"এমন ব্যক্তিত্বের আরও ৯০ বছর জীবিত থাকা দরকার..!"
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৫ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৫৮:০৯ বিকাল
ক্যাঙ্গারু ট্রাইবুনাল কি জাতির সাথে ঠাট্রা করল ? তারা শিকারোক্তি দিল যে কোন অপরাধের সাথে অধ্যাপক গোলাম আযমের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি । তাহলে এই রায় কেন ?
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের জীবন্ত কিংবদন্তি, বাংলাদেশের ইসলামী আন্দলনের প্রাণ পুরুষ ভাষা সৈ্নিক অধ্যাপক গোলাম আযম যে নির্দোষ তা তো আদালতের রায়ে প্রমানিত । ট্রাইবুনালের স্মরণ রাখা উচিত নুরেম্বাগ ট্রাইবুনালে কিন্তু বিচারকদের ও বিচার হয়েছিল ।
তামাশা আর কারে কয়। সবচেয়ে বড় রাজাকারের রায় ৯০ বছর তঁয় বাকিরা কি দোষ করেছে? ফাঁসি আর যাবত জীবন দিলেন?...... দুষ্টু ট্রাইব্যুনাল.........তয় দেখতাছি শয়তানরে আল্লাহ্ ঠিকঠিকই বাধছে। নয়ত সে দুষ্টু ট্রাইব্যুনাল এর উপর সওয়ার হইত তখন ফাঁসিই দিত। যতসব দালাল তাবেদার।
ট্রাইব্যুনাল গেছে পাগল হইয়্যা.......... দুষ্টু ট্রাইব্যুনাল; হাসাতে পারে খুব; পাবলিকের রোজাটা হাল্কা করে দিল।।।।
আমাদের বিচার ব্যবস্থা ও বিচারকরা ক্রমশ মজাদার আইটেমে পরিণত হচ্ছেন.................
আওয়ামী লীগের এমপি গোলাম মাওলা রনির প্রতিক্রিয়া
আমরা ৭০ এর দশক থেকেই গোলাম আজমের ফাঁসির দাবী শুনে আসছি আর তখন দেশবাসী সাঈদী বা কাদের মোল্লার নামও জানতো না। এই রায়েরপর নিশ্চিন্তে বলা যায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কি হবে কারন সাফাই সাক্ষী দিবেন সালমান এফ. রহমান। এই লোকটিকে যখন বড় বড় যায়গায় আমাদের মাথার ওপর দেখি তখন আর যুদ্ধ অপরাধীর বিচার চাওয়ার নৈতিক মনবল থাকে না। শেয়ার বাজার ব্যাংক কেলেঙ্কারিসহ নানা ঘটনায় সরকারকে বিব্রতকারী যদি সরকারেরকলিজার ওপর দাপায় বেড়ায় তখন বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে একাই স্বাভাবিক।
আজ বাঙালী জাতির কতিপয় দূর্বৃত্তদের জুলুম, অবিচার ও নাফরমানী দেখে স্বয়ং ইবলিশ শয়তান এদেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে আর যাবার সময় অবাক বিস্ময়ে বলে গেছে- হায় আল্লাহ! ওরা এসব শয়তানী শিখালো কি করে? এদেশে থাকলে আমাদের শয়তানী চরিত্র কলুষিত হয়ে পড়বে এবং আল্লাহ্র ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে পড়বে...
হে আমাদের প্রিয় আল্লামা দেলেয়োর হোসেন সাইদি আপনার কাছে মাফ চাই। আপনাকে আসলেই চাঁদে দেখা গিয়েছিল। আমরা বুঝতে পারিনি। স্যরি...
বর্তমান সরকারের আর
কয় মাস যেন বাকি??
সে হুঁশ ভাই তাদের কি আর
আছে নাকি!!
অন্যায় জুলুম অবিচারের পরিণাম দেখার আছে বাকি।
আম ছালা সবই যাবে
সামনে ঘোর অমানিষার রাতি।
মুসলিম আমি এনেছি ঈমান
আল্লাহ আমার রব
হয়ত গাজী হব নয়ত শহীদ
দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ।
হা হা জি টিভি তে এক সাংবাদিক শাহাবাগের দশ পনের জনের এক জটলার সামনে দাড়াইয়া বলতেসে
"হাজার হাজার ছাত্র জনতা আবার শাহাবাগে আসছে, শাহাবাগ আবারো উত্তাল হয়ে উঠছে!! "
এ পর্যায়ে সে এক লোকরে জিজ্ঞেস করলো "এই বিতর্কিত রায়ে কি আপনি মনে করেন, এই রায় সঠিক হয়েছে?!
লোকটা এ অ করে উত্তর দিল ...
"আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি বইলতাম চায় এই রায় সঠিক হইয়েছে!! "
সাথে সাথে সাংবাদিক চেহেরাটা বাংলা পাঁচের মত করে বল্ল "এখনো অনেক সাধারণ মানুষ এই রায় বুঝে উঠতে পারেনি, এ্যঁ অঁ !!! "
হায় শাহাবাগ, হায় রাজাকার, হায় হাম্বালীগ!! জনগণ গেসে পাগল হইয়া!!
রায়ে খুশি হইবো নাকি দুঃখ পাইবো বুইঝা উঠবার পারতাছেনা!!
জয় বাংলা, রাজাকার সামলা !! :D
আজকের রায়ের মাধ্যমে আদালত নিজে মুখে স্বীকার করেছে গোলাম আজম ৭১ এ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত নয়। মূলত ৭১ সালে প্রকাশিত পত্রপত্রিকার ডকুমেন্টের ভিত্তিতে বিচার করা হচ্ছে..!!
রায় যাই হোক না কেনো.. আদালত নিজে সাক্ষ দিয়েছে গোলাম আজম যুদ্ধাপরাধি/রাজাকার নয়..!
তাহলে কোনো অপরাধ প্রমানিত না হওয়াতেই ৯০ বছরের কারাদন্ড..!! অপরাধ প্রমানিত হলে না জানি কি করত এই গাজাখুরি সরকার..!! যতসব গাঁজাখুরি বিচার..!!
৯০ বছর বয়সী গোলাম আযম সাহেবের ৯০ বছর জেল সাজা দ্বারা সরকার এটাই প্রমাণ করলো যে
"এমন ব্যক্তিত্বের আরও ৯০ বছর জীবিত থাকা দরকার..!"
৭১ এর মিথ্যা ডকুমেন্টারির ভিক্তিতে যদি প্রফেসর গোলাম আজমের বিচার করা হয় তাহলে বর্তমান বাংলাদেশের গণহত্যার জন্য এই সরকারে বিচার একদিন এই বাংলার মাটিতে হবেই হবে ইনশাল্লাহ৷ প্রফেসর গোলাম আজমের মিথ্যা ডকুমেন্টারির থেকে হাজার হাজার সত্য ডকুমেন্টারি এই সরকারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে৷
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আযমী
সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এ রায়ে ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো হয়নি। তিনি বলেন, প্রসিকিউশন আমার বাবার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরও ট্রাইব্যুনাল আমার বাবার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তা মানতে পারি না। এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে আযমী বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। আমরা আশা করি ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম উচ্চ আদালতের রায়ে আবারো জনগণের সামনে বেরিয়ে আসবেন।
গোলাম আযমের মামলার রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, এ রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ। এ রায়ে আমরা বিস্মিত। আমরা মনে করি, এ রায় ন্যায়ভ্রষ্ট ও আবেগতাড়িত। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও তিনি জানান। সোমবার বিকাল তিনটায় ধানমণ্ডির ১২/এ সড়কের ৪৫ নম্বর নিজ বাসায় আহূত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আবদুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এটা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, রাষ্ট্রপক্ষ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি। এটা রাষ্ট্রপক্ষের চরম ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, ৯০ বছরের বৃদ্ধকে ৯০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণে যদি ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়, তাহলে মানবতাবিরোধী অপরাধের আইন পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
এ সময় এডভোকেট তাজুল ইসলাম, এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, এডভোকেট শিশির মোহাম্মদ মনিরসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সোমবার দুপুরে জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমকে ৯০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আরও জানতে ছাইলে পড়ুন
বিষয়: বিবিধ
১৪৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন