সময় নেই তাই শিরনাম হীন ও অগোছালো নিজগুণে ঠিক করে পড়বেন।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২২ জুলাই, ২০১৩, ০৩:২১:০৪ দুপুর

আশাজাগানিয়া পোস্ট ।

রাসূল (স) এর ওফাতের পরে আহনাফ নামক আরবের এক বিখ্যাত সর্দার ইসলাম গ্রহণ করেন । একদিন তাঁর সামনে এক ব্যক্তি কোরআনের এই আয়াতটি পড়লেন-" আমি তোমাদের কাছে এমন একটি কিতাব নাযিল করেছি যাতে তোমাদের কথা আছে অথচ তোমরা চিন্তা-ভাবনা করোনা ।" (সূরা আম্বিয়া- ১০)

যেহেতু আহনাফ (রা) আরবী সাহিত্যে সুদক্ষ ছিলেন তাই তিনি কুরআনের এই আয়াতটিতে উল্লেখিত, "তোমাদের কথা আছে" শব্দটি দ্বারা বেশ

অনুপ্রাণিত হন । কুরআন বের করে এর মমার্থ তিনি খুঁজতে শুরু করেন । এমন কিছু আয়াত তিনি খুঁজে পেলেন যাতে অনেক উঁচু স্তরের ঈমানদারদের কথা উল্লেখ রয়েছে ,আবার বেশ কিছু আয়াতে খোদায়ী গজবে আপতিত

ব্যক্তিদের কথা ও উঠে এসেছে । কিন্তু তিনি কারো সাথেই নিজের ছবির মিল পাচ্ছিলেন না ।

তার মনে নিজের ঈমানের যেমন দৃঢ় বিশ্বাস ছিল,তেমনি নিজের গুনাহখাতার স্বীকৃতিও সেখানে সমানভাবে মওজুদ ছিল । কোরআনের পাতায় তাই এমন একটি ছবির সন্ধান তিনি করছিলেন যাকে তিনি একান্ত নিজের বলতে পারেন । তার সাথে আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা ও দয়ার প্রতিও তিনি ছিলেন গভীর আস্থাশীল । তিনি নিজের নেককাজগুলোর ব্যাপারে এমন খুব বেশী অহংকারী ও আশাবাদী ছিলেন না । তেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকেও নিরাশ ছিলেন না । কোরআনের পাতায় তিনি এমন একটি "ভালো-মন্দ"

মেশানো মানুষের ছবি খুঁজছিলেন এবং তার একান্ত বিশ্ব্বাস ছিলো, এমনি একটি মানুষের ছবি অবশ্যই তিনি এই জীবন্ত কিতাবের কোথাও না কোথাও পেয়ে যাবেন । কেন, তাঁরা কি আল্লাহর বান্দা নয় ? যারা ঈমানের দৌলত পাওয়া সত্ত্বেও নিজেদের গুনাহর ব্যাপারে থাকে একান্ত অনুতপ্ত । কেন, আল্লাহ তায়ালা কি এদের সত্যিই নিজের অপরিসীম রহমত থেকে মাহরুম

রাখবেন ? এই কিতাবে যদি সবার কথা থাকতে পারে তাহলে এ ধরণের লোকের কথা থাকবেনা কেন ? এই কিতাব যেহেতু সবার, তাই এখানে তার

ছবি কোথাও থাকবে না এমন তো হতেই পারে না !

তিনি হাল ছাড়লেন না । এ কিতাবে নিজের ছবি খুঁজতে লাগলেন । আবার তিনি কিতাব খুললেন । কোরআনের পাতা উল্টাতে উল্টাতে এক জায়গায় সত্যিই হযরত আহনাফ নিজেকে আবিষ্কার করলেন । খুশীতে তার মন ভরে উঠলো, আজ তিনি কোরআনে নিজের ছবি খুঁজে পেয়েছেন; সাথে সাথে তিনি বলে উঠলেন,হ্যাঁ, এই তো আমি !

হ্যাঁ, "এমন ধরণের কিছু লোকও আছে যারা নিজেদের গুনাহ স্বীকার করে । এরা ভালো মন্দ মিশিয়ে কাজকর্ম করে। কিছু ভাল কিছু মন্দ ! আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা এদের ক্ষমা করে দেবেন। অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা বড় দয়ালু, বড় ক্ষমাশীল ।" (সূরা আত তাওবা-১০২)

হযরত আহনাফ আল্লাহ তায়ালার কিতাবে নিজের ছবি খুঁজে পেয়ে গেলেন, বললেন, হ্যাঁ, এতক্ষণ পর আমি আমাকে উদ্ধার করেছি । আমি আমার গুনাহের কথা অকপটে স্বীকার করি । আমি যা কিছু ভালো কাজ করি তাও অস্বীকার করি না । এটা যে আল্লাহর একান্ত দয়া তাও আমি জানি । আমি আল্লাহর দয়া ও তার রহমত থেকে নিরাশ নই । কেননা, এই কিতাবই অন্যত্র বলেছে, "আল্লাহর দয়া থেকে তারাই নিরাশ হয় যারা গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট ।" (সূরা আল হিজর-৫৬)

হযরত আহনাফ দেখলেন, এসব কিছুকে একত্রে রাখলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে তার ছবি ! কোরআনের মালিক আল্লাহ তায়ালা নিজের এ গুনাহগার বান্দার কথা তার কিতাবে বর্ণনা করতে ভুলেননি !

হযরত আহনাফ কোরআনের পাঠকের কথার সত্যতা অনুধাবন করে নীরবে বলে উঠলেন- হে মালিক,তুমি মহান,তোমার কিতাব মহান, সত্যিই তোমার এই কিতাবে দুনিয়ার গুণী-জ্ঞানী, পাপী-তাপী, ছোট-বড়, ধনী-নির্ধন, সবার কথাই আছে । তোমার কিতাব সত্যিই অতুলনীয় অনুপম !!!



হুজুর তেঁতুল কইছে এটাই সমসা ! ছাত্রলীগ তেঁতুল খাইছে তাতেও সমস্যা নাই।

হাছিনার ছেলে ইহুদী বিয়ে করলেও তাদের ধর্ম টিকে থাকে আর শফী সাহেব তেঁতুল বলে আওয়ামী লীগ কর্তৃক কাফের ঘোষিত হয়েছেন ।

মানে যত দোষ হুজুরের ! সারা দেশের ধর্ষণের চ্যাঞ্চুরী হচ্ছে তাতে সমসা নাই কিন্তু হুজুর এই কথা কি করে বললেন ?

হুজুরের তো শুধু নামাজ পড়ানর অনুমতি আছে ! আর যা করার সব আওয়ামী লীগের অধিকার ।

''এই সরকার ক্ষমতায় থাকতেই বেশকিছু রায় কার্যকর করা হবে।'' -প্রধানমন্ত্রী

''এই মেয়াদের মধ্যেই কমপক্ষে একটি রায় কার্যকর করা হবে।'' -আইন প্রতিমন্ত্রী

''এই সরকারের আমলে সকল যুদ্ধাপরাধীকে ফাঁসী দেয়া হবে।'' -তথ্য মন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে এই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা 'ফাঁসী' বা 'রায় কার্যকর' নিয়ে খোদার ৩০ দিন ৩৬ রকমের কথা বলছেন!!

আচ্ছা বিচারটা কোথায় হচ্ছে???

ট্রাইবুনাল নামক রঙ্গ মঞ্চে নাকি আওয়ামিলীগের দলীয় কার্যালয়ে???

ফড়িং মিনিষ্টারের আফসোস- তার কেনো আলাদা জেট বিমান নাই!!

থাকলে চার বয়ফ্রেন্ডের একেকটাকে একেকদিন নিয়া ওই বিমানেই......করতে পারতো!

[তার এক আত্মীয় আমার বাসায় এসে বলে গেছিলেন, দীপু পাঁচটা স্বামী পুষে! (একটা বর, বাকীগুলা ভাউরা). বিদেশ যাবার কালে যখন যেটা ইচ্ছা সাথে নিয়ে যায়!]

হাসিনাকে চটকানা মারা দরকার- এই বস্তাপচা ঘুটেকুড়ানিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানানোর জন্য। যে জানে না ‘বাফার ষ্টেট’ কি, তাকে বানায় ফরেন মিনিষ্টার! মন্ত্রী হওয়ার পরে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, বাংলাদেশ কি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বাফার ষ্টেট....দীপু না বুঝেই হ্যা বলে! পরে সৈয়দ আশরাফ তাকে ধমকায়। দিপুর সামনে ভারতীয় হাইকমিকশনার বলেছিল বাংলাদেশ খেকে ভারতে যারা যায়, তারা গুন্ডা বদমাশ...অথচ দিপু ছিল চুপ! আসলে হাসিনা এবার কেবিনেট বানাইছে তার অনুগত, বোস্কাটানা, হাত পা টিপা পার্টি, বদমাইশ, আর বেআদব গুলারে দিয়া। এগুলা অকর্মা, চোর, এবং দেশপ্রেম বিহীন।

দিপু মনির যোগ্যতা হইলো ২০০৭ সালে মইন শাসনের সময় হাসিনা যখন সুধাসদনে গৃহবন্দী ছিল, তখন এই দীপু রাস্তায় বসে থাকতো। আর্মির কাছে নিজেকে হাসিনার ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভিতরে ঢুকতো। (আসলে কিন্তু সে কোনো ডাক্তারি জানে না, পড়েছে কেবল, প্রাকটিস করেনি কখনো) হাসিনার দুর্দিনে ঐ আসা যাওয়া, খাওয়া দাওয়া, খোঁজ খবর দেয়ার সার্ভিস দিয়া এবং বিভিন্ন ট্যুরে গেলে তার সেবাযত্ন কইরা হাসিনার ব্যক্তিগত চাকরানির দায়িত্ব পালন করেছিল দীপু। এই যোগ্যতায় তাকে বানানো হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী! মোট কথা এবারে চাকর বাকরের কেবিনেট!

ফড়িং মিনিষ্টারের দায়িত্ব পাওয়ার পরে গত পৌনে পাঁচ বছরের মধ্যে দীপু দু’বছরই (৬০০ দিন) কাটিয়েছে বিদেশে!!! সব খরচ রাষ্ট্রের- এমনকি দিল্লিতে তার প্রথম স্বামী নেওয়াজের বাঁশি শুনতে যাওয়ার খরচও। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বাজেট দিপু শেষ করে তিনমাসেই! ফলাফল কিন্তু অশ্বডিম্ব! বিদেশে ১৮৭টি ট্যুরে মধ্যে বহু অপ্রয়োজনীয়। মন্ত্রীর একেকটি প্যাকেজ ট্যুরে (সফরসঙ্গীসহ) ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিল হয়। এতে করে দীপুমনি দেশের কত ক্ষতি করেছে সেটা বের করার জন্য সরকার বদলের পরে একটা আলাদা তদন্ত করে ক্ষতিপুরনের টাকা ওর কাছ থেকে আদায় করতে হবে পিডিআর এক্টের মাধ্যমে।

তবে যতই ডাট মারো আর মাঞ্জা মারো, কোনো লাভ নাই, মনি বেগম। বাংলাদেশের জমি, পোর্ট, করিডোর, পানি, রাস্তা ইত্যাদি এবং সর্বোপরি সার্বভৗমত্ব ভারতের হাতে একতরফাভাবে তুলে দেওয়ার অপরাধে তোমারও বিচার হবে বাংলার মাটিতে, সে দিন বেশী দেরী নাই।

খমতা শেসে এইবাবে তারা পালাইবে তাই আকনি শবাই সতর্ক হন। কারন অদের খমতা বেসি দিন নেই.

জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন: প্রধানমন্ত্রীকে অলি

**********************

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জেলে যাওয়ার জন্য

মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লিবারেল

ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি ও সংসদ সদস্য

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহম্মদ।

রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে নগর

ও উত্তর জেলা এলডিপির উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল ও

আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অলি আহম্মদ বলেন, ‘এবার আপনার ও

আওয়ামী লীগ নেতাদের জেলে যাওয়ার পালা।

মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। আপনার মুখে বিরোধীদলীয় নেত্রীর

কথার কটূক্তি মানায় না।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন,

‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ আপনাদের

বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার

ছাড়া নির্বাচন হবে না।’

আগামী দিনে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আওয়ামী লীগ সরকারের

বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে দল ও ১৮-দলীয়

জোটকে শক্তিশালী করতে হবে বলে মন্তব্য করেন কর্নেল অলি।

এলডিপির সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শেয়ারবাজার

কেলেঙ্কারি করেছে। হলমার্ক, ডেসটিনি আওয়ামী লীগের

তত্ত্বাবধানে লুটপাট করেছে।’

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর

পরিচালক বানানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এলডিপি নেতা এম ছলিম উল্লাহর

সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য

জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জামায়াতের সংসদ সদস্য আ ন ম

সামশুল ইসলাম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, ইউনুছ

গনি চৌধুরী ও আহম্মদ খলিল খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সাবধান!! মরনোত্তর কর্নেল তাহেরকে শুধু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই শ্রদ্ধা করা যেতে পারে।

এর উপরে যারা বেশি তৈল এবং ভোকাল কর্ড দিয়ে তাকে বেশি উপরে নিয়ে যাবার চেষ্ঠা করবেন ততই কর্নেল তাহেরকে ঘৃনা করার রাস্তা তৈরি করবেন। সুতরাং সাবধান!! 'থুতু মেঝেতে ফেলে চেটে খাওয়া' ছোট ভাই ভিসি ডঃ আনোয়ার, ছাগলের তিন নং বাচ্চা 'ইনু' আর 'ক্রাচের কর্নেল' বই দিয়ে তাকে বেশি 'হিরো' বানায়ে লাভ নাই। কর্নেল তাহের যে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার কি সুমহান পরিকল্পনা করেছিলেন, তা সমসাময়িক বেশ কয়েকজন অরাজনৈতিক সেনা কর্মকর্তার বইতে উঠে এসেছে। সে সেনাবাহিণীর যে ক্ষতি করেছে তাতে তার কোর্ট মার্শালে ফাঁসী না হলে, কোর্ট মার্শাল সিস্টেমই তুলে দেয়া উচিত। পারলে নিজেরাও বইগুলা পড়ে দেখবেনঃ

১। 'এক জেনারেলের নীরব স্বাক্ষ্যঃ স্বাধীনতার প্রথম দশক', মেজর জেনারেল (অবঃ) মইনুল হোসেন চৌধুরী বীর বিক্রম

২। 'বাংলাদেশঃ রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১', ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) এম সাখাওয়াত হোসেন

৩। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান এবং কিছু না বলা কথা, লেঃ কর্নেল (অবঃ) আব্দুল হামিদ

বইগুলা এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করেও পড়তে পারেন আবার কিনেও পড়তে পারেন।

http://www.mediafire.com/view/q9w43tnwdvtlw1q/5+books+on+1975-81+bloodshed.pdf

জনপ্রিয় ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট দাসত্বের তথ্যবহুল এই ব্লগও পড়ে দেখতে পারেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/Sami_Aero007/29484776

প্রশ্নঃ সহিহ প্রগতিশীল মিডিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ যে মিডিয়া একজন এমপির মুখে শেয়ার মার্কেট খেকো সালমান এফ. রহমানের সমালোচনার জবাব দিতে মরিয়া হয়ে যায়, কিন্তু একজন এমপির পিস্তলের গুলিতে সংসদ চৌহদ্দির ভেতরে দিনে দুপুরে যুবলীগ নেতা ইব্রাহীম খানের হত্যার কথা মনেও রাখে না।

তবে হে ইনডিপেন্ডেন্ট দুই সাংবাদিকে যদি বিএনপি বা জামায়ত বা হেফাজত কর্মীরা পিটাইতো !

তাহলে শাহবাগে প্রতিবাদ সভা হত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে উঠতো সাহবাগিরা ।

সুশীল সমাজের কান্না ,দেখুন তারা কি নিষ্ঠুর । মুক্ত খবর বন্ধ করে ,কন্ঠ রোধ করতে চায় ।

নারীনেত্রীরা বলতো যাদের কাছে পুরুষরাই নিরাপদ নয় নারীরা কিভাবে নিরাপদ হবে !এদের দমন করতেই হবে ।

প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে ছুটে যেয়ে বলতেন ,স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি ।

সর্বপরি এটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র ।

কিন্তু এখন ,সব চুপ । ।

বাচ্চারা পড়তে বসো ।

আজ রাতে মাঠের ওয়াকওয়ে ধরে হাঁটা শুরু করেই খেয়াল করলাম আমার সামনে হাঁটছে দুই তরুন, বয়স বিশ থেকে চব্বিশ হবে বড় জোর। একজনের গায়ে লাল টি শার্ট, আর একজনের গায়ে হাফ হাতা সাদা শার্ট। তাঁদের আলাপের বিষয়বস্তু শোনামাত্র আমার কান খাড়া হয়ে উঠলো। তাই কয়েক ফুট পেছন থেকে তাদের পিছু পিছু হাঁটতে লাগলাম আর শোনার চেষ্টা করলাম তাঁদের কথা।

লাল শার্ট: ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ দেখা যায়, আর দেখা যায় শিবির। ছাত্রদল কই?

সাদা শার্ট: ছাত্রদল আসবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে। কিন্তু শিবির ক্ষমতায় থাক আর না থাক, ওরা ক্যাম্পাসে থাকবেই।

লাল শার্ট: শিবির এত শক্তিশালী হলো কেমন করে?

সাদা শার্ট: পাবলিক ভার্সিটিতেগুলোতে শিবির স্ট্রং এজন্য যে যদি তুমি শিবির করো তাহলে ওরা তোমাকে ওদের কোচিং এ ক্লাস নেবার সুযোগ দেবে। ফলে তোমার টাকা-পয়সার অভাব হবে না। ওরা হলে তোমার জন্য সিটের ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে তোমাকে টিউশনি পাইয়ে দেবে। আর পাশ করার পর দেবে ওদের ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি। তাহলে তুমি কেন শিবির করবা না বলো?

লাল শার্ট: কিন্তু ওরা তো নামাজ পড়ে! আমার এক বন্ধু আছে শিবির করে, সেদিন টিভিতে দেখি কারওয়ান বাজারে শিবিরের মিছিলে সে। আমি তো প্রথমে চিনতেই পারিনি। এত ভালো একটা ছেলে কেন যে শিবির করে!

সাদা শার্ট: নামাজ তো যে কেউই পড়তে পারে। এজন্য শিবির করা লাগে না। তবে শিবিরের মধ্যে একটা গুণ আছে। সেটা হলো তাদের চেইন অব কমান্ড খুব স্ট্রং।

লাল শার্ট: হ্যাঁ, এই জিনিসটা আমিও দেখছি। আমার ঐ বন্ধুটা গতবার ঈদে বাড়ি যায়নি। তাদের নেতারা নাকি বলেছে ঈদে ক্যাম্পাসে থাকতে হবে। তাই সে বাড়ি যেতে পারেনি। কী অদ্ভূত কমান্ড ব্যবস্থা এদের!

সাদা শার্ট: হ্যাঁ। এরা নেতাদের নির্দেশে নিজেদের জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। তবে এদের আর একটা জিনিস আছে। এরা কারও সাথে কখনো দুর্ব্যবহার করে না। আর সিগারেট, মদ-গাঁজা, মেয়েদের সাথে মেলামেশা এই সব কাজে এদেরকে তুমি কখনোই দেখতে পাবা না।

লাল শার্ট: হুম, আমার ঐ বন্ধুটার মধ্যেও এরকম ব্যাপারগুলোই দেখেছি। সে যদিও আমাকে শিবিরের কয়েকটা বৈঠকে যেতে বলেছিল, কিন্তু আমি যাইনি। আব্বু আমাকে রাজনীতির সাথে ইনভলভ হতে নিষেধ করেছে।

সাদা শার্ট: খবরদার, তুমি ভুলেও ওদের কোন কাজে যেও না। শিবিরের ছেলেগুলো ভালো এটা ঠিক, কিন্তু ওরা তোমার মগজ এমনভাবে ধোলাই করবে যে তুমি আর ওদের কাছ থেকে ছুটে বের হতে পারবে না।

রাত এগারটা বাজতে পাঁচ মিনিটের মতো বাকি। এগারটায় মাঠের গেটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আমার সামনের দুই তরুন ওয়াক ওয়ে ছেড়ে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে গেল মাঠের বাইরে। আমারও জগিং শেষ। হাঁটা দিলাম বাসার উদ্দেশে।

অনেকদিন পর আমি বুঝতে পেরেছি কিছু কথা

১) সব অশ্রু কান্না হয়না। শুধু আল্লাহর ভয়ে আল্লাহর সান্নিধ্যে আখিরাতের নাজাতের জন্য কান্নায় একমাত্র গ্রহন যোগ্য কান্না ।

২) ভাললাগার বা ভালবাসার পেছনে কোন যুক্তি কাজ করেনা। এটা ভুল ও মিথ্যা কথা । ভাললাগার বা ভালবাসার পেছনে একটা যুক্তি কাজ করে তা হল আল্লাহর আরশের নীচে স্থান পাবার জন্য একে অন্য কে পছন্দ করব বা ভালবাসব ।

৩) সময়ের সাথে সাথে সত্যিকারের ভালবাসা বাড়তেই থাকে। এটাও ভুল কথা । সময়ের সাথে সাথে সত্যিকারের ভালবাসা হ্রাস বৃদ্ধি হতে থাকে । কারন যে ইসলাম কে ভালবাসে সে আপনাকে অনেক ভালবাসবেন। না হলে সে দূরে সরে যাবে ।

৪) খুব মন দিয়ে আল্লাহর কথা আল্লাহর সৃষ্টির কথা ভাবলে কোন এক আশ্চর্য উপায়ে আপনার মনেও সেই ভাবনার কারনে রহমতের ইনশাল্লাহ ছায়া পড়ে যাবে ।

৫) আল্লাহকে যত বেশী ভালবাসা যায়, দুনিয়ার প্রতি বা মানুষের প্রতি আপনার অভিমানের পরিমাণটাও একই হারে কমতে থাকে।

৬) আল্লাহ কে ভালবাসায় দুনিয়ার সুখ ১০ ভাগ বাকিটা আখিরাতের জান্নাত লাভের সুখের জন্য ৯০ ভাগ সেক্রিফাইজ আর ধৈর্য্য ধারন করতে হবে ।

-ভাইয়া, এই ঈদে আমাকে একটা সানি লিওন পোশাক কিনে দেবে! প্লীজ!

৯ বছর বয়সী চাচাতো বোনের মুখে এমন একটা আব্দার শুনে টাস্কি খাইলাম!

কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না! তাই চুপ করে রইলাম!

-কি হলো ভাইয়া! দেবে না?

-লক্ষি বোন আমার! শোন, সানী লিওন পোশাক পঁচা! আমি তোকে এর চেয়ে ভালো পোশাক কিনে দেবো।

-ওমা! তুমি জানো না! গতকাল টিভিতে দেখাইছে! এবারের ঈদের সবচেয়ে সুন্দর পোশাক সানি লিওন পোশাক। আমার ঐ পোশাকই চাই!

-'এই পাজি! তুই জানিস সানি লিওন কে?' কিছুটা রাগত স্বরে বললাম আমি।

-'কে?' চাচাতো বোনের নিরীহ প্রশ্ন।

-'সানি লিওন একজন পর্ণস্টার!' মুখ ফসকে বলে ফেললাম আমি! এবং আতঙ্কিত হয়ে চাচাতো বোনের পরবর্তী প্রশ্নটা শুনলাম!

-ভাইয়া, পর্ণস্টার কি?

এই প্রশ্নের কোন জবাব খুঁজে পেলাম না! কতটা বিব্রত হয়েছি কাউকে বোঝাতে পারবো না! চাচাতো বোনকে হতভম্ব করে, তাকে কিছু না বলে সোজা বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম!

কিন্তু প্রচন্ড ঘৃণায় মনটা তেঁতো হয়ে গেলো। মিডিয়া এসব কি শুরু করলো? সানি লিওনের মত পতিতাদের পোশাকের বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা কি প্রমাণ করতে চাইছে?

এদেশকে কি তারা পতিতাদের দেশ বানাবে নাকি?

বিষয়: বিবিধ

২২৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File