জেল খানায় এই পবিত্র রমজানে আমাদের বোনেরা কেমন আছে??
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩০ জুন, ২০১৪, ১২:৫২:১৭ দুপুর
আমরা তো বেশ আরামে পরিবার পরিজন নিয়ে খাওয়া দাওয়া করছি। আলহামদুলিল্লাহ্।
কিন্তু হায়েনা অবৈধ সরকার বিনা অপরাধে আমাদের বোনদের আটক করে রেকেছে।
তাদের স্বাস্থ্য দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে গতকাল রাত্রে ও ফারহানা নামের একজন সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল।
অধিকাংশের ডায়রিয়া , এলারজি ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাদের এইভাবে কষ্ট দিয়ে হায়েনা সরকার কি অর্জন করতে চায়??
হে মওলা মুনিব আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের বোনদের দ্রুত মুক্ত করে দাও। তুমি ছাড়া কে আছে আমাদের সাহায্য করার??
যারা বিনা অপরাধে আমাদের ভাই বোনদের কষ্ট দিচ্ছে তাদের ধ্বংস করো। নাস্তা নাবুদ করে দাও তাদের ক্ষমতার মসনদ।
রমজান আরবি শব্দ 'রমজ' ধাতু থেকে এসেছে। 'রমজ' ধাতুর দুটি অর্থ আরবি অভিধান ও আরবি সাহিত্যে পাওয়া যায়। এর একটি অর্থ হলো দাহন বা পোড়ানো এবং অপরটি আরব দেশের বছরের প্রথম বৃষ্টি।
এ মাসের নাম রমজান এ জন্য রাখা হয়েছে যে সর্বপ্রথম যখন এ মাসের নাম রাখা হয়েছিল তখন প্রচণ্ড গরম ছিল। এ জন্য এই মাসের নাম রাখা হয়েছে রমজান। এই পবিত্র মাসকে রমজান এ জন্য বলা হয়, এ মাসে আল্লাহপাক নিজ মেহেরবানিতে সব গুনাহ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেন; মানুষ যেন এক নবজীবন লাভ করতে পারে।
এ সম্পর্কে আল্লাহপাক কোরআনুল কারিমে ঘোষণা করেন_হে ইমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল; যাতে করে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। এ কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের রোজা। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ রোগগ্রস্ত হয় অথবা মুসাফির, তাহলে সে যেন অন্য দিনগুলোতে এই সংখ্যা পূর্ণ করে। আর যাদের রোজা রাখার সামর্থ্য আছে (এর পরও রাখে না) তারা যেন ফিদ্ইয়া দেয়। একটি রোজার ফিদইয়া একজন মিসকিনকে খাওয়ানো। আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সানন্দে কিছু বেশি সৎকাজ করে, তা তার জন্য ভালো। তবে যদি তোমরা সঠিক বিষয় অনুধাবন করে থাকো, তাহলে তোমাদের জন্য রোজা রাখাই ভালো! (সুরা বাকারা)।
বিনা ওজরে রোজা না রাখার পরিণাম : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন_যে ব্যক্তি বিনা ওজরে ইচ্ছাপূর্বক রমজানের একটি রোজা ভঙ্গ করেছে, অন্য সময়ের সারা জীবনের রোজা তার সমকক্ষ হবে না।
যাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ : প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, মুসাফির নয়_এমন সব মুসলমানের ওপর মাহে রমজানের রোজা পালন করা ফরজ। রোজা সহিহ হওয়ার শর্ত হচ্ছে : ১. নিয়ত করা, ২. মহিলাদের ঋতুস্রাব অর্থাৎ হায়েজ ও নিফাস থেকে মুক্ত হওয়া, ৩. রোজা বিনষ্টকারী বিষয়াদি থেকে দূরে থাকা।
বিষয়: বিবিধ
১৪২১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন