আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর দাফন করা হবে.......।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:০২:২৭ সকাল
ছেলেটার নাম মেহেদি । বয়স আমাদের মতই ২০ কি ২১ ! ভালো একটা ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন হয়তো তার ছিল । কিন্তু অল্প বয়সে সংসারের হাল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তার উপর । মাত্র তিন মাস আগে একটা ইজিবাইক কিনেছে সে ।
.
.
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর দাফন করা হবে মেহেদিকে । কিছুক্ষণ আগে তার জানাজা শেষ হল । গতকাল সন্ধ্যায় কিছুলোক ইজিবাইক রিজার্ভ করার নাম দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায় । তারপর রাতে কয়েক খণ্ডে বিভক্ত লাশ পাওয়া যায় একটি মন্দিরের পিছনে( আমার এলাকায়) ।
এই হত্যার কোন বিচার হবার দরকার নেই । এমন হত্যা অহরহ হয়েছিল, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে । খামখা একটা ইজিবাইক চালক হত্যার বিচার করার সময়ও পুলিশ ও আদালতের এখন নেই। এটাই হল বাস্তবতা । পুলিশ চোর ডাকাত খুনী গ্রেফতারের সময় কই, গ্রেফতার করে রাখবেই বা কোথায়? পুলিশ রাতদিন ব্যস্ত জামায়াত-শিবির গ্রেফতারে, জেল-হাজতগুলো ভরে গেছে জামায়াত-শিবিরে। দেশের প্রশাসন তাঁর পুরো বুদ্ধিমত্তা, গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক, নিরাপত্তা বাহিনী সব ব্যয় করছে জামায়াত শিবিরের পেছনে। খুনের মামলার তদন্তের সময় কই, ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যস্ত শিবির কর্মীদের শুনানী করতে করতে। এমন অবস্থায় কেবল নিজের এলাকায় কেন, নিজের ঘরে ঘটে যাওয়া একটা হত্যাকাণ্ডও মুখ বুজে সহ্য করে নেওয়াটাই সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।
গত এক বছরে গ্রামে গঞ্জে, অলিতে গলিতে পুরানো নতুন শত্রুতার রেশ ধরে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক যার সাথে কোন পলিটিকাল আধিপত্যের সম্পর্ক নেই । আজকে আপনার সাথে আমার ঝগড়া হল, চ্যাটে কিংবা ফেসবুকের কোন একটা পোষ্ট নিয়ে অথবা আপনি রাস্তায় যাবার সময় দেখলেন আমি একটা সুন্দর জ্যাকেট গায়ে দিয়ে হাঁটছি নিশ্চিন্তে একটা ছুরি নিয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ুন । আমাকে মেরে দিন, কিছুই হবে না আপনার । কেউ জানতেই পারবে না...
আমরা সারাজীবন কেবল যুদ্ধাপরাধী, মন্দির ভাঙ্গা আর ব্লগার হত্যার রহস্যই উদ্ঘাটন করে যাব । পাতানো সাজানো যুদ্ধাপরাধীদের সবার ফাঁসি দিয়ে আনন্দে মিষ্টি বিলি করব নিজেদের মাঝে । কাদের মোল্লার ফাঁসি দিয়েছি, সাইদি মুজাহিদ সকলের ফাঁসি দিতে চলেছি! মানুষ হিসেবে সব দায়িত্ব আমাদের শেষ। দেশ এখন মুক্ত হলো, সকল পশুরা আজ মুক্ত, পশুত্ব আজ জয়ী। কোথাকার কোন মেহেদি মরল, কিভাবে মরল এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ আছে ।
আর উপরে যে ছবিটি দেখছেন সেটি হল যুবলীগ নেতার বাসায় প্রেমিকার লাশ ,সাভার পৌর যুবলীগ নেতা রাজীব আহম্মেদের ভাড়া বাসা থেকে তার সাবেক প্রেমিকা আছমা আক্তারের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে পৌরসভার ব্যাংক কলোনি থেকে ওই লাশ উদ্ধারের পর থেকে রাজীব পলাতক বলে জানায় পুলিশ। আছমা আক্তার চট্টগাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় সেলিম ভূইয়ার মেয়ে। নিহতের মা আমিনা বেগম বাংলামেইলকে জানান, রাজীবের সঙ্গে তার মেয়ে আছমার প্রেম ছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে আছমাকে না জানিয়েই অন্য মেয়েকে বিয়ে করে রাজীব। বিয়ের কিছুদিন পর দাম্পত্য কলহ শুরু হলে রাজীবের স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে যায়। রাজীবও তার নিজ বাড়ির পাশাপাশি ব্যাংক কলোনিতে মুন্সি বাড়ির দোতলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এরপর থেকে তার মেয়ে কাউকে না জানিয়ে মাঝেমধ্যেই ওই বাসায় যেত বলেও জানান তিনি। বুধবার দুপুরে বাজার থেকে বাসায় ফিরে এসে মেয়েকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর মুখে খবর পেয়ে রাজীবের ভাড়া বাসায় গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান তিনি। আমিনা বেগম আরো জানান, এর আগে আছমারও বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পরদিন রাজীব তার গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে আছমার শ্বশুড়বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে আসে। এরপর আছমার স্বামী তাকে তালাক দেয়। লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বাংলামেইলকে জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই জানা যাবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য। এ ঘটনার পর থেকে যুবলীগ নেতা রাজীব আহমেদ পলাতক ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজকের বাস্তবতাকে আপনি কয়েকটি শব্দে সুন্দর করে পুটিয়ে তুলেছেন " দেশের প্রশাসন তাঁর পুরো বুদ্ধিমত্তা, গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক, নিরাপত্তা বাহিনী সব ব্যয় করছে জামায়াত শিবিরের পেছনে।খুনের মামলার তদন্তের সময় কই,"
অনেক ধন্যবাদ
এরা এতোটাই জানোয়ার যে, এদের যদি আমি বলি 'তোমরা মিথ্যা বলছো', তারা ফেফে নির্লজ্জের মতো হেসে বলবে, তাতে কি? সুতরাং এই পশুদের কিছু বলে লাভ নেই। কিন্তু হতাশা ও দু:খ অনূভব করি এদেশের নিরীহ মানুষদের জন্য, সরল বাংলাদেশীদের জন্য।
বইয়ের পাতায় স্বাধীনতা সংগ্রাম বদলাতে পারে ।
বঙ্গোপসাগরের পানি যেতে পারে শুকিয়েও ,
গোটা রাজধানী গিলে নিতে পারে বুড়িগঙ্গার ঢেউ ।
চোর গুন্ডারা পেয়ে যেতে পারে মন্ত্রীর মর্যাদা ,
আইনের ফাঁকে কালো টাকা তবু হয়ে যেতে পারে সাদা ।
অনেকেই বলে এদেশ নাকি হুজুগে জাতির দেশ ,
দফায় দফায় বদলায় এর রং ঢং পরিবেশ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন