নারী ও মানুষ পুরো মানব জাতির উৎস।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০২:৪১:৪১ দুপুর



কলা যেমনই থাক থাকতে দিন --দয়া করে ছিলা কলার তত্ব থেকে বের হন। নারি আপনার মা আপনার উৎস আপনার সন্তানের উৎস পুরো মানব জাতির উৎস । এ কথাটা মনে রাখবেন ।

নারীকে কিসের সাথে তুলনা করতে বাদ দিলেন ? কলা , চকলেট , চিনি তেঁতুল আরো কত কি ? তাতে কি নারী এসব পন্য দ্রব্যে পরিনত হয়েছে ? না কি আপনাদের ঘৃন্য নোংরা মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?

যারা পতিতালয়ে যায় তাঁদের সম্পর্কে তো কোন কথা নেই।

আপনাদের এই মন মানসিকতার কারনেই নারী বিলবোর্ডের শোভা বাড়ায়।

নারী আপনার স্নেহময়ী মা, বোন কন্যা। কিন্তু আপনি তাকে একটি মাত্র রূপে দেখেন -- আপনি যত বড় মহা মানব হয়ে থাকেন না কেন আপনার রুচী ভাল নয়।

ছিলা কলা কেউ কিনবেনা ছাগলে চাটবে মাছি বসবে -- ঐ ছাগল মাছি কারা? আর নারীকে কলা বানিয়ে বাজারে তোলা যে রুচীতে সেই রুচীতেই তাকে বিল বোর্ডে ব্যাবহার করা । কিন্তু সমস্যা হোল এ আপনারা তেতুলের বাঁচ্চারা একথা বুঝতেই পারবেন না । এ বুঝতে হলে মানবীর গর্ভজাত হতে হবে তেঁতুল কলা চিনি চকলেটের নয়।

মনে রাখবেন ৪/১ অনুযায়ী নারী মানুষ --

নারী কলা ও নয় তেঁতুল ও নয় ।নারী ও মানুষ পুরো মানব জাতির উৎস।

ধিক সমাজ ধিক... তোমার ঐ Double Standard নীতিকে!!!!



যেসব মেয়েরা পেট চালাতে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে বাধ্য হয়ে পতিতালয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের কল গার্ল বলে ঘৃণা করে।

কিন্তু হাজার টাকার বিনিময়ে যারা দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে সোসাইটি গার্ল,

যারা আর একটু বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পার্টি গার্ল,

যারা উচু দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী।

সমাজের অনেকের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল!!!

সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত মেয়েরা যখন

রাস্তা দিয়ে সৌন্দর্য ফেরি করে দেহ দেখিয়ে বেড়ায়,

টি এস সিতে(TSC) বয়ফ্রেন্ডের

কোলে বসে আড্ডা দেয়,

এবং মাঝে মাঝে সেই বয়ফ্রেন্ডের

সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে যায়;

সমাজ তখন তাঁদের আদর করে বলে মডার্ণ গার্ল !!!!

ধিক সমাজ ধিক...

তোমার ঐ Double Standard নীতিকে!!!!

আল্লামা শফীর “তেঁতুল তত্ত্বে”

র পর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের “লালা ঝরা তত্ত্ব”!!! শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কিছু সুন্দরী যুবতী মেয়ের সাথে কিছু যুবক ছেলের মুখোমুখি বসে পাঁচ মিনিট কথা বলার উপর বাস্তব রিসার্চ চালিয়ে এই তথ্য প্রদান করেন যে,

“কোন পুরুষ কোন সুন্দরী বা আকর্ষণীয় মেয়ের সংস্পর্শে আসলে ব্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ পাঠাতে থাকে পিটুইটারী গ্ল্যান্ডে, যার ফলে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন নিঃসরিত হতে থাকে বেশি মাত্রায় এবং এর ফলে মুখের স্যালিভা (লালা) বেড়ে যায়। এ সময় ছেলেদের আচার আচরণেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যায় যা স্বাভাবিক আচার আচরণ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। গবেষণায় অংশ নেয়া মেয়েরা জানান যে, এসময় ছেলেরা নিজেদের এমনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে যেন, তারা খুব রোমান্টিক।”-(খবরঃ-ডেইলি মেইল, স্বাস্থ্য পাতা)

-আল্লামা আহমদ শফী,

আমরা আপনার কাছে দুঃখিত। আপনি এতো কঠিন সায়েন্টিফিক থিওরীকে কোন গবেষণা ছাড়াই খাস বাংলায় সহজভাবে বুঝিয়ে দিলেন, কিন্তু জাহেলরা বুঝলোই না!!!

আর সুপ্রিয় (!!) রোকেয়া প্রাচী, সুলতানা কামাল আসুন আমরা শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এইসব গবেষকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন করি!!

ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুসলমানদের দিনে রাজপথে ও রাতে জায়নামাযে দাড়াতে হবে- ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ

আমি এখানে কিছু লিখলেই পাবলিকে সেই লেখার রেফারেন্স চায়, আশ্চর্য!!!

অধ্যাপক গোলাম আজম

যুদ্ধাপরাধী এইটা সবাই জানলো কিভাবে সেটাই আমি ভেবে পাইনা, রেফারেন্স কোথায়???

বর্তমান আওয়ামী রাজাকারেরা, সুশীলেরা যারা সেই নয় মাস পূর্ব বাংলাতে ছিল তারা সবাই কাজ করেছে, অফিস আদালাতে গেছে, যেতে হয়েছে। কারন সাড়ে সাত কোটি মানুষের ঘরে চাল, ডাউল, আলু, পেয়াজের গুদাম ছিলনা।

মা জননী জাহানারা ইমাম ও উনার স্বামী দুইজনেই নয় মাস পাকিস্তান সরকারের অধীনে কাজ করেছেন ।

কিছু কুলাঙ্গারেরা

এখন বাংলাদেশকে নরক বানিয়েছে একে ফাঁসী দাও ওকে ফাঁসী দাও করে। সাক্ষী, সাবুদ, প্রমাণ ছাড়া বিচার কিভাবে হয়??? তাদের কাছে সাক্ষী, প্রমান, রেফারেন্স সব আছে গোলাম আজমের অপরাধের...!!!???

যদি তাই থাকে তাহলে সেগুলোর উপরে কি এতকাল বসে বসে তা দিচ্ছে সবাই?!!

নাকি মামার বাড়ীর আবদার!!!

মা জননী বলেছে বলেই সেটা একাত্তরের দলিল হয়ে গেছে???!!!

মা জননীর উপন্যাস কাল্পনিক হতে পারে। কারো উপন্যাস দিয়ে বা কারো মুখের কথায় যুদ্ধাপরাধীর বিচার হয় কেমনে?!?

মা জননী বৃটীশ আমলে স্বদেশী আন্দোলন না করে ইংরেজের দালালী করতে পারে, পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান বেতারে চাকুরী করতে পারে তার ছেলে মুক্তিযুদ্ধে গেছে সেটাও বানোয়াট হতে পারে । রেফারেন্স কোথায়???

সাক্ষী, প্রমান থাকলে তা আদালতে দেওয়া হয়নি কেন??? ওরা বলে অধ্যাপক গোলাম আজম ২ লাখ নারী ধর্ষন করেছে ও ত্রিশ লাখ নারী, শিশু, নর, বৃদ্ধ কে হত্যা করেছেন। সাতজন মিলে এত বিশাল কাজ কেমনে করলেন?! সেটা যদি কারো কাছে প্রমান থাকে তাহলে তারা সেই প্রমান কোথায় লুকিয়ে রেখেছে আর কেনো লুকিয়ে রেখেছে? তারাই স্বাধীণতার শত্রু । সেদিন হেফাজতে ইসলামের সদস্যদের হত্যা করার জন্য শত শত পুলিশ সাজোয়া বাহিনী লাগলো আর মাত্র সাত জন মানুষ ত্রিশ লাখ হত্যা করলো...!!! কোন প্রমান ছাড়াই এখন ফাঁসী দিতে হবে এদের সবাইকে । আমি ত বলি যারা এই ফাঁসীর দাবী করছে তারাই যুদ্ধাপরাধী -- ১৯৭১ পরে জন্মালেও -- কেমনে ? যেমনে সাতজনে ত্রিশ লাখ হত্যা করে ঠিক তেমনে...প্রমান আছে, যেমন শেখ হাসিনার বিয়াই, মেযের শ্বশুর সাহেব...

তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী এত মানুষ খুন করে, তার কি লাভ হয়েছে সেটাও দেখা দরকার। উনি কি বিশাল গাড়ি, বাড়ী, সিপিং কর্পোরেশন, হাজার হাজার একর জমির মালিক ? আমার জানামতে অধ্যাপক গোলাম আজম এক মাত্র মানুষ যার কাছে যে সম্পত্তি আছে তা খুব স্বাভাবিক পরিবারের সবার কাছেই আছে। উনার ছেলেরা কি বড় বড় ব্যাবসার মালিক???

টেন্ডারবাজী করেছেন সারাজীবন??? ব্যাংক ডাকাতি করেছেন???

শেয়ার বাজারে লুট করেছেন???

কেঙ্গারু ট্রাইবুনাল থেকে একের পর মনগড়া রায় দিচ্ছে নাস্তিক কুত্তালিগ সরকার ! গতকাল দিয়েছে একটি হাস্যয়কর রায় !! আগামী কাল আলী আহসান মুজাহিদের রায় দিতে যাচ্ছে কেঙ্গারু ট্রাইবুনাল !! অন্যায় রায়ের পতিবাদ করতে গিয়ে হরতাল

দিতে হচ্ছে বাংলাদেশ জামাত ইসলাম এন্ড বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে !! বলতে পারেন হরতাল ছাড়া অন্য কোনো কর্ম সূচী নাই ? আছে ঐসব কর্ম সূচীর সাংবিধানিক অধিকার টুকু তো এই জালিম সরকার ক্ষমতা আসার পর থেকে পালন করতে দেই নাই... !!

কি দরকার ছিল রমজানে ধারাবাহিক রায় দেওয়ার? আগে বা পরে কি দিতে পারত না?

রায় ত তৈরি হয়েই আছে। এখন আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বাকি। একসাথে সব রায় ঘোষণা করলেই ত হয়ে যায়।

না তা না! আলাদা আলাদা দিতে হবে।

হরতাল দেখতে হবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোঠা বিরোধী আন্দোলন বন্ধ করতে করতে হবে।

পবিত্র রমজান মাসে জামায়াত-শিবিরকে রাজপথে ঠেলে দিতে হবে।

হরতাল দেখতে হবে।

মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে হবে।

এই আর কি!!

দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত করাই আওয়ামীলীগের মূল লক্ষ্য।

শ’খানেক শাহবাগির সমাবেশ

বিক্ষোভ গাড়ি ভাংচুর পুলিশ

কর্মকর্তাকে মারধোর...

- এই হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা...

জয় বাংলা - তেতুল সামলা

আর ও জানতে হলে পড়ুন আগের লিখা লিঙ্ক

বিষয়: বিবিধ

৪৩১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File