দুই দিনের সফর...........।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৭ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:৩১:০৩ দুপুর



কুরআনের দাওয়াত নিয়ে এক দ্বায়িত্বশীলের সাথে দুই দিনে পাঁচ জেলা সফর করেছি আলহামদুলিল্লাহ। কতই না সুন্দর আমার প্রীয় স্বদেশ মাশেয়াল্লাহ ......... সফরে মেহমান কুরআন থেকে দারস দিয়েছেন আমি ও শুনেছি ........... শুনেছি সমসাময়িক কয়েকটি ঘঠনা ও যা শুনে শ্রুতারা হু হু করে কেঁদে উঠলেন.......

দেখি কিছু আলোচনা আপনাদের সামনে প্রকাশ করা যায় কিনা.........

দারস হয়েছিল সুরা আল ইমরানের ১৭২-১৭৫ আয়াত পর্যন্ত

﴿الَّذِينَ اسْتَجَابُوا لِلَّهِ وَالرَّسُولِ مِن بَعْدِ مَا أَصَابَهُمُ الْقَرْحُ ۚ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا مِنْهُمْ وَاتَّقَوْا أَجْرٌ عَظِيمٌ﴾

১৭২) আহত হবার পরও যারা আল্লাহ ও রসূলের আহবানে সাড়া দিয়েছে, তাদের মধ্যে১২২ যারা সৎ-নেককার ও মুত্তাকী তাদের জন্য রয়েছে বিরাট প্রতিদান৷ আর যাদেরকে১২৩

১২২ . ওহোদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে বেশ কয়েক মনযিল দূরে চলে যাবার পর মুশরিকদের টনক নড়লো। তারা পরস্পর বলাবলি করতে লাগলো, এ আমরা কি করলাম! মুহাম্মাদের (সা) শক্তি ধ্বংস করার যে সুবর্ণ সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম, তা হেলায় হারিয়ে ফেললাম৷ কাজেই তারা এক জায়গায় থেমে গিয়ে পরামর্শ করতে বসলো। সিদ্ধান্ত হলো, এখনি মদীনার ওপর দ্বিতীয় আক্রমণ চালাতে হবে। সিদ্ধান্ত তো তারা করে ফেললো তড়িঘড়ি। কিন্তু আক্রমণ করার আর সাহস হলো না। কাজেই মক্কায় ফিরে এলো। ওদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও আশংকা ছিল, কাফেররা আবার ফিরে এসে মদীনার ওপর আক্রমণ না করে বসে। তাই ওহোদ যুদ্ধের পরদিনই তিনি মুসলমানদের একত্র করে বললেন, কাফেরদের পেছনে ধাওয়া করা উচিত। যদিও সময়টা ছিল অত্যন্ত নাজুক তবুও যারা সাচ্চা মু'মিন ছিলেন তাঁরা প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে হামরাউল আসাদ পর্যন্ত ধাওয়া করলেন। এ জায়গাটি মদীনা থেকে আট মাইল দূরে অবস্থিত। এ আয়াতে এ প্রাণ উৎসর্গকারী মু'মিন দলের প্রতি ইংগিত করা হয়েছে।

১২৩ . এ আয়াত ক'টি ওহোদ যুদ্ধের এক বছর পর নাযিল হয়েছিল। কিন্তু ওহোদের ঘটনাবলীর সাথে সম্পর্কিত হবার কারণে এগুলোকে এ ভাষনের সাথে জুড়ে দেয়া হয়েছে।

﴿الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ﴾

১৭৩) লোকেরা বললোঃ তোমাদের বিরুদ্ধে বিরাট সেনা সমাবেশ ঘটেছে৷ তাদেরকে ভয় করো, তা শুনে তাদের ঈমান আরো বেড়ে গেছে এবং তারা জবাবে বলেছেঃ আমাদের জন্য আল্লাহ যথেষ্ট এবং তিনি সবচেয়ে ভালো কার্য উদ্ধারকারী৷

.

﴿فَانقَلَبُوا بِنِعْمَةٍ مِّنَ اللَّهِ وَفَضْلٍ لَّمْ يَمْسَسْهُمْ سُوءٌ وَاتَّبَعُوا رِضْوَانَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ ذُو فَضْلٍ عَظِيمٍ﴾

১৭৪) অবশেষে তারা ফিরে এলো আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহ সহকারে৷ তাদের কোন রকম ক্ষতি হয়নি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির ওপর চলার সৌভাগ্যও তারা লাভ করলো৷ আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহকারী ৷

.

﴿إِنَّمَا ذَٰلِكُمُ الشَّيْطَانُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَاءَهُ فَلَا تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ﴾

১৭৫) এখন তোমরা জেনে ফেলেছো, সে আসলে শয়তান ছিল, তার বন্ধুদের অনর্থক ভয় দেখাচ্ছিলে ৷ কাজেই আগামীতে তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় করো, যদি তোমরা যথার্থ ঈমানদার হয়ে থাকো৷১২৪

১২৪ . ওহোদ থেকে ফেরার পথে আবু সুফিয়ান মুসলমানদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে গিয়েছিল, আগামী বছর বদর প্রান্তরে আমাদের সাথে তোমাদের আবার মোকাবিলা হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় এগিয়ে এলে আর তার সাহসে কুলালো না। কারণ সে বছর মক্কায় দুর্ভিক্ষ চলছিল। তাই সে মান বাঁচাবার জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করলো। গোপনে এক ব্যক্তিকে মদীনায় পাঠিয়ে দিল। সে মদীনায় পৌঁছে মুসলমানদের মধ্যে এ খবর ছড়াতে লাগলো যে, এ বছর কুরাইশরা বিরাট প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা এত বড় সেনাবাহিনী তৈরী করছে যার মোকাবিলা করার সাধ্য আরবের কারো নেই। তার উদ্দেশ্য ছিল, এ প্রচারণায় ভীত হয়ে মুসলমানরা নিজেদের জায়গায় বসে থাকবে। মোকাবিলা করার জন্য বাইরে আসার সাহস তাদের হবে না। ফলে যুদ্ধক্ষেত্র না আসার দায় থেকে কাফেররা মুক্ত হয়ে যাবে। আবু সুফিয়ানের এ চালবাজি মুসলমানদের এমনভাবে প্রভাবিত করলো যে, নবী সাল্লালআহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাদের বদরের দিকে চলার আহবান জানালেন তখন তাতে আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া গেলো না। অবশেষে আল্লাহর রসূল ভরা মজলিসে ঘোষণা করে দিলেন, কেউ না গেলে আমি একাই যাবো। এ ঘোষনার পর পনেরোশো প্রাণ উৎসর্গকারী মুজাহিদ তাঁর সাথে যাবার জন্য প্রস্তুত হলো। তাদের সাথে করে নিয়ে তিনি বদরে হাযির হলেন। ওদিকে আবু সুফিয়ান দু'হাজার সৈন্য নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকলো। কিন্তু দু'দিনের পথ অতিক্রম করার পর সে তার সাথীদের বললো, এ বছর যুদ্ধ করার সংগত হবে না। আগামী বছর আমরা আসবো। কাজেই নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে সে ফিরে গেলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আট দিন পর্যন্ত বদর প্রান্তরে তার অপেক্ষা করলেন। এসময়ের মধ্যে তাঁর সাথীরা একটি ব্যবসায়ী কাফেলার সাথে কাজ-কারবার করে প্রচুর অর্থলাভ করলেন। তারপর যখন খবর পাওয়া গেলো, কাফেররা ফিরে গেছে তখন তিনি সংগী-সাথীদের নিয়ে মদীনায় ফিরে এলেন

আলোচনার এক পর্যায়ে মেহমান বললেন

আপনারা কি জানেন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লার জীবনের শেষ ইচ্ছা কি ছিল?? ফাঁসীর মঞ্চে যাওয়ার পূর্বে শেষ ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করা হয়.......... তিনি বলেন আমার প্রীয় নেতা গোলাম আযমের সাথে দেখা করায় আমার অন্তিম ইচ্ছা............ মুমিনের কোন ইচ্ছা কি কোন জালেম পূর্ণ করতে পারে?? এটি ও পারেনি........... তিনি হাঁসতে হাঁসতে চলে গেলেন ওপারের সুন্দর ভুবনে রেখে গেলেন অসীম প্রেরণা জীবনকে বাস্তব সাক্ষ্য হিসাবে পেশ করে । হে মাবূদ আমরা সাক্ষী দিচ্ছি শহীদ কাদের মোল্লা দুনিয়ার কোন অপরাধের জন্য নয়, কেবল তোমার কালেমার পতাকা উচ্চকিত করে কেবল তোমার সন্তুষ্টি চেয়েছিলেন । হে পরওয়ার দিগার তুমি তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাও...........

আরো বললেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির উপর নির্যাতনের কথা .....

বিষয়: বিবিধ

১১০২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

213871
২৭ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
হারিয়ে যাবো তোমার মাঝে লিখেছেন : যুদ্ধাপরাধীদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।
২৭ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:১৩
162183
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : সব অপারাধীর স্থানই জাহান্নাম যদি বিচার দ্বীনের মালিক ক্ষমা না করেন .....
২৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
162256
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনারটা যাবার আগে জেনে নিয়েন৷ ওনাদেরও নীচে না হয়ে যায়৷ বদলকরে তবেই যাবেন৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File