আচ্ছা স্বাধীন দেশে পোস্টার লাগানো কি মহা অপরাধ?????
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩০ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:৩৬:২৬ সকাল
যারা অন লাইনে কাজ করে বিশেষ ভাবে ফেবুতে সময় দেয় তাদের জন্য একদিনের বিচ্ছেদ ও অনেক কষ্টের.........
কাল সারাদিন মনে হয়েছে কেমনে কাটবে সময়? কিছু যেন হারিয়ে ফেলেছি............
সকালে ফজরের নামাজের পরেই বের হয়ে পড়ি..........
দেখি কিছু ইঞ্জিনিয়ার , হাই প্রোপাইল অফিসার, দোকানদার, সাধারণ কিছু পেশা জীবী মিলে সাইদী হুজুরের পোস্টার লাগাচ্ছে..........
যেখানে অন্য পার্টির পোস্টার টোকাইদের দিয়ে লাগানো হয় সেখনে এরা নিজেরাই নিজ হাতে পোস্টার লাগানো নেকির কাজ মনে করে .........
যা হোক দৈব ক্রমে আমি বাইক নিয়ে সেদিকে যাচ্ছিলাম........
আরে দেখি কি এক ইঞ্জিনিয়ার মামার সাথে কানামাছি খেলছে..........
মামা আর ইঞ্জিনিয়ার উভয়ে আমারে দেখে প্রশান্তি পায়..........
মামা মনে করে আমি তার সহযোগী আর ইঞ্জিনিয়ার মনে করে আমি তার উদ্ধার কারী.........
মামা আমারে কয় ভাই এরে ধরে দিন? আমি ও থামি ইঞ্জিনিয়ার দৌড়াইয়া আমার পিছনে চেপে বসে!!!!!!!!!
মামা কয় এরে ধরে দিন........... ইঞ্জিনিয়ার কয় জুরসে টানো.........
অবশেষে ইঞ্জিনিয়ারের আশায় বিজয়ী হইলো............ আলহামদুলিল্লাহ্.....
কিন্তু আমার ডিভাইস বাসাই রহিয়া গেল............ আর তাই আপনাদের কাছ থেকে সারাদিন দূরে থাকিলাম...........আচ্ছা স্বাধীন দেশে পোস্টার লাগানো কি মহা অপরাধ??????????
বিষয়: বিবিধ
১০৮৫ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের সঙ্গে নিয়ে দেবহাটা থানা পুলিশ সখীপুর ইউনিয়নের চিনেডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সরদারের বাড়িতে যায়। এসময় তাকে গ্রেফতার করে প্রিজনভ্যানে তোলে। তার ছোট ছেলে ও মেয়েরা কান্নাকাটি করে বলে আমার বাবারে তোমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছ। তাদেরকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। এরপর আর থানায় তার সাথে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশ তাকে নিয়ে পাতনার বিলের গুচ্ছগ্রামের কেওড়াতলা নামকস্থানে ফেলে বুকের ডান পাশে গুলী করে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন মিডিয়াতে ফোন করে প্রচার করে বন্দুকযুদ্ধের সময় জামায়াত নেতা নিহত।
নিহত সিরাজুল ইসলাম চিনেডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাবুর আলী সরদারের ছেলে। তার একটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে রয়েছে। যার মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আর ছেলেটি দশম শ্রেণীতে ও মেয়েটি তৃতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। তিনি তিন ভাই-বোনের মধ্যে সকলের বড়। আর পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান। সংসারেরও একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি বৃদ্ধ মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে গঠিত সংসারটি কাঁচা তরকারি ফেরী করে বিত্রিু করে সংসার চালাতেন। তাকে পুলিশ গুলী করে হত্যা করলো বলে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে তার বৃদ্ধ মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পাশে বসে থাকা বাকরুদ্ধ সিরাজুলের স্ত্রী বললো, হে আল্লাহ তার সাথে কেন আমাকেও নিয়ে গেলে না। আমি এখন এই অবস্থায় সংসারটি কিভাবে চালাবো। আমার ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার কি হবে। হে আল্লাহ তুমি আমার স্বামীকে যারা হত্যা করলো, তাদের বিচার তুমি করো। পৃথিবীতে আমাদের কেউ নেই। তুমিই একমাত্র ভরসা। তোমার হাতে আমার স্বামীকে তুলে দিলাম। তুমি তার শাহাদাত কবুল কর বলে মূর্ছা যায়। আর বাচ্চা দু’টি তো কাঁদতে কাঁদতে গলা ভেঙে ফেলেছে। তাদের এখন আর কান্নার অবস্থা নেই। শুধুমাত্র মানুষদের মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন