ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।২
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩১ মে, ২০১৪, ০৯:৩১:৩২ সকাল
ইতি পূর্বে এই ট্রেনে আর চড়িনি।
টিকেট কাটছিলাম চারটা । পরিবারের সবাই মিলে যাব এই ভেবে ।বাংলাদেশ ট্রেনের টাইমিং এর অভাবিত উন্নতি কল্পনার বাহীরে ছিল । আর আমাদের ড্রাইভার ভাইয়ের তো চিন্তাই আলাদা । বলে কি গিয়ে হয়ত ১ ঘণ্টা বসে থাকা লাগবে । এর গাড়ীতে তেল নেই, তাই তেল নেওয়া জরুরী , নচেৎ ফিরতি পথে তাকে তৈল নিয়ে পড়তে হবে বিড়ম্বনায় , তার প্রথম ট্রেন মিচ করার কাহিনী..... আরো কত কি ,তার গল্প শুনে আমি তো পুরাই মুগ্ধ ।
যা হোক বিমান বন্দরের সামনের রাস্তায় যে পরিমাণ জ্যাম থাকে কত আদমি যে বিমান মিচ করে তারই হিসাব রাখে কে? আমি না হয় ট্রেন মিচ করলাম ।
ট্রেন ছিল মহানগর প্রভাতী। টিকেটে লিখা ৮:১২। আমি জানতাম ৮:৩০টায় ছাড়ে । আর সরকারের প্রতি আস্থাহীনতার কারনে সঠিক টাইমে ট্রেন আসবে সেটি ভাবিনী। গাড়ী থেকে নামলাম রেল স্টেশানে তখন ট্রেন দাঁড়ানো ফ্লাটফ্রমে।
হোইসেল দিচ্ছে ট্রেন....
হুইসেল না যেন আমার আত্মার ক্রন্দন। আহা গেল গেল , আমার স্বাদের ট্রেন গেল, আমার মায়ের স্বপ্ন গেল।কেও কি পারে না একটু থামাতে??
একদিন যখন আমাদের জীবনেই যাবে, তখন কতজনের স্বপ্ন ভাঙ্গবে?কত ভালবাসার অশ্রু ঝরবে এই রতে?
তখন কেও কি পারবে আমাদের জীবনঘড়ি আটকিয়ে রাখতে?এর পরে কি পারব কোন না করা আমল করে নিতে?
যে কষ্ট করে টিকেট কাঁঠা.....।.।.।। আহা...।
আম্মারতো একটু সময় লাগে গাড়ী থেকে নামতে। যখন ফ্লাটফরমে যাই তখন ট্রেন টানতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় আমি উঠতে পারলে ও পরিবারের অন্যরা উঠতে পারবে না। তাই ট্রেন চলে যাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিইবা করার আছে। আমার এইসব ব্যারথতা আপনাকে হয়ত সচেতন করবে, এই জন্য এই লিখা ।
হয়ত আপনি সচেতন তবুও...... চলবে
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
# পরিবারের সবাই মিলে যদি যেতে চান তাহলে বার্থে টিকিট কাটতে পারেন । খরচ তো একটু বেশী হবেই । এর বিনিময়ে আপনার মায়ের আরাম হল।
# আপনার ড্রাইভার সঠিক বলেছিল । কমলাপুর থেকে ম্যাক্সিমাম ট্রেনই দেরীতে ছাড়ে । তবে একবার ছাড়া শুরু করলে কমলাপুর হতে বিমান বন্দর রেলস্টেশনে আসতে ২৫-৩০ মিনিট লাগে যেগুলো মিটার গেজ সেগুলোর । ব্রড গেজ ( খুলনার সুন্দরবন , রাজশাহীর পদ্মা/সিল্ক সিটি/ধুমকেতু , খুলনার চিত্রা ) গুলো একটু আগে আসে ।
তবে পেসিমিস্টিক মনোভাবের হলে ধরে নিবেন , যেদিন আপনি একেবারে ইলেভেন্থ আওয়ারে পৌছাবেন সেদিন ট্রেন খুব টাইম মেনটেইন করবে । আগে পৌছালে সেই ড্রাইভারের কথা মত , ১ ঘন্টা কেন , সেটা ২-৩ ঘন্টাও হতে পারে । এই অপেক্ষা করা বড়ই পেইন ফুল।
আপনি উত্তরার দিক হতে আসেন বা খিলক্ষেতের দিক হতে - বিমানবন্দরের জ্যাম আপনাকে পেয়ে বসবে । আর যদি সেটা অফিস ডে হয় তাহলে তো কথাই নেই ।
০ '' তাই ট্রেন চলে যাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিইবা করার আছে। ''
# এই সময়ে তো কাউন্টার থেকে আপনার টিকিট ফেরতও নিবে না ।
আর ট্রেনের টিকিট দিনেরটা দিনে পাওয়া খুব কঠিন ।
ঘটনা যদিও এখন বিমানবন্দর রেলস্টেশনে থেমে আছে , ছবি কিন্তু দেখে বোঝা যায় যে এটা মেরিন ড্রাইভের রাস্তা ।
যেহেতু ঘুরেই এসেছেন তাই প্রতি পোস্টে আগের পোস্টের রেশ রাখবেন এবং পোস্টে শেষে পরের পোস্টের কিছু আকর্ষনীয় অংশ রেখে যাবেন ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আমি অভিভূত।
আপনার পরামর্শের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
মা দিনে যেতে চেয়েছিলেন , আর রাতের টিকিট পাইনি তাই দিনে কেনা।
মাত্র দিন দশেক আগেই আব্বাকে ট্রেনে দিতে গিয়ে রাতে ঘণ্টা দুয়েক বসে থেকে রাত দুইটায় বাসায় ফিরি।
আপনি ঠিকই ধরেছেন এটি হোটেল লা বেলা রিসুরটস থেকে ফিরার পথে মেরিন ড্রাইভ রোড়ের।
রেশ কিভাবে রাখে আর পরের পোস্টের আকর্ষণীয় অংশ কি হবে তা নিজে ও জানিনা শিখতে হবে আমার অনেক কিছু। ধন্যবাদ।
...পড়ে ভাল লাগল আপনার বর্ননা ভংগীতে। ব্যস্ততার কারণে অনিয়মিত বলে পড়া হয়না। দেখি একসাথে পড়া যায় কিনা।
তিন বছর আগে জেদ্দা হতে ফ্যামেলী সহ যাবার সময় ট্রেনে চট্রগ্রাম গিয়েছিলাম। চড়া দামে টিকেট কেনার পর মনে হল গরু ঘরে উঠেছি। তেলা পোকার আনাগোনা, সীটের অবস্থা। বাচ্চাদেরকে অনেক চেস্টা করে কিছু খাওয়াতে পারিনি। ধন্যবাদ।
কিছুদিন পূর্বে বেশ কয়েকজন ব্লগারের সাথে আমিও কক্সবাজার ঘুরে আসলাম। আমাদের ভ্রমন কাহিনী নিয়ে ব্লগার ওহিদুল ইসলাম ভাই পোস্ট দিয়েছিলেন স্বচিত্র ছবিসহ।
কোথাও একটুও আশার
আলো দেখতে পাওয়া যায় না।
যখন চারদিক থেকে হতাশা আর মন
খারাপের
মেঘগুলো ঘিরে ধরে আর প্রবল
বেগে তুফান হয়ে সব তছনছ
করে দিতে চায়। যখন
দুশ্চিন্তাগুলো জাল
বুনে ঘিরে ধরে। যখন এক
ফোটা সামর্থ্য থাকে না কিছু
করার।
যখন পরিচিত খুব প্রিয় মানুষগুলো মুখ
ফিরিয়ে নিতে থাকে। যখন
অসহায়ত্ব ছাড়া আর কেউ সঙ্গী হয়
না। যখন কষ্টে বুক
ফেটে যেতে চায়। যখন বুক
ফাটা চিৎকার আর আর্তনাদ
করে আকাশ-বাতাস
ভারি করে তুলতে ইচ্ছা করে...
তখন... হ্যাঁ... ঠিক তখন!! আমাদের
প্রভু সবসময়ের মতই আমাদের
সাথে থাকেন। তিনি আমাদের
জন্য এক নতুন পথ খুলে দেন। আমাদের
মনকে আশার আলোয় উদ্ভাসিত
করেন। মন খারাপের
মেঘগুলোকে রহমতের
বৃষ্টি করে আমাদের উপর বর্ষণ
করিয়ে দেন। ফলে সব ময়লা,
অপবিত্রতা ধুয়ে মুছে একাকার
হয়ে যায় আর তখন শুধুই
পবিত্রতা বিকিরণ ছড়ায়।
যিনি দুশ্চিন্তার জাল
ছিঁড়ে আমাদের বের করে আনেন
আর নিয়ে যান কাঙ্ক্ষিত শান্তির
পানে। যিনি আমাদের
মনে সাহসের সঞ্চার করেন,
আমাদের শক্তি জোগান আর
আমাদের সব কাজকে আমাদের
জন্য সহজ করে দেন।
যিনি কখনো কোন অবস্থাতেই
আমাদের থেকে মুখ
ফিরিয়ে নেন না। বুক
ফাটা কষ্টগুলোকে যিনি বহু
ক্রোশ দূরে পাঠিয়ে দেন যেন
তা আর কখনো আমাদের স্পর্শ
না করে।
যিনি আমাদের মনকে করে দেন
স্থির আর আমাদের চোখ
দুটোকে প্রশান্তির
চাদরে ঢেকে দেন। আর
কে আছে এত মহান? আর
কে আছে আমাদের
স্রষ্টা ছাড়া এত দয়ালু। আর
কে আছে এত ভালবাসার।
তিনি একমাত্র আমাদের রব,
আমাদের প্রভু, মহান আল্লাহ্
তা'আলা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন