প্রতিদিন যে ৪টি ইতিবাচক চিন্তা আপনাকে করবে সুখী ও সফল
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩১ মার্চ, ২০১৫, ১২:৪৩:৫৬ দুপুর
জীবনের হতাশা আর দুঃখ এই সব কিছুর পেছনে রয়েছে মানসিক কিছু নেতিবাচক চিন্তা। নেতিবাচক চিন্তা এমন এক বিষাক্ত জিনিষ যা মানুষের মনের সকল শান্তি নিমিষেই দূর করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ কখনো জীবনকে সহজ ভাবে নিতে পারে না।
আপনি জানেন কি, জীবনকে যত কঠিন ভাবে নেয়া হয় সুখ তত দূরে চলে যায়। প্রতিটি মানুষ নিজের জীবনে কিছু নেতিবাচক ধারনা পোষণ করে যা তার সফলতার পথে সবচাইতে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। অথচ এই ব্যাপারটি আমরা নিজেই বুঝতে পারি না, বরং ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থাকি সব সময়। এই নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচক চিন্তা শুরু করা উচিৎ সকলেরই। তাই আজই নিজেকে উপহার দিন এই ইতিবাচক চিন্তাগুলো। দেখবেন জীবনটা কত সহজ হয়ে গেছে। সফলতাও ধরা দেবে আপনার হাতে। সুখী হবেন জীবনে।
‘আমি আমার প্রভুকে অনেক ভালোবাসি’
সব থেকে সুন্দর ও শান্তিময় একটি কথা ‘আমি আমার প্রভুকে অনেক ভালোবাসি’! এই কথাটি নিজেকে উপহার দিন প্রতিদিন। এতে নিজেকে আত্মবিশ্বাস পাবেন প্রতিদিনই। নতুন ভাবে বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবেন জীবনে। প্রভুকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা প্রত্যেক মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরী। তবে শুধু মনে মনে নয়, ভালোবাসুন প্রভুকে বাস্তব জীবনেও। প্রতিদিনই প্রভুর প্রশংসা করুন, প্রভুর জন্য করুন কিছু কাজ ও যা আপনার পরকালের পাথেয় ও হবে।
আলহামদুলিল্লাহ আমার প্রভু আমাকে বেশ ভালো রেখেছেন’
নিজের অবস্থানকে স্বীকার করে নেয়ার চেয়ে বড় উপহার আপনি নিজেকে দিতে পারবেন না। আপনি যখন নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন এবং আপনার পালন কর্তার শুক্রিয়া আদায় করবেন তখন আপনার মনে আসবে অনাবিল শান্তি। যদি আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন ‘আমি আর একটু সুন্দর হলাম না কেন?’, কিংবা নিজের পকেটে হাত দিয়ে মনে মনে ভাবেন ‘আমি একটু বড়লোক হলাম না কেন?’- তাহলে আপনি জীবনে কখনই সুখী হতে পারবেন না। নিজের অবস্থানে সন্তুষ্ট থেকে মহাজ্ঞানী আল্লাহর শুক্রিয়া আদায় করে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। সুখী হবেন।
‘মহাজ্ঞানী আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু করার সামর্থ দিয়েছেন ’
‘আমাকে দিয়ে কিছু হবে না!’- এই ধরণের নেতিবাচক কথা সব চাইতে ক্ষতিকর। কারণ এই কথায় কোনো কাজ করার ইচ্ছা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তখন ক্ষমতা থাকলেও কাজটি করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেকে প্রতিদিন বলুন ‘মহাজ্ঞানী আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু করার সামর্থ দিয়েছেন ’ এই সামর্থের আলোকে আমাকে আমার রবের কাছে হিসাব দিতে হবে ’! তবে ফিরে পাবেন কাজ করার ইচ্ছা। জীবনে আসবে সফলতা।
‘আজকের দিনটি গত কাল থেকে ভালো করা উচিৎ’
প্রীয় নবিজী বলেছেন " তার জন্য ধ্বংস যার আজকের দিনটি গত কালের চেয়ে উন্নত হল না।"
দিনের শুরুতে কোনো কারনে আশাহত কিংবা রাগ উঠলে যে কথাটি সবার আগে মুখ থেকে বের হয় তা হলো ‘আজকের দিনটাই খারাপ’! কিন্তু দিনের শুরুতেই আপনি এই ধরণের কথা নিজেকে বললে আপনার মন ভেঙে যায় নিজের অজান্তেই। তখন দিনটিতে ভালো কিছু ঘটার থাকলেও আপনার চোখ এড়িয়ে যায় কিংবা ভালো কিছু ঘটলেও আপনি তা ভালো চোখে দেখেন না। তাই সকালে উঠে প্রথমেই নিজ মনে ভাবুন ‘আজকের দিনটি গতকাল থেকে ভালো দিন কিভাবে করা যায় ’! বাকিটা আপনা আপনিই চমৎকার হয়ে যাবে ইনশে আল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি একটি মেয়ে আমার জীবনে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তবু আমি কখনো হতাশ হই না । কোন ধরনের সমস্যায় বিচলিত হই না । যে কোন বিষয়ে আগে পজিটিভ দিকটাই মাথায় আসে ।আমার প্রতি আল্লাহ তায়ালার এটা অনেক বড় নিয়ামত মনে করে তার শুকরিয়া আদায় করি সব সময় ।আলহামদুল্লিলাহ !
অনেক সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শেষ ছবিটিতে সূর্যের পাশ্বে ক্রশ চিহ্ন দেখালেন কেন? যা খৃষ্টানদের পূজনীয় বস্তু। আশাকরি ব্যখ্যা দিবেন।
আপনি যথার্থই বলেছেন, তবে কাঠিন্যতা সামনে আসলে এই কথাটা মনে রাখা এবং তদানুযায়ী কাজ করা অনেক কঠিন! তবুও মনে রাখার চেষ্টা হতাশা বোধ কমাবে।
সহমৎ পোষণ করছি। উপদেশগুলো খুবই ভাল লেগেছে, উপকারী তো বটেই কিন্তু আপনি আমি সবাই কম বেশি খেই হারিয়ে ফেলি, তাইতো বারবার পরামর্শ উপদেশ দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিতে হয়য়, আর আপনি সেই কাজ টি করেছেন অত্যন্ত সুন্দর ভাষার মাধুর্যতা দিয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন