"বাংলাদেশে ভারতীয় সেনা!" "স্বার্বভৌমত্বের শপথ ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ সেনাপ্রধান?"
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:০৬:১৮ দুপুর
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার আমলে আগে থেকেই ভারতীয় সেনারা বিভিন্ন অপারেশনে যৌথ বাহিনীর নামে অংশ নিচ্ছে এমন অভিযোগ থাকলেও প্রমানের অভাবে তা সরকারের তরফ থেকে উড়িয়ে দেয়া হতো। কিন্তু গত ১৪ জানুয়ারি সরকারের তরফ থেকে গোপনীয় একটি ফ্যাক্স বার্তা প্রকাশ হয়ে গেলে ভারতীয় সেনাদের বাংলাদেশে গণহত্যায় অংশগ্রহন, ইতিহাসের নির্মমতম নিরস্ত্র নাগরিক হত্যাকাণ্ড চালানো এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাসস্থান ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার মত অভূতপূর্ব ঘটনায় ভারতীয় সেনাদের জড়িত থাকা এবং তাদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আমন্ত্রন করে বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার ঘটনায় দেশ বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমনকি এ ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য সেনা সদর এবং সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাদের ছদ্মবেশে অবস্থানের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় ঐ সকল ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়েও সংকট দেখা দেয়ায় সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিভিন্ন মহলের ধারনা সেনা সদরের বিশেষ করে সেনাপ্রধানের অজ্ঞাতে এরুপ কোন কাজ হওয়া অসম্ভব বিধায় দেশের জনগণ ও তার শপথের সততা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সকল মহল থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়ার সেনা অফিসার হিসেবে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিয়ে শপথের বিপরীতে তার অবস্থানের বিতর্কিত ভুমিকা নিয়ে। দেশি বিদেশি কৌশলগত সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান নিজের চাকুরি বাঁচাতে শপথ ভংগ করে চিহ্নিত ভারতীয়দের আনুকুল্য পাওয়া সেনা জেনারেলদের সাথে অতি কৌশলে ভারতীয় কার্ড খেলছেন বলেই অনুমিত হচ্ছে। এই খেলা মেজর জেনারেল মামুন খালেদ ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক থাকাকালিন সময়ে শুরু হয় বলে জানা যায়। এদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের ভেতরে বিভিন্ন অপারেশনে নিরস্ত্র নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি করা অপরিচিত ও সন্দেহজনক চেহারা ও আকৃতির অনেকেই সনাক্ত করতে পেরেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ভারতীয় এজেন্টদের ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারছেন না। এমনি একটি ছবি গোয়েন্দা সুত্র নিশ্চিত করেছে। এই ছবিটি ৫ মে ২০১৩ শাপলা চত্বরে পরিচালিত গণহত্যার সময়কালের ছবি। চিহ্নিত ঐ সেনাটি বাংলাদেশের নয় বলেই সুত্র নিশ্চিত করেছে। ঠিক একই ভাবে রাজশাহীতে সিভিল পোশাকে একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে সরাসরি জনতার দিকে গুলি করা ব্যক্তিরাও বাংলাদেশী নাগরিক নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'র সময়ে বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাসা থেকে বের হতে বাধা দেয়ার সময় সেখানে কিছু 'র' অফিসার ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেগম জিয়াও তাদের সনাক্ত করতে পেরেছিলেন বলেই উল্লেখ করেছিলেন, কি বাংলা বোঝেন না? কোন ভাষায় বলবো? ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনও টিভি টক শোতে এ বিষয়টিতে ইংগিত করেছেন। তবে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীতে সেনাপ্রধান ও অন্য কিছু শীর্ষ অফিসারদের শপথ ভংগকারী এ সকল কর্মকাণ্ডে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে, যা ভারতীয় 'র' ও শেখ হাসিনা সরকারের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে আগামী এক মাসের মধ্যে কয়েকজন মেজর জেনারেলসহ প্রায় ৫০ জন সিনিয়র সেনা অফিসারকে চাকুরি থেকে অকালীন অবসরে বাড়ী পাঠানো হবে বলে সুত্র জানিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বাংলাদেশে অপারেশন পরিচালনার বিষয়টি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় ভারত উদ্বিগ্ন, কারণ পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় বাহিনীর অংশগ্রহন নিয়ে জনমনে যে সন্দেহ তা প্রকট হচ্ছে। এই কারনে ভারতীয় পক্ষও বিএনপির কাছ থেকে আগে ভাগেই নিশ্চয়তা চাচ্ছে যে, কখনো বিএনপি ক্ষমতাসীন হলে 'বিডিআর হত্যাকাণ্ডে'র পুনঃ বিচার যেন না হয়।
বিষয়: বিবিধ
৪৮৪০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদেরকে পালানোর সহযোগিতা করেছিল লেন্দুপ দর্জির দোষরেরা।
ফেসবুকে গত কয়েকদিনে একটি নিউজের ট্র্যাকশান অকল্পনীয় পর্যায়ের। সাতক্ষীরা অপারেশনে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্পৃক্ততার সরকারী দলিল। অস্বীকার করা যাবে না যে খবরটা ভুয়া হতে পারে। আজকের দিনে এ ধরনের কাজ খুব কঠিন না। সমস্যা হোলো খবরটা সত্যিও হতে পারে - সেটা খুব বড় - মানে অচিন্তনীয় রকমের বড় সমস্যা। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে দলিলটা লক্ষ্য করেছি - আমার কাছে আউট রাইট বাতিল করার মতো একটা দলিল এটা মনে হয় নি। অবশ্যই তা মনোযোগ দাবী করে।
লেটস নট কিড আওয়ারসেলভস - আমাদের সার্বভৌমত্বের কার্যকারিতা যে প্রশ্নের মুখে - এটা আর এখন কেউ আপত্তি করেন বলে মনে হয় না। এই দলিল যদি সত্যি হয়ে থাকে (আমি মনে প্রাণে চাই যেন তা না হয়) তাহলে অবস্থাটা কী একবার চিন্তা করুন। বাংলদেশ ও ভারতের মধ্যে সরকারী পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে যে ভারতীয় সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের ভু খণ্ডে অপারেশন চালাবে কিন্তু জনগণ তার কিছুই জানে না। বিএনপি জামাতকে সমর্থন করার দরকার নেই - শুধু সততার সাথে নিজেকে প্রশ্ন করুন - আমরা কোন পর্যায়ের ক্লায়েন্ট স্টেট হতে চলেছি?
আরো ভয়ঙ্কর বিষয় হোলো মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার নীরবতা। এই দলিল মিথ্যা হতে পারে অবশ্যই কিন্তু সেটা তো পরীক্ষা করে দেখতে হবে - নাকি? যে সব দেশের মানুষ কাপড় জামা পরে রান্না করে মাংস খাওয়ার মতো প্রগ্রেসিভ সেরকম অনেক দেশে একটা নির্বাচিত সরকারের পতন হবে ঠিক এরকম একটা নিউজে। কিন্তু বাংলাদেশের যেসব পত্রিকা লেডি গাগা পাছায় ব্যাথা পেলে সচিত্র খবর ছাপে তাদের কাছে এই দলিল সত্য না হলেও ভুয়া - এটা ছাপানোও গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় নি।
দুঃখের সাথে জানাচ্ছি - আমরা কি স্বাধীনতা চাই না মুখে লাল-সবুজ রং মেখে রাস্তায় বের হতে পেরেই সন্তুষ্ট থাকতে চাই - এ রকম মৌলিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সময় আজ।
Faham Abdus Salam
সূত্র-বাঁশেরকেল্লা
মন্তব্য করতে লগইন করুন