জামাত বসে বসে আংগুল চুষবে।গোলাম আযমের ৯০ বছর কারাদণ্ড।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৫ জুলাই, ২০১৩, ১২:৩৮:২৫ দুপুর



ঝটিকা মিছিল-ভাঙচুরে জামায়াতের হরতাল চলছে।

আজ দেখলাম কিছু আওয়ামী আল্লাহর অলি মিডিয়া ফাটাইয়া ফেলতেছেন যে জামাত শিবির পবিত্র রমজান মাসে হরতাল দিল কেন ? মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

তা দাদারা তোমরা কি জানতেনা এই প্রহসনের রায়ের প্রতিক্রিতা কি হতে পারে ? না কি ভেবেছিলে রমজান মাস তাই এই সুযোগে তোমরা জামাতের নেতার ফাসি দিবে আর জামাত বসে বসে আংগুল চুষবে ।

মালাউনের বাচ্চারা তোমাদের জ্ঞেতার্থে বলছি , ইসলামের ইতিহাসের ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ কিন্তু এই রমজান মাসেই হয়েছিল ।আর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ইতিহাস হচ্ছে তাদের রাত কাটে জায়নামাযে , দিন কাটে ঘোড়ার পিঠে ।

প্রঃ গোলাম আজমের রায়ে কি হবে?

উঃ ফাঁসী

প্রঃ কেন হবে?

উঃ কারন মার্কিন কূটনীকের দূতিয়ালিতে অনুষ্ঠিত গওহর রিজভী ও ব্যারিষ্টার রাজ্জাকের মাঝে সমঝোতার শেষ উদ্যোগ ও ব্যার্থ হয়েছে।

প্রঃ আগামীকালের হরতালে জামায়াতের নেতাকর্মীরা কি সাঈদীর রায়ের ন্যায় মাঠে নেমে আসবে?

উঃ না। সিমপ্লি কামারুজ্জামানের মামলার রায়ের মত অফিসিয়াল প্রতিবাদ জানাবে।

প্রঃ কেন?

উঃ কারন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সেন্টিমেন্ট শাহবাগ আন্দোলনের সাথেই কবরে চলে গেছে।

প্রঃ গোলাম আজম সহ বাকী সবার ফাঁসী কি কারযকর করে যাবে আওয়ামীলীগ?

উঃ খুব সম্ভবত না। কাদের মোল্লাকে নিয়ে একটা এটেমপ্ট নিতে পারে। তবে সাঈদী বা গোলাম আজম?

ইম্পসিবল!

প্রঃ আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি চেঞ্জ হবে এই রায় দিয়ে?

উঃ ১% পসিবলিটি থাকতে পারে।

যেটাকে টেক্কা ভেবে ওভারট্রাম্প করতে যাইতেছে আওয়ামীলীগ, সেটা স্রেফ একটা পাজল ল্যুপ ছাডা আর কিছুই না। শুধু চক্রাকারে ঘুরেই যাবে। গোলকধাঁধা থেকে বেরোবার পথ আর খুঁজে পাবে না আওয়ামীলীগ।

বিকজ, এই গোলাম আজমের একার যেই পলিটিক্যাল স্কিল আছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বর্তমান সব পলিটিশিয়ান মিলেও তার সমপরিমান হবে কিনা সন্দেহ আছে! (ব্যাক্তিগত ধারনা)



শিবিরকে লক্ষ্য করে পুলিশের রাবার বুলেট, সাংবাদিক আহত।

খেয়াল করা উচিৎ ছিলো আওয়ামীলীগের যে, গোলাম আজমকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আগুনে হাত দিয়েছে আওয়ামীলীগ। হয় তারা এই আগুন নেভাবে, নাহয় জ্বলে পুডে ছাই হয়ে যাবে।

সময় টিভিতে মাঝে মাঝে গোলাম আজমের একটি ফুটেজ দেখায় এমন যে, গোলাম আজম হেটে হেটে আসছে, তার সাথে সাথে এক সাংবাদিক মাইক্রোফোন ধরে আছে আর গোলাম আজম বলছে, "আগামী নির্বাচনে জিততে পারবে না, তাই হাসিনা এসব করছে" !!!

কত সালে গোলাম আজমকে যুদ্ধাপরাধ মামলায় আদালতে তলব করা হয়েছে?

মোষ্ট পসিবলি ২০১০/২০১১ সালে?

চিন্তা করা যায়, আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা যখন মধ্যগগণে, তখন এই

গোলাম আজম আজকের পরিস্থিতিটা বলেছিলো!!!

সৈয়দ আশরাফের পদত্যাগ গুঞ্জন, মাঠ পরযায়ে আওয়ামীলীগের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ, আগামী সংসদ নির্বাচনে ৫টা আসন পাবারো সম্ভাবনাও দেখা যাইতেছে না আওয়ামীলীগের। আর যদি দেশে গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা অব্যাহত থাকে, তবে আওয়ামীলীগকে কুরে কুরে খেয়ে ফেলবে জামাত। তাতে আরো ৫/১০ বছর যাই লাগুকনা ক্যান।

মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে নোংরা রাজনীতিতে মেতে উঠেছে; আওয়ামীলীগ

গোলাম আজম সাহেবের মামলার শুনানী শেষ হয়েছে ৩ মাস আগে, একটা রায় লিখতে কতদিন সময় লাগে? রায়টা কী রমজানে আগে দেয়া যেতনা?

এখন পবিত্র রমজান মাসে দেশের জনগণকে রাজপথে ঠেলে দিচ্ছেন কেন? এর দায় কে নিবে?

যতই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেন না কেন "পবিত্র রমজান মাসে জামাত-শিবির হরতাল ডেকে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করছে, আবলা.… আবলা…"

আপনাদের এসব ফতুয়াই এদেশের জনগণ কখনো কান দিবে না।

আল্লাহ জালেম সরকারের হাত থেকে ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে তুমি হেফাযত করো.......

নির্ঘুম মুরসি ও গোলাম আজম পরীবার।

না ভাই শুধু তাদের পরীবার নয়-

আজ নির্ঘুম লক্ষ কোটি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী।

ক্রন্দনরত লক্ষ লক্ষ ভাই।

তাদের মুক্তির জন্য সিজদারত অসংখ্য ভাই।

সবার মুখে একটাই ফরিয়াদ-

ইয়া রব তুমি আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমাদের নেতৃবৃন্ধদের মুক্ত করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দাও।

এক শাহ ভাগী গাঞ্জুটি চত্বরের চরম পতন থেকেও শেখ হাসিনা শিক্ষা নেন নি । ছিঃ ছিঃ ছিঃ

তিনি তার নারী সংসদ সদস্য এবং ভাড়াটিয়া বুদ্ধিব্যবসায়ীদেরকে পুনরায় ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁতিয়ে তুলতে চাচ্ছেন ! তিনি কি মনে করছেন এই করে দেশকে মিশরের পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে ???

তিনি এবং তার দল কোন নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে ? কৃষাণি কিংবা বস্ত্রবালিকাদের প্রতিনিধিত্ব কি আছে তার দলে ???

কতিপয় নারী ভোগীকে দেখলাম বিবৃতি দিতে ; নিন্দা জানাতে ।

হাসব নাকি কাঁদব ভেবে পাই না ।

এনাদের কিছু সংখ্যক আছেন যারা চিরটাকাল কাটিয়েছেন খেল তামাশায়, আর এখন ভুগছেন আমাশায় । তাদের লেখালেখি থেকে যদি উদ্ধৃতি দেয়া হয় তাহলে এখনই হয়ত দাঙ্গা বেজে যাবে ; তাও হুঁশ নেই হাসিনার !

ডুবন্ত তরীর মাঝি হিসাবে যেন এনারাই যেন বেশি পছন্দ তার :/

তারা কি চাচ্ছেন জানি না । তবে এতে আর যাই হোক তাদের জন্য কোন মঙ্গল নেই । কারণ মতিয়া-হাসিনা-বেবি-অপু-বাপ্পি-চুমকিরা যে কোন ইসলাম জানেন আর কি মানেন সেটা জাতির কাছে অস্পষ্ট নয়, সুস্পষ্ট ।

লেবু কচলে তিতা করণেই যেন সুখ । আসলে তো এখানেই তাদের অসুখ ।

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File