তোমার ও তোমার অনাগত সন্তানের জন্য বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়তে তীব্র দ্রোহে অবতীর্ণ হও।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১১ জুলাই, ২০১৩, ১১:৫২:৪৬ সকাল
আমাদের দেশে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সবক্ষেত্রে আর আমেরিকাতে? একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন- 'আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন' লিংকন: কেন? ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই। লিংকন: কিসের যোগ্যতা আছে আপনার ছেলের? ভদ্রলোক: আমার আব্বার আব্বার আমেরিকার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন; আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর। তাই দেশসেবার চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ। লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দেন
বাংলাদেশ কেন পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়েছিল? এক কথায় জবাব হবে-পাকিস্তানি শাসকদের চরম বৈষম্যের কারণে। অথচ আজ এই বৈষম্য মুক্তির স্বাধীনতা যুদ্ধকে পুঁজি করে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের বীজ রোপন করা হয়েছে। (তাও প্রকৃত মহান মুক্তিযোদ্ধারা হলেও একটা কথা ছিল; বরং ভূয়া সনদ ধারীদেরই পোয়াবারো। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা রিকশা চালায়, ভিক্ষা করে আর অনাদর, অবহেলা, বিনা চিকিৎসায় মরে।) সন্তানের পর এখন নাকি নাতি-নাতনীও প্রাধিকার পাবে! আমাদের প্রজন্ম বঞ্চিত হয়েছে, এবার বঞ্চিত হবে পরবর্তী প্রজন্ম। তোমার ও তোমার অনাগত সন্তানের জন্য বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়তে তীব্র দ্রোহে অবতীর্ণ হও। সকল প্রকার অযৌক্তিক কোটা প্রথার বিলোপ চাই.........কোটা বিরোধী আন্দোলন সফল হলে, জমির চাচা লাকি আক্তার ও নাস্তিকদের অপবিত্র করা শাহবাগ কিছুটা হলে ও পবিত্র হব।স্বাধীন বাংলাদেশে সনদপ্রাপ্ত প্রায় ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সকল ক্ষেত্রে ৩০% কোটা আছে , কিন্তু স্বাধীনতা আর্জনের জন্য যে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দিল তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য কি কোন কোটা আছে?আমরা সরকারী চাকুরীর নিয়োগে বর্তমান কোটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে আমাদের মতামত ব্যক্ত করছি। চাকুরী প্রার্থীর ব্যক্তিগত যোগ্যতাই হওয়া উচিত চাকুরী পাওয়ার মাধ্যম। কেবলমাত্র মানবিক কারনে যেসব কোটা প্রচলিত আছে (যেমন, প্রতিবন্ধী কোটা) এগুলো ছাড়া বাকী সব কোটা বন্ধ করা উচিত। আমরা দেশের সকল নাগরিকের চাকুরির নিয়োগের ক্ষেত্রে সমান অধিকার চাই। একটি দেশ কখনোই মেধাবীদের বাদ দিয়ে ৫৫% কোটা থেকে নিয়োগ দিয়ে উন্নতি করতে পারে না। হ্যাঁ । এসবই সম্ভব । সব হওয়ার দেশে কিছুই যেন আর না হওয়া থাকবে না :/
প্রিলিমিনারিতে কোটা কখনোই ফলো করা হত না । সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেটা দেখা হত । এ আজকের কথা না । বহু পুরানো নিয়ম/ঐতিহ্য । কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল জানিনা এবার কি হচ্ছে এসব ???
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও না, নাতিনাতনীদের জন্য O
নদী ভাঙ্গা বন্যা কবলিত গ্রামের দুঃস্থ/অনগ্রসর পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য নয় ; শহুরে আদুরে তোমার আমার চেয়ে কম নয় বেশি সুযোগ পাওয়া নারীদের জন্যও !
বললাম তো যে কোটা আপনারা এখনো বহাল রেখেছেন সেটাও যদি ফলো করেন তাও বলি আমাদের সাথে তাদেরকে প্রতিযোগিতা করতে বলেন "সব পরীক্ষায় পাশ" করে যদি তারা যোগ্যতমদের আসে পাশেও থাকে তাহলেও তাদেরকে অগ্রাধিকার দিন কিন্তু এভাবে #লিঙ্গ বৈষম্য করবেন না । এভাবে মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর মুক্তিযুদ্ধকে #কলঙ্কিত করবেন না । এ বৈষম্য সাংবিধানিক হতে পারে না ।
যোগ্যতমের জয় হোক । দয়া/অনুকম্পা মেধা বিকাশের সহায়ক নয় ।
রাষ্ট্র এভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে না ।
আমি মানি না এ ফলাফল ।। আমরা মানি না ।।
৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফলাফল পুনোর মূল্যায়ন করা হোক । সবচেয়ে যোগ্যমত প্রার্থীকে বঞ্চিত করে, কম মেধাবীদেরকে কেন অগ্রাধিকার দেয়া হবে ??? এটা হতে পারেনা । চলতে পারেনা ।।
রাষ্ট্র সবার । এ রাষ্ট্রকে সেবা দেয়ার দায়িত্ব মেধাবীদের । মেধাবীরা সেবা দিতে চায় কিন্তু সরকার তাদের সেবা নিতে চায় না । এরচেয়ে জঘন্য নির্মমতা, রাষ্ট্রের প্রতি বেঈমানি আর কি হতে পারে ???
মেধাবিনাশী কোটা প্রথার কারনে দেশকে প্রতিবন্ধী হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এবার শুরু হয়েছে তরুণ প্রজন্মের সত্যিকার জাগরন
সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মাবতাবিরোধী কোটা প্রথা যৌক্তিকিকরন ও ৩৪তম বিসিএসের ফলাফল বাতিল না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ না ছাড়ার ঘোষণা
"মেধামঞ্চ" ঘোষণা
দেশ কে পিছিয়ে নেয়ার জন্য কোটা পদ্ধতি খুবই ফলপ্রসূ। এর মাধ্যমে অনেক গোবর গনেশ নীতিনর্ধিারনী পর্যায়ে যেতে পার। এই কোটার কারনে অনেক মেধাবী বিদেশ যেতে পারে । কারন দেশে তাদের ঠাই নেই । তারা বিদেশ গেলেও দোষ, কারণ মেধা পাচার হয়ে যায়। তারা যদি দেশে থেকে না খেয়ে মরে তবেই আমাদের সুখ । আমাদের আশেপাশে কেউ যদি কোন চাকরি পায়, তবে আমরা জিজ্ঞাসা করি কোটা আছে কিনা? টাকা পয়সা দিছে কিনা? মামা আছে কিনা? আমরা সন্দেহবাতিগ্রস্ত হয়ে গেছি। মুক্তযোদ্ধা কোটা ধারীরা এখন নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়, ভয়্ও পায়, কারণ তার ওটা আছে মানেই সে অমেধাবী এবং অনগ্রসর গোষ্ঠির অর্ন্তভুক্ত হয়ে যাবে। দেশের গর্বিত সন্তান মুক্তেযোদ্ধার সন্তান, তারা বাঘের সন্তান, তাদের কে কোটা দিয়ে অমেধাবী, অনগ্রসর এবং বিড়াল ছানা প্রমাণ করার কোন অধিকার আমাদের নেই। তাই অবিলম্বে তাদেরকে কোটামুক্ত করে আবারও "বাঘের সন্তান" হবার সুযোগ দেয়া উচিত।
ATN News রিপোর্ট করেছে – শাহবাগে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে মেধাবী ছাত্রদের রাস্তায় অবস্থানের কারণে নাকি সীমাহীন যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের জীবন নাকি দুর্বিষহ হয়ে গেছে, ৩০ মিনিটের রাস্তা ২ ঘন্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে। অনেকে গাড়ি না পেয়ে হেটে গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছে। সবই ঠিক আছে ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো - শাহবাগে যখন নাস্তিকরা দিনের পর দিন অবস্থান করে নাচ-গান করেছে, বিরিয়ানী খেয়েছে, আমোদ-প্রমোদে রাত দিন কাটিয়েছে; তখন তো ATN News কে যানজট নিয়ে কোন রিপোর্ট করতে দেখা যায়নি। বরং তারা তা Live সম্প্রচার করেছে।
অথচ আজ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ছাত্ররা যখন রাজপথে নেমেছে, তখনই ATN News সহ কিছু দালাল মিডিয়া যানজটের দোহাই দিয়ে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করছে।
দালালীর একটা সীমা থাকা উচিত। মাঝে মাঝে এসকল দালাল গুলোকে ছেঁড়া স্যান্ডেল দিয়ে উত্তম মধ্যম দিতে ইচ্ছে হয় ।
এত দিন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হতো। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পর্যায় থেকেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োাগ করা হয়েছে। এতে মেধাবীদের একটা বড় অংশ শুরুতেই সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এ পদ্ধতির ফলে কম নম্বর পেয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী ও নারী কোটায় লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়ে যাবেন। আর অপেক্ষাকৃত বেশি নম্বর পেয়েও এই কোটার বাইরের অনেকে সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
"শাহবাগের বেজম্মাদের বিরিয়ানী আন্দোলন" আর শাহবাগে "কোটা বিরোধী আন্দোলন" এক কথা নয়।
"বেজম্মাদের বিরিয়ানী আন্দোলন" পরিচালিত হয়েছিলো বাম, সেকুলার ও নাস্তিকদের নেতৃত্বে... এর উদ্দেশ্য ছিল সরকারের দালালী ও দেশের ইসলামী মূল্যবোধ কে ধ্বংস করা...
অপরদিকে শাহবাগে "কোটা বিরোধী আন্দোলন" পরিচলিত হচ্ছে মেধাবীদের নেতৃত্বে...
লক্ষ লক্ষ মেধাবী ছাত্রদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়নের লক্ষে।
শাহবাগে কোন আন্দোলন হলেই তাকে "শাহবাগ আন্দোলন" বলার কোন অর্থ হয় না।
এই আন্দোলনকে ব্যর্থ ও ঘৃণিত "শাহবাগ আন্দোলন" না বলে বলুন "কোটা বিরোধী আন্দোলন"।
কারন তা না হলে বাম, সেকুলার ও নাস্তিকদের নেতৃত্বে পরিচালিত "শাহবাগ আন্দোলন" আর "কোটা বিরোধী আন্দোলন" ঘুলিয়ে যাবে আর মাঝখান থেকে এর লাভ ভোগ করবে নাস্তিক "শাহবাগীরা"।
পিএসসির ফলাফল পূর্ণমূল্যায়ণের ঘটনাকে আপাতদৃষ্টিতে আন্দোলন স্তিমিত করার দূরাভিসন্ধি বলে মনে হচ্ছে।আজ আমরা শাহবাগে স্মরণকালের সবচেয়ে সফল কোটাবিরোধী কর্মসূচী পালন করলাম।আমাদের কর্মসূচী অব্যহত থাকলে অবশ্যই আমরা দেশকে কোটার বিষবাষ্প থেকে মুক্ত করতে পারব।
এখন আমাদের উচিত ফলাফল পূর্ণমূল্যায়ণের ঘটনায় খুশি না হয়ে দূর্নীতিপূর্ণ কোটার মূলৎপাটন করা।এজন্য দরকার অচিরেই দাবি-দাওয়ার সুষ্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ণ করা এবং তা আদায় না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।এখানে আমার কয়েকটি চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরলাম-
১)মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১৫% এবং সবমিলিয়ে কোটা ৩০% এর বেশী করা যাবে না।
২)কোটাধারীদের প্রায়রিটি দেয়ার জন্য কাট-মার্ক ভিন্ন রাখা যাবে না এবং অবশ্যই স্ট্যন্ডার্ড মেইন্টেন করতে হবে।
৩)কোটার সিট এরপরেও ভেকেন্ট থাকলে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে তা পূরণ করতে হবে।
৪) দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক ক্যাডার সার্ভিসে কোটাধারীদের অবশ্যই সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মত যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে আসতে হবে।
৫)মেধাবী কোটাধারীরা অবশ্যই ক্যাডার পদের জন্য সুবিধা পাবে তবে অযোগ্যদের সুবিধা দিতে হলে তাদের নন-ক্যাডার সার্ভিসে সুযোগ দিতে হবে।
দাবি-দাওয়া প্রণয়ণে সকলের সম্মিলিত চেষ্টা ও সময়পযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর সিস্টেমের উপহার দিতে পারব যেখানে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের সাথে কোটাধারীদের কোন দ্বান্দিক সম্পর্ক থাকবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৩২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন