মনটা খুব খারাপ কক্সবাজারের জন্য।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:২০:৩৮ দুপুর
মনটা খুব খারাপ কক্সবাজারের জন্য। ওই দিন চকরিয়ায় আমার এক আত্বীয় মারা গেছে । গতকাল আবার কুতুবদিয়া । আমার এলাকার উপর হায়েনার দৃষ্টি পড়েছে।কি লিখব কি বলব আমার জন্মভুমি কক্সবাজারের উপর পড়েছে হায়েনার দৃষ্টি। আমার চোখ পানিতে ঝাপ্সা। দেখতে পাচ্ছিনা কি বোর্ড ।হ্রদয়ে চলছে রক্ত ক্ষরণ। বর্ণ গুলো সব এলোমেলো। তবো ও বলি হায়েনাদের আর কোন ছাড় নয় । বহুত হয়েছে এবার নেওয়া হবে ইনশে আল্লাহ প্রতিশোধ কেবল প্রতিশোধ। জেগে উঠোন আমার প্রান প্রিয় কক্স বাজারের বীর জনতা। আমার প্রিয় বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক বীর জনতা। আর বিজিবিকে বলি..... বিজিবির যে সব অফিসার এখন অবলীলায় নিজের সৈনিককে জনগণের উপর লেলিয়ে দিচ্ছে তাদেরও মনে করা উচিত জাস্ট কয়েকবছর আগে পিলখানায় কি ঘটেছিল। নিজেদেরকে তো রক্ষা করতে পারেনই নি এমনকি নিজেদের স্ত্রী-কন্যাদের সম্ভ্রমের নিরাপত্তা পর্যন্ত পাননি। জনগণের সাথে থাকুন, এভাবে হত্যাকান্ড বন্ধ করুন। পিলখানায় যেমন আপনাদের রক্ষা করতে আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি ভবিষ্যতেও করবে না। জনগণকে হত্যা করা আপনাদের দায়িত্ব নয়। সরকারের নির্দেশের অজুহাত দিয়ে জনগণের রোষ থেকে রক্ষা পাবেন না। একই কথা বলি সরকারী বাহিনী গুলোকে ও ।
কক্সবাজারে কুতুবদিয়ায় পুলিশের গুলিতে জামায়াত-শিবিরের ৫ কর্মী নিহত হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার উত্তর ধূরং বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জামায়াত কর্মী আবু আহামদ (৫৫), শিবিরকর্মী আজিজুর রহমান (২০), স্থানীয় দর্জি পারভেজ (২২), তাজুল ইসলাম (১২) ও ঈসমাইল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয় সমাবেশ করার জন্য জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ধূরং বাজারে সমবেত হয়। এ খবর পেয়ে কুতুবদিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। এসময় সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। এসময় অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই জামায়ত কর্মী আবু আহামদ ও শিবিরকর্মী আজিজুর রহমান নিহত হয়।
গুলিবিদ্ধ আরো ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মহেশখালী-কুতুবদীয়া আসনের সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ বাংলামে্েলিকে বলেন, ‘সমাবেশে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আর দেশের জন্য।
কুতুবদিয়ার ঘটনায় বুধবার বিক্ষোভ কর্মসূচী ও বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে পূর্ণ দিবস হরতাল
পৃথিবীতে এমন কোন দেশ কি আছে যেখানে শান্তিপুর্ন রাজ্নৈতিক কর্মসুচীতে সমবেত নাগরিক্দের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে তাদেরই জীবন রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ????? এমন একটিও দেশ কি আছে ৫ জনের একটি মিছিল দেখলেও ১০০ জন পুলিশ পাগলের মতো গুলি ছুড়তে থাকে ????
হায়!! আমি এক অভাগা জাতির অসহায় নাগরিক হয়ে নির্মমতার এই শহরে নির্বাক পাথর হয়ে বেচে আছি !!!!!!!!!
হা ভাই দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ আছে যার নাম বাংলদেশ।
আবেগের রাশ টেনে ধরুন জনাব! হাজারো হ্যাট্রিকেও ফিরে আসবে না কক্সবাজারের একজন শহীদেরও প্রাণ। বাংলাদেশ হেরে হলেও মানবতা মুক্তি পাক।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় জামায়াত-শিবিরের মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে নির্মম ভাবে কমপক্ষে ৫ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। টেলিভিশন স্ক্রলে দেখাচ্ছে ২-৩।
নিন্দা জানানোর ভাষা নাই। নিহত-আহত ভাইদের জন্য মনটা ছটফট করছে, ইচ্ছে করছে নিহত ভাইদের রক্তের বদলা নিতে এখনই কুতুবদিয়া ছুটে যায়।
আমি বুঝতে পারছি না, ৬০ ঘণ্টার হরতালের শেষ মুহূর্তে পুলিশ এতোটা নির্দয় কেন হল? কার হুকুমে গুলি চালিয়েছে তারা?
আল্লাহ্ নিহত ভাইদের সমস্ত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহত ভাইদের সুস্থ করে দিন।
আল্লাহু আকবার। ৯ জন!!! পুলিশ হঠাৎ এতো নির্মম হল কেন? রাজনৈতিক সমাবেশে কোনো মিলিটারি সরকারও তো এভাবে গুলি চালায় না, ১৪৪ ধারা ভাঙলেও তো এভাবে গুলি চালানোর কথা না। হায়েনা সরকারের পুলিশ নির্মমতার সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলছে।
তোমার কাছে প্রশ্ন?
বাংলাদেশের দামাল ছেলে রুবেল যখন ৬ উইকেট নিয়ে জয়ী হয়ে জাতি হিসেবে তোমায় গর্বিত করে ঠিক তখনই কুতুবদিয়ায় হায়েনা সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে ৬ টি নিরীহ প্রান ঝরে যাবার ঘটনা কি তোমায় লজ্জিত করে ?
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পুলিশের গুলিতে ৬ জন জামাত শিবিরের ভাই শহীদ ,আর রুবেল হোসেনের হাট্ট্রিক সহ
৬ উইকেট শিকার..…
আপাত কাকতালীয় মনে হলেও রুবেলের হ্যাট্ট্রিক সহ ৬ উইকেট শিকার ও বাংলাদেশের জয়ে তোমাদের আনন্দের
চেয়ে আমার কাছে কুতুবদিয়ায় ৬ জন কোরআনের কর্মী শহীদের হবার খবর তার চেয়ে দ্বিগুন কষ্টের…
তাই গতকালের ঘটনার জন্য জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত
না হয়ে লজ্জায় মাথা হেট হওয়া উচিত…..
" দেশপ্রেম আমরা আওয়ামী লীগের কাছে ইজারা দিয়েছি। ৪২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ মানুষকে বিশ্বাস করিয়েছে, এই দেশ, দেশের পতাকা, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান সব শেখ পরিবারের উত্তরাধিকার। এর বাইরে দেশপ্রেমিক বলে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি থাকতে পারে না। পরিবার পরম্পরায় একমাত্র শেখ ডায়নেস্টি ছাড়া এই দেশে ক্ষমতায় যাওয়ার অধিকার অন্য কারোই নেই।"
﴿وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُّؤَجَّلًا ۗ وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الْآخِرَةِ نُؤْتِهِ مِنْهَا ۚ وَسَنَجْزِي الشَّاكِرِينَ﴾
১৪৫) কোন প্রাণীই আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মরতে পারে না৷ মৃত্যুর সময় তো লেখা আছে৷১০৪ যে ব্যক্তি দুনিয়াবী পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে আমি তাকে দুনিয়া থেকেই দেবো৷ আর যে ব্যক্তি পরকালীন পুরস্কার১০৫ লাভের আশায় কাজ করবে সে পরকালের পুরস্কার পাবে এবং শোকরকারীদেরকে১০৬ আমি অবশ্যি প্রতিদান দেবো৷
১০৪ . এ থেকে মুসলমানদের একথা বুঝানো হয়েছে যে, মৃত্যুর ভয়ে তোমাদের পালিয়ে যাওয়ার কোন অর্থ নেই । মৃত্যুর জন্য আল্লাহ যে সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তার আগে কেউ মরতে পারে না এবং তার পরেও কেউ জীবিত থাকেত পারে না। কাজেই তোমরা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার চিন্তা না করে বরং জীবিত থাকার জন্য যে সময়টুকু পাচ্ছো সেই সময়ে তোমাদের যাবতীয় প্রচেষ্টার উদ্দেশ্যে দুনিয়া না আখেরাত কোন্টি হবে, এ ব্যাপারে চিন্তা করো।
১০৫ . পুরস্কার মানে কাজের ফল। দুনিয়ার পুরস্কার মানে, মানুষ তার প্রচেষ্টা ও কাজের ফল স্বরূপ এ দুনিয়ার জীবনে যে লাভ, ফায়দা ও মুনাফা হাসিল করে। আর আখেরাতের পুরস্কার মানে হচ্ছে, ঐ প্রচেষ্টা ও কাজের বিনিময়ে মানুষ তার আখেরাতের চিরন্তন জীবনের জন্য যে ফায়দা, লাভ ও মুনাফা অর্জন করবে। জীবন যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষ যে প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে তার দৃষ্টি ইহকালীন না পরকালীন ফল প্রাপ্তির দিকে নিবদ্ধ থাকবে, ইসলামের দৃষ্টিতে মানবিক নৈতিকতার ক্ষেত্রে এটিই হচ্ছে চূড়ান্ত এ সিদ্ধান্তকারী প্রশ্ন।
১০৬ . শোকরকারী বলতে এমন সব লোকের কথা বলা হয়েছে যারা আল্লাহর বিশেষ নিয়ামতের কদর করে। আল্লাহর এই বিশেষ নিয়ামতটি হচ্ছেঃ তিনি মানুষকে দীনের সঠিক ও নির্ভুল শিক্ষা দিয়েছেন। এ শিক্ষার মাধ্যমে তিনি মানুষকে এ দুনিয়া ও এর সীমিত জীবনকাল থেকে অনেক বেশী ব্যাপক একটি অনন্ত ও সীমাহীন জগতের সন্ধান দিয়েছেন এবং তাকে এ অমোঘ সত্যটিও জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানষের প্রচেষ্টা, সংগ্রাম-সাধনা ও কাজের ফল কেবলমাত্র এ দুনিয়ার কয়েক বছরের জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এ জীবনের পর আর একটি অনন্ত অসীম জগতে এর বিস্তার ঘটবে । এ দৃষ্টির বাপকতা, দূরদর্শন ক্ষমতা ও পরিণামদর্শিতা অর্জিত হবার পর যে ব্যক্তি নিজের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমকে এ দুনিয়ার জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ে ফলপ্রসু হতে দেখে না অথবা তার বিপরীত ফল লাভ করতে দেখে এবং এ সত্ত্বে এ আল্লাহর ওপর ভরসা করে কাজ করতে থাকে, কেননা আল্লাহ তাকে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, আখেরাতে সে অবিশ্য এর ভালো ফল পাবে- এহেন ব্যক্তিই হচ্ছে আল্লাহর শোকর গুজার বান্দা। এর বিপরীতে যারা এরপরও সংকীর্ণ বৈষয়িক স্বার্থ পূজায় নিমগ্ন থাকে এবং দুনিয়ায় সঠিক প্রেচষ্টাগুলোর ফলবতী হবার আশা থাকে না অথবা সেগুলো ক্ষতি হবার আশংকা থাকে, সেখানে আখেরাতে সেগুলোর ভালো ফলের আশায় তাদের জন্য নিজেদের সময়, অর্থ-সম্পদ ও শক্তি-সামর্থ ব্যয় করতে প্রস্তুত হয় না, তারাই সত্যিকার অর্থে না-শোকরগুজার ও অকৃতজ্ঞ বান্দা। আল্লাহ তাদেরকে যে জ্ঞান দান করেছেন তাদের কাছে সেই জ্ঞানের কোন মূল্য নেই।
.
﴿وَكَأَيِّن مِّن نَّبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ﴾
১৪৬) এর আগে এমন অনেক নবী চলে গেছে যাদের সাথে মিলে বহু আল্লাহ ওয়ালা লড়াই করেছে৷ আল্লাহর পথে তাদের ওপর যেসব বিপদ এসেছে তাতে তারা মনমরা ও হতাশ হয়নি, তারা দুর্বলতা দেখায়নি এবং তারা বাতিলের সামনে মাথা নত করে দেয়নি৷১০৭ এ ধরনের সবরকারীদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন ৷(সূরা আলে ইমরান -১৪৫,১৪৬)
কিছু আদর্শ আছে----
যা কলা গাছের মতন... একটা কাটলে সেটার মধ্য থেকে এমনকি আসপাশ থেকে আবার জন্মায়।
যা টিকটিকির লেজের মতন... কারো আক্রমণে খসে গেলেও সেই ক্ষতস্থান থেকেই আবার বৃদ্ধি পেতে থাকে।
যা বিসুভিয়াসের মতন... কখন যে অগ্নি উদগীরণ করে তা বলা মুশকিল।
বিষয়: বিবিধ
২০১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন