পাশবিক সুখ !!
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৯:৫৩ সকাল
বিশাল এক ময়দানে উলঙ্গ করে কিছু নারী-পুরুষকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
ভয় ও আতংকে তাদের মুখ বিকৃত হয়ে গেছে। তাদের ঠিক মাথার উপর জ্বলন্ত সূর্য দাউ দাউ করে জ্বলছে। পিপাসায় তাদের বুক ফেটে যাচ্ছে। শরীরের ঘাম তাদের চিবুক পর্যন্ত ডুবিয়ে দিয়েছে। তাদের বিচার করা হবে।
বিচারক বিচার শুরু করলেন। তখন মাঠে জমায়েত হওয়া নারী-পুরুষরা বলল---
-- হে মহান বিচারক! আমাদের কেন এখানে নাজুক অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছে?
: এটা তোমাদের বিচারের জন্য নির্ধারিত স্থান। দুনিয়াতে তোমাদের ন্যায় বিচার করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তোমরা জুলুম করেছ।
--হে মহান বিচারক! আমরা তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
: তোমরা দুনিয়ায় কি করেছ তা তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই আজ সাক্ষ্য দিবে।
এরপর তাদের জবান বন্ধ করে দেয়া হলো। তাদের হাত, পা, মুখ, চোখ সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের বিরদ্ধেই সাক্ষ্য দেয়া শুরু করল। এতে তারা আরো হতাশ হয়ে গেল।
এরপর সেই মহান বিচারক বললেন---
: আজ তোমাদের কারো প্রতি কোন জুলুম করা হবে না। যদিও তোমরা ন্যায় বিচারের বদলে দুনিয়াতে জুলুম করেছো। তোমাদের আমলনামা অনুসারে তোমাদের জন্য জাহান্নাম ধার্য করা হলো।
-- হে মহান বিচারক! আমাদের শুধু একটিবার দুনিয়াতে ফিরে যাবার সুযোগ দিন। আমরা অবশ্যই এবার পৃথিবীতে ইনসাফ কায়েম করবো।
: তোমাদের কি এই দিন সম্পর্কে বার বার সতর্ক করে দেয়া হয়নি? এখন আর দুনিয়াতে ফিরে যাবার সুযোগ নেই। তোমাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গেছে এবং তোমরা সেখানেই অনন্তকাল থাকবে।
এরপর এইসব পাপী লোকগুলিকে পা ধরে টেনে হিঁচড়ে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হলো। তাদের বলা হলো "এটা সেই জাহান্নাম যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেয়া হয়েছিল। এবার এর স্বাদ গ্রহণ কর।"
অপরদিকে যারা দুনিয়ায় জুলুমের শিকার হয়েছিল, তারা চির শান্তির জান্নাতে প্রবেশ করল চাঁদের মতো আলোকিত মুখ নিয়ে।
বর্তমান ট্রাইব্যুনালের বিচার দেখে এমন কল্পনা করে কেমন যেন পাশবিক সুখ অনুভব করি।
Ahsan Sabbir
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"প্রত্যেক কেই স্বীয় কর্ম অনুযায়ী প্রতিফল দেয়া হবে।কারো উপর জুলুম/অন্যায় করা হবে না শেষ বিচারের ফায়সালায়।"
দুনিয়ার বিচারকরা এই বিষয়টা মনে হয় ভূলেই গেছে!!
নিজামীদের ৭১ এর একটিভিটিরও বিচার হবে , কারণ তারা তাদের মুসলমান ভাইদের মেরেছিল এবং মারতে সহায়তা করেছিল সে সময়ে । সে যুদ্ধ কোন ধর্মীয় যুদ্ধ ছিল না , ছিল শাসকের শোষন থেকে শোষিতের মুক্তির যুদ্ধ । জামায়াত ও পাকিরা এটাকে ধর্মীয় কালার দিয়েছিল ।
সব পাপ কাজেরই বিচার হবে. নিজামীদের দুনিয়াতে তো বিচার হয়ে যাচ্ছে । আখেরাতেও তো এটার বিচার হবে - কারণ , ১০ খুনের একটা ফাঁসি হয়ে গেলেও ১০ জনের ওয়ারিশরা কিন্তু পরকালে স্পেসিফিকভাবে তা চাইবে আল্লাহর কাছে ।
লাখ লাখ লোক যে মেরেছে তাকে এক মৃত্যু দন্ড দিলেও দুনিয়ার বিচার তাকে লাখ লাখ বার মারতে পারবে না , যেটা আল্লাহর পারেন ।
ভুলে বসেছে সত্য মিথ্যার পার্থক্য কিভাবে মান দন্ডায়মান করবে। আর এই ভুলেই মানুষ আজ লাঞ্ছিত,অপমানিত, অবদলিত।
যাদের আজ আমরা বিচারক বলি তারা আজ সত্যকে অবদলিত করে, মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে ব্যস্ত। আর এটাতেই বুঝাযায় তাদের জ্ঞানহীনের পরিছয়। আর তারা এখানেই ব্যর্থহবে ইনসাআল্লাহ .।
মন্তব্য করতে লগইন করুন