নষ্ট তারুণ্য: ভ্রষ্ট ভবিষ্যৎ ও নৈতিকতার কালবৈশাখীর বর্ষবরণ
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:১৩:৫৯ দুপুর
উৎসবের এই দৃশ্যপটে কলঙ্কের কালি ঢালবার এই জঘণ্য কাণ্ডগুলো ঘটেছে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের প্রাঙ্গণে। আর এই উৎকট অপকাণ্ডগুলোর হোতারা সবাই ছাত্রলীগ।
এই নষ্ট তরুণেরাই যদি আমাদের ভবিষ্যৎ হয় তবে সে আগামীদিন যে কতটা ভ্রষ্ট হবে তা ভেবে আমি সত্যিই শংকাক্রান্ত। এই অন্ধকারের জন্তুগুলোর হাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কতটা নিরাপদ, ভাবতে শিউরে উঠতে হয়।
নৈতিকতাকে বুদ্ধিনির্ভর করার ফল হল, মানুষ তার ফিতরাত কেন্দ্রিক নৈতিকতা থেকে সরে আসে এবং এর সাথে যদি সামাজিক আইনও যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখন সমাজের একটা বড় অংশ ছাত্রলীগ হয়।
মানুষের মধ্যে অর্থহীনতা তৈয়ার হয়-কোন সামাজিক প্রয়োজনে কেউ এগিয়ে না এলেও সামাজিকভাবে বিনোদন উপভোগ করতে তাদের টিএসসি যেতে হয় এবং বিনোদনের অংশ হতে নিজেকে প্রদর্শিত হতে হয়।
এবং তখন ক্ষমতা-পড়ুন ছাত্রলীগ-নিজেকে প্রতিষ্ঠা শুরু করে, বিশ্বজিৎ হত্যা হয়, আধুনিক নারী বিবস্ত্র হয়। এভাবে হত্যা ও বিবস্ত্র হবার মধ্যে একধরণের রুচি কাজ করে-পরাজিত শ্রেণীর মধ্যে যেমন বিজয়ীর প্রতি গোলামি-রুচি থাকে!
এর মধ্যে যে আধুনিক বুদ্ধিভিত্তিক প্রতিরোধ হয়, সে ফিতরাত ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারেনা, ফলে তার ছাত্রলীগের সাথে ভাগাভাগি করে শাহাবাগে থাকতে হয় এবং ধর্মকে প্রতিদিন গালি দিয়ে সুশীল হতে হয়!
পহেলা বৈশাখে ঢাবিতে মেয়েদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। তখন আমি মেয়েদের মর্যাদা, সম্মান, অধিকারের চেয়ে সমাজে তাদের অবস্থান নিয়ে চিন্তিত হই।
গত সাত থেকে আট ধরেই দেখছি বাঙ্গালির সংস্কৃতির নামে প্রাণের উৎসবের নামে ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দিচ্ছে। মেয়েদের ইজ্জত আব্রু বিকিয়ে দিচ্ছে।
যে উৎসবে মেয়েদের বিবস্ত্র করা হচ্ছে সে উৎসবের কি সার্বজনীন মানে অক্ষুণ্ণ আছে? আমি মনে করি সমাজের কিছু মানুষ দেশীয় ঐতিহ্যকে ধ্বংস করছে। বিজাতীয় কৃষ্টি কালচারকে আমাদের কৃষ্টি কালচার বানানোর পায়তাঁরা করে যাচ্ছে।
আর সরকারকে আমি কিইবা বলব? এত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, সিসি ক্যামেরা, ডগ স্কোয়াড দিয়ে কাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন? যেখানে প্রতি বছর এই দিনে মেয়েদের লাঞ্ছিত করা হয়। সেখানে আপনার সাঁজোয়া বাহিনী কি করছে? মেয়েদের বিবস্ত্র হতে দেখে পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠছে না তো?
যে সংস্কৃতি মেয়েদের সম্মানহানি করে, প্রাণের উৎসবের নামে অশ্লীলতাকে উস্কে দেয়, একদিনের বাঙ্গালী হতে উৎসাহিত করে-এমন সংস্কৃতিকে আমি ঘৃণা করি...।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লিটন নন্দী ধরা খাইছে তাই এখন সে ত্রান কর্তা সাজছে। তোমরাই তো মায়া গুলারে হায়েনার খাবার বানানোর জন্য উৎসাহ দাও। বাহরে বাহ এখন ত্রান কর্তা সাজছে যত্তসব..
যুদ্ধ থামিয়ে দেবার জন্য নয়
এক দিন ঘরে তুলব আমরা সংস্কৃতির বিজয়,
অপসংস্কৃতি দূর করতে চলবে আমাদের লড়াই
চারদিকে দেখতে চাই ন্যায় আর ন্যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন