পথ শিশু.......... আহা......।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩১ মার্চ, ২০১৪, ০৯:১৩:৩৪ সকাল



আজকের সকাল ৬.৫৭ । বাংলাদেশের অভিজাত এলাকা উত্তরা মডেল টাউন। যাত্রী চাউনি । আমরা অপেক্ষা করি অফিসের গাড়ী ধরার জন্য। তিন পথ শিশু তাদের পরম সম্পত্তি বস্তাখানা মমতায় আগলে তৃপ্তির গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন এসব সুখী মানুষ। পাশেই সারী সারী সুরম্য আট্টালিকায় হা হুতাশ করছে অনেকেই ঘুম না আসায়। আর এরা সুখী মানুষ গায়ে জামা নেই মাছি ভন ভন করছে তাদের শরীরে পাশে গাড়ীর হাইড্রলিক সাউন্ড তবু ঘুমের কমতি/ ডিস্টার্ব নেই...............

আমার ছবি তুলা দেখে আওয়ামী এডভোকেট ভদ্র লোক বলে উঠলেন এদের ছবি তুলে কি লাভ?? আল্লাহর লীলা বুঝা বড় দায়!! এদের কি অপরাধ ছিল?? এরা এখানে?? ততক্ষণে ভদ্রলোকের অবৈধ যাত্রী বহনকারী সরকারী বিমান বাহীনীর স্টাফ বাস চলে আসায় তিনি চলে গেলেন। তিনি ওই বাসে নিয়মিত গাজীপুর কোর্টে যান..........

ভদ্র লোকটিরে যা বলতে পারিনি..... বা বলার সুযোগ হয়নি..... যা হয়ত কাল বলব সুযোগ হলে......

আল্লাহ্‌ আমাদের সম্পদ দিয়েছেন, তা আমাদের ন্যায়ানুগ বন্টনের নির্দেশ দিয়েছেন। যাকাত ফরজ করেছেন। এতিম মিসকিনকে সহযোগিতা না করলে পরকালকে অস্বীকার কারী সাব্যস্ত করেছেন। সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে বলেছেন। তার নির্দেশনার কোনটি আমরা মানছি?? খোদার লীলা বলে কি আমরা পার পাব?? আমাদের কি কোন করনীয় নেই??

আর এক শ্রেনীর মানুষের স্বভাব হইল আল্লাহর উপর পার করে দেওয়া নাঊজুবিল্লাহ।

আমাদের জন্য পরিপূর্ণ জীবন ব্যাবস্থা দিয়েছেন অথচ আমরা মানছি না বড়ই আফসোস। আসুন যার যা সাম্রথ আছে তা নিয়ে অসহায় বনী আদমের পাশে দাঁড়ায়। নিজে বুঝি আর তাদের ও বুঝায় তারা ও মানুষ, আশরাফুল মাক্লুকাত।



﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ﴾

১) তুমি কি তাকে দেখেছো৷১ যে আখেরাতের পুরস্কার ও শাস্তিকে২ মিথ্যা বলছে ?৩

১ . ' তুমি কি দেখেছো ' বাক্যে এখানে বাহ্যত সম্বোধন করা হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে । কিন্তু কুরআনের বর্ণনাভংগী অনুযায়ী দেখা যায় , এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রত্যেক জ্ঞান - বুদ্ধি ও বিচার - বিবেচনা সম্পন্ন লোকদেরকেই এ সম্বোধন করা হয়ে থাকে। আর দেকা মানে চোখ দিয়ে দেখাও হয়। কারণ সামনের দিকে লোকদের যে অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে তা প্রত্যেক প্রত্যক্ষকারী স্বচক্ষে দেখে নিতে পারে। আবার এর মানে জানা , বুঝা ও চিন্তা ভাবনা করাও হতে পারে। আরবী ছাড়া অন্যান্য ভাষায়ও এ শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন আমরা বলি , " আচ্ছা , ব্যাপারটা আমাকে দেখতে হবে। " অর্থাৎ আমাকে জানতে হবে। অথবা আমরা বলি , " এ দিকটাও তো একবার দেখো ।" এর অর্থ হয় , " এ দিকটা সম্পর্কে একটু চিন্তা করো । " কাজেই " আরাআইতা " ( আরবী -----------) শব্দটিকে দ্বিতীয় অর্থে ব্যবহার করলে আয়াতের অর্থ হবে , " তুমি কি জানো সে কেমন লোক যে শাস্তি ও পুরস্কারকে মিথ্যা বলে ৷ " অথবা " তুমি কি ভেবে দেখেছো সেই ব্যক্তির অবস্থা যে কর্মফলকে মিথ্যা বলে ৷ "

২ . আসলে বলা হয়েছে : ( আরবী ------------) । কুরআনের পরিভাষায় " আদ দীন " শব্দটি থেকে আখেরাতে কর্মফল দান বুঝায়। দীন ইসলাম অর্থেও এটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সামনের দিকে যে বিষয়ের আলোচনা হয়েছে তার সাথে প্রথম অর্থটিই বেশী খাপ খায় যদিও বক্তব্যের ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে দ্বিতীয় অর্থটিও খাপছাড়া নয়। ইবনে আব্বাস ( রা)) দ্বিতীয় অর্থটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে অধিকাংশ তাফসীরকার প্রথম অর্থটিকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন। প্রথম অর্থটি গ্রহণ করলে সমগ্র সূরায় বক্তব্যের অর্থ হবে , আখেরাত অস্বীকারের আকীদা মানুষের মধ্যে এ ধরনের চরিত্র ও আচরণের জন্ম দেয়। আর দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করলে দীন ইসলামের নৈতিক গুরুত্ব সুস্পষ্ট করাটাই সমগ্র সূরাটির মূল বক্তব্যে পরিণত হবে। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে বক্তব্যের অর্থ হবে , এ দীন অস্বীকারকারীদের মধ্যে যে চরিত্র ও আচরণ বিধি পাওয়া যায় ইসলাম তার বিপরীত চরিত্র সৃষ্টি করতে চায়।

৩ . বক্তব্য যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে মনে হয় , এখানে এ প্রশ্ন দিয়ে কথা শুরু করার উদ্দেশ্য একথা জিজ্ঞেস করা নয় যে , তুমি সেই ব্যক্তিকে দেখেছো কি না। বরং আখেরাতের শাস্তি ও পুরস্কার অস্বীকার করার মনোবৃত্তি মানুষের মধ্যে কোন ধরনের চরিত্র সৃষ্টি করে শ্রোতাকে সে সম্পর্কে চিন্তা- ভাবনা করার দাওয়াত দেয়াই এর উদ্দেশ্য। এই ধরনের লোকেরা এ আকীদাকে মিথ্যা বলে সে কথা জানার আগ্রহ তার মধ্যে সৃষ্টি করাই এর লক্ষ। এভাবে সে আখেরাতের প্রতি ঈমান আনার নৈতিক গুরুত্ব বুঝার চেষ্টা করবে।

﴿فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ﴾

২) সে-ই তো ৪ এতিমকে ধাক্কা দেয় ৫

৪ . আসলে ( আরবী ----------) বলা হয়েছে। এ বাক্যে " ফা " অক্ষরটি একটি সম্পূর্ণ বাক্যের অর্থ পেশ করছে। এর মানে হচ্ছে , " যদি তুমি না জেনে থাকো তাহলে তুমি জেনে নাও " " সে - ই তো সেই ব্যক্তি " অথবা এটি এ অর্থে যে , " নিজের এ আখেরাত অস্বীকারের কারণে সে এমন এক ব্যক্তি যে ----------------"

৫ . মূলে ( আরবী --------) বলা হয়েছে এর কয়েকটি অর্থ হয়। এক , সে এতিমের হক মেরে খায় এবং তার বাপের পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে বেদখল করে তাকে সেখান থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। দুই , এতিম যদি তার কাছে সাহায্য চাইতে আসে তাহলে দয়া করার পরিবর্তে সে তাকে ধিক্কার দেয়। তারপরও যদি সে নিজের অসহায় ও কষ্টকর অবস্থার জন্য অনুগ্রহ লাভের আশায় দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় । তিন , সে এতিমের ওপর জুলুম করে। যেমন তার ঘরেই যদি তার কোন আত্মীয় কথায় গালমন্দ ও লাথি ঝাঁটা খাওয়া ছাড়া তার ভাগ্যে আর কিছুই জোটে না। তাছাড়া এ বাক্যের মধ্যে এ অর্থও নিহিত রয়েছে যে, সেই ব্যক্তি মাঝে মাঝে কখনো কখনো এ ধরনের জুলুম করে না বরং এটা তার অভ্যাস ও চিরাচরিত রীতি সে যে এটা একটা খারাপ কাজ করছে , এ অনুভূতিও তার থাকে না। বরং বড়ই নিশ্চিন্তে সে এ নীতি অবলম্বন করে যেতে থাকে। সে মনে করে , এতিম একটা অক্ষম ও অসহায় জীব। কাজেই তার হক মেরে নিলে , তার ওপর জুলুম - নির্যাতন চালালে অথবা সে সাহায্য চাইতে এলে তাকে ধাক্কা মেরে বের করে দিলে কোন ক্ষতি নেই।

এ প্রসংগে কাজী আবুল হাসান আল মাওয়ারদী তাঁর " আলামূন নুবুওয়াহ " কিতাবে একটি অদ্ভুত ঘটনা বর্ণনা করেছেন । ঘটনাটি হচ্ছে : আবু জেহেল ছিল একটি এতিম ছেলের অভিভাবক। ছেলেটি একদিন তার কাছে এলো । তার গায়ে একটুকরা কাপড়ও ছিল না। সে কাকুতি মিনতি করে তার বাপের পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তাকে কিছু দিতে বললো। কিন্তু জালেম আবু জেহেল তার কথায় কানই দিল না। সে অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষে নিরাশ হয়ে ফিরে গেলো । কুরাইশ সরদাররা দুষ্টুমি করে বললো , " যা মুহাম্মাদের ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কাছে চলে যা। সেখানে গিয়ে তার কাছে নালিশ কর। সে আবু জেহেলের কাছে সুপারিশ করে তোর সম্পদ তোকে দেবার ব্যব্‌স্থা করবে । " ছেলেটি জানতো না আবু জেহেলের সাথে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কি সম্পর্ক এবং এ শয়তানরা তাকে কেন এ পরামর্শ দিচ্ছে। সে সোজা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছে গেলো এবং নিজের অবস্থা তাঁর কাছে বর্ণনা করলো। তার ঘটনা শুনে নবী ( সা) তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাকে সংগে নিয়ে নিজের নিকৃষ্টতম শত্রু আবু জেহেলের কাছে চলে গেলেন। তাঁকে দেখে আবু জেহেল তাঁকে অভ্যর্থনা জানালো। তারপর যখন তিনি বললেন , এ ছেলেটির হক একে ফিরিয়ে দাও তখন সে সংগে সংগেই তাঁর কথা মেনে নিল এবং তার ধন - সম্পদ এনে তার সামনে রেখে দিল । ঘটনার পরিণতি কি হয় এবং পানি কোন দিকে গড়ায় তা দেখার জন্য কুরাইশ সরদাররা ওঁৎ পেতে বসেছিল। তারা আশা করছিল দু' জনের মধ্যে বেশ একটা মজার কলহ জমে উঠবে। কিন্তু এ অবস্থা দেখে তারা অবাক হয়ে গেলো। তারা আবু জেহেলের কাছে এসে তাকে ধিক্কার দিতে লাগলো। তাকে বলতে লাগলো , তুমিও নিজের ধর্ম ত্যাগ করেছে। আবু জেহেল জবাব দিল , আল্লাহর কসম ! আমি নিজের ধর্ম ত্যাগ করিনি। কিন্তু আমি অনুভব করলাম , মুহাম্মাদের ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ডাইনে ও বাঁয়ে এক একটি অস্ত্র রয়েছে। আমি তার ইচ্ছার সামান্যতম বিরুদ্ধাচরণ করলে সেগুলো সোজা আমার শরীরের মধ্যে ঢুকে যাবে। এ ঘটনাটি থেকে শুধু এতটুকুই জানা যায় না যে ,সে যুগে আরবের সবচেয়ে বেশী উন্নত ও মর্যাদা গোত্রের বড় বড় সরদাররা পর্যন্ত এতিম ও সহায় - সম্বলহীন লোকদের সাথে কেমন ব্যবহার করতো বরং এই সংগে একথাও জানা যায় যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত উন্নত নৈতিক প্রভাব কতটুকু কার্যকর হয়েছিল। ইতিপূর্বে তাফহীমূল কুরআন সূরা আল আম্বিয়া ৫ টীকায় আমি এ ধরনের একটি ঘটনা বর্ণনা করেছি।নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যে জবরদস্ত নৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে কুরাইশরা তাঁকে যাদুকর বলতো এ ঘটনাটি তারই মূর্ত প্রকাশ ।

﴿وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ﴾

৩) এবং মিসকিনকে খাবার দিতে৬ উদ্বুদ্ধ করে না৷ ৭

৬ . আরবী ----------------- নয় বরং আরবী ------------- বলা হয়েছে "ইত্‌'আমূল মিসকিন "বললে অর্থ হতো , সে মিসকিনকে খানা খাওয়াবার ব্যাপারে উৎসাহিত করে না।কিন্তু "তাআমূল মিসকিন "বলায় এর অর্থ দাঁড়িয়েছে ,"সে মিসকিনকে খানা দিতে উৎ -সাহিত করে না। " অন্য কথায় , মিসকিনকে যে খাবার দেয়া হয় তা দাতার খাবার নয় বরং ঐ মিসকিনেরই খাবার । তা ঐ মিসকিনের হক এবং দাতার ওপর এ হক আদায় করার দায়িত্ব র্বতায় । কাজেই দাতা এটা মিসকিনকে দান করছে না বরং তার হক আদায় করছে । সূরা আয যারিয়াতের ১৯ আয়াতে একথাটিই বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে :আরবী ------------------ "আর তাদের ধন সম্পদে রয়েছে ভিখারী ও বঞ্চিতদের হক " ।

৭ . আরবী ------ শব্দের মানে হচ্ছে ,সে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করে না , নিজের পরিবারের লোকদেরকেও মিসকিনকে খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ করে না এবং অন্যদেরকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করে না যে ,সমাজে যেসব গরীব ও অভাবী লোক অনাহারে মারা যাচ্ছে তাদের হক আদায় করা এবং তাদের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য কিছু করো। এখানে মহান আল্লাহ শুধুমাত্র দু'টি সুম্পট উদাহরণ দিয়ে আসলে আখেরাত অস্বীকার প্রবণতা মানুষের মধ্যে কোন ধরনের নৈতিক অসৎবৃত্তির জন্ম দেয় তা বর্ণনা করেছেন।আখেরাত না মানলে এতিমকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া এবং মিসকিনকে খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ না করার মতো দু'টি দোষ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে যায় বলে শুধুমাত্র এ দু'টি ব্যাপারে মানুষকে পাকড়াও সমালোচনা করাই এর আসল উদ্দেশ্য নয় । বরং এই গোমরাহীয় ফলে যে অসংখ্য দোষ ও ত্রুটির জন্ম হয় তার মধ্য থেকে নমুনা স্বরূপ এমন দু'টি দোষের কতা উল্লেখ করা হয়েছে প্রত্যেক সুস্থ বিবেক ও সৎবিচার - বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তি যেগুলোকে নিকৃষ্টতম দোষ বলে মেনে নেবে। এই সংগে একথাও হৃদয়পটে অংকিত করে দেয়াই উদ্দেশ্য যে , এ ব্যক্তিটিই যদি আল্লাহর সামনে নিজের উপস্থিতি ও নিজের কৃতকর্মের জবাবদিহির স্বীকৃতি দিতো , তাহলে এতিমের হক মেরে নেবার , তার ওপর জুলুম -নির্যাতন করার , তাকে ধিক্কার দেবার এবং মিসকিনকে নিজে খাবার না দেবার ও অন্যকে দিতে উদ্বুদ্ধ না করার মতো নিকৃষ্টতম কাজ সে করতো না। আখেরাত বিশ্বাসীদের গুণাবলী সূরা আসর ও সুরা বালাদে বয়ান করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে : আরবী --------------------------------------------------------- আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি করুণা করার জন্য তারা পরস্পরকে উপদেশ দেয় এবং ( আবরী ------------) তারা পরস্পরকে সত্যপ্রীতি ও অধিকার আদায়ের উপদেশ দেয়।

বিষয়: বিবিধ

২৯৯২ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

200630
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, জাজাকাল্লাহুল খাইরান, অনেক সুন্দর পোস্ট
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০১
150383
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আপনাকে অশেষ মোবারকবাদ। আপনার অনেক সুন্দর মন তাই হয়ত ভাল লেগেছে। মহান রব আপনাকে অবারিত কল্যাণ দান করুন।
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০১
150384
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আপনাকে অশেষ মোবারকবাদ। আপনার অনেক সুন্দর মন তাই হয়ত ভাল লেগেছে। মহান রব আপনাকে অবারিত কল্যাণ দান করুন।
200632
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৭
ঈগল লিখেছেন : ভাই, ঢাকাতে কত পথ শিশু আছে বলে ধারণা করা হয়?
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫৪
150381

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আল্লা আমাদের উপর "পরিপূর্ণ জীবন ব্যাবস্থা দিয়েছেন অথচ আমরা মানছি না" তাই উনি ঝাল মিটাচ্ছেন ৫ বছর বয়সের অবুঝ ছিন্নমূল শিশুদের উপর? উনি বড়ই পারনেওয়ালা........ !!!
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৩
150393
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সরকারি হিসেবে দুই লাখের মতো পথ-শিশু রয়েছে, যাদের বয়স আঠারো বছরের কম।

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যর মতো একেবারে মৌলিক অধিকারের সবগুলো থেকেই বঞ্চিত এসব শিশুরা।''রাষ্ট্রের তাদের ব্যাপারে একেবারেই কোনও উৎসাহ নেই''বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশটির সর্বশেষ আদমশুমারিতে ভাসমান মানুষদের সম্পর্কে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, দেশটিতে চার লাখের মতো পথ-শিশু রয়েছে, যার অর্ধেকই অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকাতে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে পথ-শিশুর সংখ্যা দশলাখের বেশি।
200635
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৫১

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7238

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ওহঃ আচ্ছা!!! আল্লা আমাদের উপর "পরিপূর্ণ জীবন ব্যাবস্থা দিয়েছেন অথচ আমরা মানছি না" তাই উনি ঝাল মিটাচ্ছেন ৫ বছর বয়সের অবুঝ শিশুদের উপর? উনি বড়ই পারনেওয়ালা........ !!! Rolling on the Floor Rolling on the Floor
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৬
150386
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : হা ভাই ভদ্র লোকটি বলছিল তাদের আপনি কোন কাজ করতে বলুন তারা তা করবে না। কিন্তু আমি দেখেছি তাদের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে সারা রাত জেগে পোস্টার লাগাতে। এই পোস্টার লাগানোর জন্য তাদেরকে ধরে নিয়ে যেতে ও দেখেছি। কিন্তু তাদের জঠর জ্বালা মিটাতে খুব কমই দেখা যায়। চলুন না তাদের জন্য কিছু করি।
৩১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৪
150601
ঈগল লিখেছেন : রায়হার রহমান ভাই, মহান আল্লাহ আমার রব। আল্লাহকে আমি ইলাহ হিসেবে মেনেছি। তিনি কার উপর কি প্রয়োগ করবেন সেটা একান্তই তাঁর ব্যাপার। সেটা নিয়ে আপনি অযথা কেন মাথা ঘামাচ্ছেন!
==============
রায়হান সাহেব, আমার ধারণা আপনি উচ্চ শিক্ষিত! উচ্চ শিক্ষিত লোকদের আমি শ্রদ্ধা করি। কারণ তারা যু্ক্তি মেনে চলেন, সত্য বুঝার পর মেনে নেন। পালন করতে পারা এক ব্যাপার আর মেনে নেওয়া আরেক ব্যাপার।
200666
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:০৫
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : এই চিত্র সারাদেশেই আছে..আর সরকার গ্রিনেস বুকে নাম উঠাতে কোটি কোটি টাকা অপচয় করে।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
150439
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : কত মানুষের বুকে ব্যাথা........... কত মানুষের মনে ব্যাথা...... আসুন ১০০ কোটি খরচ করে মনের সুখে গান গাই............ শত সিড়র আইসা পড়ুক আওয়ামীদের ঘরে ঘরে....................
..অটোরিকশায় বসেই কথা বলছিলাম Sarwar ভাইয়ের সাথে। সাত সকালে অনেকটাই নষ্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম এক কালের কর্পোরেট-কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীর(রিপোর্টিং বস) সাথে। কথা বলার ভেতরেই অটোরিকশা চালকের কিছুটা ফোঁসফাঁস শব্দ কানে এল। মাথাটা একটু এগিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কী ব্যাপার... ! কোন সমস্যা..?"
বল্লো, জী ; সমস্যা।
:কী অসুবিধা?
...বুকে অসুবিধা ।
ব্যাথা করছে।
: আপনি রিক্সা থামান, বসে রেষ্ট নেন, দেখেন ক্যামন লাগে।
....নাহ্ আস্তে আস্তে করে চইলে যাই... এইতো আর একটু পথ রইয়েছে....!

: আবার ও বল্লাম, আপনি থামিয়ে একটু বিশ্রাম নেন দেখেন ভালো লাগবে।

বল্লো ; ১৫ দিন মেডিক্যাল এ থাইকা আবার আইসলাম। ডান হাতে একটা ছোট্ট কাগজ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বল্লো,
"এই বইগুলো মেয়ের জন্যে কিনতে হবে...!"
ভাড়া দেবার সময় সে উচ্চ-শ্বাসে দম নিয়েই
বলছে...
" আমার দুইডা ছেলে ছিলো... সিডরে চইলে গিয়েছে.... আমার সব শ্যাষ....! মাইয়াডা কাইল কইলো এই দু'ডো বই তাড়াতাড়ি পাঠাতি হবি... তা না হলে পরে পড়ালিখা করবি না নে..!"

এটি তার একটি নতুন কৌশল কিনা(ধান্ধাবাজি) জানিনা... তবে আমি কেঁপে উঠলাম তার আকুলতায়।তার কথায়। ১০০ টাকার নোট দিতে সে ৬০ টাকার ভাড়ায় ২০ টাকা ফেরত দিলো। পকেটে খুব বেশি একটা টাকাও নেই। (রাতে গিন্নির কাছ থেকে ৫০০টাকা চেয়ে নিয়ে বের হয়েছি।পি।)

...সিড়রের ঝড়ো রাতে শহরের লোকদের খুব ভালো ঘুম হয়েছিলো। হয়েছিলো আমারও। আর ওদিকে ছিলো মৃত্যুপূরী.... মহাপ্লাবন....! দু' ছেলে ভেসে সেই রাতের প্লাবনে... এক ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের মরণছোবলে....! দিনের আলোয় এখন চলছে বেঁচে যাওয়া বাবার দ্বিতীয় লড়াই... বাঁচার লড়াই....!
ছোট্ট একটা চিরকুটে মোবাইল নাম্বাটা লিখে দিয়ে বল্লাম, কাল সন্ধায় ফোন করে জিইসি মোড়ের দিকে আইসেন... 'বই এ ব্যবস্থা করবো...' এতটুকু বলে আমি আমার সংগামে পা বাড়ালাম........
Photo: ...অটোরিকশায় বসেই কথা বলছিলাম Sarwar ভাইয়ের সাথে। সাত সকালে অনেকটাই নষ্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম এক কালের কর্পোরেট-কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীর(রিপোর্টিং বস) সাথে। কথা বলার ভেতরেই অটোরিকশা চালকের কিছুটা ফোঁসফাঁস শব্দ কানে এল। মাথাটা একটু এগিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কী ব্যাপার... ! কোন সমস্যা..?" বল্লো, জী ; সমস্যা। :কী অসুবিধা? ...বুকে অসুবিধা । ব্যাথা করছে। : আপনি রিক্সা থামান, বসে রেষ্ট নেন, দেখেন ক্যামন লাগে। ....নাহ্ আস্তে আস্তে করে চইলে যাই... এইতো আর একটু পথ রইয়েছে....! : আবার ও বল্লাম, আপনি থামিয়ে একটু বিশ্রাম নেন দেখেন ভালো লাগবে। বল্লো ; ১৫ দিন মেডিক্যাল এ থাইকা আবার আইসলাম। ডান হাতে একটা ছোট্ট কাগজ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বল্লো, "এই বইগুলো মেয়ের জন্যে কিনতে হবে...!" ভাড়া দেবার সময় সে উচ্চ-শ্বাসে দম নিয়েই বলছে... " আমার দুইডা ছেলে ছিলো... সিডরে চইলে গিয়েছে.... আমার সব শ্যাষ....! মাইয়াডা কাইল কইলো এই দু'ডো বই তাড়াতাড়ি পাঠাতি হবি... তা না হলে পরে পড়ালিখা করবি না নে..!" এটি তার একটি নতুন কৌশল কিনা(ধান্ধাবাজি) জানিনা... তবে আমি কেঁপে উঠলাম তার আকুলতায়।তার কথায়। ১০০ টাকার নোট দিতে সে ৬০ টাকার ভাড়ায় ২০ টাকা ফেরত দিলো। পকেটে খুব বেশি একটা টাকাও নেই। (রাতে গিন্নির কাছ থেকে ৫০০টাকা চেয়ে নিয়ে বের হয়েছি।পি।) ...সিড়রের ঝড়ো রাতে শহরের লোকদের খুব ভালো ঘুম হয়েছিলো। হয়েছিলো আমারও। আর ওদিকে ছিলো মৃত্যুপূরী.... মহাপ্লাবন....! দু' ছেলে ভেসে সেই রাতের প্লাবনে... এক ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের মরণছোবলে....! দিনের আলোয় এখন চলছে বেঁচে যাওয়া বাবার দ্বিতীয় লড়াই... বাঁচার লড়াই....! ছোট্ট একটা চিরকুটে মোবাইল নাম্বাটা লিখে দিয়ে বল্লাম, কাল সন্ধায় ফোন করে জিইসি মোড়ের দিকে আইসেন... 'বই এ ব্যবস্থা করবো...' এতটুকু বলে আমি আমার সংগামে পা বাড়ালাম........
-সোহেল ভাই
200672
৩১ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:১৮
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : এই পথশিশুদের ব্যাপারে রাজনিতিকরা বড় বড় বুলি আওড়ান, তাদের কল্যানে আইন পাশ হয়, বিল পাশ হয়, বাস্থবে কাজের কাজ কিছুই হয়না। মুলতঃ রাষ্ট্রিয় উদ্যোগ ছাড়া ব্যাক্তি উদ্যোগে এদের পূনর্বাসন করা মোঠেই সম্ভব নয়। এ জন্যই আল্লাহ ইনসাফ প্রতিষঠার জন্য তার দ্বীনকে রাষ্ট্রিয় ভাবে প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, জাপান, আমেরিকাতে দ্বীন প্রতিষ্ঠিত নেই কিন্তু এসব ক্ষেত্রে তারা ইসলামের বিধানগুলোকেই এপ্লাই করছে বলেই তাদের দেশে পথশিশু নেই বল্লেই চলে।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
150443
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : বাজেট হলে পকেট ভরবে...। রাস্ট্র শক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ব্যাক্তি বা সামাজিক প্রতিস্টান গুলো ভাল ভুমিকা রাখা জরুরী। আল্লাহ্‌ তো আর সাম্রথের বাহিরে কিছু চান না । তবে ইসলামী রাস্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্তক প্রচেষ্টা থাকতে হবে। ঈমান ছাড়া মানবতার জন্য দ্বীনের বিধান গুলো তারা অনুসরণ করে। সেবার জন্য নেত্রিত্ব তাইতো তারা বিশ্ব ব্যাপী নেত্রিত্ত্ব দিচ্ছে। যাযাকাল্লাহ।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:১০
150462
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ব্যক্াতি বা সামজিক ভাবে 'প্রচেষ্ঠাকে' আমি গুরুত্বহীন বলিনি। আমারও কিছৃ করতে মন চায়। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় এসব প্রচেষ্ঠা অতি নগন্য। ধনীর কাছে গরিবের প্রাপ্য স্বেচ্ছায় কখনও গরিবের কাছে পৌছে দেবে না। আপনার কাছে রিক্সাওলা তার আকুতি তুলে ধরেছে বলেই সে আপনার সহানুভূতি পেয়েছে।
এ জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালি মাধ্যম। যে ধনীক শ্রেনীর কাছ থেকে গরীবের নায্য হিস্যাটা বাধ্যতামুলক আদায় করতে পারে। যে সম্পদের পাহাড় কেটে ডোবা গুলো ভরাট করতে পারে।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪২
150480
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : জ্যি
200755
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:১২
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : এইসব সামাজিক দায়িত্বগুলো থেকে ইসলামপন্থিরাও পিছিয়ে আছে।
৩১ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
150478
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : জ্যি
200870
৩১ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:১১
ভিশু লিখেছেন : Rolling Eyes Rolling Eyes Rolling Eyes
Sad Sad Sad
Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:১৩
150812
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
200940
৩১ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৫
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আমি লক্ষ্য করেছি ল্যাংগা লুলা বৃদ্ধদের সবাই দান করে কিন্তু এই পথ শিশু ও কিশোরদের গালী ছাড়া কেউ কিছু দেয় না।
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
150813
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : অথচ এদের মানুষের মত মানুষ করতে পারলে সমাজই বেশী উপকৃত হইত। আপনি কি ডাঃ সিকদার সি এম সি।
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৬
150872
সিকদারর লিখেছেন : ডাঃ সিকদার সি এম সি ??Crying Crying Crying Crying Crying
201017
৩১ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : খুব ভালো একটা সূরা আলোচনা করেছেন যেখানে মুমিনদের তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে গাফেল থাকার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। সামর্থ্যবান আমরা সবাই এই শিশুদের জন্য এগিয়ে আসতে পারি। একজনের খাওয়া পড়ার খরচ মাসে ২৫-৩০ ডলারের বেশী নয়। যাকাতের টাকার অংশটা ভাগ করে মাসে মাসে দিলে খুব সহজেই আমরা প্রত্যেকে দেশে এবং আফ্রিকার অবহেলিত এমন একটি শিশুর দায়িত্ব নিতে পারি।
০১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
150814
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : বাস্তব ভিত্তিক চমৎকার পরামর্শ। যাযাকাল্লাহু খায়রান।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File