গতকাল এক মুরব্বীর সাথে কিছুক্ষণ
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৫:৪২ সকাল
গতকাল এক মুরব্বীর সাথে সময় কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ্।
ইসলামী জীবনাচারের মূর্ত প্রতীক যেন। গাড়ীর ড্রাইভার সহ পরিচিত সকলের খুঁজ খবর নিচ্ছিল সাবলীল ও আন্তরিকতা সহকারে। কারো জন্য কিছু করার প্রচেস্টায় অবিরত তিনি। আবার কারো জন্য চেষ্টা করে ও দুঃখ লাগব করতে না পারার মর্মপীড়া কথায় কথায় উপলব্ধি করছিলাম। সাথে কিছু গল্প ও । তিনি বললেন বিপদ আপদ আন্দোলনে সক্রিয় হলে ও যেমন আসতে পারে । তেমনি নিস্ক্রিয় থাকলে ও । সুতরাং নিস্ক্রিয় থাকাটা বোকামী। উনার এক ভাইপো সংগঠন থেকে দূরে দূরে থাকতেন, কিন্তু শেষতক আড়াই মাস জেল কেটে আসলেন।
আরেকটা গল্প ছিল শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাহকে নিয়ে।
এক ভাই মিশরে গেছেন আর এক দোখানে অনেক কেনা কাটা করলেন। দোকানদার জানলেন তিনি শহীদ আব্দুল কাদের ভাইয়ের সংগঠনের লোক।
মিশরের ও একজন শহীদ ছিলেন শহীদ আব্দুল কাদের আওদাহ। আর আমাদের শহীদ শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা। দুই শহীদের দুই উত্তরসূরি , দুই মন এক আশা, আল্লাহকে পাওয়া। তাদের মধ্যে আবার বানিজ্য কিসের? তারাতো সেই সাহাবাদের উত্তরসূরী যারা আনসার মোহাজীরদের মধ্য সম্পদের সমান বন্ঠন ই কেবল করেন নি, তাদের দুইটি স্ত্রী থাকলে একটি তার মোহাজির ভাইয়ের জন্য তালাক দিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। সেই ভালবাসা এখন ও বর্তমান। তাইতো তিনি , দোখানের মালিক কোন টাকা পয়সা নেন নি।
তিনি বলেন যে কাদের মোল্লার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে হয়ত হাজার দুইয়েক লোক হত জানাজায় , সেই কাদের মোল্লার দুনিয়া জুড়ে জানাজায় তার সম্মান ও পরিচিতি দ্বীনের জন্য ত্যাগ মহা জ্ঞানী আল্লাহ তাকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ কাকে কিভাবে সম্মানিত করবেন তিনিই ভাল জানেন। রহমানুর রহীম আমাদের ক্ষমা করুন। দুনিয়ায় সম্মান ও আখেরাতে মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিন । আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৪২১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আন্দোলনের ইতিহাসে নব দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের ইতিহাস
ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস। দেখুন আজকের ইখওয়ানুল মুসলিমীনের এ পর্যায়ে আসতে
সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা সহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হারাতে হয়েছে। আমরা প্রায় সময়
শাহাদাতের উদাহরণ দিতে গিয়ে সাইয়েদ কুতুবের কথা বলি, কিন্তু ওখানেও একজন
আব্দুল কাদের আছেন! ওনার নাম আমরা অনেকেই জানি, ‘শহীদ আব্দুল কাদের আওদাহ’।
ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সেক্রেটারী ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জালিম নাসের
মনে করেছিল এভাবে এক এক করে সবাইকে শহীদ করে দিলেই এ আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে,
কিন্তু তারা জানেনা এ আন্দোলন স্রোতস্বিনী নদীর সর্বধ্বংসী স্রোতের ন্যায়।
এ আন্দোলনের স্রোতের গতি যত বাধাপ্রাপ্ত হয় ততই সব বাঁধা মাড়িয়ে দ্বিগুণ
তিণগুন বেগে উপচে পড়ে। তাই এক দুই জন আব্দুল কাদের মোল্লা বা অযুত-নিযুত
নেতা কর্মীকে শহীদ করে এ আন্দোলন সামলানো যাবে না।
একজন বামপন্থী
কাদের মোল্লাকে যিনি নিজের হাতে আজকের আব্দুল কাদের মোল্লা বানিয়েছেন সেই
কারিগর আজও আমাদের মধ্যে আছেন। তাঁর সে ফর্মুলা আমাদের কাছে আজীবন থাকবে।
So We don't care. তোমরা আমাদের এক দুই জন আব্দুল কাদের মোল্লাকে শহীদ করবা
আর আমরা আরও লক্ষ লক্ষ আব্দুল কাদের মোল্লা এ দেশকে উপহার দিব।এক আব্দুল
কাদের মোল্লাকে শহীদ করে এ দেশে ইসলামী বিপ্লবকে আওয়ামীলীগ কতটুকু এগিয়ে
দিছে তা তারা কল্পনা ও করতে পারবে না।এই এক শাহাদাতের ঘটনায় ইসলামী
আন্দোলনের শিকড় এ বাংলার জমিনের কত গভীরে বিস্তার লাভ করেছে তা তারা বুঝতে ও
পারলো না। জীবিত আব্দুল কাদের মোল্লা থেকে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা যে কত
শক্তিশালী তা এখন থেকে টের পাবে তোমরা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন