এই ভাবে আওয়ামীলীগকে ধংশ করার কোন মানে হয় বুবু.......

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:০৯:৫৬ সকাল



আওয়ামিদের পতন বুঝি শুরু হয়ে গেছে?? সকাল ৭.৩০ টা। গাজীপুর বাইপাস!! সন্তর্পণে এগিয়ে চলছে পাঁচটি মাইক্রো!! সামনে এগিয়ে দেখি!! সব গুলোর পেছনে লিখা RAB-1 . আরেকটু সামনে কোন জারজ M P র গাড়ী । তার সামনে RAB -1 এর জীপ ।শীতে কাবু মনে হল। একজনের পাহারায় যদি ৫০ জন RAB লাগে । অগো হাসিনা তোমার ক্য়জন RAB আছে?? কয়জনকে তুমি কতক্ষণ পাহারা দিবা?? তুমি আছ শান্তিতে!! বঙ্গভবনে??? আওয়ামী নেতারা যেন এখন দাগী খুনের আসামী। প্রায় সকলে ফেরারী।রাস্তায় ও নেই এলাকায় ও নেই। এই ভাবে আওয়ামীলীগকে ধংশ করার কোন মানে হয় বুবু........



ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পাশাপাশি প্রিন্ট মিডিয়া গুলোতে গত কয়েকদিন থেকে আব্দুল কাদের মোল্লার রায়ের পর থেকে বিভিন্ন সাক্ষীদের প্রতিক্রিয়া প্রচার করা হচ্ছে।

আশ্চর্য জনক হলেও সত্যি, যে সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে যাবজ্জীন এর আসামী থেকে ফাঁসির রায় দেওয়া হল সেই সাক্ষীর কোন প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত প্রচার কিংবা ছাপানো হয় নি।

ট্রাইব্যুন্যালে সাক্ষ্য দিতে আসা মোমেনা বেগম এর প্রতিক্রিয়া নেওয়াটা যেকোন মিডিয়ার জন্য গুরুত্বপুর্ন হলেও তারা এই বিষয়টা রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে গেছে।

ক্যামেরা ট্রায়ালে উপস্থিত আইনজীবীদের দাবি, ‘ যে মোমেনা বেগম কে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করা হয়েছে , তাঁর সাথে জল্লাদখানায় মোমেনা বেগমের যে ছবি সংরক্ষিত আছে তাঁর কোন মিল নেই’

অর্থাৎ অন্য এক মহিলাকে মোমেনা বেগম সাজিয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃত মোমেনা বেগমকে আদালতে হাজির করা হয় নি।

প্রকৃত মোমেনা বেগম গত তিন মাস ধরে গুম হয়ে আছেন। তাঁর স্বামীর সাথে কথা বললে তিনি কান্নাকাটি শুরু করেন। এবং জানান যে গত সাড়ে তিন মাস থেকে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম করে রেখেছে।

অনেকেই জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে তুমি জানলে কি করে ? ‘এই প্রশ্নের উত্তর এখন আপাতত আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়’

গত কয়েকদিন আগে সাঈদীর মামলার অন্যতম সাক্ষী রুহুল আমীন হাওলাদার কে সিঁদ কেটে ঘরের ভিতর ঢুকে কুপিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে আনলে তিনি মারা যান। আর যথারীতি এর দায় জামায়াত শিবিরের উপর চাপানো হয়েছে।

এই মুহুর্তে যেই জিনিসটা জামায়াত শিবিরের জন্য বেশী গুরুত্বপুর্ন, তা হল ট্রাইব্যুন্যালের রাষ্ট্রপক্ষের সকল আইনজীবী, প্রসিকিউটর, সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর , সকল সাক্ষী এবং ইমরান এইচ সরকার সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কারণ এরা এক এক জন বিশাল আকারের তথ্য ভাণ্ডার। আওয়ামীলীগের যদি সবচেয়ে বড় শত্রু বলে ভবিষ্যতে কেউ বিবেচিত হয়, তবে এরা তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হবে। আর এই জন্য আওয়ামীলীগ এদেরকে হত্যা করে সব জামায়াত শিবিরের উপর দোষ চাপাবে। আর এই জিনিসটা যাতে না করতে পারে, সেই জন্য হলেও এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।

ক্ষমতা পরিবর্তনশীল। ৫ বছর পরে হোক, আর ১০ বছর পরে, আওয়ামীলীগতো সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। তখন এই মানুষ গুলো খুবই গুরুত্বপুর্ন হয়ে দাঁড়াবে।

বিষয়: বিবিধ

১৪৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File