আসুন জেনে নিই মানুষ তথা আমাদের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কি??পর্ব- ৩
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৮ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:১৯:৫৬ বিকাল
কোরআন মজিদে যত দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছে আল্লাহকে সম্বোধন করে সব গুলো "রব" দিয়ে শুরু হয়েছে। রাব্বানা আতিনা........; রাব্বির হামহুমা.......; সহ যত গুলো দোয়া কোরআনে আছে সে গুলি আল্লাহুম্মা দিয়ে শুরু হয়নি , রাব্বানা দিয়ে শুরু হয়েছে। হাদিসের দোয়া গুলি আল্লাহুম্মা দিয়ে শুরু হয়েছে। আল্লাহ স্বয়ং যে দোয়া গুলো শিক্ষা দিয়েছেন সেখানে তিনি উনাকে রব হিসাবেই সম্বোধন করা শিক্ষা দিয়েছেন ।
নামাজ আল্লাহর সাথে সম্পর্কের পয়লা ধাপ, ঈমান গ্রহণ করার পরই হচ্ছে নামাজ, এই নামাজের রুকু সিজদাতে যে তাজবিহ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সুব হানা রাব্বিয়াল আযীম , সুব হানা রাব্বিয়াল আলা, রাব্বিয়া শুধু রব না , আমার রব , তিনি তো শুধু আমার রব না , তিনি রাব্বুল আলামিন, সারা বিশ্বের রব। কিন্তু আমার বললে যে আত্বাটা প্রবোধ হয় , প্রশান্ত হয়, এটা তো আমার ছাড়া হয় না।
যেমন ছোট্ট শিশু তার মা তার বাপ সম্পর্কে বলে আমার মা , আমার বাপ, যখন সে র উচ্চারণ ও করতে পারে না তখন ও সে বলে আমার আব্বা। এই কথা তাকে শিখাল কে? এটা ভালবাসার সৃষ্টি , স্নেহের দান ।
আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনুভব করার জন্য , উপলব্ধি করার জন্য, এবং সেই চেতনা নিয়েই তাকে ডাকার জন্য , রাসুল সাঃ শিক্ষা দিয়েছেন এইভাবে বল সুব হানা রাব্বিয়াল আলা, সুব হানা রাব্বিয়াল আযীম। এই যে আল্লাহ সবচেয়ে বেশী পছন্দ করলেন তার বান্দার সাথে সম্পর্ক ঘোষণা করার জন্য , যার এত গুণ আছে কিন্তু তার এই গুণটাকে তিনি এক নাম্বারে স্থান দিয়েছেন। আমি তোমাদের রব, তোমরা আমাকে রব হিসাবে ডাক। রব শব্দের অর্থ আমারা জেনেছি লালন পালন করা, এর থেকেই রবুবিয়াত মানে লালন পালনের কাজটা , লালন পালনের অর্থ হচ্ছে যার যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করা । আমরা যেমন কোন চারা গাছ লাগায় , তখন তা লাগিয়েই কান্ত হইনা, তাকে লালন পালন করতে হয়, প্রয়োজন মত পানি দিতে হয়, পোকা মাকড় লাগে কিনা দেখতে হয় , গরু ছাগল খেয়ে ফেলে কিনা তার থেকে হেফাজত করতে হয়। তেমনি মানুষের সব প্রয়োজন পূরণের জন্য একমাত্র আল্লাহ।
মায়ের পেটের ভ্রুন অবস্থা থেকে কে তাকে বড় করেন? মা তাকে বড় করে? জন্মের সাথে সাথে মায়ের বুকের দুধ কি মা তৈরী করে?
মানুষ মা কে খুব শ্রদ্ধা করে, খুব সম্মান করে ,মাকে খুব স্মরণ করে, মায়ের কথা মনে পড়লে মনের মধ্যে দোল অনুভব করে, কি কারনে? এই কারনেই তো যে এত কিছু মা করে , যা অন্য কেউ করতে পারে না । তা হলে মায়ের মনে যে এই স্নেহ মমতা এটা দিয়েছে কে?
তাহলে মানুষ মা কে যে পরিমাণ মনে রাখে তার চেয়ে কত বেশী মনে রাখা উচিৎ যিনি মায়ের মনের মধ্যে এই স্নেহ মমতা দান করেছেন ? এত কষ্ট করে লালন পালন করার জন্য তাকে যে তৌফিক দিয়েছেন, তাকে যে হিম্মত দিয়েছেন ,তার কথা কি সবচেয়ে বেশী স্মরণ করা উচিৎ নয়??
আমরা যদি একটু খেয়াল করি তাহলে দেখব তিনি আমাদের প্রতি মুহুরথে লালন পালন করছেন। এই যে নিঃশ্বাস আসছে যাচ্ছে , এটি কি আমি করি? তিনি বন্ধ করে দিলেই শেষ। তাহলে প্রতিটি নিঃশ্বাস প্রমান করে যে তিনি আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে লালন পালন করছেন।
আমার দেহের সেল গুলো প্রতি মুহূর্তে যে ফাংসান করছে তা আমি করছি না , আমি যা খায় তা আমি হজম করাই না, মা শিশুর মুখে খাবার তুলে দেয় ঠিক কিন্তু হজম তো মা করায় না?
ইনশে আল্লাহ চলবে..........
বিষয়: বিবিধ
১২৫৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন