এক সুন্দরীর গল্প.।.।।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:২৮:১৩ রাত
মেয়েটা যে রূপবতী, এটা নিয়ে কারো দ্বিমত নেই।
দেশের নামকরা ভার্সিটিতে হিস্ট্রিতে অনার্স করছে সে। থার্ড ইয়ার। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রূপের চমক দেখিয়ে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়ে গেল সে! সেই সুবাধে মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো তার সুনাম! কয়েকটা নাটক-সিনেমায় অভিনয়ও করে ফেললো!
অবশ্য অভিনয়ে চান্স পাওয়ার জন্য তার সুন্দর শরীরটাকে কয়েকটা পশুর ভোগবস্তু বানাতে হল। কিন্তু তবুও সে হ্যাপি! তার বিশ্বাস এই শরীরটা কিছুদিনের মধ্যেই তাকে বিখ্যাত করে তুলবে!
কিন্তু, তার কপাল খারাপ! সেদিন রাতে বাসায় ফেরার পথে আত্তায়ীর হাতে খুন হলো সে! বাবা-মা ও আত্নীয় স্বজনদের চোখের পানি ঝরিয়ে মাটির নিচে জায়গা হলো তার।
তিনদিন পর তদন্তের স্বার্থে তার লাশটা কবর থেকে উঠানো হল।
কিন্তু একি! তার লাশটা উঠানোর পর উপস্থিত কয়েকজন বমি করে দিলো! এমনকি তার জন্মদাতা মা-বাবাও লাশের দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিলো! যে আবেদনময়ী শরীরটা দেখার জন্য হাজার হাজার চোখ পলকহীন চেয়ে থাকতো, সেই শরীরটার একি অবস্থা! অথচ এই শরীরটার জন্যই সে বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন দেখতো! তাই বুঝি তার বিখ্যাত শরীরটা সবাইকে দুর্গন্ধ বিলিয়ে শেষ বিদায় জানালো!
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে লিখিত)
গল্পটি 'তথাকথিত ' সকল আধুনিক মেয়েকে উৎসর্গ করা হলো।
বিষয়: বিবিধ
২৭৫৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইবনে উমর (রা) বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রসুল (সা) আমার কাধের উপর হাত দিয়ে একদিন বললেন, হে বৎস পৃথিবীতে এমন ভাবে বসবাস করবে যেন তুমি একজন পথিক, যে বিশ্রাম নেবার জন্য কোন এক গাছের ছায়ায় বসে। (বুখারী)
আমাদের সবারি উচিত নিজের মৃত্যুর কথা স্বরন করা।
দায়ীদের জন্য মৃত্যুর ভয় ও রোগের সময় মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া খুবই সহজ কাজ। কেননা মৃত্যুর কথা শুনলে কার না বুক কাপে এবং রোগের সময় কাউকে নসিহত করলে সেও মন দিয়ে শুনে থাকে। যেমন, রসুল (সা) এক ইয়াহুদী বালককে তার রোগ সজ্জায় ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন আর বের হয়ে বলেছিলেন "আলহামদুলিল্লাহ, যে আল্লাহ এই বালককে আমার দারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিলেন"
তাই আমাদের উচিত মানুষকে উপদেশ (দাওয়াত) দেবার জন্য এই দুটি মাধ্যমকে বেচে নেয়া।
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপনার দাওয়ার ক্ষেত্রে এই সুন্দর ও উত্তম পন্থা বেচে নেবার জন্য।
সুরা নাহালের ১২৫ নাম্বার আয়াতের কথা স্বরণ হয়ে গেলো,
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।
০ মেয়েরা বোঝে কত বছরে গিয়ে ?
মেয়েরা কোন বিপদে পড়লে হয় বাবা মার দোষ না হয় স্বামীর দোষ না হয় ছেলে ছোকরাদের দোষ ।
আর সাফল্য পেলে তার নিজের যোগ্যতায় !
০ অরন্যে রোদন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন