১১ ই মে ঐতিহাসিক কোরআন দিবস!!
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১১ মে, ২০১৪, ০২:৪০:৪৭ দুপুর
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮৫ সালের ১০ ই এপ্রিল । পদ্মমল চোপরা ও শীতল সিং নামের দুই ব্যাক্তি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি মিসেস খাস্তগীরের আদালতে কুরআনের সকল আরবী কপি ও অনুবাদ বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়ে একটি রীট আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে ১২ই এপ্রিল, ১৯৮৫ বিচারপতি তিন সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভারতসহ সারা বিশ্ব প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠে ।
বাংলাদেশের মুসলিম জনতাও এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকে মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে ।বাংলাদেশে কুরআন দিবসের মূল প্রেক্ষাপট চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা ।
সেদিন (১১ই মে) বিকাল ৩ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঈদগাহ ময়দানে এক প্রতিবাদী জনসভার আয়োজন করা হয়। ঐ দিন সকালের দিকে প্রতিবাদ কমিটিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেকে চাপ দিয়ে সভা স্থগিতের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। প্রশাসন নিজ উদ্যোগে সভা স্থগিত করা হয়েছে মর্মে সভা শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে থেকে মাইকিং করা শুরু করে। কিন্ত সাধারণ জনগণ ও ছাত্ররা প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে ঈদগাহময়দানে সমবেত হতে থাকে। উচ্ছসিত জনতার মিছিল শ্লোগানে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
এ সময় কুখ্যাত ম্যাজিস্ট্রেট ওহেদুজ্জামান মোল্লা ক্ষিপ্ত হয়ে জনতাকে গালি গালাজ করতে থাকে এবং কোনভাবেই এখানে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানায়। এ পরিস্থিতিতে মাওলানা ইসারুল হক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে শুধুমাত্র মুনাজাত করেই সভা শেষ করে চলে যাওয়ার অনুমতি চান। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট ওহেদুজ্জামান মোল্লা এ আবেদন প্রত্যাখান করে । এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ শুরু করলে জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাজিস্ট্রেট নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালাতে নির্দেশ দিলে ঘটনা স্থলেই এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে ৮ জন মৃত্যু বরন করেন।
বিশ্ব মুসলিমের প্রতিবাদের মুখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ মামলাটি খারিজের জন্য এটর্নী জেনারেলকে নির্দেশ দেয়। ১৩ই মে কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বি. সি. বসাকের আদালতে স্থানান্তরিত হলে মামলাটি তিনি খারিজ করে দেন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৪২ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেদিন যারা শহীদ হয়েছিলেন-
১. শহীদ আব্দুল মতিন- ১০ম শ্রেণী - শিবির কর্মী
২. রশিদুল হক রশিদ- ১০ম শ্রেণী - শিবির কর্মী
৩. শীষ মুহাম্মাদ-৮ম শ্রেণী - শিবির কর্মী
৪. মুহাম্মদ সেলিম- ৮ম শ্রেণী - শিবির কর্মী
৫. শাহাবুদ্দিন- ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র
৬. আলতাফুর রহমান সবুর- কৃষক
৭. মুক্তার হোসেন- রিক্সা চালক
৮. নজরুল ইসলাম- রেল শ্রমিক
এই দিন আসলেই কোরআনের সৈনিকদের কানে ভেসে আসে সেই গান-
"আমি আমার এ দুটি আঁখি, কী করে ধরে রাখি
অঝোরে কান্না বেরিয়ে আসে
যখন মাসের পরে মাস পেরিয়ে ১১মে আসে…"
আজকে দেখো সামনে এসে রক্তমাখা শহীদ বেশে,
ফের দাঁড়িয়েছে তারা।।
আজকে তাদের প্রশ্ন শুধুই যেন
আল কোরানের দিন আসে না কেন?
হে পবিত্র আত্মারা! ক্ষমা করে দিও। রক্ত দিয়ে আল কোরানের মান সমুন্নত করেছিলে। আমরা পারি নি, পারছি না। হে কোরানের পাখীরা! আল্লাম সাঈদী হুজুরকে ফাঁসির ড্রেস পড়া দেখেও আমাদের চৈতন্য হয় না। তোমরা থাকলে কি এমন হত?
মন্তব্য করতে লগইন করুন