চেতনায় শাহবাগ???

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:৫৮:৩২ রাত



ঘনজাগরণ ও পুলিশের মিউচুয়াল লাঠিচার্জ প্রসঙ্গেঃ

শাহবাগিরা প্রকৃতিগতভাবে পুলিশের ঘেটুপুত্র। শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম একটা উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা চাদর। আমরা দেখেছি বাংলাদেশের এমন কিছু ঘটছে যা কেউ ভাবেনি আগে! শাহবাগি বেজম্মাদেরকে জনগণের টাকায় বেতন পাওয়া পুলিশ গানম্যান দিয়ে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এমনকি শাহবাগিদের কুকর্মকে গোপন রাখতে পুলিশের সিসিটিভি অপারেটর কনষ্টেবলকে হত্যা করাও অনুমোদিত হয়েছে। তো হঠাৎ এমন কি ঘটলো যে পুলিশ তাদের উপর লাঠি চালালো? কেন এই মধুচন্দ্রিমার অবসান?



প্রথমেই বলতে হয়, যারা মনে করছেন এটা মধুচন্দ্রিমার অবসান তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আপ্নারা মানুষ হলে বিয়ে করেননাই, অথবা শাহবাগি হলে লিভ টুগেদার করেননাই। পরিচিতজনেরা ইদানিং আমাকে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত করছেন। তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ নিয়ে আর বেশি বলছি না। শুধু এটুকুই বললাম, অনুগ্রহ করে কয়টা দিন যাইতে দেন। দেখবেন মেকআপ সেক্স কতটা ইনটেন্স হয়।



দ্বিতীয়ত শাহবাগিরা জানোয়ার হলেও বুদ্ধিমান। বরং আপনার আমার অনেকের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান। ওরা জানে, পুরা বাংলাদেশ শাহবাগকে আওয়ামী সরকারের উপপত্নী হিসেবে জেনে গেসে। এখন তারা তাদের শয়তানি বুদ্ধি অনুযায়ী 'আপ্নে খাড়ায়া যাবেন আমি বসায়া দিবো সবাই বুঝবে আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক নাই' সিকুয়েন্সটাকে শাহবাগের অস্তিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর মনে করতেসে।

শাহবাগ একসময় জেগেছিলো। আর এখন যত বড় উপলক্ষই আসুক না কেন, শাহবাগে কয়েকশ মানুষও হয় না। একসময় মানুষ বুক ফুলায়া শাহবাগে যাইতো, আর এখন মানুষ তার শাহবাগি পরিচয় লুকাইতে চায়। সুতরাং সম্মান পুনরুদ্ধারের জন্য শাহবাগিদের একটা ক্যালকুলেটেড ওয়ার্ক ষ্ট্রাটেজি দরকার। Gay বাংলা বলে আগে বেড়ে পাছায় বাড়ি খাওয়াটা সে ষ্ট্রাটেজির অংশ। বাকি কাজ করার জন্য আছে মিডিয়া। আগামী কয়েকটা দিন না, বরং কয়েক সপ্তাহ জুড়ে টিভি আর পত্রপত্রিকায় আমরা দেখতে পাবো শাহবাগ কিভাবে পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অকুতোভয় সংগ্রামের প্রতীক হিসাবে দাড়ায়া যাবে।



তৃতীয়ত, শাহবাগ হলো একটা ফ্রান্কেষ্টাইন দানব। জাতিগত ব্যার্থতার চরম হতাশা থেকে উদ্ভুত শাহবাগি চেতনার দরকার নিত্যনতুন শিকার। এইটা আওয়ামী লীগও ভালো করে জানে। এর ভেতরে আবার শাহবাগিদের ওয়েব অফ নেটওয়ার্কটাও একটু জটিল। এখানে খাটি আওয়ামী, ভুয়া আওয়ামী, ভন্ড সুবিধাবাদী আওয়ামী, বাম, লুচ্চা, নাস্তিক, সুবিধাবাজ বিভিন্ন টাইপের মানুষ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ধান্দা করে যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের জন্য ভরসার কথা হলো, দানবের মাথায় বসে আছে ইম্রান চাদরের মতো কিছু খাঁটি আওয়ামী দালাল। সুতরাং অভুক্ত দানব যেন শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই কামড়াতে শুরু না করে, ঐজন্য তার সামনে এমন একটা খাবার ধরায়া দেওয়া হইসে যেইটা সে গিলতে পারবে না। পাকিস্তান। এই না গিলতে পারার চোকিং প্রসেসের একটা ক্ষুদ্র অংশ হলো মিউচুয়াল মৃদু লাঠিচার্জ।



চতুর্থ এবং শেষ কথা হলো, আওয়ামী লীগ জানে পাবলিককের চিন্তাভাবনাকে দৌড়ের উপর রাখতে হয়। আওয়ামীলীগের সাফল্য এখানেই। কাদের মোল্লার অন্যায় ফাঁসির প্রতিক্রিয়া সামাল দিসে এরশাদ গ্রেফতারে। ঐটা আবার সরায়া দিসে সাতক্ষীরা অভিযানে। তারপর পাবলিকের সামনে ঝুলায়া দিসে নির্বাচনের মুলা। এখন তলে তলে নির্বাচনের সব কাজ সেরে নিবে শাহবাগি-পুলিশ সংঘর্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিপন্ন চেতনা নিয়ে পুরো দেশ কানতে থাকবে, তার আড়ালে। এই কাজে ফুল সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে মিডিয়া, আর কি লাগে? পুরা Gay বাংলা বুদ্ধি।



এবার দেখা যাক, এই ইম্রান চাদরের পাছায় দুইটা লাঠির বাড়ি দেয়ার এই মহা ঘটনার প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে?

বিকেলে চা বিড়ি খাইতে গেসিলাম। হোটেলে চলতেসিলো চ্যানেল ২৪। সাংবাদিক আর শাহবাগিদের কথায় মনে হচ্ছিলো পুলিশ এই লাঠিচার্জ করে যেন স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি হয়ে গেছে। সাথে থাকা এক বন্ধু, যে একদা শাহবাগে ডিয়েসেলার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেছিলো এবং থাবা বাবার ঘটনা প্রকাশের পর নিজেকে উইথড্র করেছে, সে বললো 'পুলিশ বাড়িতে ঢুকে ছাদ থেকে ফেলে মানুষ মারছে কোন খবর নাই, আর দুতাবাস আক্রমণ করতে দেয়নাই দেখে পুলিশ এখন মহা নিষ্ঠুর হয়ে গেসে। আচ্ছা এগুলা কি মানুষ? ন্যুনতম বিবেকও কি এগুলার নাই?'

আমার নিজের কিছু বলার নাই, এতেই সামারাইজ হয়ে গেছে। এইটা হলো স্রেফ পাবলিক পারসেপশন। কিন্তু শাহবাগকে আমি যতদূর চিনি, এর মূল চ্যাতনাটা পাবলিক পারসেপশনের থোড়াই কেয়ার করে। এই দানব এখন নিজের দেশের সীমা ছাড়িয়ে অন্য দেশেও আক্রমণ করতে চায়। শাহবাগি চেতনায় আক্রান্ত লোকজন এখন তুরস্কের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবী জানায়। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোকে সুযোগ পেলে একহাত দেখে নেয়ার পুরনো অভ্যাস তো আছেই।



ব্লগ আর ছবির হাটে ঘুরে বেড়ানো কিছু লাফাঙ্গা পুলাপানকে পুরা দেশের মাথায় তুলে দিলে যা হওয়ার কথা, এখন তাই হচ্ছে। শাহবাগ এখন মনে করে, শাহবাগকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেয়া উচিত। রাস্তার মোড়ে গাঞ্জা টেনে আর লাকি আখতারদের সাথে লদকালদকি করে ওরা পুরো দেশ চালিয়েছে, আর শেখ হাসিনা গিয়ে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থপূরণে তাদের হাতে লাগাম তুলে দিয়েছে। সেই অহং এ শাহবাগ এখন মনে মনে ধারণা করে পারলে ন্যাটোর সামরিক বাহিনীর ভার তাদের হাতে তুলে দেয়া উচিত। তারপর যারা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে হেইল হিটলার স্যালুট দিয়ে এক গলায় গান গাবে না, তাদেরকে বম্বিং করে ধ্বংস করা শাহবাগি অধিকার। এইটাই দেশপ্রেম।

পুলিশের সিনিয়র অফিসার দৌড়ানি দেবার পর শেষপর্যন্ত গিয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছিলো, তাতেও শাহবাগিদের রাগ মিটেনাই। পুরো দেশের মানুষ হলো শুদ্র বংশোদ্ভুত, তাদের লাইভ এমুনিশন দিয়ে শিকার করলেও ব্যাপার না। ইচ্ছামতো মারলে, জেলে দিলে, রিমান্ডে দিলে, ধর্ষণ করলে কোন ধর্তব্য বিষয় না। কিন্তু শাহবাগিরা হলো উচ্চবংশীয় বামুনের দল। ওদেরকে একটু ছুয়ে দিলে জাত চলে যায়। বাঙ্গালী চ্যাতনা এমনই এক কঠিন জিনিস, একই ইউনিফর্ম পড়ে একই স্কেলে গান গাইতে হবে, যারা ডানে বামে তাকাবে তারা রাজাকার। সুতরাং আজকে শাহবাগির দল সেই মাফ চাওয়া পুলিশকে রাজাকারের বাচ্চা ডেকেছে, এবং মিউচুয়াল ধোলাই খেয়েছে।

আজকের বাংলাদেশে কলকিবাবা শেখ মুজিব নিজে থাকলে তাকেও ভুট্টোর সাথে হাত মেলানোর দায়ে শাহবাগিরা রাজাকার ডাকতো। কালকে সেনাবাহিনী নামার পর শাহবাগিদের পা না চাটলে তারাও রাজাকার ডাক শুনবে, এবং সেনাবাহিনী তখন পুলিশের চেয়ে আরেকটু জোরে লাঠি দিবে। এভাবে শাহবাগিরা হবে ন্যালাক্ষেপা পাগলার মতো, এদিক সেদিন থুথু ছিটিয়ে যাকে তাকে রাজাকার ডেকে যাবে। এবং যতই দিন যাবে, শেষপর্যন্ত লাত্থিগুতা খেতে খেতে খেতে খেতে খেতে শাহবাগিদের আশ্রয় হবে ইতিহাসের ভাগাড়ে, মুত্রস্রোতে ভাসতে থাকা মুল্যহীন আবর্জনা হিসেবে। মাঝখান দিয়ে দিনের শেষে পাবলিক ডিসকোর্সে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা আর একাত্তর এইসব নির্জলা বালখিল্য কৌতুকের বিষয় হয়ে দাড়াবে। নিয়তি?



"পুলিশ ইমরান সরকার কে লাঠি পেটা করছিল, তখন বলছিল- এই বেটা নাস্তিক! মাথায় সিধুর পরা এক নারী কর্মীকে অকত্থ ভাষায় গালি দিয়ে বলল- "মালাউনের বাচ্চা"! দেখুন পুলিশ বাহিনীর ভেতর কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনা ঢুকে পড়েছে ?? >>>>৭১ টিভি'র টক-শো তে আক্ষেপ করে উদ্বিগ্ন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু |



শুয়া চান পাখী ইইইইইইইইইই,

আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি!!!!!!!!!!!!!!

এরা প্রগতিশীলতার নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে অশ্লীলতার চর্চা করে।



গুলশানে শাহাবাগীরা পরিবেশ নষ্ট করার কারনে যখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছিল তখন শাহাবাগীয় এক কর্মী এভাবে প্রকাশ্যেই তাদেরই নেত্রী তারানা হালিমকে জড়িয়ে ধরে ।

এই তারানা হালিমই আবার আওয়ামী নেত্রী ।

পাকিস্তানী পণ্য বয়কটের আহবান জানানো হইছে,

কিন্তু উহারা এইটা ক্লিয়ার করতে পারতেছে না, কোন কোন পাকি পণ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইউজ হয়।

তদুপরি লক্ষণীয় যে, ভারতী পণ্যের ব্যপারে উহারা নীরব,

কারন, ফেন্সিডিল, গাঞ্জা, ইয়াবা ইত্যাদি প্রোডাক্ট যাহা প্রজন্ম ডেইলি কনজিউম করে, উহা সরাসরি ভারত হইতে আমদানিকৃত।

প্রজন্মের চেতনা জাগাতে উক্ত পণ্যগুলো অতিশয় অপরিহার্য !!

শাহবাগি স্কিযোফ্রেনিয়া প্রসঙ্গেঃ

শাহবাগির দল বাংলা পরীক্ষা শেষ করে এখন ইংরেজি পরীক্ষা শুরু করসে। কাদের মোল্লার ফাঁসি হইসে, এখন শুরু হইসে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন ও পাকি পণ্য বর্জন। শাহবাগিদের এই ক্রমাগত উম্মাদনার এখন ট্রিটমেন্ট দরকার। আর ট্রিটমেন্ট শুরু করার প্রথম ধাপ হইলো রোগ চিহ্নিত করা। জনস্বার্থে আমি আগায়া আসলাম যৎসামান্য অবদান রাখতে আপনারা জানেন এইটা আমার পুরানা অভ্যাস।

স্কিযোফ্রেনিয়া। উইকি অনুযায়ী এইটা একটা মেন্টাল ডিজঅর্ডার। থট প্রসেস এ ব্রেকডাউন ঘটে, যার ফলে এলোমেলো ইমশনাল রেসপন্স শুরু হয়। যেমন কেউ পাছায় লাথি দিলে মোম্বাত্তি জ্বালায়া বসে থাকে। অথবা কান মলা দিলে বেলুন উড়ানো শুরু করে।

এর কমন সিম্পটম হইলো প্যারানয়েড কিছু বিশ্বাস ও ধারণা, যেমন 'আম্রিকার প্রেসিডেন্ট' জন কেরি জামাতের টাকা খায়া লবিং শুরু করসে। অথবা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধারা ছিলো নিষ্পাপ ফেরেশতা। পাক বাহিনী আইসা রাজাকারদের নিয়া শুধুই আগুন লাগাইসে আর ধর্ষণ করসে, মুক্তিযুদ্ধারা ষ্টেনগান নিয়া দৌড়াদৌড়ি করসে। তারপর আম্রা স্বাধীন হয়া গেসি। পুরাই সিনেমা।

আরেকটা সিম্পটম হলো হ্যালূসিনেশন। যেমন সাধারণ জনগণের মনে শাহবাগের জন্য দরদ উপচায়া পড়তেসে। রিকশাঅলারা বিনা পয়সায় শাহবাগি যাত্রী টানতেসে। হাহাহাহা রিকশাঅলা ভাইদের সাথে একবার বসে চা খাইলে দেখতো কেমনে ওরা শাহবাগি তেতুলদের ধুয়া ফালায়।

স্কিযোফ্রেনিয়া হইলে আরেকটা জিনিস হয়, ডিজঅর্গানাইজড থিংকিং। ফলে নিজেদের জাতভাই পুলিশকেই রাজাকারের বাচ্চা ডাকা আরম্ভ হয়। কিছু নেগেটিভ সিম্পটম আছে, যেমন ব্লান্টেড ইফেক্ট। এর ফলে যথার্থভাবে ইমোশন প্রকাশ করতে পারেনা, শুয়ে শুয়ে স্লোগান দেয়া শুরু করে। এভলিশন ঘটে। নরমাল জীবনযাত্রা বাদ দিয়া শাহবাগে গিয়া হুইতা থাকে লাফাঙ্গার দল।

"স্কিযোফ্রেনিয়ার কারণে সিগনিফিকেন্ট সামাজিক ও পেশাগত ডিজফাংশন হয়"। যেমন শাহবাগিদের ঘটতেসে। অবশ্য সরকারী বিরিয়ানি থাকাতে এ দিকটার ইফেক্ট সামাল দেয়া গেসে।

টিপিকালি এই সিম্পটমগুলা শুরু হয় ইয়ং এডাল্টহুডে। যেই কারণে যারা স্বচক্ষে মুক্তিযুদ্ধ দেখসে সেই প্রজন্মের কোন টেনশন নাই। আর কালকে ভার্সিটি ভর্তি হওয়া বান্দরের দল মুক্তিযুদ্ধ কইরা ফাডায়া ফেলতেসে।

এখন সবশেষে যেইটা হইসে, স্কিযোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ছবুর পাগলার মতো এদিক সেদিন থুথু ছিটায়া শাহবাগিরা সারাদিন চিৎকার করে যাইতেসে 'সব কুছ ঝুটা হ্যায়'। দেশ ও জনগণের স্বার্থে, বরং পুরো পৃথিবীর অস্তিত্বের স্বার্থে এদের দ্রুত ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানাই, একটা খাঁচা বানান যেইখানে মোটামুটি তিন চারশ মানুষকে রাখা যাবে। সেই খাঁচা শাহবাগে স্থাপন করে এই শাহবাগি স্কিযোফ্রেনিয়াকদের উপশম করে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করুন।

এটা কিন্তু গণজাগরণ ‘মঞ্চ’। হুম ‘মঞ্চ’। তো এরকম মঞ্চে নাটকই তো হবে, নাকি?

নাটকের নাম ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’। নাটকের অনুষঙ্গ হিসেবে পর্যাপ্ত লাইট, টিভি ক্যামেরা, বেলুন, মোমবাতি ইত্যাদি থাকবে, নাটকের বিরতিতে বিরানী হবে, রাজ্যের সব কবি-সাহত্যিকরা উপস্থিত থাকবেন, নাচ পাগল গান পাগল মানুষেরা আসবে, মওজ-মাস্তি হবে, মঞ্চের নাটক দেখার জন্য প্রেমিক যুগল পপকর্ণ, বাদাম নিয়ে হাজির হবে, চিত্রনাট্য অনুযায়ী হালকা লাঠির বাড়ি পড়ার আগেই নায়ক অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করে আশপাশের নায়িকাদের কোলে ঢলে পড়বে, জমির চাচা নামে চরিত্র থাকবে, কিছু নায়িকা এই জমির চাচাদের মনোরঞ্জনের সঙ্গী হবে, কেউ শুয়ে শুয়ে শ্লোগান দিবে, কারো সাথে একটু ধাক্কা লাগলেই ‘রাজাকার’ বলে গালি দেয়া হবে, এই তো।

মঞ্চ নাটকে তো এসবই হয়। দেশে যদি সত্যিই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলতো, তাহলে এতো ক্যামেরা, বেলুন, মেকআপ নেয়া এতো নায়ক, নায়িকা থাকত? মঞ্চের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ থাকত?

অতএব এরকম মঞ্চ নাটককে সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই। Everybody should take as fun, just fun.



খামন তেতুল, জোরালো প্রতিবাদ শুরু করুন। আম্রা অপেক্ষা করতেসি

চেতনার ফলাফলঃ আফ্রিকার জঙ্গলে যারা বস্ত্রবিহীন চলা ফেরা করে তারাও কি এমন কাজ করে আমার জানা নেই, আগে জীবনে এমন কোন নিউজ আমার কানে শুনিনি।

যা আজ শুনলামঃ

"এক আওয়ামিলীগ এম পি পদ প্রার্থি নিজ ওইরশজাত কন্যাকে নাকি ধর্ষণ করেছে"

মানুষ কত বড় জানওয়ার ও পশু চরিত্রের হলে এই কাজ করে, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায় বিবেকের দংশনে ভেতর চুর্ন বিচুর্ন হয়ে যায় এই ভেবেঃ

এই পশুরা আবার কিভাবে জন প্রতিনিধিত্ত করার জন্য একটি সভ্য ও মুসলিম সমাজে সুযোগ পায়।

তাহলে কি তাই ধরে নেব আওয়ামিলীগের আচলের আড়ালে থেকে নিরবে আমাদের সমাজ ব্যবস্তা রাষ্ট্র ব্যবস্তা ও পরিবারের নৈতিক অভ্ক্ষয় ঘটে চলসে।

এডমুন্ড বার্কের বিখ্যাত একটা কথা আছে, শয়তানের উত্থানের জন্য ভালো লোকের নিরবতাই যথেষ্ট।

আওয়ামী পশুরা বাংলাদেশের ক্ষমতায়, এইটা বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য না। বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হলো বিএনপি-জামায়াতের মতো নপুংসক অক্ষমেরা বাংলাদেশের বিরোধী দল। নিজেরা কিছু করতে না পারুক, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকেও তারা সচেতন করতে পারতো। কিন্তু ওরাকিছু করতে পারেনাই, যদ্দুর বুঝা যায় পারবেও না।

সাতক্ষীরা মেহেরপুর এসব এলাকায় যে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে, তা শয়তানের উত্থানকে হার মানিয়েছে। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে, র্যাব পুলিশ লীগের যৌথ বাহিনী দিয়ে ডাকাতি করে, ইচ্ছামতো মানুষ খুন করে এসব এলাকায় আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ আক্রান্ত দেশের মতো অবস্থা বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল যদি ভালো লোক নাও হয়, তবু নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে হলেও তাদের কিছু করার ছিলো।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় লীগ-পুলিশের এ অভিযানে যা ঘটে চলছে, তা পরিদর্শন করার জন্য জাতিসংঘ, ইইউ, এমনেষ্টি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এসব সংস্থার পর্যবেক্ষক দল পাঠানো উচিত।

আর আমরা যারা শহুরে/মফস্বলীয় মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্তের দল আপাতত নিরাপদে আছি বলে গায়ে লাগছে না, আমরা আছি স্বপ্নের ঘোরে। সময় আসলে এমনই জয় বাংলা বাইর হবে যে তখন মুখ দিয়ে আওয়াজ করারও শক্তি থাকবে না।

গণজাগরণ মঞ্চের সবাইকে আমার দুইটা অনুরোধ ।....

১. তারা যেন বিস্যজিত হত্যাকারীদের রায় কার্যকর মঞ্চ তৈরী করে ।

২. আর তারা যেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত এর মত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এর বাসাও ঘেরাও করে ।

কেননা মার্কিনিরাও কাদের মোল্লার ফাসির রায় এর বিপক্ষেই ছিল ।

আর এই দুইটা কাজ যদি তারা করতে পারে তাহলেই বুঝা যাবে গণজাগরণ মঞ্চ কোনো বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় নেমে আসেনি ।

আর যদি না পারে তাহলে এটাই প্রমানিত হয় যে গণজাগরণ মঞ্চ সতিই কোনো বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই রাস্তায় নেমে এসেছে ।

১) ভারত চায়, বাংলাদেশে শুধু তাদের মতাদর্শের লোকেরাই থাকবে, তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই বাংলাদেশ চলবে। কিন্তু একজন আল্লামা সাঈদী, আবদুল কাদের মোল্লা বা মাওলানা নিজামীর মতো লোক তো ভারতের এসবে প্রধান বাঁধা।

২) ভারত তাদের আভ্যন্তরীণ কারণে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারছে না, যদি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করানো যায় তাহলে মন্দ কী?

৩) ভারত চায় শুধু আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় থাকুক, জামায়াত তো প্রশ্নই উঠে না।

৪) ভারত চায় শুধু তাদের পণ্যে সয়লাব থাকবে বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশের পণ্য তো প্রশ্ন আসে না। আর ভারতীয় পণ্যে যেখানে পুরো বাংলাদেশ সয়লাব। সেখানে পাকিস্তানি পণ্য খুঁজে পেতে অবশ্যই দূরবীন লাগবে।

আর একে একে ভারতের সব ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে আওয়ামী লীগের কারণে। ভারতের যে ইচ্ছেটা পূরণ করতে আওয়ামী লীগের বুক কাঁপছে তা আন্দোলনের নামে শাহবাগিদের দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ২০১৩ সালের বাংলাদেশের জনগণ কিন্তু সবই বোঝে। আওয়ামী লীগ কী, ভারত কী আর শাহবাগি কী-সবই দেশের আম জনতা বোঝে। শুধু রাস্তায় নেমে আসে না। কেন নেমে আসে না তা আরেকদিন বলব।



বাটপাড় মুক্তিযুদ্ধা আক্কু চৌদুরির প্রতিবাদ। পাশে আছে কপালে বাঙ্গালী ধর্মীয় প্রতীক টিপ পড়া দুই বাসি শাহবাগি তেতুল। যারা প্রতিবাদ করার সাহস জমা করতে না পেরে দ্বিধান্বিত।

খামন তেতুল, জোরালো প্রতিবাদ শুরু করুন। আম্রা অপেক্ষা করতেসি .।.।.।.।

বিষয়: বিবিধ

৩৭৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File