আমাদের জাতীয় কবি ও জাতীয় ফল

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৫৬:৫৭ বিকাল



নজরুল

২৭শে আগস্ট ২০১৩ তারিখে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হলো। খুব সাদামাটা ভাবে দিনটি চলে গেল। রবীন্দ্রনাথ এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী যত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জমকালো ভাবে উদযাপিত হয়, তেমন কিছুই হলোনা। আমার বিবেচনায় “জাতীয় কবি” হিসেবে তাঁকে আমরা কখনোই যথার্থ মূল্যায়ন করিনি, এখনো করি না। আমাদের সংস্কৃতিসেবীদের আবার “রবীন্দ্রপ্রীতি” একটু বেশীই। ওটা মনে হয়ে “জাতে ওঠার” মই।

আমাদের সাংস্কৃতিক অংগন ভারতপ্রেমীতে সয়লাব। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত মাতামাতি, মাখামাখি, নাচানাচি, লাফালাফি, তার সিকি ভাগও জাতীয় কবিকে নিয়ে হয় না। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক বলে, এটা ইচ্ছাকৃত। জাতীয় কবিকে খাটো করার উদ্দেশ্যে না হলেও রবীন্দ্রপ্রীতির আধিক্যের কারণেই এই অবহেলা। নজরুলকে “বিদ্রোহী” কবি আখ্যা দিয়ে সীমিত গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ করে রেখে রবীন্দ্রনাথকে “বিশ্বকবি” আখ্যা দিয়ে “ভগবান” এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এগুলো একশ্রেণীর লোকের মানুষিক বিকারগ্রস্থতার পরিচায়ক।



কাঁঠাল

জাতীয় কবির সাথে জাতীয় ফল এর কথা বলছি এ কারণে যে, আমাদের দেশের সব মানুষের কাছে আম

“আম” খুব প্রিয় ফল। এক অনানুষ্ঠানিক জরীপে দেখেছি, শতকরা ৯০% বা তার বেশী লোকের কাছে আম সবচেয়ে প্রিয় ফল। কিন্তু তারপরও কাঁঠালকে কেন জাতীয় ফল বানানো হলো তা আমার জানা নেই। আমাদের দেশের অনেক কিছুর মধ্যেই ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটাও ষড়যন্ত্র কিনা জানিনা। এই কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল হলেও আমাদের সমাজে সমাদৃত নয়, বরং অবহেলিত।

আজকে জাতীয় ফল যেমন অবহেলিত, জাতীয় কবিও অবহেলিত। জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা বাড়াতে হলে নিজেদের জাতীয় কবিকে যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে, অন্য দেশের কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে বেশী মাতামাতি করে নয়। নজরুল এর ক্ষুরধার লেখনীতে আমাদের জন্য অনেক দিক নির্দেশনা রয়েছে, আছে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়।

আসুন আমরা সকলে মিলে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর সাহিত্য অধ্যয়ন করি, চর্চা করি এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করি। বিদেশী কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে বেশী মাতামাতি করে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকি।

Abdullahil Amaan Azmi

বিষয়: বিবিধ

২৭১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File