আমি যাচ্ছি ! কেন যাচ্ছি?

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৪ অক্টোবর, ২০১৩, ০২:৩৮:২৯ দুপুর



আমার প্রাণপ্রিয় ব্লগার বন্ধুদের জন্য আমার এই লেখাটি।

আগামী ২৫শে অক্টোবর শাহাদাতের বাসনা নিয়ে রাজপথে শহীদি মিছিলে আমি যাব ইনশাল্লাহ। কিন্তু নিজের জান বাজি রেখে আমি কেন রাজপথে যেতে চাচ্ছি? আমার নিয়ত বা উদ্দেশ্য কি? তাহলে এক এক করে বলি। আমি মনে প্রাণে যা বিশ্বাস করি এবং যা চাইঃ

১) ১৮ দলীয় জোট আন্দোলন সংগ্রাম করে নির্বাচনে জয়লাভ করলে সংবিধান থেকে ইসলাম বিরোধী সকল ধারা নিষিদ্ধ হবে।

২) ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক বর্তমান শিক্ষানীতি বাতিল হবে।

৩) আলেম-ওলামাদের নির্যাতন, হয়রানী বন্ধ হবে।

৪) টুপি-দাড়ি, গিরার উপর প্যান্ট পরা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা বন্ধ হবে।

৫) শাহবাগে জড়ো হয়ে কিছু বাপে খেদানো আর মায়ে তাড়ানো পথভ্রষ্ট তরুণ-তরুণীদের ‘তুই রাজাকার তুই রাজাকার’ বলে ইসলাম, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ইসলামী প্রতিষ্টান নিয়ে বিষোদগার এবং প্রতিহিংসা চর্চা বন্ধ হবে।

৬) কুরআনের তাফসীর মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি বন্ধ হবে।

৭) যখন তখন বাসা-বাড়ি, ক্লাব, হলরুম, সভা-সেমিনার থেকে বিনা ওয়ারেন্টে পাইকারী ভাবে গ্রেফতার বন্ধ হবে।

৮) জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ বলে মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে।

৯) মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের নামে অবিচার বন্ধ হবে এবং সুষ্টু তদন্ত, আন্তর্জাতিক বিচারক ও প্রসিকিউশনের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানী বন্ধ হবে, একই সাথে সত্যিকারের অপরাধীদের বিচার হবে।

১০) বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের উপর আস্থা রাখছি, তিনি বলেছেন ১৮দলীয় জোট নির্বাচিত হলে দেশে নতুন ধারার রাজনীতি চালু হবে এবং দেশ থেকে খুন, গুম, ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হবে ইনশাল্লাহ্‌।

উল্লেখিত এই কারনগুলো অত্যন্ত সরল মনে বিশ্বাস করে আমি আগামী ২৫শে অক্টোবর জান বাজি রেখে রাজপথে নামছি। আমি মনে করি রাজপথে যদি আমি বাতিলের আঘাতে নিহত হয় তাহলে আল্লাহ্‌ আমার সমস্ত ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে আমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করবেন ইনশাল্লাহ, কারন আমার নিয়ত পরিষ্কার এবং কোনো খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য আমি রাজপথে নামছি না। রাসুলুল্লাহ সাঃ-এর দুইটি প্রসিদ্ধ হাদিস আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

>আমীরুল মু’মিনীন আবূ হাফস উমার বিন খাত্তাব (রাHappy থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সাHappy কে বলতে শুনেছি যে, সকল কাজের পরিণাম নিয়ত অনুযায়ী হবে । প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিয়ত নিয়ে কাজ করবে সে তাই পাবে । সুতরাং যার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়েছে, তার হিজরত আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই ধরা হবে । পক্ষান্তরে যার হিজরত দুনিয়া লাভ বা কোন মেয়েকে বিয়ে করার নিয়তে হয়েছে তার হিজরত উক্ত উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই পরিগণিত হবে । [ বুখারী-৬৬৮৯. মুসলিম-১৯০৭ ]

>আবু হুরাইরা আবদুর রাহমান বিন শাখর (রাHappy থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাHappy বলেছেন: মহান আল্লাহ তোমাদের শরীর এবং আকৃতির দিকে দেখেন না, বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে দেখেন । [ মুসলিম-২৫৬৪ ] —

বিষয়: বিবিধ

১২২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File