জামাত শিবির রগ কাটে??স্বচিত্র প্রতিবেদন???

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:০৭:৫২ সকাল



আম্লিক যেখানে সেখানেই ধোলাই -- হাতে না পারলে মুখে---তয় সাবধান! আশে পাশে পুলিশ দেইখেন----------

লেগুনায় যাচ্ছি, হঠাৎ লেগুনার মধ্যে বালের এক কর্মী বয়ান শুরু করলো---- জামায়াত শিবির এই দেশটারে এখন আফগানিস্তান বানাইতে চাইতেছে। কি শুরু করছে দ্যাখছেন? প্রতিদিন পুলিশ মাইরালাইতেছে। আম্লিকের ঘর বাড়ি পুড়াইয়া ফালাইতেছে।

একজন বলে উঠল--- আরে আপনি কি কইতাছেন। জামায়াত শিবির মারতেছে না জামায়াত শিবিরকে মারতেছে?

আমরা তো দেখতাছি রাস্তায় নামলেই ওদের গুলি করা হচ্ছে। ওদের ঘর বাড়ি আগুন পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে------------।

বালের কর্মী--- ঠিকই তো করতাছে। ওদেরতো মারাই উচিত। ওরা পুলিশ মারবে ক্যান?

এরপর ওরা গোপনে সবার রগ কাটে?

এইবার আমি একটু খোচা মারলাম—ঠিকই কইছেন ভাই। জামায়াত শিবির খালি পুলিশ মারে। কিন্তু ভাই গত এক বছরে কতজন পুলিশ মরেছে আর কতজন জামায়াত শিবির মরেছে পুলিশের হাতে? ৫০০ এর মত জামায়াত শিবির মারা গেছে আর পুলিশ কতজন? বড় জোড় ১০-১৫ জন।

তাও জামায়াত শিবিরের হাতে না জনগনের হাতে। যদি জামায়াত শিবির পুলিশ মারতো তাইলে উলটো হবার কথা ছিল না? কি কন ভাইসাব? আর জামায়াত শিবির রগ কাটে এইটা যদি সত্য হয় তাইলে ওরা কি গাধার গাধা দ্যাখেন। বলেন তো গুলি কইরা মারা সহজ না রগ কাইট্টা? ওরা যদি রগই কাটবে তবে কেন গুলি করে মারে না? নাহ ওরা আসলেই বোকা তাই না ভাই?

দেখলাম চারপাশ থেকে গনহারে ওরে ধরতাছে। কেউ বলল, হাসিনায় এতো ভালো তাইলে ক্ষমতা ছাড়ে না ক্যান? জামায়াত শিবির না হয় দোষ করছে কিন্তু হেফাজতরে মারলো ক্যান?

বালের কর্মী কইলো—হেফাজতরে মারা ঠিকই আছে। রাত দুইটায় মারা শুরু না করে সন্ধার সময়ই মারা উচিত ছিল। ওদেরকে কি অনুমতি দিয়েছিল রাতে থাকার। তাইলে থাকলো ক্যান?

আমি আবার খোঁচা মারলাম--- দেহেন ভাইসব। এইভাই কি কইতাছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের জনগণ তার সন্তানের মত। দেশের রানীর কাছে প্রজারা তো সন্তানই হয়। সন্তান একটু ভুল করেছে বলে তারে মাইরা ফালাইতে হইবে? শুনেছি কিছু কিছু পশু তার বাচ্চাকে খাইয়া ফেলে। আমগো হাসিনা বুবু কি তাইলে সেই প্রজাতির?

আর এই ভাই সেই মারাটা কিভাবে সমর্থন করলো, দ্যাহেন ভাইসব।

ব্যাস আর যায় কোথায়! চারদিক থেকে শুরু হল বাক্যবান। কিছু কিছু গালিও। এইবার সে হাসি দিয়ে বলল, আরে ভাই আপনারা চ্যাতেন ক্যান? আমি তো হেফাজতের পক্ষেরই।

সেদিন আমি আমার মার্কেট থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে ছিলাম ওদের জন্য। পানি আর ফল কিনে দিয়েছি। আমিতো মজা করছিলাম----------- হাসি আর হাসি---------

আমি মনে মনে কইলাম ঠ্যালার নাম বাবাজি—ভূত পালায় ডরে।

এইজন্যই গোপালী দ্যাখলেই থাব্রাইতে ইচ্ছে হয়। তয় সাবধান রাস্তাঘাটে এই গুলা কইরেন না। তয় খোচা মারার সুযোগ পাইলে ছাইড়েনও না। আশে পাশে নজর রাইখেন--------

বিষয়: বিবিধ

২৯৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File