"জামাতের নিবন্দন বাতিল ও কিছু ভাবনা"

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৪ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:০৩:৫৪ সকাল



আজ এই উৎপীড়িত

মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের

অভিশাপ বও;

ধ্বংস হও

তুমি ধ্বংস হও।

'আল্লাহর উপর পুর্ণ বিশ্বাস' বা 'আল্লাহ সকল ক্ষমতার উৎস' এই বিশ্বাসের কারণে আওয়ামী লীগ জামাতের নিবন্ধন বাতিল করেছে - অথচ এই দুটিই যেকোন মুসলমানের অন্যতম মৌলিক বিশ্বাস। এখান থেকে যদি তারা নিশ্চিত হয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার উৎস হিসেবে আল্লাহর উপর মোটেই বিশ্বাস রাখে না তাহলে সেটা সাধারণ ধর্মপ্রান মানুষের কাছে কিছুতেই গ্রহনযোগ্য হবে না।

সুতরাং এটাই হতে পারে জনপ্রিয়তার নিম্নতম স্তরে থাকা আওয়ামী লীগের কফিনের শেষ পেরেক। আর যদি এরই ধারাবাহীকতায় '৭৩ এর মত একতরফা ভোট ডাকাতির নির্বাচন করার চেস্টা করে তাহলে সেটা হবে কফিনে বদ্ধ হয়ে সাগরে ঝাপ দেয়ারমত ধ্বংসাত্মক কাজ - যার পরিনতিতে এই দেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুঝে যাওয়াও অসম্ভব নয়।

কি হবে তা সময়ই বলে দেবে, আমরা গ্যালারীতে আছি পরিস্থিতি কোন দিকে যায় দেখার জন্য।

একজন লিখেছেন..."জামাতের নিবন্দন বাতিল ও আমার ভাবনা

আমি জামাতের রাজনিতি করি না তাই জামাতের নিবন্দন বাতিলে আমার তেমন কোন মাথা বেথা নাই।

তবে যে বিষয় টা দেখিয়ে জামাতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে সে বিষয়ে আমার আপত্তি আছে।

কারন রায়ে বলা হয়েছে জামাতের গঠন্তন্ত্রের লিখা আছে "সকল ক্ষমতার মালিক এক মাত্র আল্লাহ" এই টা সংবিধান বিরোধি তাই জামাতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

তার মানে এই দেশে একটা রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়েছ শুধু মাত্র আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখার অপরাধে।

তাই এক জন মুসলিম হিসেবে এই রায়ে আমার প্রবল আপত্তি আছে। "

কি বলেন ভাই মুসলিম হিসাবে আপনার তো কোন আপত্তি নাই!!!!!!!!

#জামাতের নিবন্দন অবৈধ

ঘোষনা করেছে হাইকর্ট

আমি তো পুরাই টাস্কিত

কি এমন জগন্য কাজ করেছে

জামাত ,,,, জামাতের কেউ

কি হাসিনার

মেয়ে পুত্র বধুকে ধর্ষন করেছে ??

জামাত কি শেয়ার বাজার

পদ্না সেতুর দুর্নিতিতে জড়িত

জামাত কি তালেবানদের মত

বোমা ফাটায় ????

জামাত কি কোন জংগি সংগঠন ???

শিবির কি কোন সন্ত্রাসি ছাত্র

সংগঠন ???

শিবিরের কেউ কি মানিক

পান্নাদের মত ধর্ষনের

চেন্চুরি করে ????

মাননিয় আদালত ,,,,,

এই দেশে কি কোন ইসলামি

দল থাকবে না ???

এই দেশে কি কেউ নামাজ কালাম

পড়বে না ???

এই দেশে কি কেউ ইসলামি

আন্দোলন করতে পারবে না??

মাননিয় আদালত

আমার তো মনে হয় এই দিন

বেশি দুরে নয় যেদিন আপনার

এই দেশে মসজিদে নামাজ

পড়া অবৈধ বলে ঘোষনা করবেন

এই দেশে পবিত্র কোরয়ানকে

জংগিদের কিতাব বলে অবৈধ

ঘোষনা করবেন

(নাউ..…।)

যেদিন হাদিসকে নিষিদ্ধ

করবেন ,,,,,,,,,

যেদিন ইসলামি কিতাবগুলোকে

বাজার থেকে বাজেয়াপ্ত

ঘোষনা করবেন ,,,,,,

বিশ্বাস করুন আল্লাহর কসম

সেদিন আপনাদের মাথা কর্তন

করতে একটুও দ্বিধা করব

না ,,,,,, এতে আমার ফাসি হলে হউক

#জামাতের নিবন্ধন বাতিল নিয়ে কিছু কথা । [সারোয়ার আলম]

কোর্টের রায়ে জামাতের নিবন্ধন বাতিলের যে চারটি অজুহাত দেখানো হয়েছে, আসুন তা একটু ঘেটে দেখা জাক ।

[১] জামায়াত নীতিগতভাবে জনগণকে সকল ক্ষমতার উৎস বলে মনে করে না। সেইসঙ্গে আইন প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকেও স্বীকার করে না

বিশ্লেসনঃ

আল্লাহই হচ্ছেন সকল ক্ষমতার উৎস -একজন মুসলমানকে প্রথমেই এই সত্য মেনে নিতেই হবে । নয়তো সে কাফের হিসাবে বিবেচিত হবে । এ ক্ষেত্রে বাকশালিরা যে আল্লাহকে সর্বময় ক্ষমতার উৎস মনে করে না তা এই রায়ের মধ্য দিয়েই প্রমানিত । প্রশ্ন থাকে দেশের সংবিধানের । কুরানের সাথে যে সংবিধান সাংঘরসিক তা কোন মুসলমান রাস্ট্রের হতে পারে না । আর যারা কুরানকে ডিঙ্গিয়ে এমন সংবিধানকে পবিত্রতা দান করতে চায় তারা মুনাফিক এবং পথভ্রষ্ট এতে কোন সন্দেহ নাই । যারা এই সব মুনাফিক-পথভ্রস্টদের সমর্থন করবে তারাও সেই পর্যায়ে পড়বে ।

[২] গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুসারে কোনো সাম্প্রদায়িক দল নিবন্ধন পেতে পারে না। অথচ কাজে কর্মে ও বিশ্বাসে জামায়াত একটি সাম্প্রদায়িক দল

বিশ্লেসনঃ

সাম্প্রাদায়িকতার এই তীর জামাতের উপর ছুড়ে দেবার কোন সুযোগ নেই । স্বাধীনতা উত্তর এই দেশে জামাতে ইসলাম সাম্প্রদায়িকতার কোন ইতিহাস সৃষ্টি করে নি । বরং আওয়ামি লিগই তাদের দীর্ঘ পথ চলতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক ইস্যু সৃষ্টি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে । এবং এখনো করছে । ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ১০ ভাগ অমুসলিমের জন্য ইসলামের দাওয়াত, কাজ, ইসলামি জীবন ব্যবস্থার প্রচলন, আল্লাহর আইনের প্রতিনিধিত্ব করা এবং সেই আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করার দায়ভার যে কোন সরকারের উপর বর্তে। কিন্তু হেদায়ত যে আল্লাহর হাতে, তা ই প্রমানিত হচ্ছে জালেমদের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে । এটি আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু নয় যে, আমরা মুসলমান হয়েও অমুসলমানদের বানানো আইনে প্রভাবিত ।

[৩] নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের কোনো বৈষম্য করতে পারবে না। কিন্তু জামায়াতের শীর্ষপদে কখনো কোনো নারী বা অমুসলিম যেতে পারবে না

বিশ্লেসনঃ

জামাতের শীর্ষ পদে কখনো নারি জেতে পারবে না - এই নিয়ে সরকারের মাথা ব্যাথাই তাদের অজ্ঞতার সরুপ ।

প্রথমত, আল্লাহর নবি [স] বলেন, যে জাতি নারিকে তাঁর নেতৃত্বের আসনে বসায়, সে জাতির কল্যাণ কখনো হতে পারে না । এই দারা নারির নেতৃত্ব হারাম হয়ে গেছে এমন ভাবনার কোন সুযোগ নেই । তবে তা যে অকল্যাণকর, সেটা পরিচ্ছন্ন । আল্লাহ নারি ও পুরুষকে ভিন্ন মর্যাদা দান করেছেন । আল্লাহর এই সাঝানো সংসারে মানুষ যখন হস্তক্ষেপ করে, তখন আল্লাহর কোন ক্ষতি হয় না । বরং আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ করার অপরাধে জাহান্নামের তলদেশে পতিত হবার পথ সুগম হয় ।

দ্বিতীয়ত, জামাত কখনো এমন কথা বলে নি যে নারি ক্ষমতায় জেতে পারবা না । এটা একটা অবান্তর, বানানো, কুফ্রি কথা আমদানি করে জামাতকে কোনাঠাসা করার পায়তারা । তবে আল্লাহর চালই যে সবচেয়ে বড় চাল তা সময় মতো প্রকাশ পাবে ইনশাল্লাহ ।

[৪] গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী কোনো দলের বিদেশে কোনো শাখা থাকতে পারবে না। অথচ জামায়াত বিদেশের একটি সংগঠনের শাখা। তারা স্বীকারই করে তাদের জন্ম ভারতে। বিশ্বজুড়ে তাদের শাখা রয়েছে।

বিশ্লেষণঃ

ভারতে জন্ম হবার কারনে যদি জামাতে ইসলামের রাজনিতির গ্রহনে সরকারে অনাস্থা থাকে, তাহলে, আমি মনে করি

[ক] এই সরকারকে প্রথমেই ঘোষণা দেয়া উচিত যে, তারা মুরতাদ । কেননা ইসলাম গ্রহন এবং নিজেকে মুসলমান দাবি করা তাদের জন্য উচিত নয় । কারন ইসলামের জন্ম তো সৌদি আরবে ।

[খ] বাম-রামদের সংগঠন গুলোর পিতা মাতা লেলিন, কার্ল মার্ক্স, স্ট্যলিন, মাও সে তুং দের জন্ম এবং তাদেরে দলগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ ভুখন্ডে জন্ম নেয়নি ।

[গ] বিদেশে জামাতে ইসলামের নাম দিয়ে কোন শাখা নেই । বরং আওয়ামি লীগ, বি এন পি সহ অন্যান্য সলল দলের শাখা প্রশাখা বিদেশের প্রায় প্রতিটি দেশে আছে । এই কথা কি বাকশালিরা ভুলে গেছে ?

সুতরাং এই রায়ের কারন গুলোর দিকে তাকালে স্পস্ট বুঝাই যায় যে, এটি একটি ফালতু, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, শয়তানি চাল। তবে তাদের এই চালের প্যাচে তারই সয়লাব হবে ইনশাল্লাহ । মানুষ জেনে যাবে যে এরা কি পরিমান ইসলাম বিদ্বেষী ।

বিষয়: বিবিধ

১৯০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File