ঈশ্বরে মার্জনা.......
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৯:১৮ দুপুর
"একদা আমাদিগের প্রতিবাদী নারী নেত্রী গণ তাহাদিগের বৈঠকে এই রূপ সিদ্ধান্তে উপনিত হইলে তাহারা ইশ্বরের কোর্টে স্বয়ং ইশ্বরের বিরুদ্ধে একখানা মামলা ঠুকিবে। ইহা বড়ই নির্মম ও বড়ই অবিচার বটে ইশ্বরের । ব্যাপারখানা হইল যে ব্যাটা পুরুষেরা কেবল মাত্র একখানা আনন্দঘন পরিবেশে তাহারা তাহাদের সন্তানের অংশীদার হয়। অথচ নারীরা দশ মাস ধরিয়া তাহাদের সন্তানদিগের বোঝা বহন করিতে হয়। তাহার পর প্রসব বেদনা তো বিশাল যন্ত্রণা।
ইহার পরে আছে সন্তান দিগকে দুধ খাওয়ানো এবং তাহদিগকে বসবাসযোগ্য মনুষ্য প্রজাতিতে পরিণত করা। অপরদিকে সন্তানদিগের বাবারা কেবল গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ায়। ইহা ইশ্বরের ব্যাপক অবিচার। তাই তাহারা সবাই সিদ্ধান্ত নিলো যে, তাহারা ইশ্বরের নিকট এই বিষয়খানা লইয়া বাক্য বিনিময় করিবে। তাহাদের দাবী যেহেতু সন্তান দু'জনরাই সূতরাং দায়িত্ব গুলো ভাগাভাগি করিয়া লইতে হইবে। এইবার তাহাদের নিজেদের মধ্যেই বিবাদ বাধিল যে, কোন দায়িত্বখানা তাহারা পুরুষ দিগকে দিবে।
কিয়ৎক্ষণ পরে তাহারা এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিল যে, তাহারা কেবলমাত্র প্রসববেদনার অংশটুকু পুরুষ দিগকে দিবে। ইহা লইয়া তাহারা স্বয়ং ইশ্বরের সহিত দেখা করিলেন। ইশ্বর তাহাদিগকে এইকথা বুঝাইতে চাহিলেন , যে পদ্ধতি বর্তমান চালু রহিয়াছে তাহা তাহাদেরই জন্য উত্তম হইবে। নতুন পদ্ধতিতে তাহাদেরই সমস্যা বাড়িবে। কিন্তু আমাদিগের নেত্রীগন অনঢ়। তাহারা কহিল যে, এতবড় অবিচার কোনভাবেই মানিয়া লওয়া যায় না।
সবশেষে স্বয়ং ইশ্বর তাহাদিগকে কোনরূপেই বুঝাইতে পারিলেন না। আর তাহা ছাড়া আমাদিগের পুরুষদিগের মধ্যে এই ধরনের কোন সংগঠন না থাকায় এই দাবীর বিরুদ্ধে কোনরূপ প্রস্তাব আসিলো না। ইশ্বর খানিক্ষণ চিন্তা করিয়া ইষৎ মুচকি হাসিয়া কহিলেন, যাও তোমাদিগের দাবী মানিয়া লওয়া হইলো। নারী নেত্রীদিগের মধ্যকার একজন তরুণী নেত্রী রহিয়াছেন যিনি ছিলেন সন্তানসম্ভবা। সিদ্ধান্ত লওয়া হইল যে, তাহাকে দিয়াই নতুন পদ্ধতির উদ্ভোধন হইবে।
নারী নেত্রীগণ উচ্চস্বরে হ্রসধ্বনি করিতে করিতে ইশ্বরের দরবার হইতে বাহির হইয়া আসিলো। যাহাই হউক যথাসময়ে ঐ তরুণী নেত্রীর সন্তান প্রসব করিবার ক্ষণখানি আসিলো। নারী নেত্রীগণ বিশাল উত্তেজিত। কি যে হইতে যাচ্ছে তাহা চিন্তা করিয়া তাহাদিগের মুখখানা গুলান উজ্জ্বল হইয়া রহিল। সেই নির্ধারিত ক্ষণে হাসপাতালে দুইখানা বিছানা পাশাপাশি প্রস্তুত করা হইল। এক খানাতে ঐ তরুণী নেত্রী এবং আরেক খানাতে তাহারা স্বামীকে শোয়ানো হইলো।
যথা সময়ে বাচ্চা প্রসব হইলো। নেত্রীর যেমন কোন বেদনা অনুভব করেন নি ঠিক তেমনি নেত্রীর স্বামী আধশোয়া হইয়া বিড়ি ফুঁকিতে লাগিলেন। তাহারও কোন রূপ ব্যাথা অনুভূত হয় নাই। ইহা দেখিয়া নারী নেত্রীগণ ফুঁসিয়া উঠিলেন। ইশ্বর এইবারও পুরুষদিগকের পক্ষালম্বন করিলেন। তিনি প্রসব বেদনা থেকে নারীদের মুক্তি দিলেন বটে। কিন্তু পুরুষদের সেই ব্যাথা দিলেন না। তাহারা তৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত লইলেন এই বিষয়ে তাহারা পুনরায় ইশ্বরের সহিত যোগাযোগ করিবেন।
ঠিক তখনই একখানা খবর আসিলো যে, হঠাৎ ঐ তরুণী নেত্রীর বাড়ীর দারোয়ানের কোন কারণ ছাড়াই ভয়ানক পেট ব্যাথা উঠিয়াছে। । তাহাতে সে চিৎকার করিয়া, গড়াগড়ি করিয়া সব মানুষ জড়ো করিয়া ফেলিলো। কেউ কিছু ধরিতে পারিলো না।
অবশেষে নারীনেত্রী সকল মহান ঈশ্বরের নিকট মাথা নিচু করিয়া আসিয়া কহিলো যে, পূর্বেকার নিয়মই ভালো। আমরা বুঝিতে পারি নাই। আমাদিগকে মার্জনা করিবেন।"
বিষয়: বিবিধ
১০০৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ইসলামে আছে যে একটা পর্যায়ে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারবে । এটার জন্য যদি স্ত্রী স্বামীর নামে মামলা ঠুকে দিতে পারে এমন একটা আইন বানানো হয় , তাহলে কোন সে ''সবাই না'' যে এই নতুন আইনকে স্বাগত জানাবে না ?
০ আল্লাহ পবিত্র ক্বুরআনে পুরুষদের সামর্থ্য থাকলে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন । এখন এর বিপরীতে যদি এমন আইন বানানো হয় যে ২য় বিয়ে করতে গেলে স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া লাগবে , নচেত স্ত্রী মামলা করে দিতে পারবে - তাহলে কোন সে ''সবাই না'' যে এই নতুন আইনকে স্বাগত জানাবে না ?
ইসলামে বলা আছে পুত্র পাবে ২ কণ্যার সমান । এখন যদি এটাকে সমান করে আইন করা হয় - তাহলে কোন সে ''সবাই না'' যে এই নতুন আইনকে স্বাগত জানাবে না ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন