আমরা যদি পারতাম.......

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৯ জুন, ২০১৪, ১২:১৬:৪১ দুপুর



বিবেদ না ছড়িয়ে বিদ্বেষ না ছড়িয়ে আমরা সকলে যদি পারতাম ঐক্যের পথে হাটতে............

যেমনটি আমাদের প্রিয় মুনিব মালিক পছন্দ করেন........

তিনি বলেন. ..............

﴿إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ﴾

৪) আল্লাহ সেই সব লোকদের ভালবাসেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে কাতারবন্দী হয়ে লড়াই করে যেন তারা সিসা গলিয়ে ঢালাই করা এক মজবুত দেয়াল৷ ৩

৩. এর দ্বারা প্রথমত জানা গেল যে, কেবল সেই ঈমানদারই আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি অর্জনে সফল হয় যারা তাঁর পথে মরণপণ করে কাজ করতে এবং বিপদ আপদ মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত থাকে । দ্বিতীয়ত, জানা গেল যে, আল্লাহ যে সেনাদলকে পছন্দ করেন তার মধ্যে তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক । এক, তারা বুঝে শুনে ভালভাবে চিন্তা-ভাবনা করে আল্লাহর পথে লড়াই করবে এবং এমন কোন পথে লড়াই করবে না যা ফী সাবীলিল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহর পথের সংজ্ঞায় পড়ে না । দুই, তারা বিচ্ছিন্নতা ও শৃঙ্খলাহীনতার শিকার হবে না, বরং মজবুত সংগঠন সুসংহত অবস্থায় কাতারবন্দী বা সুশৃঙ্খল হয়ে লড়াই করবে । তিন, শত্রুর বিরুদ্ধে তার অবস্থা হবে, "সুদৃঢ় দেয়ালের" মত । এই শেষ গুণটি আবার অর্থের দিক থেকে অত্যন্ত ব্যাপক । যুদ্ধের ময়দানে কোন সেনাবাহিনীই ততক্ষণ পর্যন্ত সুদৃঢ় দেয়ালের মত দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়াতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে নিম্নবর্ণিত গুণাবলী সৃষ্টি না হবেঃ

-আকীদা-বিশ্বাস এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষের মধ্যে পূর্ণ ঐক্য । এ গুণটিই কোন সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিক অফিসারকে পূর্ণরূপে ঐক্যবদ্ধ করে ।

-পরস্পরের নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার ওপর আস্থা । প্রকৃতপক্ষে সবাই নিজ নিজ উদ্দেশ্য ও লক্ষে নিষ্ঠাবান এবং অসদুদ্দেশ্যে থেকে মুক্ত না হলে এ গুণ সৃষ্টি হতে পারে না । আর এ গুণটি যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে যুদ্ধের মত কঠিন পরীক্ষা কারো কোন দোষ-ত্রুটি গোপন থাকতে দেয় না । আর আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পরস্পরের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে একে অপরকে সন্দেহ করতে শুরু করে ।

- নৈতিক চরিত্রের একটি উন্নত মান থাকতে হবে । সেনাবাহিনীর অফিসার এবং সাধারণ সৈনিক যদি সেই মানের নীচে চলে যায় তাহলে তাদের মনে পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও সম্মানবোধ সৃষ্টি হতে পারে না । তারা পারস্পরিক কোন্দাল ও দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ থেকেও রক্ষা পেতে পারে না ।

-উদ্দেশ্য ও লক্ষের প্রতি এমন অনুরাগ ও ভালবাসা এবং তা অর্জনের জন্য এমন দৃঢ় সংকল্প থাকা চাই যা গোটা বাহিনীর মধ্যে জীবনপাত করার অদম্য আকাংখা সৃষ্টি করে দেবে আর যুদ্ধের ময়দানে তা প্রকৃতই মজবুত দেয়ালের মত দাঁড়িয়ে থাকবে ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বের যে শক্তিশালী সামরিক সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল, যার সাথে সংঘর্ষে বড় বড় শক্তি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী কোন শক্তি যার মোকাবিলায় দাঁড়াতে পারেনি এ সব গুণ ও বৈশিষ্ট ছিল তার ভিত্তি ।

বিষয়: বিবিধ

১০৬৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

239963
২৯ জুন ২০১৪ দুপুর ০৩:১৩
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগলো
২৯ জুন ২০১৪ রাত ০৮:৩২
186302
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আপ্নাকেও ও ধ্ন্যবাধ
239974
২৯ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:০৯
ছিঁচকে চোর লিখেছেন : আকীদা-বিশ্বাস এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষের মধ্যে পূর্ণ ঐক্য । এ গুণটিই কোন সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিক অফিসারকে পূর্ণরূপে ঐক্যবদ্ধ করে ।

সহমত।
২৯ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৩
186317
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : Good Luck
240046
২৯ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩১
আফরা লিখেছেন : সত্যি যদি আমরা পারতাম তাহলে কতই না শান্তি থাকত পৃথিবীতে ।

আপনার লেখাটা সত্যি ভাল হয়েছে ।
২৯ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩২
186316
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : Tongue
240081
২৯ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
ভিশু লিখেছেন : ভালো লাগ্লো...Happy Good Luck কিন্তু এর সম্পূর্ণ বিপরীতে চলছে দেশ, বাহিনী, সংস্থা, সবই...
২৯ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩১
186315
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : ঠিকYahoo! Fighter

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File