ধর্ষকদের প্রতিরোধ করবে?না আস্তাগাগফিরুল্লাহ পড়ে পালিয়ে যাবে??
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:২৯:৫৯ সকাল
৫ বন্ধু মিলে পার্কের ভিতর হাঁটছে। এসময় তারা এক নিরিবিলি জায়গা থেকে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেল। মেয়েটি বিপদে পড়ে সাহায্যের জন্য প্রাণপণে চিৎকার করছে। ঘটনা কি দেখতে ওই ৫ বন্ধু শব্দ অনুসরণ করে দৌড়ে গেল।
ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা দেখল যে ৫-৬ জন লোক একজন তরুণীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে। আর তরুণী তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কিছুক্ষণ দ্বিধা করে আস্তাগফিরুল্লাহ বলে সেখান থেকে চলে আসলো।
এরকম অবস্থায় আমার প্রশ্ন---
১. এই পরিস্থিতিতে তারা কি আস্তাগফিরুল্লাহ, ইন্না নিল্লাহ পড়ে ও মনে মনে ঘৃণা করেই তাদের দায়িত্ব খালাস করবে নাকি হাত দিয়ে ধর্ষকদের প্রতিরোধ করবে?
২. তারা কি ধর্ষণের দৃশ্য উপভোগ না করে এটাকে ঘৃণা করেই "জিহাদে আকবর" পালন করে ফেলেছে?
যারা এরকম ক্রান্তিকালে নিজের নফসের বিরুদ্ধে জিহাদকে "জিহাদে আকবর" বলে তাদের নমুনা ওই ৫ বন্ধুর মত। নিজের নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ হচ্ছে একটি সার্বক্ষণিক বিষয়। এটা তখনই জিহাদে আকবর হবে যখন এ দুনিয়াতে কোন অন্যায় ও জুলুম থাকবে না।
নফসের বিরুদ্ধে জিহাদের মাধ্যমে যখন একজন মুসলিম ঈমানের উচ্চস্তরে উন্নীত হবে কেবলমাত্র তখনই সে ময়দানের জিহাদে যাবার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে। একজন দুর্বল ঈমানের মানুষ আর যাই হোক জিহাদের ময়দানে নিজের জান ও মাল বাজি রাখার যোগ্যতা রাখে না। সারা বিশ্বে মুসলিমদের ক্রান্তিকালে শুধু নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করলে আখিরাতে পার পাওয়া যাবে না।
কুরআন ও হাদিসের অসংখ্য জায়গায় "সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাঁধা" দিতে বলা হয়েছে। এই আমল না করলে এর ভয়াবহ পরিণামের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। কুরআন ও হাদিসের আলোকে এ নিয়ে অন্য আরেক দিন আলচনা করবো।
যারা "সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বাঁধা" না দিয়ে শুধুমাত্র নফসের বিপক্ষে জিহাদকে বড় জিহাদ বলেন তারা ময়দানের জিহাদে যাবার দুর্বলতাকে ঢাকার চেষ্টা করে আত্মপ্রতারণা করছেন। এদের কাছে আমার একটি প্রশ্ন-----
শুধু নফসের বিপক্ষে জিহাদ কঠিন নাকি নফসের বিরুদ্ধে জিহাদের পাশাপাশি আল্লাহর রাস্তায় জান-মাল বিলিয়ে দেয়া কঠিন?
বিষয়: বিবিধ
১১১৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পার্কে যেসব মেয়েরা যায় হয় তার প্রেমিককে/স্বামীকে নিয়ে । ঐ মেয়ের এখানে একা আসার সম্ভাবনা খুবই কম যদি সে ভাল মেয়ে হয়ে থাকে ।
এসব পার্কে কিছু চক্র থাকে যারা এরকম একটা নাটক সাজিয়ে যারা বীর দর্পে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে তাদেরকে সর্বসান্ত করে ছাড়ে ।
ভাল করার মন নিয়ে যার জন্য এগিয়ে যাবেন দেখবেন সেই আপনাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে ।
কি বুঝাতে চাওয়া হলো তার কথা না বলে, উদাহরনের বাস্তবতা নিয়ে আলাপ করা ...!
আপনি ভাই খুব বুদ্ধিমান আপনার বক্ত্যব্য সমাজের অবস্থার সাথে মিল আছে। তাই বলে কি আমরা আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে পালাব?? নাকি এর প্রতিকারের ব্যবস্থা করব। গল্পের উদ্দেশ্য আপনি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছেন.।।। আপনাকে মোবারকবাদ।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন