পীলখানা বিডিয়ার বিদ্রোহ কেও কি আছে সত্য প্রকাশ করার??

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৬ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৩৪:০৯ সকাল



ছবিটা দেখে বেশ কিছুক্ষণ অনুভুতিতে আনতে চেষ্টা করছিলাম,

আমি আহত, রক্তক্ষরণ হয়ে দ্রুত বের হয়ে যাচ্ছে শরীরের উষ্ণ রক্ত,

জীবন সুধা বের হচ্ছে, আর কেমন যেন ঠান্ডা পেয়ে বসছে আমার,

মাথাটাও খালি খালি লাগছে।



কোনো যুদ্ধ আয়োজন ছাড়া কেন আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল অধীনস্ত জওয়ানেরা জানতেও পারছি না ......

এই অসহায় অবস্থায় দুর্বল নিঃশ্বাসটা ফুসফুসে অক্সিজেন পাঠানোর জন্য প্রানপণ চেষ্টা করছে।

খুব ভার হয়ে আসা অসাড় শরীরটা গর্তে নিক্ষেপ করা হলো,

আমি পরিখার মত একটা সংকীর্ণ স্থানে নেতানো শরীরে পরে থাকলাম।

যতটুকু স্নায়ু বাঁচা আছে তা পরম করুনাময়ের কাছে আকুতি করছে পরিস্থিতি বোঝার,

''হে আল্লাহ আমাকে আর একটু শক্তি দিন, আমাকে জানান আমাদের কি হয়েছে, সবাই নিরাপদে আছেতো ...

একজন বাহিনী প্রধানের কাছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ যেভাবে ভরসা করে থাকে তা পতিপালনের সুযোগটুকু দিন শুধু ''।

কি হয়েছে, কি হতে যাচ্ছে, ভাবার আগেই দলা দলা মাটি আমার শরীরের উপর পরছে, দর দর পরছে শরীরটার উপর, ঠিকই কিন্তু ব্যথা বলতে যা বোঝায় সেমনটা লাগছে না, কানে গলায় বা ঘাড়ের কাছে পরা গুড়া দলাগুলোর বিরক্তিও বুঝতে পারছি না। মাথার উপর আকাশটা ঢেকে যাচ্ছে কালো হয়ে, শরীরের ঠান্ডা জমিনের ঠান্ডার সাথে একাকার হয়ে যাচ্ছে, হাতগুলো আঙ্গুল সমেত সটান তাক হয়ে আটকে আছে, সবকিছু উত্রে দুর্বল নিশ্বাস আর পারছে না, নাকের ভেতর মাটির দানা চলে যাচ্ছে কিন্তু হাঁচি দিতে পারছি না (মনে হয় আসছে না), ফুসফুসে ঢুকে যাওয়া দলা মাটি গর গর করছে, দম আটকে পরছে ঠিক যেমন হত ডুব দিয়ে অনেকক্ষণ পানির নীচে থাকা শেষ সেকেন্ডগুলোতে ......

এক সময় মাথা উঠাতাম, বড় করে বুক ভরে লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিতাম,

আর নীল আকাশটা আমাকে আলিঙ্গন করে প্রানটা জুড়িয়ে দিতো //

##

"অপারেশন ডাল-ভাত" এ বিডিআরকে জড়ানো ঠিক হয়নি বলেছে আদালত ??

তা আজকে যে সীমান্ত রক্ষীদের #রাস্তায় নামিয়ে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, এগুলো কি ঠিক হচ্ছে ? তাদের কাজ তো এগুলা না । বলবে যেদিন সেদিন হয়ত বিজিবির বিচার চলবে কিন্তু এই সব ঝরে যাওয়া সন্তান আর রক্ত আর শ্রম ঘণ্টা কি ফিরে পাওয়া যাবে ?

- কোথায় সে #বিবেচক আদালত ?

কেউ কেউ বলতে পারেন, উহার সাথে তো আর্থিক নিয়ম-অনিয়ম রুটিরুজির ডাল-ভাত জড়িত ছিল ; কিন্তু এই সবের সাথে আবার কি ?

একটা গুলি ; একটা খুন ; একটা টার্গেট মিস ; এক একটা পঙ্গুত্বের সাথে যে চাকরি প্রমোশন #স্পেশাল ভাতা জড়িত তা কি তোমরা জানো না ?

কে ডিউটি পাবে, কে পাবেনা ? কে গুলিতে ফেলেছে কে ফেলে নি । প্রতিটির সাথেই অর্থ জড়িত ; হিংসা প্রতিহিংসা লেনদেন ডাল-ভাত রুটি-রুজি তাহলে কেন নয় প্রতিকার ! ওহে মাননীয় আদালত ?

- সেই ২০০৯ থেকেই শুনে আসছি আর্মির করা তদন্ত রিপোর্টে নাকি আওয়ামীলীগের জড়িত থাকার প্রমাণ আছে । তা বলি, সে রিপোর্ট কবে প্রকাশ হবে ? জানতে পারি কি ?



কেউ কেউ বলবেন সময় আসলে ঠিকই প্রকাশ পাবে ............

আমি বলি এখনই সময় । যদি সত্যি #সত্যি কোন তদন্ত হয়ে থাকে আর্মির তরফে তাহলে এখনই উচিৎ প্রকাশ করা ; লিক করে দিয়ে হলেও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিৎ । এবং এখনই সময় ।

রাজনীতি/নোংরা #পলিমিশাল চাইলে কথিত সময়ে প্রকাশ হবে হয়ত ; কিন্তু বিচার চাইলে এখনই করা উচিৎ । আমরা তো বিচার চেয়েছিলাম, এখনো চাই ; নাটক কিংবা পলিটিক্স না ।

তবে কেউ কি নেই প্রকাশ করার মত প্রকৃত সত্যটা ।

রহস্য-১: বিডিআর বিদ্রোহটি কি শুধুমাত্র দাবি-দাওয়া আদায়ের বিদ্রোহ ছিল নাকি বিডিআর তথা দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরাকে তিগ্রস্থ করার বিদ্রোহ ছিল?

রহস্য-২: বিডিআর বিদ্রোহটি সংঘটনের পিছনে এবং বিদ্রোহের সঙ্গে যুগপৎ হত্যাকাণ্ড সংঘটনের পিছনে পরিকল্পনাকারী ও উস্কানীদাতাগণ কারা ছিলেন? (ক) শুধুমাত্র বিডিআর এর নিজস্ব সৈনিকদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান ও আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন তারা, অথবা (খ) বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কোনো একটি অংশের কিছু কিছু নেতৃবৃন্দ, অথবা (গ) বাংলাদেশের বাইরের কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা, অথবা (ঘ) বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানরত কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, অথবা (ঙ) সবগুলোরই মিশ্রিত কিছু কিছু।

রহস্য-৩: বিডিআর বিদ্রোহের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য, আদেশকারী কর্তৃপ যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন কিনা, আন্তরিকতায় ধারাবাহিকতা আছে কিনা বা কোনো বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা আছে কিনা, তথা তদন্তকারীগণ স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পেরেছেন কিনা?

রহস্য-৪: বিডিআর বিদ্রোহের দুইটি অংশ আছে। একটি হল বিদ্রোহ, আরেকটি হল হত্যাযজ্ঞ। উভয়ের বিচারে, বিচার বিভাগ বা বিচারিক কর্তৃপ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছেন কিনা তথা রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাবমুক্ত ছিলেন কিনা।

রহস্যের সমাধানে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলো

প্রশ্ন-১: দাবি-দাওয়া উত্থাপনের পূর্বেই কেন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হল? ব্যাখ্যা। সকাল ৯:০২ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে দরবার শুরু হয় এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিশৃংখলা শুরু হয়। এক ঘণ্টা পার হওয়ার পূর্বেই কয়েকজন অফিসারকে হত্যা করা হয়। তাহলে তখনও দাবি-দাওয়া উত্থাপন হয়নি। যতগুলো দাবি-দাওয়া আছে বা ছিল, একেকটি দাবির বিনিময়ে গড়পরতা দুইজন অথবা তিনজন অফিসারের জীবন হরণ, এই সমীকরণ গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রশ্ন-২: দাবি দাওয়া উত্থাপনের জন্য, মানসিকভাবে বিুব্ধ বিডিআর সৈনিকদের সামনে একাধিক চ্যানেল বা মাধ্যম বা রাস্তা খোলা ছিল। ঐ চ্যানেল বা মাধ্যম বা রাস্তাগুলো কি ব্যবহৃত হয়েছিল?

প্রশ্ন-৩: বিডিআর এর সৈনিকগণ তাদের অফিসারদের হত্যা করেছে এটা সত্য। কিন্তু তাদের সঙ্গে এমন কিছু ব্যক্তির চেহারা দেখা গিয়েছে যেগুলোকে বিডিআর এর সৈনিক বলে মনে হয়নি। তারা কারা? তারা কি কোনো রাজনৈতিক দলের ক্যাডার ছিল? নাকি তারা বাংলাদেশের সীমান্তের বাইরে থেকে আসা কোনো সন্ত্রাসী ছিল? নাকি তারা বাংলাদেশের সীমান্তের বাইরে অবস্থানরত কোনো প্রশিতি বাহিনীর সদস্য ছিল, যারা গোপনে ইতিমধ্যেই, বাংলাদেশে এসে অবস্থান করছিল?

প্রশ্ন-৪: যারা এই বিদ্রোহ এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে, বিশেষ করে বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ড সংগঠনকারীদের নেতৃবৃন্দকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কোনো শক্তিশালী মহল কি এমন কোনো নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, তোমরা অপরাধ সংঘটনের পরেও নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারবে এবং বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে হারিয়ে যেতে পারবে। কারণ, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া কিসের সাহসে বা কিসের ভরসায় বিদ্রোহকারীগণ এবং হত্যাকারীগণ এতবড় অপরাধ করলেন এটা গুরুতর চিন্তার বিষয়।

প্রশ্ন-৫: সকাল ৯:০২ মিনিটে দরবার শুরু হওয়ার পরপরই কয়েকজন সৈনিক এবং কয়েক সেকেন্ড পর আরেকজন সৈনিক বিশৃংখলার তথা বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটায় এবং উপস্থিত সর্বস্তরের সৈনিকগণ তাৎণিক অনুকরণ বা অনুসরণ করে, এতে বোঝা যায় যে, সৈনিকগণকে আগের থেকেই ব্রিফিং দেয়া হয়েছিল। ব্রিফিং কে দিয়েছিল? তার উপরোস্থ কে?

প্রশ্ন-৬: প্রচুর সংখ্যক বিদ্রোহী ও হত্যাকারী বিডিআর সৈনিক কমলা রংয়ের ও লাল রংয়ের কাপড়ের টুকরো পরেছিল তাদের মুখ ঢেকে রাখার জন্য। এত প্রচুর সংখ্যক কাপড়ের টুকরো একইসঙ্গে কোথা থেকে আসলো? এতে বোঝা যায় পরিকল্পনা করে সময়মতো এগুলো আনা হয়েছিল। যিনি এনেছিলেন, রণাবেন করেছিলেন, তিনি কে? তার উপরোস্থ কে?

প্রশ্ন-৭: পিলখানায় অবস্থিত বিডিআর সদর দপ্তরে প্রবেশের জন্য অনেকগুলো গেইট আছে। বড় গেইট হিসেবে সকলেই চেনে ধানমন্ডি দুই নম্বর সড়কের পশ্চিম মাথা এবং সাত মসজিদ রোডে দণি মাথার সংযোগস্থলে অবস্থিত বিরাট গেইটটিকে। অতঃপর আরেকটি প্রধান গেইট হিসেবে চিনে নিউ মার্কেটের পাশের সড়ক দিয়ে ২০০ মিটার যাওয়ার পর যেই গেইটটি পাওয়া যায়, সেই বড় গেইটটিকে, যেটিকে সচরাচর আজিমপুর গেইট বা নিউ মার্কেট গেইট বলা হয়। এছাড়া আরও কয়েকটি গেইট আছে; অন্যতম হল হাজারীবাগ গেইট। ঢাকা মহানগরের হাজারীবাগ এলাকা চামড়া শিল্পের ব্যবসা ও কারখানার জন্য প্রসিদ্ধ। হাজারীবাগ এলাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। কথিত যে, এই গেইট দিয়ে, একটি বা একাধিক পিকআপ ভ্যান, সাদা রংয়ের বা খয়েরি রংয়ের প্রবেশ করেছে পিলখানায়। কথিত যে, এই পিকআপগুলোতে করে অপিরিচিত লোক এবং অস্ত্রশস্ত্র পিলখানায় প্রবেশ করেছিল। এই গাড়িগুলোর পরিচয় এবং আসা-যাওয়ার বৃত্তান্ত আবিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন-৮: সকালবেলা দরবার হলের বিশৃংখলা শুরু হওয়ার অব্যবহিত পরেই হলের ভিতর থেকে এবং বাইরে থেকে, বিডিআরে কর্তব্যরত বিভিন্ন ব্যক্তি, সেনাবাহিনীর, বিমান বাহিনীর, নৌ বাহিনীর, র্যা ব সদর দপ্তরের, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের, এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ক্যাবিনেটের উচ্চ পদস্থ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে ফোন করে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন, সাহায্য চেয়েছেন। ঐ সময় বিডিআরে কর্তব্যরত দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরগুলোর তালিকা নিশ্চিতভাবেই কোথাও না কোথাও আছে। এবং অফিসারগণের স্ত্রীদের মোবাইল নম্বরের তালিকা সংগ্রহ করা যায়। ঐ মোবাইল নম্বরগুলো থেকে কার কার কাছে কল গিয়েছিল, সেটি আবিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। অতঃপর কলের বক্তব্য কী ছিল সেটা যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন-৯: পিলখানার অভ্যন্তর থেকে বিপদের কথা, পিলখানার বাইরে সামরিক বা রাজনৈতিক উচ্চ পদস্থ যাদেরকে যাদেরকে জানানো হয়েছে, তাদের প্রতিক্রিয়া মিনিট বাই মিনিট ধারাবাহিকভাবে আবিষ্কার করা প্রয়োজন এবং কোন জায়গায় গিয়ে তাদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হল সেটা আবিষ্কার করা প্রয়োজন।

প্রশ্ন-১০: ঢাকা সেনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর সেনা দল তথা আর্মি কনটিনজেন্ট-কে পিলখানার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার জন্য কয়টার সময় বলা হয়েছিল, তারা কয়টায় পিলখানার বাইরে পৌঁছালো এবং তারা কী নির্দেশ পেয়েছিল?

প্রশ্ন-১১: বাংলাশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুগপৎ প্রতিরা মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথম কয়টার সময়, কার মাধ্যমে পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন। তিনি সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে প্রথম কয়টায় কথা বলেন, কী তথ্য জানতে পারেন বা কী নির্দেশ দেন?

প্রশ্ন-১২: বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি নিয়ে সবার আগে কার সঙ্গে কী পরামর্শ করেন? অর্থাৎ তিনি কোন পরামর্শের ভিত্তিতে প্রথম এবং ধারাবাহিকভাবে নির্দেশগুলো দেন সেনাবাহিনীর প্রতি। তিনি যেই সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন না কেন, বাস্তবায়নের নিমিত্তে তিনি যেই রাজনৈতিক সরকারি নেতাদেরকে তথা এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে মোট দুইজনকে দায়িত্ব দেন, সেই দায়িত্ব কখন দেন? এই প্রশ্নের উত্তর এবং আলোচনার উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং বিষয়টির ব্যাপকতা আঁচ করতে পেরেছিলেন কিনা?

প্রশ্ন-১৩: বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৫ ফেব্র“য়ারি অপরাহ্ন ৩টার আগে-পরে বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঠিক ঐ মুহূর্তে বিদ্রোহীরা পিলখানায় কোনো হত্যাকাণ্ডের সংবাদ দিয়েছে কিনা অথবা প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট খোঁজ-খবর নিয়েছেন কিনা জ্যেষ্ঠা কর্মকর্তাদের হালহকিত ও তাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে। যদি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি দল কোনো ইতিবাচক সংবাদও দিয়ে থাকে, প্রধানমন্ত্রী কি সেই সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মোবাইল ফোনে বা যে কোনো নিয়মে কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিনা?

প্রশ্ন-১৪: বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি সাধারণ মা ঘোষণাকালে কি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে জানতেন? তিনি সাধারণ মার সঙ্গে অস্ত্র সমর্পন ও সশস্ত্র কর্মকাণ্ড রহিত করার জন্য কোনো ডেডলাইন বা আল্টিমেটাম বা চূড়ান্ত সময়সীমা কেন দেননি? কেন ২৬ ফেব্র“য়ারিতেও এই প্রসঙ্গে আবার বলতে হয়েছিল?

প্রশ্ন-১৫: তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২৫ ফেব্র“য়ারি সূর্যাস্তের পর, রাত্রিকালে পিলখানায় যান এবং কিছু পরিবারকে উদ্ধার করেন। তিনি অস্ত্র সমর্পন গ্রহণ করেন। তিনি বিদ্রোহী প্রতিনিধিদের সঙ্গে, প্রধান ফটকের বাইরে একটি স্থানে আলোচনাও করেন। ঠিক ঐ মুহূর্তগুলোতে, অস্ত্র সমর্পন গ্রহণের সময় বা পরিবারদের সঙ্গে সাাতের সময়, বিদ্রোহীরা পিলখানায় কোনো হত্যাকাণ্ডের সংবাদ দিয়েছে কিনা অথবা পরিবারগণ তাদের স্বামীদের জীবিত বা মৃত থাকার ব্যাপারে কোনো সংবাদ দিয়েছে কিনা অথবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট খোঁজ-খবর নিয়েছেন কিনা জ্যেষ্ঠা কর্মকর্তাদের হালহকিত ও তাদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে। যদি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি দল কোনো ইতিবাচক সংবাদও দিয়ে থাকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি সেই সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মোবাইল ফোনে বা যে কোনো নিয়মে কোনো উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিনা?

প্রশ্ন-১৬: সেনাবাহিনীর সেনাদলকে পিলখানার অভ্যন্তরে ঢুকতে দেয়ার যে সময়, সেটি হচ্ছে ফেব্র“য়ারির ২৭ তারিখ কোনো একটি ঘণ্টায়। ইতিমধ্যেই অস্ত্রসহ পিলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বহু ঘণ্টা সময় পেয়েছে বিদ্রোহীগণ। এই সময় দেয়ার জন্য দায়ী কে?

প্রশ্ন-১৭: বিদ্রোহের পূর্বে বিদ্রোহী নেতাগণ কোন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে কোন কোন সময়ে দেখা করেছেন এবং কী কী বক্তব্য রেখেছেন তার পূর্ণ বিবরণ কী? বিদ্রোহীদের নিকট কি যে কোনো মহল থেকে কোনো টাকা-পয়সা বিতরণ করা হয়েছিল?

প্রশ্ন-১৮: ডিএডি তৌহিদকে, তৎকালীন বিডিআর এর মহাপরিচালক বা ডিজি হিসেবে নিয়োগ দিলেন, বিদ্রোহ শেষ হওয়ার পূর্বেই।

প্রশ্ন-১৯: বাংলাদেশের সকল বাহিনীর, বা সরকারের সকল শাখা-প্রশাখার যত প্রকারের গোয়েন্দা বাহিনী আছে, সেই সকল গোয়েন্দা বাহিনী কে কোন সময় কোন স্তরে, বিদ্রোহের আগে সম্ভাব্য বিদ্রোহ সম্বন্ধে বা বিদ্রোহের সম্ভাবনা সম্বন্ধে খবর পেয়েছিলেন? একই প্রশ্ন বিদ্রোহ চলাকালীন সময়ে সকল গোয়েন্দা বাহিনীর সকল স্তরের জন্য। তারা যা জেনেছিল (যদি), তা কতটুকু তারা তাদের উপরস্তু কর্তৃপকে কোন সময় জানিয়েছিল?

প্রশ্ন-২০: হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে। কোন অফিসারকে কে হত্যা করবে এই সিদ্ধান্ত কে দিয়েছিল, কোন সময় দিয়েছিল? উদাহরণস্বরূপ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিলকে কে হত্যা করবে এবং মেজর জেনারেলর শাকিলের বাসভবনে গিয়ে, তার পরিবারকে কে হত্যা করবে এই সিদ্ধান্তগুলো কে দিয়েছিল, কাকে দিয়েছিল, কখন দিয়েছিল?

জনগণ চায় এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগ সরকারের #পতন, কিন্তু বিএনপি ???

বিষয়: বিবিধ

৩১৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File