ফ্রেঞ্চ ভাষাটা সুন্দর কিন্তু আমাজনের মানুষখেকোর সাথে ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলে কোনো লাভ নেই। শেখ হাসিনাকেও সভ্যতার আবেদন করে কোনো লাভ নেই।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৩:০২:৪৬ দুপুর



ঝিনাইদহে পুলিশের গুলিতে শিবিরকর্মী নিহত।

অবরুদ্ধ দেশ,

অবরুদ্ধ জনতা ;

অবরুদ্ধ বিবেক,

অবরুদ্ধ মানবতা ॥

আমি ইতিহাসের কথা বলছি না, গতকালের কথা বলছি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা রাস্তায় ভাংচুর করলেন ঠিক সেই কায়দায়, যেই কায়দায় বিএনপি করে। কিন্তু এখানে নির্দেশদাতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় না। বিএনপির অফিসে তালা ভেঙ্গে ঢুকে সব কিছু তছনছ করে যাকে সামনে পাওয়া গেছে তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এবং এই কাজগুলো গত ৫ বছর ধরে চলছে। ফেসবুকের লাল মিঞা, সবুজ মিঞারা আশা করে বিএনপি মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করবে, ফেসবুকে ঝড় তুলে সরকারের পতন ঘটালেই তো পারে। আশ্চর্য হবেন না, এই অবস্থা ৫ বছর ধরেই চলছে। বিএনপির হাজার হাজার কর্মী গত ৫ বছর ধরে ঘরছাড়া। হাজার হাজার কর্মী জেলে আছেন কোনো বিচার ছাড়া। কিন্তু যেহেতু বিএনপির কর্মীরা সাধারণ মানুষ না তাই তাদের নিয়ে কেউ সামান্য হাহুতাশও করে না। বাসে আগুন লাগলে যে প্রতিবাদ বাংলাদেশের মিডিয়ায় হয় তার চেয়ে অন্তত দশগুণ বেশি মানুষ পুলিশ ও লীগের সন্ত্রাসে মারা গেছে কিন্তু তাদের নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই, কারণ এই হতভাগারা mango people ও না, এরা তো বিএনপি-জামাত। এমন কি শীর্ষনেতারাও এখন আর ঘরে থাকেন না। বাসে আগুন লাগলে দেখি কালা মিঞা আর লাল মিঞারা কান্নাকাটি করেন - ওহী মারফৎ নিশ্চিত হয়ে যান যে এটা বিএনপির কাজ কিন্তু স্পষ্ট ভিডিওতে তোলা ছবিতে লীগের কর্মীরা সানাউল্লাহ বাবুকে কুপিয়ে মারলে, হয় তারা হাইবার্নেশানে যান, নয়তো মতিকন্ঠ করেন। শেখ হাসিনা কোনো সভ্যতায় বিশ্বাসী মানুষ নন। যে একটা ভাষা তিনি বোঝেন সেটা হোলো সন্ত্রাসের ভাষা। তাকে যদি নিশ্চয়তা দেয়া হয় যে এদেশের এক কোটি মানুষকে হত্যা করা হলে তিনি ২০২১ পর্যন্ত টিকে থাকবেন, কিন্তু তার পরিবারের ওপর কোনো প্রতিশোধ নেয়া হবে না এবং আমেরিকা ও ভারত মেনে নেবে - আমার মনে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে তিনি পিছপা হবেন না, আনন্দের সাথে মানুষ-হত্যা করবেন। সারা পৃথিবী যে তাকে চাপ দিচ্ছে ডায়ালগের জন্য, সমঝোতার জন্য, কোনোটাই কাজে দেবে না। ফ্রেঞ্চ ভাষাটা সুন্দর কিন্তু আমাজনের মানুষখেকোর সাথে ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলে কোনো লাভ নেই। শেখ হাসিনাকেও সভ্যতার আবেদন করে কোনো লাভ নেই। তিনি বিএনপিকে যে দুই পয়সা দাম দেন তার একমাত্র এবং একমাত্র কারণ যে কিছুটা হলেও তারা ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণ মানুষের এইসব সুশীল আবেদনের এক পয়সাও দাম নেই তার কাছে। আমি তার চোখে সেই ভয় দেখতে চাই যে ভয় এদেশের হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিনের সঙ্গী। পুরো রাষ্ট্র এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গেলে সে মানুষ যে অসহায়তা বোধ করে, আমি তার চোখে সেই অসহায়তা দেখতে চাই। আমি চাই তিনি সেই ভয়কে উপলব্ধি করুন যে তার মনে হবে যে আল্লাহ তো নয়ই, এমন কি ভারতও তাকে রক্ষা করতে পারবে না। কেবল তখনই তিনি মানুষ হিসেবে উত্তীর্ণ হবেন। কেবল তখনই তিনি বুঝবেন সভ্যতার প্রয়োজনীয়তা - তার আগে নয়। আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি।

শেখ হাসিনা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেন। এরপর নিজেকেই প্রধান করে তৈরি করেন নির্বাচনকালীন সরকার। এভাবেই বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে শেখ হাসিনা।

---- আল জাজিরা

জনমত আর মানুষের আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করে একটা একপক্ষীয় নির্বাচন করা হয়তো যেতে পারে, তাতে কখনোই সবাই অংশ্রহণ করবে না। স্থানীয় নির্বাচন আর সকল নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে বর্তমানে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি অনেক বেশি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তাই সরকার যদি অপেক্ষাকৃত জনপ্রিয়তম দলটিকে নির্বাচনে আনার মত পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে তাহলে কোন সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব নয়... বাংলাদেশে শতকরা কতজন তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে তা যদি সাম্প্রতিক জরিপগুলো থেকে নেয়া হয় তাহলে দেখা যায় ৮০-৯০% মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। বাংলাদেশকে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পূর্বের এবং পরের সময়কালে ভাগ করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার পূর্বেকার কোন সরকারই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। এই একটা উদাহরণই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে যথেষ্ট।" - আল জাজিরাকে ডঃ আসিফ নজরুল।

বিষয়: বিবিধ

১৩৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File