দেশদ্রোহী হতে রাজী।খোদাদ্রোহী হতে রাজী নই।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৯:২৩:১৬ সকাল
আমরা মুসলিম, একমাত্র আল্লাহ’কে স্বাব´ভৌম ক্ষমতার মালিক মেনে আল্লাহ প্রেমী,দেশদ্রোহী হতে রাজী।না মেনে মুশরিক খোদাদ্রোহী হতে রাজী নই।একমাত্র আল্লাহ’ই সকল ক্ষমতার উৎস”। মে ..এর ব্যতিক্রম চিন্তা করলেই শিরক হবে।তখন আপনার হজ্ব যাকাত,নামাজ, রোজা,দান -খয়রাত,দ্বীনের প্রতি মায়া মহব্বত পরকালে কোন কাজে আসবে না।আর আপনার পরিচয় হবে মুশরিক। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন নিজের প্রয়োজনেই।
আসুন এবার একটা রুপকথার গল্প শুনাই.......
প্রথমে তাদেরকে 'স্বাধীনতা বিরোধী' বললাম, কাজ হল না। তারপর বললাম 'ঘাতক', তাতেও কাজ হল না। এরপর 'রগ কাটা' বললাম, কিন্তু তারপরেও দলে দলে মানুষ এদের সাথে যোগ দিল। তারপর বাজারে আনলাম 'যুদ্ধাপরাধী' ইস্যু, কিন্তু তাতে ওদের পায়ে কুড়াল পড়লই না, নিজের পায়েই কুড়াল বসানো হল। হাজারে হাজারে গ্রেফতার করলাম, কি ঘরে কি বাইরে, কি লঞ্চে, কি বাসে, কি ট্রেনে, বিয়ে বাড়ি থেকে মুরগীর ঠ্যাং চিবানো অবস্থায় তাদের ধরে বেঁধে নিয়ে এলাম, গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় গ্রেফতার করলাম, হাসপাতালের বিছানায় অসুখে কাতরানো অবস্থায় গ্রেফতার করলাম, রিমান্ডে নিলাম, চোখে লাল মরিচ ডললাম, হাত পায়ের নখ উপড়ে ফেললাম, মেরে হাড্ডি মাংস সব এক করলাম, গুলি মারলাম, বোমা মারলাম, টিয়ারশেল মারলাম, রাবার বুলেট মেরে তাদের বুকগুলো ঝাঁঝরা করে দিলাম, বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী হাজার হাজার মামলা দিলাম, কারো বিরুদ্ধে ২ কম ১০০, কারো বিরুদ্ধে ৫০, কারো বিরুদ্ধে ৬০।
তাদের বিরুদ্ধে ২ ডজন টেলিভিশন চ্যানেল খুললাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৫ ঘণ্টা তাদের বিরুদ্ধে টকশোর আয়োজন করলাম। ফাঁসী পর্যন্ত দিলাম।
ও মা এ কি!!! একটি মাত্র ফাঁসীর রায়ে তাদের মধ্যে ২০০ জন রাজপথে নিজের জীবন দিয়ে দিল? এত্ত গুলো কারাজীবন আর এত্ত গুলো ফাঁসী, কিছুতেই তাদের কিছু হচ্ছে না যেন। তাদের জোটে ভাঙন সৃষ্টি করার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা খরচ করলাম, তাদের শরীক দলকে নসিহত করলাম, ওদের সঙ্গ ছাড়েন, লাভবান হবেন। কিন্তু কেউ কথা শুনল না, সব টাকা গচ্চা গেল। আমাদের ক্ষমতা ছাড়ার আর খুব বেশীদিন বাকী নেই। কিন্তু ওদের ক্ষতি আর কিভাবে করতে পারি?
তারপর বললাম তারা জনগণকে স্বাব´ভৌম ক্ষমতার মালিক মানে না অত এব তারা স ংবিধান বিরোধী তাই নিবন্ধন বাতিল।তাতে ও কিছু হল না...।
হুম, উপায় অবশ্য একটা আছে। ছলে বলে কৌশলে যদি তাদের নিজেদের মধ্যে একটা ফাটল সৃষ্টি করে দেয়া যায়(!) কট্টরপন্থী আর মধ্যমপন্থী নামে যদি দুইটা রূপকথার কল্পনার গ্রুপ করে দেয়া যায়(!) ইশশ কতই না ভালো হতো! মধ্যমপন্থীকে ভালো আর কট্টরপন্থী খারাপ এই ধারনা যদি তাদের দলের কর্মীদের মধ্যে বদ্ধমূল হয়, তাহলে তো ওরা নিজেরা নিজেরা ঝগড়া মারামারি করে ধ্বংস হয়ে যাবে, তখন আমরা এই বাংলার মাটিতে আবার হায়েনাগিরি করতে পারব। এই কয়েকদিনের মধ্যে যদি ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যায়, তাহলে মন্দ কি!!! মতি ভাইকে ফোন লাগাও, ‘একটা কাহিনী সাজান তো মতি ভাই, দেখেন তো কিছু হয় কি না, গুলি/টিয়ারশেল তো সব শেষ মতি ভাই, এখন আপনারা কিছু একটা করেন।’
https://www.facebook.com/bongo.mitro সুত্র হতে নিচের অংশ...
ব্রেকিং নিউজঃ ফাঁস হয়ে গেল ২৩ অক্টোবরের পর থেকে আওয়ামিলীগের পরিকল্পনা!!!
১) ২৩ অক্টোবর রাতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর।
২) ২৪ অক্টোবর সকাল থেকেই জায়াত শিবিরের তুমুল আন্দোলন। জামায়াতে-শিবিরের প্রচুর নেতা কর্মীকে হত্যা করা হবে।
৩) এই সময় আওয়ামিলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রচুর পরিমানে সংখ্যালগুদের মন্দির, বাড়ি ভাঙ্গবে, আগুন দিবে। আওয়ামিলীগ ও তাদের কিছু চিহ্নিত মিডিয়া দেশবাসি ও বিশ্বের কাছে প্রচার করবে এটা জামায়াত-শিবির করতেছে। আর এই কারনেই সরকার জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদেরকে হত্যা করতেছে!!
৪) ২৫ অক্টোবর থেকে জরুরি অবস্থা জারি।
৫) ১/১১ এর মত আবার আর্মি ব্যাকড সরকার গঠন।
৬) ফলাফল, আবারও ১/১১ নির্বাচনের মত একটা নির্বাচন করে হাসিনাকে পূনর স্থাপন!!
সূত্রঃ দায়ত্বশীল একজন আর্মির মেজর।
এবারও বিএনপি দর্শক হয়ে থাকবে।
মোরাল অব দ্যা স্টোরিঃ বিএনপি আওয়ামিলীগের চিন্তা চেতনার অনেক দূরে ঘুরপাক খায়!!!-- বঙ্গ মিত্র
বিষয়: বিবিধ
৩২০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন