জামাত বসে বসে আংগুল চুষবে।কাল মোজাহিদের রায় ।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৬ জুলাই, ২০১৩, ১২:২৮:৩৭ দুপুর



আগামিকাল অবৈধ ট্রাইবুনাল জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারী জেনারেল আলি আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ সাহেবের রায় দেবে।



আবৈধ ট্রাইবুনালের অবৈধ রায় আমরা আজি প্রত্যাখ্যন করলাম।

ডাক আসুক একটা বিপ্লবের।

ডাক আসুক একটা যুদ্বের।

আমরা ঝাপিয়ে পড়ব ময়দানে।

জালিম সরকারের পতন নিশ্চিত করে নেতৃবৃন্ধদের নিয়েই তবে ঘরে ফিরব।

আমরা আর কোনো সাথিকে হারাতে চাইনা

এবার আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই প্রতিশোধ।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মামলার কার্যক্রম শেষে গত ৫ জুন যে কোনোদিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ এ তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয়। এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয়। ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগে চার্জ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।

সুন্দরী,আকর্ষনীয়,মোহনীয় মেয়েরা পুরুষের মুখে লালা আনে এটা প্রমাণিত সত্য।শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী গবেষনায় দেখা গিয়েছে সুন্দরী/আকর্ষণীয় নারীর সংস্পর্শে আসলে পুরুষের ব্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ পাঠাতে থাকে পিটুইটারী গ্ল্যান্ডে।এই মেসেজের ফলে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি মাত্রায় নিঃসরিত হবার কারণে পুরুষের মুখের স্যালিভা (লালা) বেড়ে যায়।ডেইলী মেইল Pretty women make a man's mouth water এর শিরোনামের সংবাদে লিখেছে They say the prettiest girls make men's mouths water - and now scientific research suggests that it is true....would not say that the men were actually drooling but there were significant changes to their saliva. After these conversations with the women, they showed a major testosterone increase.

জাতির বিবেকের কাছে ছোট্ট একটা প্রশ্ন,এই গবেষকরা যদি নারী অবমাননাকারী না হয় তাহলে রূপক অর্থে শফি হুজুর মহিলাদের তেঁতুলের সাথে তুলনা করলে কেন নারী অবমাননাকারী হবে?

ভার্সিটিতে যারা লেখাপড়া করে তারা ফকিরনির পোলা বলছে ইমরান ,

আমি তার এই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে চাই

তারা ফকিরনির পোলা নয় ,

তারা যদি ফকিরনির পোলা হইত , তাইলে এতো টাকা করছ করে লেখাপড়া করতে আসতনা

বরং আমি বলতে চাই , তারাই ফকিন্নির পোলা, যারা ফ্রি তে বিরয়ানী ,

গাজা আর তেতূল খেতে শাহবাগ মঞ্চ তথা ফকিন্নির মঞ্চ এ ও যায় ,,

গত ২৫ বছরের অব্যহত অপপ্রচারে শুধু সাধারণ মানুষ কেন জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট অনেকেও গোলাম আযম প্রসঙ্গে বিভ্রান্ত ছিল । কথা উঠলেই থমকে যেত অথবা নিজেরাও বিভিন্ন সময় অনুতাপবোধ করত । এটা জামায়াত কিংবা গোলাম আযমের অপরাধ সংশ্লিষ্ট থাকার জন্য নয় ; বরং তথাকথিত ইতিহাসবিদ-উপন্যাসিক-কল্পকাহিনী লেখিয়াদের সুকৌশলি প্রচারণার ফল ।

সরাসরি জামায়াতকে খুব খুব খুবই কম এ প্রসঙ্গে মিডিয়া স্পেস দিয়েছে । তাদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই গোবলেসিয় কায়দায় একের পর এক একই মিথ্যা কল্পকাহিনী নিয়ে হাজির হয়ে লোকদের মন মস্তিস্কে সেটা গেঁথে দেয়া ; সে কাজটা তারা পেরেছেও বটে । কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল তখনই যখন তারা বিচারের নামে নতুন নাটক মঞ্চায়িত করতে গেল ।

হ্যাঁ তাদের অব্যহত কৌশলী কু প্রচারণা আদালত পর্যন্ত গড়াতে পেরেছে । কিন্তু এখানেই প্যাঁচটা লেগেছে । কারণ আদালত শুধু এক পক্ষকেই কথা বলতে দিচ্ছে না ; এখানে দু পক্ষই কম বেশি কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে । শখানেক মিডিয়ার ৫টিতে হলেও সেসব কথার টুকিটাকি চলে আসছে । তাই বিচারক কি রায় দিবেন সেটা জানার আগে প্রসিকিউশনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত সম্পর্কে জনগণ জেনে যাচ্ছে । ঐ হায় হায় আদালতের নাটকীয় ঘোষণার এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না । এখন স্পষ্ট যে পুরোটাই ছিল অপপ্রচার । জামায়াতের নেতাদের যদি সরাসরি কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে আগেই মুখমুখি করা হত তাহলে এসব প্রচারণা অনেক আগেই হাওয়া হয়ে যেত ।

এখানেই প্রমাণিত আল্লাহ্র পরিকল্পনা সর্বোত্তম ।

আরে ভ্রাতা,

গোলাম আযম কি ছিলেন ???

- পাক-প্রেসিডেন্ট

- পাক-প্রধানমন্ত্রী

- মন্ত্রী

- সেনাপ্রধান

- প্রধান বিরোধীদলের নেতা

সংগ্রামের কথা বলে ??? তা সংগ্রাম পত্রিকার বর্তমান সার্কুলেশন কত ???

তখনেটা নাইবা জানতে চাইলাম ।

প্রথম আলো-সমকাল-কালের কন্ঠ গং-এ আজও যেমন জামায়াত-শিবির নিয়ে কোন পজেটিভ নিউজ ছাপা হয় না । সে সময়ে তাদের উত্তরসূরি পত্রিকাগুলোতেও জামায়াতের কোন পজেটিভ নিউজ ছাপা হত না । কিন্তু আজকেরই মত কোন নেগেটিভ, অথবা জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যায় এমন সংবাদ শিরোনাম হত । তাহলে তথাকথিত বক্তৃতা-বিবৃতির কোন প্রভাব মুক্তিযুদ্ধে পরত না বলেই তারা এন্টি-জামায়াত পত্রিকা হয়েও সেসব ছাপে নি ।

যাই হোক মোটের উপর এখন প্রমাণিত সত্য হল, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস করা যায় এবং তাতে কোন ভয় নাই । সত্যের জয় হবে নিশ্চয়ই ইনশাআল্লাহ্ । শুধু গোলাম আযম একাই নন, জামায়াতের সকল নেতা একদিন অপবাদ থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন । এই বিশ্বাস এখন সংশয়বাদী কর্মী-সমর্থক হতে শুরু করে, সাধারণ মানুষের মধ্যে দৃঢ় থেকে দৃঢ়ত্বর হচ্ছে । আর বিশ্বাসীদের প্রতি আমার বিশ্বাস আরও মজবুত হল ।

আল্লাহ সর্বত্তোম কৌশলী.... নিঃসন্দেহে...

এর আগে তার নাগরিকত্ব নিয়ে তোলপাড় হলো.... আইন-আদালত হলো... তারপর এমনভাবে তা স্যাটল হলো যে, বিষয়টি নিয়ে আর কোন ভন্ডামী করার, মিথ্যার বেসাতি করার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল.....

... এবারও ঠিক তাই হতে যাচ্ছে.... রাজাকার রাজাকার রাজাকার বলে চিৎকার করার দিন শেষ.... চেতনার ব্যবসার দিন শেষ..... দৌড়ে পালানোর পথও তো শেষ.....

এবার কই যাবি হারামীর বাচ্চারা.....???!!!

নব্বই বছরের সাজাই যদি আতাত হয় তবে একশর বেশী মামলা থাকার পরেও গ্রেফতার না করাটা কি??? —

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান

এটিএম ফজলে কবীর বলেছেন, এ মামলার

আসামি সরাসরি কোনো ঘটনার

সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত

হয়নি।

তবু ট্রাইবুনাল আসামিকে ৯০

বছর জেল দিয়েছে। এর

মধ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্রের জন্য ১০বছর,

পরিকল্পনার জন্য ১০ বছর,

উসকানির

জন্য ২০ বছর, সংশ্লিষ্টতার জন্য ২০ বছর

এবং হত্যা ও নির্যাতনের জন্য ৩০ বছর।

সরাসরি জড়িত থাকলে মনে হয় ৯০ বার ফাঁসি দিত।

একজন গোলাম আযম, এক জীবন্ত কিংবদন্তী। অযোগ্য জাতির যোগ্য সন্তান ও নেতা, তাঁর মর্ম বুঝে ক'জনা?

অনেকেই ভাবছেন গোলাম আযম জাহান্নামে যাক তাতে কি! একটা ক্যাচালের অবসান হইসে এইটাই কি কম কিসে!! তাছাড়া অনেকেই জন্মথেকে এই লোকটার বিরুদ্ধে চেতনাবাদি বাম আব্বাদের বয়ান শুনতে শুনতে যে মানসিকতার অধিকারি হইসেন সে মানসিকতা আমার থাকলে আমি নিজেও চাইতাম গোলাম আযমরে কুচি কুচি করে কেটে ফেলতে। কিন্তু ভবিষ্যতে এই জাতির জন্যে কি রকম বাঁশ অপেক্ষা করতেসে সেইটা চেতনায় চেইতা থাকার দরুন কেউই টের পাইতেসে না। তাঁদের মনে যতই প্রশান্তি আসুক তাতে কিচ্ছু আসে যায় না, সারা বিশ্বে প্রমান হয়ে গেছে যে এদেশের ঐতিয্যটা কলংকিত ট্রাইব্যুনালের মধ্য দিয়ে নিজেও কলংকিত হয়ে গেছে। এতে তাঁদের লজ্জাশরম না থাকলেও আশ্চর্যের কিছু নাই। পর্ন গার্লরা ল্যাংটা হইয়াও লজ্জা পান না কিন্তু উনাদেরকে তেঁতুল কইলে ঠিকই চেইতা যান। চেতনাবাদিদের অবস্থা এই পর্যায়ে নামার কারণে দেশের ঐতিয্যে কালিমা লেপনে তাদের লজ্জা না হওয়ারই কথা। দ্যাটস ওকে।

এই যে জোচ্চুরি করে রায় গুলো দেয়া হচ্ছে এগুলোর ইম্লিকেশন ভবিষ্যতে এদেশের জনগনকেই ভোগাবে। কারন আজকের রায় গুলোই ভবষ্যতের জন্য বিভিন্ন কেইস সমাধানের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপ্যাল হিসেবে ধরে বিচারকরা এগুবে। এক কথায় এই রায়গুলো এদেশের আইনের জগতে একেকটা রেফারেন্স ও প্রন্সিপ্যাল হয়ে থাকবে। সুতরাং বাঁশ যাহা যাওয়ার তা এই চেতনান্ধ বরাহ শাবকদের নিতম্বের ঠিকানা ঠিকই খুজে নিবে। এই আইনি গজব বাংলাদেশিরা নিজেরা জেনেশুনে বেছে নিয়েছে। এখন এগুলো তাদেরই হয়রান করে তাড়িয়ে বেড়াবে। সময় আসলেই বুঝা যাবে কত ধানে কত চাল।

বিচারকগন সীমা লঙ্ঘন করেছেন,উনাদের কে দায়িত্ব দিয়েছে অপরাধ খুজে বাহির করার, উনারা কি তদন্ত সংস্থার সদস্য? :অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম

সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী সময়ের সাহসী সন্তান

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ট্রাইবুনালের বিষয় ছিল গোলাম আযম দোষী কিনা। কিন্তু বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী কোথাও কোনও অফিসে চাকরি করতে পারবে কিনা এটা কি বিচার্য বিষয় ছিল?

অথচ রায়ের 372, 373 ও 374 প্যারাগ্রাফে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হল।

তুখোড় এ আইনজীবী আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীতে এই প্রজন্মের তরুণরা কেন আসছে এ নিয়ে তাদের (ট্রাইবুনালের) ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। এটা তো রাজনৈতিক বিষয়।

অধ্যাপক গোলাম আযমের দেয়া চ্যালেঞ্জ সত্য প্রমাণিত হল।

আপনাদের মনে আছে কিনা বলতে পারবোনা। তবে আমার মনে আছে। গত বছর ATN NEWS এর সাথে এক সাক্ষাৎ কারে বলেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে আনীত একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারবেনা। ঠিক তাই হয়েছে। একটা অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছে বিচারপতি ফটকা কবির। আল্লাহ তার কথাকে সত্য প্রমাণিত করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।

সাতক্ষীরায় জামায়াতের দুইজন নিহত

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জামায়াত-শিবিবের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহতরা হলেন, শিবিরের সাথী শরিফুজ্জামান ও জামায়াতকর্মী রুহুল আমীন গাজী বলে জানান কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি আবদুল হক সিদ্দিকী।

সংঘর্ষে, পুলিশের একজন উপপরিদর্শক আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল ইন দ্য ডক (বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল কাঠগড়ায়)’ শিরোনামে আল জাজিরায় প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়, বালির অপহরণ ঘটনায় ‘বিতর্কিত ট্রাইবু্যুনালের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়,বিচারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হয়নি । বাংলাদেশে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাজধানীসহ দেশের সব প্রধান সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর আগে জামায়াত নেতাদের রায়ের প্রেক্ষিতে সংঘর্ষে শতাধিক লোক নিহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালে বর্তমান সরকার ট্রাইব্যুনাল গঠন করলেও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এখানে বিচারে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল : যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, নব্বই বছর বয়স্ক সিনিয়র ইসলামি রাজনীতিককে সাজা দেয়ায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, বালির ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারের সততা বা ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, পৃথিবীর অন্যান্য যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল জাতিসংঘ স্বীকৃত হলেও বাংলাদেশের ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে’ স্বীকৃতি দেয়নি এ বিশ্বসংস্থাটি।

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী তার ছেলে

সালমান আল আযমী। গতকাল তার পিতার বিরুদ্ধে রায়কে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। বলেছেন, এ রায় রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক। তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচার চান আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে। বলেন, তার পিতার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার একটিও প্রমাণ করতে পারেনি প্রসিকিউশন। গতরাতে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা মনে করি যে, ন্যায়বিচার এখানে হয়নি। আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, এ ট্রাইব্যুনাল আসলে ন্যায়বিচারের জন্য কোন কাজ করছে না। এটা একটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টামাত্র। বিবিসি তার কাছে জানতে চায়, মি. আযমী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ একটা ইতিহাস। আপনি নিশ্চয় স্বীকার করবেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এখানে নির্যাতন হয়েছে, হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটাও একটা ইতিহাস এবং এটাও ইতিহাস যে, জামায়াতে ইসলামী সে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেছে। অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে ছিল তার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন আপনার বাবা সুতরাং এটার তো একটা সুরাহা হওয়া দরকার ছিল নাকি? জবাবে সালমান আল আযমী বলেন- না, একাত্তরে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে তার বিচার হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন আমরা মনে করি। সে বিচার প্রক্রিয়াটা হতে হবে ন্যায়বিচার, ফেয়ার ট্রায়াল হতে হবে। আদালতে প্রমাণ করতে হবে। উনারা রাজনৈতিকভাবে, তারা একটা অবস্থান নিয়েছিলেন, তার মানে এই নয় যে, তারা কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এবং আদালত প্রমাণ করতে পারেনি কোনভাবেই এবং প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি আমার বাবার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ, যে ষড়যন্ত্রের কথা বলছে, টিক্কা খানের সঙ্গে একটা মিটিংয়ের কথা বলছে, ওই মিটিংয়ে কি হয়েছে? ওই মিটিংয়ের প্রসিডিংস কারো কাছে আছে? ওই মিটিংয়ের কোন ডকুমেন্টস কারো কাছে আছে? আপনি কিভাবে প্রমাণ করতে পারেন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেননি? একজন জেনারেলের সঙ্গে একজন রাজনৈতিক নেতা অবশ্যই বৈঠক করতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, ওইখানে বৈঠক করে উনি ষড়যন্ত্র করছেন। ওই ষড়যন্ত্রের ডকুমেন্টেশন দেখাতে হবে, এভিডেন্স দেখাতে হবে। ওই এভিডেন্সটা কোথায়? আপনি যদি সাক্ষীদের সবকিছু আপনারা দেখেন, সাক্ষীরা এসেছেন, তারা কে কি বই লিখেছেন, তারা তাদের নিজস্ব গল্প বলেছেন। প্রফেসর গোলাম আযম সাহেব ডাইরেক্টলি কোন ব্যাপারে জড়িত ছিল একটি সাক্ষীও একটি উদাহরণ দিতে পারেননি। বিবিসি তার কাছে ফের জানতে চায়- যে দল সেসময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, সে দলের তো নেতা ছিলেন তিনি? জবাবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছিল রাজনৈতিক অবস্থান থেকে। আপনি কাজ করেছিল বলতে কি বোঝাচ্ছেন? আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যেয়ে তারা কোন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, নারী ধর্ষণে জড়িত ছিল। এগুলোকে প্রমাণ করতে হবে। আপনারা হেয়ারস (শোনাকথা)’র উপর ভিত্তি করে যদি একথাগুলো ৪০ বছর ধরে মিডিয়া বলে আসছে, রাজনৈতিক নেতারা বলে আসছে। কিন্তু ইউ হ্যাভ টু প্রোভাইড এভিডেন্স। বিবিসি তার কাছে আরও জানতে চায়- এখন আপনি বা আপনার পরিবার কি করবেন? জবাবে সালমান আল আযমী বলেন, আমরা আপিল করবো তবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা কম তারপরও আমরা আপিল করবো। এমনকি আপিল বিভাগের বিভাগীয় লোকদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সুতরাং আমরা এটা নিয়েও আশঙ্কিত। আমরা চাচ্ছি যে, আপিল প্রক্রিয়াটা হোক আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে। কারণ আমরা ফেয়ার জাস্টিস চাই। আমাদের কোন অসুবিধা নেই ফেয়ার ট্রায়াল হলে। এবং সে ফেয়ার চার্জ হতে হবে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে একটি রাজনৈতিক দল যে ট্রায়ালটা করে, সে ট্রায়াল তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি পালন করার জন্যই তারা করে। এবং এটাই এ ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে। এটা আমরা মানি না।

ও আরেকটি কথা সরকারের উচিত হবে শিবিরের সাথে এখন আর কোন ঝামেলা না করা। কারণ শিবিরের উপমা শিবির ছাড়া অন্য কোন দলের সাথে চলে না। আদর্শে বলেন চরিত্রে বলেন পড়ালেখায় বলেন আধুনিকতায় বলেন ডিজিটালীতে বলেন স্মার্টে বলেন ভদ্রতায় বলেন কোন একটা দিক নাই যে অন্য কোন দল শিবিরকে চ্যালেঞ্জ করার যোগ্যতা রাখে। ¥ জনগণ ভালবাসে শিবিরের পাশে আছে ¥ মুসলিম ভালবাসে শিবিরের পাশে আছে ¥ মাজলুম ভালবাসে শিবিরের পাশে আছে ¥ আল্লাহও ভালবাসে শিবিরের পাশে আছে ¥ আমিও ভালবাসি শিবিরের পাশে আছি তো বুঝেন শক্তি বেশি কার? বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি কার? সুতরাং সাবধান হওয়ার বিকল্প নাই। একটা পা ফেললেও হিসেব করে ফেলা উচিত। আর কাকে কি উপদেশ দেই? ওরা তো বধির বোবা অন্ধ। তাই তারা এসব বুঝবে না। পনের আগষ্ট ছাড়া শান্তও হবে না!

আমরা ক্ষুব্ধ তবে বিস্মিত নই: আযমী

জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার পুত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহিল আমান আযমী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়কে ন্যায়ভ্রষ্ট মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ তবে বিস্মিত নই। আমান আযমী বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা

করেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আযমী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। এ রায়ে ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হয়নি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন আমার বাবার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরও ট্রাইব্যুনাল আমার বাবার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তা মানতে পারি না। এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে আযমী বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আমরা আশা করি ডাকসুর জিএস ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম উচ্চ আদালতের রায়ে আবারও জনগণের সামনে বেরিয়ে আসবেন।

এই রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন

এদিকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে দেয়া রায়কে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী সৈয়দা আফিফা আযম। গতকাল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যারা অধ্যাপক গোলাম আযমকে আদর্শিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ তারাই স্বাধীনতার চার দশক পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ মামলা করেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ কল্পিত, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। একটি অভিযোগও তদন্ত কর্মকর্তা বা প্রসিকিউটররা প্রমাণ করতে পারেননি। জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা সুস্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন যে, অধ্যাপক গোলাম আযমের বক্তৃতা বা বিবৃতি পড়ে বা তার প্ররোচণায় কেউ কোন অপরাধ করেছে এমন কোন প্রমাণ বা নজির নেই। বিচারকের রায়েও একথা প্রমাণিত যে, কোন অপরাধের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি সরকারের কোন মন্ত্রী বা আমলা ছিলেন না। শান্তি কমিটিতেও তার কোন পদ ছিল না। সুতরাং, সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি তার উপর বর্তানোর দাবি হাস্যকর। আফিফা আযম বলেন, অক্সিলারি ফোর্স নেতৃত্ব দিয়েছে সামরিক বাহিনী এবং সেখানেও গোলাম আযমের কোন কর্তৃত্ব ছিল মর্মে প্রমাণ নেই। এসবের কোন কিছুই প্রমাণ না হওয়া সত্ত্বেও ধরনের রায় দুঃখজনক। আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ বা আইনজীবীদের যুক্তিতর্কের সঙ্গে এ রায়ের কোন সামঞ্জস্য নেই। সুবিচার হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে সসম্মানে মুক্তি পেতেন। আফিফা আযম বলেন, জাতিসংঘসহ দেশ-বিদেশের আইনজীবী সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থা এবং দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ট্রাইব্যুনালের বৈধতা, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহ পোষণ করে এসেছেন। স্কাইপ কেলেঙ্কারি এবং এর ফলশ্রুতিতে ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দ্বারা বিশ্ববাসীর কাছে এই ট্রাইব্যুনালের সকল গ্রহণযোগ্যতা লোপ পেয়েছে। সুখরঞ্জন বালির গুম হওয়া এবং ভারতের কারাগারে তার অবস্থান সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, এসবই এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। সুতরাং, এই ট্রাইব্যুনাল গঠন, এর কার্যক্রমের সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান, কোনকিছুই আর গ্রহণযোগ্য নয়। ট্রাইব্যুনাল সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই রায় দিয়েছে। তাই, আমরা এ ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম ও রায় প্রত্যাখ্যান করি। এ রায় আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি প্রদর্শনের শামিল বিধায় ন্যায়ের শাসনের পরিপন্থি। বিচারকদের এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট রায় সংবিধান ও তাদের শপথের বরখেলাপ। আমরা তাদের এহেন রাজনৈতিক রায় প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম বা আমরা, তার পরিবারের সদস্যরা, তার জীবন নিয়ে আদৌ চিন্তিত নই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জীবন ও মৃত্যু আদালতের রায় বা সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল নয়। যেই আল্লাহর হাতে জীবন-মৃত্যুর ফায়সালা, সেই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েমের প্রচেষ্টার কারণেই আজ অধ্যাপক গোলাম আযমের উপর এই অপবাদ ও জুলুম। আমরা তাই আল্লাহর কাছেই ফরিয়াদ জানাই এবং আল্লাহর চূড়ান্ত রায়ের জন্যই অপেক্ষা করবো।

বিষয়: বিবিধ

২১৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File