#‎চট্রলা‬ থেকে আঙ্কারা। লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, বিচার বিভাগ থেকে জাতিসংঘ, কাপছে বাংলাদেশ। কাপছে বিশ্ব.....।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:৫৩:২৬ সকাল



#‎চট্রলা‬ থেকে আঙ্কারা। লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, বিচার বিভাগ থেকে জাতিসংঘ, কাপছে বাংলাদেশ। কাপছে বিশ্ব। এক কথা-

‪#‎StopExecutionBangladesh‬

‪#‎FreeQuaderMolla‬ #FreeQuaderMolla #FreeQuaderMolla

কক্সবাজারে লক্ষ জনতার গণবিস্ফোরণ ঘটিয়েছে কাদের মোল্লা মুক্তি মঞ্চ। সকাল থেকেই অনিদিষ্টকালের জন্য অবস্থান নিয়েছে বিক্ষুব্দ কর্মীরা। কিছুক্ষণ পরেই কাফণ মিছিল।

তুরস্কে মোল্লার ফাঁসি প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ দুতাবাস ঘেরাও, পররাষ্ট্র মন্ত্রী দাউদউলুর উদ্বেগ প্রকাশ।

সাতক্ষীরায় মহাসড়ক অবরোধ করে দোয়া অনুষ্ঠান করে জামায়াত শিবির কর্মীরা

কাদের মোল্লার ফাসি বন্ধ করুন ঃ হাসিনাকে জাতিসংঘ

http://www.un.org/.../www.iaea.../www.unodc.org/story.asp...

একদম কাঁটায় কাঁটায় "The Bastard Child" এসে হাজির... কি অসাধারণ কম্বিনেশন... সোনায় সোহাগা। ট্রেইলার দেখে ভাল্লাগসে। ইমোশোনাল করে দিলো...

মাগার এই জিনিস বাংলাদেশীরা বানানের কথা। কলিকাতার দাদা বাবুদের এতো দরদ ক্যান?? ল্যাঙ্গুয়েজ হিন্দি, কাস্টিং এ সনাতনের সমাহার, আর ভারত-পাকিস্থান উভয় ৭১কে নিজেদের যুদ্ধ মনে করে। আর তারা বাংলাদেশকে মনে করে বাই প্রোডাক্ট?? তখন পাবলিক চুপ থাকে কেন?? আর ৭১ এর নির্মম হত্যা কাণ্ডের জন্য পাইক্কাদের একটাকেও বিচার করার হেডম আছে?? সেইটা তো তখন ভারতই করতে দেয়নি!! কারন ওইটা তাদের জয়-পরাজয়ের চুক্তিতে ছিলও। তাহলে আবাল বাঙ্গালীদের আমি লাফানের কারণ বুঝি না?? একটা পাইক্কা আর্মিরও তো বিচার করতে পারলো না!!! তাও আবার ওগুলার সাথে ওআইসি তে গিয়ে মহাব্বত দর্শন!!! বাংলাদেশর একটা সরকার ও তো পাইক্কা গুলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে/জাতিসংঘে বড় গলায় কিছু বলতে দেখলাম না !!!!!!

১. রাসূলে করীম (সাঃ) এর সাহাবী হযরত খোবাইব (রাঃ) কে বিশ্বাকঘাতকতার মাধ্যমে আটক করে শুলিতে চড়িয়ে হত্যার জন্য আরব নেতৃবৃন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে চারিদিকে দণ্ডায়মান। তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে খোবাইব দু’রাকাত সালাত আদায় করলেন, অতঃপর কুরাইশ নেতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, যদি তোমরা এই ধারণা না করতে যে- ‘মৃত্যুর ভয়ে আমি সালাত দীর্ঘায়িত করছি, আল্লাহর শপথ তাহলে আমি আরো দীর্ঘায়িত করতাম।'

অতঃপর কুরাইশরা বন্দী খোবাইবের দেহে শূঁচালো বর্শার শলা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শরীর থেকে চামড়া মাংস পৃথক করতে শুরু করল। উপর্যুপুরি আঘাত করে একের পর এক দেহাংশ কেটে অঙ্গ বিকৃত করতে করতে বলল- 'খোবায়েব, তুমি কি এ প্রস্তাব পছন্দ করবে যে- ‘মুহাম্মদ তোমার স্থলে হোক, বিনিময়ে তুমি মুক্ত হয়ে যাও?’ বিক্ষত সমস্ত শরীর বেয়ে টপ টপ করে রক্ত ঝরছে আর নেতিয়ে পড়া মৃত প্রায় দেহে খোবায়েব প্রত্যুত্তর করলেন- “আল্লাহর কসম! আমি এ প্রস্তাব পছন্দ করিনা যে- ''আমি আমার পরিবার পরিজন ও সন্তানাদি নিয়ে নিরাপদে শান্তিতে থাকি আর মুহাম্মদ (সাঃ) কে একটি কাঁটার আঁচড় দেয়া হবে।”

শাহাদাতের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে খোবায়েব আকাশের পানে তাকিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, আপনি এদের সংখ্যা গণনা করে রাখুন, এদের শক্তি খর্ব করে দিন এবং এদের একজনকেও ছেড়ে দিবেন না।''

ইতিহাস সাক্ষী খোবায়েবের হত্যাকারীদের কাউকে আল্লাহ রেহাই দেন নি।।।

২. খোবায়েবের আল্লাহ; ''আপনি আমাদের এই বাংলাদেশ ভূখন্ডের এই সময়ের নিকৃষ্টতম জালিমদের সংখ্যা গণনা করে রাখুন, এদের শক্তি খর্ব করে দিন এবং এদের একজনকেও ছেড়ে দিবেন না।'' আল্লাহুম্মা আমীন।।।

বান্দার সকল প্রচেষ্টা যেখানে শেষ হয় , আল্লাহর সাহায্য তখন শুরু হয়। মুমিনদের জন্য আল্লাহ যথেস্ট ।

﴿إِن يَنصُرْكُمُ اللَّهُ فَلَا غَالِبَ لَكُمْ ۖ وَإِن يَخْذُلْكُمْ فَمَن ذَا الَّذِي يَنصُرُكُم مِّن بَعْدِهِ ۗ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ﴾

১৬০) আল্লাহ যদি তোমাদের সাহায্য করেন তাহলে কোন শক্তি তোমাদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে না৷ আর যদি তিনি তোমাদের পরিত্যাগ করেন, তাহলে এরপর কে আছেন তোমাদের সাহায্য করার মতো ? কাজেই সাচ্চা মুমিনদের আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত ৷

আলহামদুলিল্লহ্ ! আবারো প্রমান হলো মৃত্যুর ফায়সালা জমিনে নয় আসমানে হয়!

জামায়াতে ইসলামীর উপরও বহু পরীক্ষা এসেছে। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতাকে মৃত্যুদন্ড শুনানো হয়েছিল এবং তার সাথীদেরকে দীর্ঘমেয়াদী কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এটা ১৯৫৩ সালের কথা অর্থাৎ আওদা শহীদের শাহাদাতের এক বছর পূর্বে এবং সাইয়্যেদ মওদুদী (র) এর মুখ থেকে সেই ঐতিহাসিক উক্তি উচ্চারিত হয় যা সোনালী হরফে লেখা হয়ে আছে এবং যার দীপ্তি কিয়ামত পর্যন্ত সত্যের পথের পথপ্রদর্শনের পথ দেখাতে থাকবে। তিনি বলেছিলেনঃ শুনে রাখ---মৃত্যু এবং জীবনের ফযসালা এ জমিনের উপর হয় না। বরং আসমানে হয়ে থাকে ।যদি আমার মৃত্যুর সময় হয়ে তাকে, তাহলে দুনিয়ার কোন শক্তিই আমাকে বাচাতে পারবে না।আর যদি আমার জীবনের সময় এখনো বাকি থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরাই উল্টো ফাসিতে ঝুলে যাবে। আমাকে মারতে পারবে না । এরপর থাকে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের ব্যপারটি। এরূপ দয়া ভিক্ষা কেবল একটি সত্তার কাছেই করা যেতে পারে যিনি চিরঞ্জীবও চিরস্থায়ী। তোমাদের কাছে আমার জুতার কাটাও ক্ষমা চাইবে না---------। এ উক্তির প্রতিধ্বনিতে বাতিলের প্রাসাদে ভূমিকম্পের কাফন ধরেছিলো এবং উক্তিকারী যে দৃঢ় বিশ্বাস থেকে একথা উচ্চারন করেছিলেন সেই বিশ্বাসই ছিল তার কর্ম ী পুজি। জীবন অবশিষ্ট ছিল। তাই ফাসির কুঠরিতে স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়া এবং ফাসির রজ্জু গলায় পরার সময় ক্ষন নির্ধারিত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও সত্যের সৈনিক বেচে থাকলেন। মৃত্যু পরাভূত হয়েছিল এবং জীবন আশাভরা দৃষ্টিতে মুচকি হেসে ভবিষ্যত পানে তাকাচ্ছিলো।

বিষয়: বিবিধ

২০৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File