আল্লাহ্‌ কাদের ভালবাসেন।।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৪২:১৮ সকাল



গত কাল এক মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ এত সুন্দর যুগোপযুগী খুৎবা দিয়েছেন মাসে আল্লাহ্‌....

তিনি কুরানের রেফারেন্স দিয়ে দিয়ে বলেছেন....

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-

قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ [٣:٣١]

বলুন,যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস,তাহলে আমাকে অনুসরণ কর,যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।

{সূরা আলে ইমরান-৩১}

গত কাল এক মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ এত সুন্দর যুগোপযুগী খুৎবা দিয়েছেন মাসে আল্লাহ্‌....

তিনি কুরানের রেফারেন্স দিয়ে দিয়ে বলেছেন....

আল্লাহ্‌ ভালবাসেন মুমিনদের, মুত্তাকীদের , মুহসিন দের আর ও ভালবাসেন যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে তাদের(﴿إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ﴾

৪) আল্লাহ সেই সব লোকদের ভালবাসেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে কাতারবন্দী হয়ে লড়াই করে যেন তারা সিসা গলিয়ে ঢালাই করা এক মজবুত দেয়াল৷ ৩

৩. এর দ্বারা প্রথমত জানা গেল যে, কেবল সেই ঈমানদারই আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি অর্জনে সফল হয় যারা তাঁর পথে মরণপণ করে কাজ করতে এবং বিপদ আপদ মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত থাকে । দ্বিতীয়ত, জানা গেল যে, আল্লাহ যে সেনাদলকে পছন্দ করেন তার মধ্যে তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক । এক, তারা বুঝে শুনে ভালভাবে চিন্তা-ভাবনা করে আল্লাহর পথে লড়াই করবে এবং এমন কোন পথে লড়াই করবে না যা ফী সাবীলিল্লাহ, অর্থাৎ আল্লাহর পথের সংজ্ঞায় পড়ে না । দুই, তারা বিচ্ছিন্নতা ও শৃঙ্খলাহীনতার শিকার হবে না, বরং মজবুত সংগঠন সুসংহত অবস্থায় কাতারবন্দী বা সুশৃঙ্খল হয়ে লড়াই করবে । তিন, শত্রুর বিরুদ্ধে তার অবস্থা হবে, "সুদৃঢ় দেয়ালের" মত । এই শেষ গুণটি আবার অর্থের দিক থেকে অত্যন্ত ব্যাপক । যুদ্ধের ময়দানে কোন সেনাবাহিনীই ততক্ষণ পর্যন্ত সুদৃঢ় দেয়ালের মত দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়াতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার মধ্যে নিম্নবর্ণিত গুণাবলী সৃষ্টি না হবেঃ

-আকীদা-বিশ্বাস এবং উদ্দেশ্য ও লক্ষের মধ্যে পূর্ণ ঐক্য । এ গুণটিই কোন সেনাবাহিনীর প্রতিটি সৈনিক অফিসারকে পূর্ণরূপে ঐক্যবদ্ধ করে ।

-পরস্পরের নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার ওপর আস্থা । প্রকৃতপক্ষে সবাই নিজ নিজ উদ্দেশ্য ও লক্ষে নিষ্ঠাবান এবং অসদুদ্দেশ্যে থেকে মুক্ত না হলে এ গুণ সৃষ্টি হতে পারে না । আর এ গুণটি যদি সৃষ্টি না হয় তাহলে যুদ্ধের মত কঠিন পরীক্ষা কারো কোন দোষ-ত্রুটি গোপন থাকতে দেয় না । আর আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পরস্পরের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে একে অপরকে সন্দেহ করতে শুরু করে ।

- নৈতিক চরিত্রের একটি উন্নত মান থাকতে হবে । সেনাবাহিনীর অফিসার এবং সাধারণ সৈনিক যদি সেই মানের নীচে চলে যায় তাহলে তাদের মনে পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও সম্মানবোধ সৃষ্টি হতে পারে না । তারা পারস্পরিক কোন্দাল ও দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ থেকেও রক্ষা পেতে পারে না ।

-উদ্দেশ্য ও লক্ষের প্রতি এমন অনুরাগ ও ভালবাসা এবং তা অর্জনের জন্য এমন দৃঢ় সংকল্প থাকা চাই যা গোটা বাহিনীর মধ্যে জীবনপাত করার অদম্য আকাংখা সৃষ্টি করে দেবে আর যুদ্ধের ময়দানে তা প্রকৃতই মজবুত দেয়ালের মত দাঁড়িয়ে থাকবে ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বের যে শক্তিশালী সামরিক সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল, যার সাথে সংঘর্ষে বড় বড় শক্তি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী কোন শক্তি যার মোকাবিলায় দাঁড়াতে পারেনি এ সব গুণ ও বৈশিষ্ট ছিল তার ভিত্তি ।) আমরা ও যারা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাই তারা যেন আল্লাহ্‌ যাদের ভালবাসেন তাদেরকে ভালবাসি। অতঃপর আল্লাহ্‌ কাদের ঘৃণা করেন তাদের বর্ণনা দেন।

বিষয়: বিবিধ

২৯৪৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

177242
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২২
মোহাম্মদ আসাদ আলী লিখেছেন : একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে তুলে আনতে চাচ্ছি যেটাকে হয়তবা আপনি যথাযথভাবে মুল্যায়ন করেন নি। সেটা হলো- ছবিতে উল্লেখিত সুরা আল ইয়াসীনের ২১ নং আয়াত। সেখানে স্পষ্ট কোরে বলা হয়েছে অনুসরণ কোরতে হবে তাদেরকে যারা দীনের কোন বিনিময় গ্রহণ করেন না,অর্থাৎ ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা করেন না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে হতে হবে হেদায়াহপ্রাপ্ত। যাই হোক, আমার প্রশ্নটি হলো- এই সংঞ্জার মধ্যে আজকের আলেম মাওলানা বা ইমাম সাহেবরা পড়েন কি? তারা কি ধর্মের কোন বিনিময় নেন না? তারা কি সঠিক পথের অনুসারী? যদি বলেন তারা ধর্মের বিনিময় নেন না তাহলে আমার কোন কথা নেই, আমি কারও বিবেকের বিরুদ্ধে যুক্তি-তর্ক করতে ইচ্ছুক নই। আর যদি বলেন তারা ধর্মের বিনিময় নেয় তাহলে আমার আর্গুমেন্ট হলো- তাহলে তাদের অনুসরণ করা, তাদের উপদেশ শোনা, তাদের নেতৃত্বে কাজ করা, তাদের ইমামতিতে নামাজ পড়া, জুমা পড়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত? এই আলেম-মাওলানা ইমামদেরকে অনুসরণ করলে আল্লাহ কি সত্যই আমাদেরকে ভালোবাসবেন, নাকি কোর'আনের হুকুম অমান্য করার দায়ে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবেন?
177347
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৫
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
177479
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : দুর্ভাগ্য হলো- আমি গতকাল যে মসজিদটিতে জুম’আ আদায় করেছিলাম সে খতিব সাহেব সবকিছুর সমাধান পীর আর মাজার ভক্তির মধ্যেই দেখতে পেয়েছেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File