আওয়ামী বর্বরতার শেষ কোথায় ।পর্ব - ৩
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৮ জুলাই, ২০১৩, ০২:২৬:৪৭ দুপুর
নিষপাপ চেহেরার এই মানুষটি কে কেন নির্মম ভাবে হত্যা করা হল ?
-"পিতা-মাতার আশা অনুযায়ী মুফতি হয়ে বাড়ি ফেরা হলোনা ওয়াহাবের।
ফিরলেন ঠিকই কিন্তু লাশ হয়ে। ওয়াহাবের বাড়ীতে এখন কান্নাররোল।
স্তম্বিত এলাকাবাসীও।
ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের তালাব গ্রামের মোঃ শাহ্ নেওয়াজ মোল্লার পুত্র ওয়াহাব(২৫)। চট্রগ্রাম হাটাজারী মাদ্রাসার ছাত্র সে হেফাজতে ইসলামের ডাকা ৫মে’র ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী অংশ গ্রহন করেছিল সহপাঠিদের সাথে ওয়াহাবও।কিন্তু সে ভাবতে পারেনি এদিন টিই হবে তার জীবনে শেষ দিন। মতিঝিলে রাতের আঁধারে গুলিবিদ্ধদের তালিকায় পড়ে যায় হতভাগ্য ওয়াহাবও।
¬¬¬-সোমবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে থেকে ছোট ভাইয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করে বড় ভাই আঃ হান্নান।নিহতের ভাই জানায়,ঢাকায় হেফাজতে ইসলামেরকর্মসুচীতে হতাহতের ঘটনার পরতার ভাইয়ের কোন খোঁজ মিলছিলনা। পরদিন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিক গুলোতে ছোট ভাইয়ের ছবি নিয়ে সন্ধান চালায় তারা।অবশেষে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে তার ভাইয়ের সন্ধান পায়।ভাইয়ের মৃতদেহ পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সে সহ সাথে থাকা স্বজনরা।তাৎক্ষনিক খবরটি পৌঁছে যায় অন্যান্য আতœীয় স্বজনদের কাছেও।
মঙ্গলবার বেলা ৪টার দিকে ছোট ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নের তালাব গ্রামের বাড়ীতে পৌছে তারা। এ সময় আতœীয় স্বজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসীর মধ্যেও কান্নার রোল পড়ে যায়।
সন্ধা ৬টায় তার নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।এলাকাবাসী জানায়, শাহ্ নেওয়াজ মোল্লার ৫সন্তানের মধ্যে ৪ছেলে ও ১মেয়ে।তাদের মধ্যে ওয়াহাব ৪র্থ।বড় দু’ভাই স্কুল শিক্ষায় দিয়ে তাঁকে আরবী লাইনে উচ্চ শিক্ষা দেয়ার স্বপ্ন ছিল। মাওলানা শেষ করে মুফতি অর্জন করতে আর মাত্র তিন মাস বাকী ছিল।এরই মধ্যে হেফাজতের কর্মসুচীতে গিয়ে অকালে ঝড়ে যায় ওয়াহাব।মায়ের কোলে ফিরে আসে ঠিকই তবে মুফতি হিসেবে নয় নিথর দেহ নিয়ে।কান্না যেমন থামছেনা স্বজনদের তেমনি শোকাহত এলাকাবাসীও। শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি সমবেদনাজ্ঞাপন করে মরহুমের বিদেহী আত্ত্বার মাগফেরাত কামনা করি।
বিষয়: বিবিধ
১৫৪৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন