কাশিম পূর কারাগারে আমি??
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:২৫:৪১ সন্ধ্যা
একটু আগে কাশিম পূর কারাগার থেকে আসলাম। একে একে বার জন ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম। সাথে অনেকের ভাবী । অর্থাৎ আমার ভাবী উনাদের বউ এসেছিলেন দেখতে। একসাথে পর্দা করা ৮ ভাবিকে দেখে একজন পুলিশ জিজ্ঞেস করল কাদের মুল্লার সাথে দেখা করতে আসলেন নাকি? কি করি বলেন তো? যদি ও লিখার সাথে বেমানান তবু ও কেন জানি লিখলাম!!!ভাবিদের নিয়ে আসলেন আজাদ ভাই। আসার পথে ভাবিদের কান্নাকাটি । আঃরে ভাবী কক্ষনো চিন্তা করিনি আপনার ভাই এরেস্ট হবে । কত বিপদ থেকে বাঁচল বলেই কান্না শুরু। আরেক ভাবী বলল ভাবী মিছিলে গিয়ে যে ভাইটি হাত পা হারিয়েছেন তাঁর চিন্তা করেন? মুহূর্তেই কান্না স্টপ। আরেক ভাবী বলল বাহির থেকে ভিতরেই নিরাপদ। সাথে সাথে আরেক ভাবী বলে উঠলেন আল্লাহই জানেন কার জন্য কোথায় নিরাপদ। এভাবেই পরিবেশটা প্রাণবন্ত হয়ে উঠল । আল্লাহ প্রত্যেককে ধ্রয্য ধারনের তৌফিক দান করুন। তাদের কষ্ট গুলো দ্বীন কায়েমের পাথেয় হোক , হোক জান্নাতের বিনিময়।যাদের দেখতে গেলাম তাদের কেও এডভোকেট , কেও ডক্টরেট,কেও অধ্যাপক, কেও হাই অফিশিয়াল,
এক ভাবী তো গারদের লোহার রট দেখেই কান্নায় বুক বাসালেন। সবার দেখার মাঝখানে ডাইজেস্টিব বিস্কুট আর জুস দিলাম ভাবিদেরকে ।দিতে গিয়েই ভাবিরা বললেন ভাই আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা এমনিতেই খুশি এগুলোর কি প্রয়োজন ছিল? ভাবিদের খুশিতেই আমরা খুশি কি বলেন?
গিয়ে দেখি যে দিকে থাকাই শুধু শিবির আর শিবির ।
একজনকে খুব মারা হয়েছিল শুনছিলাম । তাঁর সাথে হয়ে গেল দেখা।তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে বলে কি ?পুলিশের মাইর আমাদের শরিরে এক সপ্তার বেশী থাকে না। এটি আল্লাহ্র রহমত। আমরা যা মনে করেছিলাম এটি তাঁর একশত ভাগের একভাগ?।
আরেকজন কে জিজ্জ্ঞাস করাতে সে বলল জাহান্নাম এর চেয়ে কত কঠিনরে ভাই। তাকে লোহার রড গরম করে দু হাঁতে চেক দিয়েছিল হারামিরা। তাইতো বলি এ কাফেলা রুখতে পারে সাধ্য কার এ কাফেলা আল্লাহ্ ছাড়া বাধ্য কার।
কাসিম পুর গেলে আমার কাছে খুব ভাল লাগে কারন ঐ খানে আল্লাহর প্রিয় বান্দারা থাকেন এবং সংগঠনের অনেক ভাইদের সাথে দেখা হয় ।
যতই ভাল লাগুক নিরাপরাদ লোকদের এভাবে বন্দি করে রাখা কোন জাতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে আল্লাহ্র গজব যদি চলে আসে তখন আমি আপনি কেউই রেহাই পাব না ।
তাই নিজের প্রয়োজনে একটু দেখতে যাওয়া।
বিষয়: বিবিধ
২৪৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন