চবিতে ছাত্রলীগের হামলায় শাহ আমানত হল শিবির সেক্রেটারী মামুন হোসাইন শাহাদাত বরন করেছেন।।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৩:৩৫ রাত
ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলায় শাহাদাত বরন করেছেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সেক্রেটারী মামুন হোসাইন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন। আজ দুপুর ১.৩০ টায় কোন রূপ উস্কানি ছাড়াই ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সাধারণ ছাত্র এবং শিবির নেতাকর্মীদের ওপর বর্বর হামলা চালায়।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ভাংচুর ও মারধর করলেও প্রশাসন ছিল নির্বিকার। ঘটনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার ফোন করলেও ছাত্রলীগের হামলা থেকে সাধারণ ছাত্রদের উদ্ধার করতে প্রশাসন কোন উদ্যোগ নেয়নি। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে হল দখল করতে পুনরায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জঙ্গী স্টাইলে আক্রমণ করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। নির্যাতিত ছাত্ররা পুলিশের কাছে করজোড়ে সহায়তা চাইলেও পুলিশ কোন ভ্রুক্ষেপ করেনি। উল্টো তল্লাশির কথা বলে সাধারণ ছাত্রদের জিম্মি করে ছাত্রলীগকে হলে প্রবেশ ও হামলা করার সুযোগ তৈরি করে দেয় পুলিশ। এ সময় ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা উপুর্যোপুরি গুলি বর্ষণ করতে থাকে। তাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আমানত হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মেরিন সাইন্সের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মামুন হোসাইন। শহীদ মামুন ভাইয়ের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালির কোম্পানী গঞ্জ থানায়।
বিষয়: বিবিধ
২৬৪৩ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিশেষ ধন্যবাদ বড়মামা কে সুন্দর যুক্তি দিয়ে বুঝানোর জন্যে। তারা শহীদ কারন মহা জ্ঞানী আল্লাহ্ কারও সাম্রথের অধিক চান না এবং তারা আল্লাহর কালিমাকে উচ্চকিত করার জন্য তার স্বীকৃত অধিকার তার হলে অবস্থান সুদৃঢ় রেখেছিলেন। প্যাসিমিষ্টিক মানুষগুলো এতে অন্ধকার দেখে... অথচ আমি কেবল বিস্মিত হই, কি করে আজ অবধি টিকে আছে ক্ষমতাহীন লড়াই করে চলা মানুষগুলো? কোন হিম্মত তাদেরকে আজো সেই জলোচ্ছ্বাস বন্যা আর খরা দুর্ভিক্ষের মত এই দুর্যোগেও লড়াই করতে শেখাচ্ছে?
এ লড়াইও শেষ হবে একদিন, মানুষ টিকে থাকবে, কারণ যারা মরে যায় তারা বেঁচে যায়, আর যারা বেঁচে থাকে তারা শিখে যায় কিভাবে বাঁচতে হয় মাথা উঁচু করে। এ জাতি প্রকৃতির সাথে লড়াই করা জাতি, প্রকৃতি হয়ত তাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে কিন্তু কেড়ে নিতে পারেনি আবার বেঁচে ওঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় সারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হতে ছাত্র সংগঠণ বিলুপ্ত করা উচিত ।
আর ইসলাম ছাত্রদের রাজনীতি করার পক্ষে নয় । রাজনীতি আর ইসলাম কায়েম এক জিনিস নয় ।
ছাত্রদের ইসলাম কায়েম করতে হলে আগে তার মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে হবে । আর ইসলাম ছাত্রদের এই কথাই বলে । কিন্তু আমাদের দেশের ইসলামী দলগুলো বলে উল্টা কথা ।
আফসুস । ইসলামী দলগুলোর নেতাদের ছেলেরা কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম কায়েমের জন্য লাস হয় না । হয় শুধু আমজনতার ছেলেরা ।
ছাত্রীদের ইসলাম কায়েমের ধরণ সম্পর্কে আমি কিছু বলছি না । তবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে "ইসলামী প্রেম" নামক একটা বিষয়ের সাথে পরিচিত হই । অনেক ছাত্রীকে ইসলাম কায়েমের নামে সেখানে দেখতাম বোরকা ও নিকাব পড়ে মাস্তান ধরনের ছেলেদের সাথে "ইসলামী প্রেম" করতে । বাস্তব অবস্হা হলো "ইসলামী প্রেম" বলে কোন শব্দ নেই । প্রেম বলে শব্দ আছে । আর এই শব্দটা অশালীন । কোন ছেলে তার মাকে তো দুরে থাক, কখনো তার স্ত্রীকেও বলে না : "আমি তোমাকে প্রেম করি ।"
আমি অন্ততপক্ষে যারা বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন , তাদের আমার এই লেখাটা পড়ার অনুরোদ করছি : মুসলিমদের এগিয়ে যেতে হবে মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/243
আল্লাহ্ ভাল জানেন।
গনমানুষ হতে শুরু করে সুসভ্য মানুষরা ভিন্ন মত ও পথের জন্য আজ অকাতরে জীবন দিচ্ছে, আহত হচ্ছে, জেল জুলুম ও নিগ্রহের শিকার হচ্ছে।
এমতাবস্থায় ন্যায় সংগত আন্দোলন, সিস্টেমিটক আন্দোলন, ধারাবাহিক আন্দোলন ইত্যাদির নামে দেশে ও বিদেশে সমর্থক বাড়ছে - এই সন্তুষ্টি নিশ্চিত এর নামে - এ নিধন যজ্ঞ হতে দেওয়া কতটা নৈতিক, কতটা যুক্তি সংগত, কতটা ইসলামিক - তা বিচার বিশ্লেষন করা এখন সময়ের দাবী।
নেতাদের বুঝতে হবে নীতিবোধহীন, খুন করায় ব্যস্ত, কম্পিলিটলী গাফেল, অসৎ ও প্রতারনায় পূর্ন রাষ্ট্রীয় এ্যাপারাটাসে পরিবেষ্টিত, আত্মহত্যা করার জন্য উন্মুখ কোন সরকারের নীতি নির্ধারকের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন - সিম্পলী একটা ইমপ্রাকটিক্যাল, জনভোগান্তি সংবলিত কর্মকান্ড বই অন্য কিছু না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোকে আগা গোড়া ক্যালকুলেশন করার জন্য অনুরোধ জানাই। নেগেটিভ রেজাল্ট হলে মুক ও বধির এর মত হয়ে যান - আর পজেটিভ রেজাল্ট থাকলে প্লিজ পুরোদমে জাপিয়ে পড়ুন। মানুষকে এমন চুরি ফলার উপর লম্বা সময় রাখবেন না।
- পরীক্ষার মুখমুখি হয়েছি কিনা ?
- পাশ নাকি ফেল
- সাপ্লি দেয়ার উপায় আছে নাকি ক্রাশ
মোটের উপর নিজেকে মার্কিং করলে কত পাচ্ছি সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ আছে । কিন্তু শেখ হাসিনা আরও #কতদিন দুঃশাসন চালিয়ে যাবেন, বিএনপি আন্দোলনে ঢিলা দিচ্ছে নাকি বেশি বেশি বিদেশমুখিতায় তারা হোঁচট খাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কিছুটা থাকলেও দুশ্চিন্তার খুব একটা কারণ নেই ।
স্বৈরশাসক যত ঔদ্ধত্য হবে তার পতন ততই করুণ হবে ; সে যতটা ইসলাম বিদ্বেষী হবে পরবর্তী শাসক ততই ইসলামমুখী হওয়ার সম্ভাবনা জাগে । বিশেষত আপামর জন সাধারণের কাছে এই লড়াইটা যাস্ট ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হিসাবে বিবেচিত না হয়ে ইসলাম ও ইসলাম বিদ্বেষী খোদা দ্রোহী শক্তির লড়াই হিসাবে বিবেচিত হোক । দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো লড়াই এর কারণ জানে না । এনারা অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে উদ্ধার চান কিন্তু আল্লাহ্কেই একমাত্র সাহায্যকারী মানেন না ।
সুতরাং অধৈর্য না হই । আত্মসমালোচনা এবং আত্মশুদ্ধিতে আত্মনিয়োগ করি । যারা সরাসরি পরীক্ষার মুখমুখি তাদের অধিকাংশই পাশ করে গেছেন কিন্তু আপনি এবং আমি ???
আল্লাহ্ই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী । চক্রান্তকারীরা বহু কুচক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চেয়েছে, কিন্তু অধিকাংশই #বুমেরাং হয়েছে । ৫ বছর আগে হয়ত দেশে ৫% মানুষ ইসলামী আন্দোলনকে সমর্থন করত ; কিন্তু ৩ বছর আগে তারা জানালো দেশে ২৫% মানুষ ইসলামী আন্দোলনকে সমর্থন করে । এখন সত্যি সত্যি ২৫% মানুষ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী সমাজ রাষ্ট্র ও জীবন ব্যবস্থাকে সমর্থন করে কিনা জানি না । তবে তাদের বিদায় লগ্নে হয়ত ৭৫-৮৫% এমনকি ৯৫% মানুষও এদেশে ইসলামকেই একমাত্র জীবন ব্যবস্থা হিসাবে মেনে নিতে প্রস্তুত থাকবে এবং একমাত্র ইসলামকেই সমাধান হিসাবে মনে প্রাণে চাইবে । ততদিনে কে থাকবেন আর কাকে আল্লাহ্ চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফলতা দিয়ে নিয়ে যাবেন জানি না । আপনি/আমি সফলদের অন্তর্ভুক্ত থাকছি কিনা সেটাই হোক প্রধান ভাবনা ।
একই সাথে আমরা আল্লাহর কাছ হতে এ শিক্ষা ও পাই - যেখানে একজন সাধারন মুসলমানের রক্ত কিংবা হত্যার জন্য নেতা নিজে আমৃত্যু যুদ্ধ করার বাইয়াত নিয়েছেন - মানে একজন মুসলিমকে ও অন্যায় ভাবে হত্যা করে জালিম শাসক পার পাবার কথা না। সেখানে আমরা পুরোদমে গনহত্যা চালিয়ে যাওয়া একটা সরকার দেখছি। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা আমাদের নেতাদের কাছে আমাদের চাওয়ার কথা বলতে পারি? আমরা তো বলিনি আমাদের চাওয়া পূরন করতেই হবে?
এ্যানি ওয়ে আপনাকে ধণ্যবাদ - বেশ কিছু বিষয়ে আপনার মতামত আমার ভাল লেগেছে এবং আমি তা মনে রাখতে চেষ্টা করবো।
ভাই অস্ত্র কোথায় ? আর কত প্রাণহানি ঘটার পর অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার অনুমতি আসবে ............
আমি যদি বলি কোন দিনই হয়ত আপনাকে অস্ত্র তুলে নেয়ার অনুমতি দেয়া হবে না, কিন্তু আপনাকে প্রতিহত করেই টিকে থাকতে হবে ? তখন ক্যামন ক্যামন লাগতে শুরু করবে আর কি
আরে ভাই, শিবির যদি অস্ত্র হাতে প্রতিরোধ করত তাহলেও কি আপনি শিবিরকে বাহবা দিতেন ? কিংবা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতেন ?
মনে হয় না ।
যারা দাঁড়িয়েছে, যারা আন্দোলনকে ভালোবেসেছে তারা সব জেনেই শরিক হয়েছে । আর আপনাকে হয়ত এসি রুম কিংবা একে-৪৭ দেয়া হলেও শরিক হতে পারবেন না । আপনার দরকার ইসলামী আন্দোলনে শরিক হওয়ার একান্ত ইচ্ছা । আল্লাহ্ কবুল করলে আপনি শরিক হয়ে ধন্য হলেন আর কবুল না করলে হাজারো অজুহাত খুঁজে পাবেন ।
আল্লাহ্ যাদেরকে নিয়ে গেছেন, তাদেরকে সফল বলেই মনে করি । আল্লাহ্ তাদেরকে কবুল করুণ । কিন্তু নিজের ভূমিকাই এখন ভাববার বিষয় ।
র্যাব পুলিশের সাথে তাদের চেয়েও অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ঝাপাঝাপি করলেও খুনি গুন্ডা লীগ জঙ্গি না, তাদের বিরুদ্ধে কোন অস্ত্র গোলাবারুদের মামলা হবে না । আপনি একটি ছেঁড়া স্যান্ডেল ছুঁড়ে মারলেই আপনি কিন্তু ট্যাররিস্ট ! সুতরাং আপনাকে যা করার তা বুঝেই করতে হবে ।
আপনাকে নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশ মারলেও মানবতা ভুলন্ঠিত হয় না, আবার লীগের গুন্ডারা খুন করলেও কেউ ফিরে তাকাবে না । সুতরাং আপনাকে সেভাবেই করতে হবে যেন কোন অস্ত্রধারী আপনার চৌহদ্দিতে আসারই সাহস না পায় ।
সম্ভব । অতীতে সম্ভব হয়েছে, এখনো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে ইনশাআল্লাহ্ । আল্লাহ্র উপর ভরসা নিয়ে সেভাবেই ভাবতে এবং করতে হবে । উদারতা এবং ক্ষমার মানসিকতা অবশ্যই প্রদর্শন করবেন কিন্তু সেটা যেন তারা বুঝতে/জানতে পারে । উদারতা যেন নিজেদের দুর্বল করে না দেয় ।
এভাবে আরো করুণ এবং ভয়ানক সংবাদ অধিকহারে দেখার ও শুনার আশংকা রয়েছে ভবিষ্যতে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে এধরনের সংবাদ শুনতে শুনতে এই জাতি এখন এক ধরনের বিকারগ্রস্থ হয়ে গেছে। অসহায় ও মজলুমের উপর নির্যাতন ও জুলুমের কথা শুনলে অথবা দেখলে নিজের ভিতর মানবীয় চেতনাবোধ জেগে না উঠার সমস্থ কৌশল সার্থকভাবেই প্রয়োগ করতে পারছে বিবেগ ও আত্মবিকৃত গোলামের বংশধররেরা। সেদিন পিলখানায় দেশ ও জাতিকে যারা নিরাপত্বা দেয়ার কথা তাদেরকেই কি নির্দয় ও করুণভাবে হত্যা করে উল্লাস করা হলো। কিস্তু জাতির বিবেগগুলো কিছুই করতে পারলো না। এর পর থেকে কয়েকটি গনহত্যা এবং লাশ আর লাশ দেখতে দেখতে গোটা জাতি কেমন যেন বিকারগ্রস্থ হয়ে গেছে। মিডিয়ার বদৌলতে এবং মানুষ নামের এক ধরনের কৃত্রিম ভিন্ন গ্রহনের জন্ত জানোয়ারের উদ্ভট মিথ্যাচারের কারণে আজ দেশের মানুষকে মুতকে দুধ আর মদকে মধু বলে খাওয়াচ্ছে। গতকাল এতোবড় একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটে গেলো রাষ্ট্রীয় লাইসেন্সধারী পোষাকী সন্ত্রাসী এবং লাইসেন্সবিহীন নরঘাতকদের যৌথ প্রযোজনায় শিক্ষার সর্বৌচ্চ বিদ্যাপিটে। অথচ এখানে জাতিকে গিলানো হচ্ছে “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির-ছাত্রীলগ সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হিসেবে!!!
যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের পেশি শক্তি প্রয়োগ করে জামায়াত-শিবিরকে ধ্বংস করার কোন পন্থাই বাদ দিচ্ছে না, যেখানে তাদের পক্ষে দাড়ানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছে সেখানে এভাবে নিউজ মেকিং করে যারা সাধারণ শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় হত্যা ও জুলুমের শিকার হচ্ছে তাদের প্রতিকারেরই কোন সুযোগ রাখছে না।
আজ দেশের যেখানেই কোন না কোন রাষ্ট্রীয় অত্যাচারে হত্যা, খুন ও গুম করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হচ্ছে “তারা জামায়াত শিবির।” আওয়ামী নাফরমানদের চোখে এখন জামায়াত শিবির খুব ভয়ানক তাই তাদেরকে বিনা বিচারে মেরে ফেলা হবে। কিন্তু কথা হচ্ছে আজ গোটা দেশ জুলুম নির্যাতনের বিভিষিকায় আক্রান্ত হয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদেরকেও মেরে ফেলা হচ্ছে তারাও কি জামায়াত শিবির? যেখানে শতের উপরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যারা আমাদের জাতির ভবিষ্যত কান্ডারী তাদেরকে এভাবে ক্যাম্পাসের বাহির থেকে ভাড়াটিয়া পেশাদার সন্ত্রাসী ও কিলার দিয়ে হত্যাকান্ড চালিয়ে ধ্বংস করে দেয়া সবাই কি জামায়াত শিবির?
কোথায় নিয়ে যেতে চাচ্ছে নব্য বাকশালী হায়েনাগুলো আমাদের জাতিকে? মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে সিরিয়ার মত দুনিয়াতে আরেকটি জাহান্নামের শাখা কার্যলয় বানানোর উদ্যেগ নিয়েছে বাকশালী নরঘাতক ও লুটেরাগুলো।
একটু আগে চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড মাটে শহীদের গায়েবানা নামাজে জানাজার একাংশ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন