জামাত বসে বসে আংগুল চুষবে।মোজাহিদের ফাসির রায় ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৭ জুলাই, ২০১৩, ০১:০৪:০১ দুপুর
৭ টি অবিযোগের মধ্যে ৫ টি প্রমাণিত....আদালত।
সবাই প্রস্তুত থাকুন। প্রহসনমূলক রায়ের সাথে সাথে যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই রাজপথে নেমে আসুন।
২ নং অভিযোগের ঘটনা সত্য। কিন্তু মুজাহিদ সাহেব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা প্রমাণে ব্যর্থ প্রসিকিউশন।।আরও একটি অন্যায় রায় আজ... আলী আহছান মোহাম্মদ মুজাহিদ
সাহেবের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ
উত্থাপিত হয়েছে তার কোনটিতেই
তিনি অভিযুক্ত হতেন না;
যদি না তিনি জামায়াতের
সেক্রেটারি জেনারেল হতেন... তাই বলে কি আন্দোলন
থেমে যাবে...?? না... সেটা আরও
দূর্বার গতি পাবে ইনশাল্লাহ। আমি আগেও বলেছি এখনো বলবো...
আওয়ামীলীগ হল বাংলাদেশের
‘ক্যান্সার’ আর
জামায়াতে ইসলামী হল এই
ক্যান্সারের উপযুক্ত ঔষধ।
জামায়াতের উপর আওয়ামীলীগের এই আক্রোশ ঔষধের
বিক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
একটা কথা মনে রাখবেন... ক্ষতে মলম লাগালে একটু চুলকায়,
একটু জ্বলে; এর পরেই প্রশান্তি…
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারক শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এ রায় দেন।
জামায়াত নেতা মুজাহিদের
বিরুদ্ধে আনিত সাতটি অভিযোগের মধ্যে ১নং, ৩নং ৫নং, ৬নং এবং ৭নং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। ২নং অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়। আর ৪নং অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদকে ৬নং ও ৭নং অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
ষষ্ঠ অভিযোগে সেনাবাহিনী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ অপরাধজনক নানা কর্যক্রম, নিয়মিত যাতায়াত, ঊর্ধ্বতন সেনা অফিসারের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী নানা অপরাধের পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র এবং ১০ ডিসেম্বর থেকে পরিচালিত বুদ্ধিজীবী নিধন অভিযানসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
সপ্তম অভিযোগে মুজাহিদের নির্দেশে রাজাকার বাহিনীর ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করে কয়েক জনকে আটক ও ঝুমা রানীকে ধর্ষণ, আটক হিন্দু নাগরিকদের হত্যা করে, বাড়িঘরে আগুন দেয়া এবং অনিল সাহাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
এ রায়ের মধ্যদিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে ছয়টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে উভয় ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঁচটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে তিনটি এবং প্রথম ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
গত ৫ জুন মুজাহিদের মামলার চূড়ান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে দেন।
মুজাহিদের পক্ষে তার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকসহ আইনজীবীরা গত ৪ জুন তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
এর আগে গত ৭ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত মোট চারদিন রাষ্ট্রপক্ষ মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর আসামিপক্ষে সৈয়দ মিজানুর রহমান ও মুন্সি আহসান কবির যুক্তি উপস্থাপন করেন।
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট শাহরিয়ার কবির দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
অপরদিকে মুজাহিদের পক্ষে প্রথম এবং একমাত্র সাফাই স্বাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তার ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর।
গত ২২ এপ্রিল প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলে আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৫ মে দিন ধার্য করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৭টি ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর ১৯ জুলাই ট্রাইব্যুনালে ২৯ পৃষ্ঠার ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উত্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুসহ প্রসিকউশনের সদস্যরা।
গত ২০১০ সালের ২৯ জুন একটি মামলায় মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২আগস্ট এক আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রাজাকার মুজাহিদের জীবনের
ডেঞ্জারাস ২টি ঘটনা :
==============
একবার (সময়টা মনে নেই) ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সহ সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিদের একটা জরুরী বৈঠক ডাকা হল। তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি (খুব সম্ভবত আকন্দ ভাই) ফোন করলেন আলী আহসান মুজাহিদ ভাইকে। ফোন করে বললেন, আমরা আগামীকাল বাদ ফজর আপনার বাসায় আসবো এবং জরুরী বৈঠকে বসব এরপর নাস্তা করে চলে আসব। মুজাহিদ ভাই ঠিক আছে বলে ফোন রেখে দিলেন। কিছুক্ষন পরেই কি মনে করে আবার ফোন ব্যাক করলেন সিপিকে (সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট)।
বললেন, আগামীকাল তোমরা অন্য কোথাও প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করো। সিপি আশ্চর্য হয়েই জিজ্ঞেস করল, কোনও সমস্যা? মুজাহিদ ভাইতো মুখের উপর না বলার মত মানুষ নন। এই প্রশ্নের জবাব মুজাহিদ ভাই প্রথমেই দিতে চাননি। কিন্তু পরে সিপি জোরাজুরি করলে তি দিলেন, তোমরা এতজন সম্মানিত মানুষ আমার বাসায় আসবে, কিন্তু তোমাদেরকে বসতে দেয়ার মত এতোগুলো চেয়ার কিংবা ভাল কোনও সোফা সেট আমার নেই। তাছাড়া, এতজন মানুষের সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করার সামর্থ্যও আমার নেই। তাই বলছি, তোমরা অন্য কোথাও প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করো। একথা শুনে সিপি চোখের পানি ছেড়ে দিলেন। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সেক্রেটারি জেনারেল বলছেন একথা !!! ধরা গলায় সিপি বললেন, সোফার দরকার নেই, আমরা মাটিতেই বসবো এবং নাস্তাও আমরা সঙ্গে করে নিয়ে আসবো, আপনাকে কিছুই করতে হবেনা। এরপর দিন যথাসময়ে আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের বাসায় প্রোগ্রাম শুরু হল।
> আরেকবার খুব সকালে মন্ত্রনালয় থেকে ফোন এল। খুব জরুরী ভিত্তিতে তাঁর অফিসে যাওয়া দরকার। তিনি রেডি হয়ে তাঁর জন্য নীচে প্রস্তুত রাখা সরকারী গাড়ীতে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ছেলে দৌড়ে এল এবং বলল, বাবা, আমি কলেজে যাবো, তুমি যাওয়ার পথে আমাকে নামিয়ে দিয়ো। কিন্তু মুজাহিদ ভাই তাঁর ছেলেকে গাড়ীতে উঠতে দিলেন না। তিনি বললেন, বাবা, এটা তোমার বাবার গাড়ি নয়, এটা মন্ত্রীর গাড়ি। তাছাড়া এই গাড়ী শুধু মন্ত্রনালয়ের সরকারী কাজে ব্যবহার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে, আমার ব্যক্তিগত কোনও কাজে কিংবা তোমাকে কলেজে জন্য নয়। এই বলে তিনি ছেলের হাতে ২০ টাকার একটি নোট ধরিয়ে দিয়ে বললেন, তুমি পাবলিক বাসে করে কলেজে চলে যাও। এই দৃশ্য দেখে চোখের পানি ফেলে দিলেন তাঁর সরকারী পি এস। এই দুটি ঘটনা হল এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর একজন সেক্রেটারি জেনারেলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর এই ব্যাক্তির বিরুদ্ধেই আগামীকাল হয়তো ফাসি/ যাবজ্জিবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
(পি এস থেকে সংগৃহিত)
7 Jul, 2013
ট্রাইব্যুনালে বিচারের রায় শেষে অ্যাম্বুলেন্সে প্রিজন সেলে ফেরার পথে গোলাম আযম বার-কয়েক কবিতা আবৃত্তির মতো করে শুধু বলছিলেন, ‘৯১ বছর বয়স, ৯০ বছর সাজা- ধনে ধান্যে পুষ্পেভরা আমাদেরই বসুন্ধরা।’ এ ছাড়া প্রিজন সেলে পৌঁছানো পর্যন্ত আর কোন কথা বলেননি তিনি। প্রিজন সেলে ফিরেই খানিকটা অসুস্থবোধ করেন তিনি। সে সময়ই তাকে চিকিৎসা দেন তার তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আবু আবদুল্লাহ। রায়ের পর গতকাল সারা দিন বেশ বিমর্ষ ছিলেন তিনি। অন্যদিন তাকে যতটা উচ্ছল দেখা যায়, গতকাল তা দেখা যায়নি। অন্যদিন তিনি প্রিজন সেলের সামনে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের ডাকাডাকি করলেও গতকাল কাউকে ডাকেননি। তবে সূত্রমতে, ভেঙে পড়ার মতো অবস্থাও দেখা যায়নি ৯১ বছর বয়সী গোলাম আযমকে। প্রিজন সেলে আসার পর থেকেই তাকে দেখা গেছে শক্ত মনের মানুষ। কোন ঘটনাই তাকে বেশি বিচলিত করে না। সব সময়ই তিনি স্বাভাবিক থাকেন। রায়ের দিন অধ্যাপক গোলাম আযমকে ট্রাইব্যুনালে নেয়ার বিষয়ে তাকে তার চিকিৎসক এ বি এম আবদল্লাহ চিকিৎসা নোটে লেখেন, প্রিজন সেলের ৩/এ বেডে ভর্তি রোগী গোলাম আযম অ্যাম্বুলেন্সে করে হুইল চেয়ারে বসে আদালতে যাওয়ার জন্য শারীরিকভাবে ফিট। চিকিৎসকের ওই নোট পাওয়ার পর কারাগার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অন্য সংস্থাগুলোকে জানান। ওই দিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে পুলিশের ইন্সপেক্টর আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে র্যাব, ডিএসবি ও এনএসই’র সদস্যদের উপস্থিতিতে তাকে ট্রাইব্যুনালে নেয়ার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বুঝে নেন। আবার আদালত শেষে ইন্সপেক্টর আবদুল হাই তাকে প্রিজন সেলে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেন। বিকাল ৪টায় গোলাম আযমের ওয়ারেন্ট এসে পৌঁছায় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। অধ্যাপক গোলাম আযম প্রিজন সেলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ডা. অধ্যাপক আবু আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বে মেডিকেল টিম তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা শুরু করে। চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, ওই সময়ের পরীক্ষায় তার শারীরিক কোন বড় রোগের সন্ধান মিলেনি। তবে কিছু দুর্বলতা দেখা গেছে। প্রায় ১৯ মাস ধরে গোলাম আযম প্রিজন সেলে চিকিসাধীন। ওই দীর্ঘ সময়ের পরীক্ষায় তার বড় কোন রোগ ধরা পড়েনি। ৯১ বছর বয়সেও তার ডায়াবেটিস নেই, কিডনি ভাল, হার্টের কোন অসুবিধা নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি নিয়মমাফিক জীবনযাপন করেন, নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করেন, নামাজ আদায় করেন, কোরআন তিলাওয়াত করেন, রোজা রাখেন। রমজান উপলক্ষে তার খাদ্যতালিকার কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ওই পরিবর্তন করা হয়েছে তার চাহিদা অনুসারে। প্রিজন সেলে তার খাদ্যতালিকায় দেখা গেছে, তিনি গতকাল সেহরিতে খেয়েছেন চিকন চালের ভাত, সবজি ও মুরগির মাংস। ইফতারিতে বেশি কিছু খাননি। সরবত ও খেজুর দিয়ে ইফতারি করে নামাজ আদায় করেই রাতের খাবার হিসেবে খেয়েছেন চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, মুরগির মাংস ও ফল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপপরিচালক ডা. মোখলেসুজ্জামান হিরু মানবজমিনকে জানান, প্রিজন সেলে গোলাম আযম ভাল আছেন। তাকে মোটেও চিন্তিত দেখা যায়নি। তিনি নিয়মিত স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করছেন।
উৎসঃ মানব জমিন
আমার নামের অর্থ ই আমার কাজের পরিচয় ।মুজাহিদ অর্থ হলো - ইসলামের সৈনিক
আমার সৌ ভাগ্য হয়েছিল সম্ভবত এরেস্ট হওয়ার আগের বছর পবিত্র রমজানেই উনার এলাকা ফরিদ পূর উনার সফর সঙ্গী হিসাবে একই সীটে বসে ঢাকা উত্তরা থেকে ফরিদ পূর এবং একই পথে পুনরায় একই সাথে ফিরে আসার। একই সীটে বসাটা এজন্য উল্লেখ করলাম ,কারণ আমি ছিলাম একজন সাধারণ কর্মী এবং উনার সাথে আমার পূর্বপরিচয় ও ছিল না । কিন্তু আমার সাথে উনার আন্তরিক ব্যবহার আমি কোন দিন ভুলব না । আমার মনে হচ্ছিল আমরা যেন জন্ম জন্মান্তরের বন্ধু। উনার সাথে বসে আমার সার্বিক ব্যাপারে কথা হচ্ছিল কিন্তু কোন হিজিটেশন ছিল না আমার । যাত্রা পথে ফেরী গাঁটে মানুষের প্রতি উনার ভালবাসা দেখেছি ।দেখেছি উনার উদার মহব্বত। উনার সাথে সফরে যাওয়ার পূর্বে উনার সম্পর্কে আমার প্রচণ্ড নেগেটিভ ধারনা ছিল। আল্লাহ্ আমাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ্ তোমার এ মজলুম বান্দাকে সমমানের সহিত আমাদের মাজে ফিরিয়ে দাও।
“যদি সারা দুনিয়ার মানুষ আমাকে সম্মান করে অথচ আল্লাহ আমাকে সম্মানিত না করেন তাহলে এই সম্মানের কোন মূল্য থাকেনা, আর যদি দুনিয়ার সবাই আমাকে অসম্মান করে আর আল্লাহ আমাকে সম্মানিত করেন তাহলে এই অসম্মানে আমার কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবেনা”।
পাকিস্তানের উচিত
শেখ হাসিনা ও তার ট্রাইব্যুনালকে পুরস্কৃত করা । নাকি ইতোমধ্যেই পুরস্কৃত করা হয়েছে তা কে জানে ।
আওয়ামীলীগের ভারত প্রেম যেমন সর্বজন স্বীকৃত ; তেমনি পাকিস্তান প্রীতিতেও কিন্তু তাদের জুড়ি মেলা ভার । যদিও কেউ খুব একটা বলে না ।
একের পর এক রায়ে তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে যেভাবে দায়মুক্তি দিচ্ছি তাতে ইতিহাস শুধু নতুন করে লিখলেই হবে না ; নতুন নামে ভূষিত করতে হবে হয়ত । অনেক সময়ই মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বা গণ্ডগোল উল্লেখ করলে অনেকেরই অনুভূতিতে লাগে (আমারো লাগে ; কিন্তু বিক্ষুব্ধ বা সংক্ষুব্ধ হই না); কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ বা সংক্ষুব্ধ হন । কিন্তু আদালত যে ইতিহাস লিখে যাচ্ছে তাতে তো মুক্তিসংগ্রাম বা স্বাধীনতার সংগ্রাম বলে কিছু এই ভূখণ্ডে হয়েছে বলে মনে হয় না । নতুন ইতিহাসে হয়ত ১৯৭১ এর সেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেবল ক্ষমতার দ্বন্দ্বে প্রাদেশিক রাজনীতির কোন্দল/উপকোন্দল হিসাবে স্থান পাবে । এমন কুকীর্তির সময়েও তারা চ্যাতেনা ; যারা সারা দিন বলে শুধু চেতনা !
হাসিনার কথামত বিরোধী দলীয় নেত্রী যদি শফি সাহেবের তেঁতুল হয়
তাহলে এরশাদ চাচার তেঁতুল হাসিনা
মা হাসিনা রাস্তা মাপো ; ক্ষমা চেয়ে হিজাব পর, তজবি ধরো, হজ্ব কর ;
তবে কাউকেই ভুলে গেলে চলবে না, এই রায়ই শেষ রায় নয় ।
চূড়ান্ত রায় লেখা আছে আসমানে ; জমিনে নয় ।।
হয় ফাঁসির রায় দে; নয়তো নিঃশর্ত মুক্তি দে।।
ধানাই পানাই আর কত করবি সময় তো মাত্র তিন মাস!!
শুধু মিছিল-মিটিং-হরতাল-অবরোধ করে কখনোই ইসলামী আন্দোলনে বিজয় আসে না, চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য প্রয়োজন চোখের উষ্ণ অশ্রু...; যে অশ্রু তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া অবস্থায় মহান রবের অনুগ্রহের প্রত্যাশায় টপ টপ করে অধর বেয়ে ঝরে পড়ে...! এই অশ্রুর একটা ফোটাও কখনোই বৃথা যায় না...।।
অঝোর ধারায় কাঁদছে বাংলাদেশের জামাত শিবির
এবং মিশরের মুসলিম ব্রাদার্হুড।
কাঁদছে পুরা মুসলিম বিশ্ব।
একমাত্র দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার
লক্ষে বিশ্বেরমুসলিম মুজাহিদ ভাই বোনেরা বাতীলের
বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের তাজা রক্ত
অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে।
একটার পর একটা শত্রুদের বুলেটের আঘাতে তাদের
পুরাদেহ ছারখার হয়ে শহীদি মরণ হচ্ছে।
রক্তে লাল রঞ্জিত হচ্ছে মুসলিম ভাইদের সম্পূর্ণ
দেহ।
হত্যার পর হত্যা,
কোন কিছুই দমাতে পারছে না মুজাহিদ ভাইদের কঠিন
ইস্পাতকে।
যে জিহাদ শুরু হইছে বাংলার জমিনে,
তা কোন ভাবে শেষ হওয়া নয়।
আগুনের স্ফূলিঙ্গের মত
এটা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়েপড়েছে।
মুজাহিদ ভাইদের অদম্য মনোবলের কারনেই একসময়
বাতীলের শক্তিরা পরাজিত হতে বাধ্য হবে।
ইনশাআল্লাহ সারা বিশ্বে একদিন এক
সঙ্গে ইসলামের পতাকা উদিত হবে।
জেল জুলুমের ধার ধারি না
ফাঁসির সেলে গাই যে গান
রক্ত স্রোতে এই জমীনে
আবাদ করে মুসলমান ।।।।
বিবেক বেচে বিচার করো
আবেগ দিয়ে রায়
ফাঁসি কিংবা যাবজ্জীবন
কার কী আসে যায় ।
শাহবাগী চেতনায়
হুনুমান লেজ নাড়ে
বদরের জযবায়
মুমীনের তেজ বাড়ে ॥।।
সাইদিকে ফাঁসী দিয়া দে তাতে আমাদের সমস্যা কি? যেখানে নবী (সা) বলেছেন উনার সন্তান-ও যদি অপরাধ করে তাকেও শাস্তি দিতে। সেখানে সাইদির বেপারে
আমাদের আপত্তি করার কি আছে?
তবে সোনার চানেরা সাইদি যে অপরাধ করছে তা তোমাদের প্রমাণ করতে হইব। তোমরা ক্ষমতায় থাইকা আজ প্রায় ৫ বছর চেষ্টা কইরাও কেন সাইদির বিরোদ্ধে অপরাধ গুলা প্রমাণ করতে পারলেনা। কেনো বালি সাইদির পক্ষে সাক্ষী দিতে গেল যদি সাইদি তার ভাইকে খুন করে থাকে? কেনো আজ বালিকে ভারতের জেলে থাকতে হচ্ছে? বালি তো আজ তোমাদের এসি ঘরে থাকার কথা। তাহলে কেনো সে জেলে। কেন? কেনো?
অপরাধ করলে তাকে ফাঁসী দাও তাতে কোন আপত্তি নাই, তবে বিনা অপরাধে তার একটা চুল ছিঁড়বে তা মেনে নেয়া হবে না।
যে দেশে স্কুল থেকে ফিরে ভাত না পেয়ে ক্ষুধার যন্ত্রনায় অভিমানী কিশোরী আত্মহত্যা করে,যে দেশে বীরশ্রেষ্ঠ-মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভিক্ষা করে খেতে হয়,যে দেশে ভবন ধ্বসে আটকা পড়ে কোন নারীকে প্রস্রাব খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়,যে দেশে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে না পেরে মা তার সন্তান বিক্রি করে দেয়,যে দেশে ৫০টাকার জন্য নারী শরীর বিক্রি করে সে দেশের ৫০কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ ভ্রমনের বিশ্বরের্কডের অনন্য নজির স্থাপন করায়
পররাষ্টমন্ত্রী দীপুমনিকে আন্তরিক অভিনন্দন।আসুন দলমত নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দীপুমনিকে স্যালুট দিয়ে সম্মানিত করি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন