বিক্ষিপ্ত মন
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ৩১ জুলাই, ২০১৩, ১১:২৯:২৮ সকাল
আমরা কি চাইনা মৃত্যুর পর কারো স্মৃতিতে জ্বাজল্যমান হয়ে থাকতে যেন কেউ বলে, “আহারে! মানুষটার একটা সুন্দর মন ছিল!” সম্পদ গড়ার পেছনে জীবন ব্যয় করে ফেললেও শেষপর্যন্ত ঐ সম্পদের কোন অংশই আমরা সাথে নিয়ে যেতে পারিনা। কিন্তু একটু হাসি, একটু সুন্দর কথা, একটু সান্তনা, একটু সাহস, একটু সহমর্মিতা, একটু সাহায্য দিয়ে গড়ে তোলা যায় আজীবন সম্পর্ক যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে ওপাড়ে চলে যাবার পরও। সেটাই হোক প্রচেষ্টা।
চারপাশের মানুষগুলোকে দেখে অবাক হই, কত অহংকার মানুষের মনে! রূপের অহংকার, গুণের অহংকার, ক্ষমতার অহংকার, টাকার অহংকার, প্রতিষ্ঠার অহংকার, বংশের অহংকার, পরিচিতির অহংকার, ছেলেমেয়ের অহংকার, শ্বশুরবাড়ীর অহংকার, যোগ্যতার অহংকার, অহংকারের শেষ নেই! আমার মতই হয়ত অবাক হয়ে আলী (রা) বলেছিলেন, “মানুষের এত কিসের অহংকার যার শুরু একফোঁটা রক্তবিন্দুতে আর শেষ মৃত্তিকায়?” কুর’আন পড়তে গিয়ে দেখতাম একটু পর পর আল্লাহ মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে জমাট রক্ত থেকে, মাটি থেকে, নোংরা পানি থেকে ইত্যাদি। চিন্তা করতাম এই লজ্জাজনক ইতিহাস কেন বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। পরে বুঝতে পারলাম, আল্লাহ যেহেতু আমাদের সৃষ্টিকর্তা তিনিই আমাদের চরিত্র সবচেয়ে ভালো বোঝেন। তাই তিনি আমাদের অহংকারকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন আমাদের ক্ষুদ্রতা আর অপবিত্রতার চিত্র দিয়ে। জানিয়েছেন শয়তান ফেরেস্তাদের সরদার হয়েও পতিত হয়েছে কেবল অহংকারের কারণে।
আশেপাশের মানুষগুলো হৃদয় চিরে দেখায় সেখানে কত কি লুকিয়ে আছে, আলতো হাতে পরশ বুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি, যদি তাতে ব্যাথা কিছু কমে! দু’টো কথা, একটু হাসি অনেক সময় মলমের কাজ দেয়। ভাবি এইটুকু তো আমরা সবাই সবার জন্য করতে পারি, নিখরচা এইটুকু কাজে দু’টো মিনিট সময় ব্যায় করতে কেন যে আমাদের এত অনীহা!
সংগ্রহঃ সোনার বাংলা ব্লগে লিখিত রেহনুমা বিনত আনিস এর বিভিন্ন লেখা থেকে।
বিষয়: বিবিধ
২২৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন