেওয়ায়াতের মাধ্যমে আরো বর্ণিত হয়েছে ,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : " কোন সৎকাজকেও সামান্য ও নগণ্য করো না , যদিও তা কোন পানি পানেচ্ছু ব্যক্তির পাত্রে এক মগ পানি ঢেলে দেয়াই হয় অথবা তোমার কোন ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাত করাই হয়। " বুখারী শরীফে হযরত আবু হুরাইরা ( রা) থেকে একটি রেওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে। তাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেয়েদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন : " হে মুসলিম মেয়েরা ! কোন প্রতিবেশী তার প্রতিবেশীনীর বাড়িতে কোন জিনিস পাঠানোকে সামান্য ও নগণ্য মনে করো না , তা ছাগলের পায়ের একটি খুর হলেও । " মুসনাদে আহমাদ , নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ - এ হযরত আয়েশার ( রা) একটি রেওয়ায়াত উদ্ধৃত হয়েছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : " হে আয়েশা ! যেসব গোনাহকে ছোট মনে করা হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকো। কারণ আল্লাহর দরবারে সেগুলো সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। " মুসনাদে আহমাদে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের ( রা) বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে। তাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : " সাবধান , ছোট গোনাহসমূহ থেকে নিজেকে রক্ষা কর। কারণ সেগুলো সব মানুষের ওপর একত্র হয়ে তাকে ধ্বংস করে দেবে। " ( গোনাহ কবীরা ও গোনাহ সগীরার পার্থক্য বুঝার জন্য দেখুন তাফহীমূল কুরআন , আন নিসা ৫৩ টীকা ও আন নাজম ৩২ টীকা )।
দোয়াকরি আল্লাহ্ উনাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।
কিন্তু কেন?
কারণ একটাই উনার বিরুদ্ধে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করণে মানুষ বাঁধা দিতে পারে নি, অশ্রু ঝরিয়ে বুঝিয়েছে, সত্যের জয় হবে নিশ্চয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন