ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০২ জুন, ২০১৪, ০১:০৫:০৩ দুপুর
মেয়ে আমার অভিমানি সমুদ্র জলে নামতে না পেরে.. মেরিন ড্রাইভ রোডে তাই অপলক নেত্রে সমুদ্র দেখে..........।
কাকতালীয় দেখা হয়ে গেল আওয়ামীদের টপ মোস্ট ওয়ান্টেড প্রিয় গোলাপ ভাইয়ের সাথে। জীবনকে হাতের মুটোই করে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে যারা ঘুরে বেড়ায় এরা তারাই।
দেখা হল নুরুল ইসলাম বুলবুল ভাই সহ আরো কয়েক জনের সাথে।
যা হোক, প্রোগ্রাম শেষে দায়িত্বশীলের সাথে রওনা দিলাম পল্টনের দিকে। কাজ শেষে বাসায় ফিরি রাত ১০:০০ টায়। এর মধ্য কিছু বকেয়া টাকাও আদায় করে দিলেন একজন ভাই।
বাসায় ফিরে দেখলাম আরেক চমক। এক দায়িত্বশীল ভাই নিজে গিফ্ট পাওয়া বাদাম, জয়তুন, বরইসহ অতীতে খাওয়া হয়নি এমন অনেক ফলমূলসহ হাজার টাকার চেয়েও বেশী দামী আইটেমের একটি ব্যগ রেখে গেলেন আমার ছেলে-মেয়েদের জন্য।
যা টাকায় হিসাব করলে আমার মিস করা ট্রেনের টিকিটের টাকার কয়েক গুণ। দিনটি ও কেটে গেল দ্বীনের পথে চমৎকার ভাবে। আলহামদুলিল্লাহ্।
ঐ দিকে দায়িত্বশীল তার ড্রাইভারকে বলে দিলেন সকালে আমাদেরকে লিভ দেওয়ার জন্য। কিন্তু দেখা গেল উনার গাড়ীর সামনের চাকায় পাঙ্কচার হয়ে গেল। কোথাও লীক টিক করার দোখান ও খোলা নেই। আমিও মোটর সাইকেল নিয়ে কয়েক জায়গায় খোঁজ নিলাম সবই বন্ধ। কিন্তু ড্রাইভার আন্তরিক সে অন্য চাকা লাগিয়ে নিয়েছে রাতেই ।
জামাত শিবিরের অনেক ড্রাইভার আহত হয়েছে, এরেস্ট হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছে নেতাদের নাম বলার জন্য। কিন্তু তাদের আমানতদারীতা ও দৃঢ়তার কারনে এ প্রযন্ত আমাদের কোন নেতা কর্মী এরেস্ট হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ্। মহান রব তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।
যা হোক সকালে আমার বিবি উঠে যথারীতি বিরানী রান্না করল। ছেলে মেয়েদের রেডী করল। ব্যাগ তো আগে থেকেই গোছানো ছিলই। গতকাল ধরা খাওয়াতে আমি ও একটু এলারট হই কিন্তু আমাদের ড্রাইভার কল ধরে না ।আর ঐ গাড়ী ও আসতে লেইট করছে, পড়ছে জ্যামে আটকা। ছেলে মেয়ে ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি ১৫ মিনিট ট্রেনের সময় আছে আর ২২ মিনিট । আমাদের ড্রাইবার ভাই হাজীর । তার মোবাইল সাইলেন্ট ছিল। মনে হচ্ছিল এ যেন সাইলেন্ট কিলার। ওই ড্রাইভার ও জ্যামের কারনে রাস্তা পার হতে পারছে না। আমাদের ড্রাইভার ভাইকে বললাম গাড়ী স্টাট দিন। তিনি দিল স্টাট সাথে সাথে ঐ গাড়ী এসে হাযির। ব্যাগ সমেত আমাদের ড্রাইভার ভাইকে ও উঠিয়ে নিলাম একটু সহযোগিতা পাওয়ার আশায়। কিন্তু বিধিবাম রাস্তায় ব্যাপক জ্যাম গতদিনের কয়েক গুণ বেশী।
সামনে ডাবল ড্রেকার। ইচ্ছা হচ্ছিল গাড়ীতে একটা পাখা লাগিয়ে নিই পঙ্কী রাজের মত উড়াল দিই। ড্রাইভার এক্সপার্ট ছিল বললাম সাইট দিয়া উটাইয়া দিন কথা শুনলেন । আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা ও পৌছাইলাম ট্রেন ও থামল টিকেটে লিখা টাইমের ২ মিনিট আগে। আমি উঠার আগেই ব্যাগ ব্যাগেজ আর সঙ্গী সাথী গণ উঠে পড়লেন ড্রাইভার ভাইয়ের সহযোগিতায়। আমি তো আর তাদের খুঁজে পাইনা । পরে নির্দিষ্ট বগিতে গিয়ে দেখি সবায় হাযির।
তারপর, তারপর আর কি? ট্রেনে বসে বসে ট্রেন লাইনের আর্তনাদ শুনা.....
বাংলাদেশ নাকি ছোট দেশ জনসংখ্যা বেশী জায়গা নাকি কম চাষ বাসের। চোখ মেলে থাকালে, পতিত অব্যবহৃত জমি দেখলে কি তা মনে হয় ? মহান রব আমাদের যা দিয়েছেন তা দিয়ে সুস্থ ব্যাবস্থাপনা থাকলে এ রকম কয়েকটা দেশ অনায়াসে চলে যাবে মাথা উচু করে, কিসের সিংগাপুর , কিসের মালয়েশিয়া ? চাই সঠিক নেতৃত্ব দেশ প্রেমিক খোদা ভীরু জনগোস্টি। কেউ চোখ রাঙ্গাতে পারবে না ইনশেয়াল্লাহ। হতাশার অনেক কিছু আছে এটা ঠিক। সম্ভাবনার দিক গুলিও অত্যন্ত উজ্জ্বল, জাস্ট চাই একটু সুন্দর হাতের চোয়া।
ছোট্ট বাবুটির জন্য ট্রেন এর ভিতর থেকেই ফল ফুল মাছের ছবি সমৃদ্ধ একটি বই কিনলাম। বই পেয়েই ৮ মাসের বাবু আমার অনেক খুশি । ছবির জিনিষগুলি বই উল্টিয়েই যেন ধরতে চায়।
আর দুই বাবু ............।চলবে
বিষয়: বিবিধ
২১৭২ বার পঠিত, ৩৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর । তবে বানান ভুল লেখার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় । ধন্যবাদ ভাইয়া । আশা রাখি সত্য সবাক হবেই ।
কাকতালীয় (কাকতালীভাবে) দেখা হয়ে গেল আওয়ামীদের টপ মোস্ট ওয়ারেন্টেড প্রীয় (ওয়ান্টেড প্রিয়) গোলাপ ভাইয়ের সাথে। জীবনকে হাতের মুটুই (মুটোই) করে দিনের (দ্বীনের) দাওয়াত নিয়ে যারা ঘুরে বেড়ায় এরা তারা (তারাই) ।
দেখা হল নুরুল ইসলাম বুলবুল ভাই সহ (ভাইসহ) আরো কয়েক জনের সাথে।
যা হোক, প্রোগ্রাম শেষে দ্বায়িত্বশীলের (দায়িত্বশীলের) সাথে রওয়ানা (রওনা) দিলাম পল্টনের দিকে। কাজ শেষে বাসায় ফিরি রাত ১০:০০ টায়। এর মধ্য কিছু বকেয়া টাকা ও (টাকাও) আদায় করে দিলেন একজন ভাই।
বাসায় গিয়ে আরেক চমক , এক দ্বায়িত্বশীল দায়িত্বশীল) ভাই তাকে গিপ্ট (গিফ্ট) করা কয়েক হাজার টাকার বিদেশী বাদাম, জয়তুন, বরই কখন ও খায়নি এই রকম অনেক আইটেম সমৃদ্ধ এক ব্যাগ আমার বাসায় দিয়ে দিলেন আমার ছেলে মেয়েদের জন্য।
(বাসায় ফিরে দেখলাম আরেক চমক। এক দায়িত্বশীল ভাই নিজে গিফ্ট পাওয়া বাদাম, জয়তুন, বরইসহ অতীতে খাওয়া হয়নি এমন অনেক ফলমূলসহ হাজার টাকার চেয়েও বেশী দামী আইটেমের একটি ব্যগ রেখে গেলেন আমার ছেলে-মেয়েদের জন্য।)
যা টাকায় হিসাব করলে আমার মিস করা ট্রেনের টিকিটের টাকার কয়েক গুণ। দিনটি ও (দিনটিও/সময়টাও পার করলাম) খেটে (কেটে) গেল দ্বীনের পথে চমৎকার ভাবে। আলহামদুলিল্লাহ্।
ঐ দিকে দ্বায়িত্বশীল (দায়িত্বশীল) তার ড্রাইভারকে বলে দিলেন সকালে আমাদেরকে লিভ দেওয়ার জন্য। কিন্তু দেখা গেল উনার গাড়ীর সামনের চাকায় পাঙ্কচার হয়ে গেল। কোথাও লীক টিক করার দোখান (দোকান) ও খোলা নেই। আমি ও (আমিও) মোটর সাইকেল নিয়ে কয়েক জায়গায় খোঁজ নিলাম সবই বন্ধ। কিন্তু ড্রাইভার আন্তরিক সে অন্য চাকা লাগিয়ে নিয়েছে রাতেই ।
জামাত শিবিরের অনেক ড্রাইভার আহত হয়েছে (,) এরেস্ট হয়েছে (হয়ে) নির্যাতনের শিকার হয়েছে নেতাদের নাম বলার জন্য (।) কিন্তু তাদের আমানত দারীতা ও দৃঢ়তার কারনে এ প্রযন্ত (পর্যন্ত) আমাদের কোন নেতা কর্মী এরেস্ট হয়নি। (,) আলহামদুলিল্লাহ্। মহান রব তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।
যা হোক সকালে আমার বিবি উঠে যথারীতি বিরানী রান্না করল। ছেলে মেয়েদের রেডী করল। ব্যাগ তো আগে থেকেই গোছানো চিলই (ছিলই)। গতকাল ধরা খাওয়াতে আমি ও (আমিও) একটু এলারট (এলার্ট) হই কিন্তু আমাদের ড্রাইভার কল ধরে না ।আর ঐ গাড়ী ও আসতে লেইট (লেট/দেরী) করছে, পড়ছে জ্যামে আটকা। ছেলে মেয়ে ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি (বাচ্ছাদের নিয়ে ব্যাগ ব্যাগেজ নিয়ে গেটের সামনেই দাড়িয়ে আছি) ১৫ মিনিট (ধরে) ট্রেনের সময় আছে আর (মাত্র) ২২ মিনিট । আমাদের ড্রাইবার ভাই হাজীর (হাজির) । তার মোবাইল সাইলেন্ট ছিল। মনে হচ্ছিল এ যেন সাইলেন্ট কিলার। ওই ড্রাইভার ও জ্যামের কারনে রাস্তা পার হতে পারছে না। আমাদের ড্রাইভার ভাইকে বললাম গাড়ী স্টাট (স্টার্ট) দিন। তিনি দিল স্টাট (স্টার্ট) সাথে সাথে ঐ গাড়ী এসে হাযির (হাজির)। ব্যাগ সমেত আমাদের ড্রাইভার ভাইকে ও উঠিয়ে নিলাম একটু সহযোগিতা পাওয়ার আশায়। কিন্তু বিধিবাম রাস্তায় ব্যাপক জ্যাম গতদিনের কয়েক গুণ বেশী।
সামনে ডাবল ড্রেকার। ইচ্ছা হচ্ছিল গাড়ীতে একটা পাখা লাগিয়ে নিই পঙ্কী রাজের মত উড়াল দিই। ড্রাইভার এক্সপার্ট ছিল বললাম সাইট দিয়া উটাইয়া দিন কথা শুনলেন । আলহামদুলিল্লাহ্ আমরা ও পৌছাইলাম ট্রেন ও থামল টিকেটে লিখা টাইমের ২ মিনিট আগে। আমি উঠার আগেই ব্যাগ ব্যাগেজ আর সঙ্গী সাথী গণ উঠে পড়লেন ড্রাইভার ভাইয়ের সহযোগিতায়। আমি তো আর তাদের খুঁজে পাইনা । পরে নির্দিষ্ট বগিতে গিয়ে দেখি সবায় হাযির (হাজির)।
তারপর তারপর(একই শব্দ বার বার না লিখলেও সমস্যা নেই) আর কি? ট্রেনে বসে বসে ট্রেন লাইনের আর্তনাদ শুনা.....
বাংলাদেশ নাকি ছোট দেশ জনসংখ্যা বেশী জায়গা নাকি কম চাষ বাসের। চোখ মেলে থাকালে, পতিত অব্যবহৃত জমি দেখলে কি তা মনে হয় ? মহান রব আমাদের যা দিয়েছেন তা দিয়ে সুস্থ ব্যাবস্থাপনা থাকলে এ রকম কয়েকটা দেশ অনায়াসে চলে যাবে মাথা উচু করে, কিসের সিংগাপুর , কিসের মালেশিয়া (মালয়েশিয়া) ? চাই সঠিক নেতৃত্ব দেশ প্রেমিক খোদা ভীরু জন গোস্টি (জনগোষ্টী) । কেও (কেউ) চোখ রাঙ্গাতে পারবে না ইনশেয়াল্লাহ। হতাশার অনেক কিছু আছে এটা ঠিক। সম্ববনার (সম্ভাবনার) দিক গুলি ও (দিকগুলোও) অত্যান্ত (অত্যন্ত) উজ্জ্বল (।) জাস্ট চাই একটু সুন্দর হাতের চুয়া (চোয়া) ।
ছোট্ট বাবুটির জন্য ট্রেন এর ভিতর থেকেই ফল ফুল মাছের ছবি সমৃদ্ধ একটি বই কিনলাম। বই পেয়েই ৮ মাসের বাবু আমার অনেক খুশি । ছবির জিনিষ গুলি (জিনিসগুলি) বই উল্টিয়েই যেন ধরতে চায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন