আহলান সাহলান মাহে রামাদান

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৪ জুন, ২০১৩, ১০:২৭:৫৯ সকাল



কয়েক দিন আগে লিফলেট পেলাম ।আচ্রয্য হলাম এত জুলুম নির্যাতনের পরেও এদের স্বাভাবিক কারয্যক্রম অব্যহত দেখে।।চলুন দেখি লিফলেটে কি ছিল।

বিসমিল্ল¬াহির রাহমানির রাহীম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী

৪৮/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০, ই-মেইলঃ <>

তারিখঃ ১৫.০৬.২০১৩

কর্মীদের উদ্দেশ্যে

বিষয় ঃ রামাদানুল মুবারকঃ ১৪৩৪ হিজরী, ২০১৩ ঈসায়ী।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্ল¬¬াহ।

আশা করি আল্ল¬¬াহর রহমতে ভাল আছেন এবং বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতিতেও দীনি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

রহমত,মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রামাদানুল মুবারক সমাগত। রামাদান হলো নৈতিক প্রশিক্ষণ, আতœশুদ্ধি ও আতœগঠনের মাস। সাথে সাথে দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করার মাসও এ রামাদান। তাই মহান আল্লাহ তায়ালার যথার্থ শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে পূর্ণ আতœসচেতনতা ও আতœউপলব্ধি সহ পালন করতে হবে এ পবিত্র মাস। মাস ব্যাপী সিয়াম সাধনাকে নফসের পরিশুদ্ধি, চরিত্র গঠন ও মানোন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে যথারীতি। এর জন্য সঠিক নিয়মে সিয়াম পালন, ইফতার, তারাবীহ, জামায়াতে সালাত আদায়, কুরআন-হাদীস অধ্যয়ন - এ সব যথাযথভাবে পালন করে যেতে হবে। কিয়ামুল লাইল বা সালাতুত তাহাজ্জুদ আদায় করার দুর্লভ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

বিশেষ করে দেশের বর্তমান সংকটকালে একটি অশুভ শক্তি যখন ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী নেতৃত্ব,ইসলামী মূল্যবোধ ঐতিহ্য ও ইসলামী শিক্ষা সমূলে ধ্বংস করে দেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়, ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী ও আলেমদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নির্মম ও নিষ্ঠুর আঘাত যখন সকল মানবিক সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে ঠিক সে সময়ে আধ্যাতিœক ও নৈতিক শক্তিতে বলিয়ান হবার ও জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের দোয়া কবুলের এক অপূর্ব সুযোগ এনে দিয়েছে এ মাস।

আল্লাহ তায়ালার গযব থেকে রক্ষা ও নেতৃবৃন্দসহ সকল মজলুম মানুষের মুক্তির জন্য এ সময়ে বেশী বেশী দোয়া করতে হবে। মাঠে ময়দানে তৎপর থাকতে হবে এবং বিজয় অর্জন ও সফলতার জন্য আমাদের প্রকৃত মালিক ও অভিভাবক মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে ধরনা দিতে হবে ও সাহায্য চাইতে হবে।

আল কুরআনের ঘোষণা - “আল্লাহ যদি তোমাদের সাহায্য করেন তাহলে কোন শক্তি তোমাদের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারবে না । আর যদি তিনি তোমাদের পরিত্যাগ করেন, তাহলে এরপর কে আছে তোমাদের সাহায্য করার মতো ? কাজেই সাচ্চা ম’ুমিনদের আল্লাহর ওপরই ভরসা করা উচিত।” (সূরা আলে ইমরান-১৬০)

মনে রাখতে হবে, মানোন্নয়নের জন্য উত্তম ব্যবস্থা হল গভীর মনোযোগের সাথে সালাত আদায় এবং ফরজ সালাত জামায়াতের সাথে আদায়। সালাতে পঠিত আল কুরআনের আয়াতসমূহ উত্তমভাবে অর্থসহ বুঝে বুঝে তেলাওয়াত করতে হবে। দোয়াসমূহ অর্থ বুঝে ভালোভাবে পড়তে হবে। ধীরস্থিরভাবে রুকু-সিজদাহসহ সালাত আদায়ে আরো আন্তরিক হতে হবে। অন্তরের উপলব্ধিসহ কুরআন অধ্যয়ন করতে হবে। অর্থ বুঝে ব্যাখ্যাসহ তাফহীমুল কুরআন পড়তে হবে। এছাড়াও বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াতের চেষ্টা করতে হবে। নির্ভরযোগ্য হাদীসগ্রন্থ থেকে হাদীস পাঠ করতে হবে। সাথে সাথে যথাযথভাবে ইসলামী সাহিত্যও অধ্যয়ন করতে হবে।

একজন মুমিন হিসেবে নিজের মান উন্নত করার সাথে সাথে নিজের পরিবারকে সেভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এমাস আল্লাহর দীনের দা’য়ীদের জন্য দাওয়াত ইলাল্লাহর এক অনুকূল পরিবেশ নিয়ে আসে তাই প্রত্যেককেই নিজের পাড়া-প্রতিবেশী, আতœীয়-স্বজন, সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধবকে দীনের পথে এগিয়ে নেয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা চালাতে হবে। এপর্যায়ে ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াত প্রদান ও আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। পারিবারিক বৈঠক করে পরিবারের সদস্যদেরকে আখিরাতমূখী করার প্রচেষ্টা নিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে মানব সেবায় আতœনিয়োগ করতে হবে।

রামাদানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোর যথাসম্ভব হক আদায় করার পদক্ষেপ নিতে হবে। আতœগঠনের এ মাসে নিম্নোক্তরুপে কুরআন হাদীস ও ইসলামী সাহিত্যগুলো পাঠ করবেন:

১। আল-কুর’আন ঃ সূরা আল বুরুজ, সূরা আনকাবূত-১ম রুকু, সূরা আসসফ, সূরা ওয়াকিয়া, সূরা তাকাসুর,

সূরা আল আসর ও সূরা আল কদর ;

২। হাদীস ঃ আখিরাত, সিয়াম ও চরিত্র গঠন সংক্রান্ত অধ্যায় ;

৩। সাহিত্য ঃ কুরআন রমযান তাকওয়া, নামায রোযার হাকীকত, জীবন্ত নামায, রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন ,

হেদায়াত ও ইসলামী আন্দোলন: সাফল্যের শর্তাবলী ;

৪। তা’লীমুল কুর’আন ঃ সহীহ তেলাওয়াত শিক্ষার ব্যবস্থা করা ;

৫। আল-কুরআনের বাছাই করা আয়াত ও হাদীস মুখস্থ করা।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

প্রতিবারের মতো এবারও সামর্থানুযায়ী ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাড়া-প্রতিবেশী ও আতœীয়- স্বজনদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন এবং সাংগঠনিক ভাবে ইফতার মাহফিল আয়োজনে সহযোগিতা করবেন।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এ মাহে রামাদানে সাধারণতঃ সাহেবে নেছাব ভাই/বোনেরা যাকাত দিয়ে থাকেন। খরচের ৮ টি খাত মোতাবেকই জামায়াত যাকাতের অর্থ ব্যয় করে থাকে। জামায়াতের তৃতীয় দফার কাজকে গতিশীল ও জোরদার করার লক্ষ্যে মহানগরী জামায়াতের সমাজসেবা ফান্ডকে শক্তিশালী করার জন্য এবারও যাকাত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আপনার যাকাতের উল্লেখযোগ্য অংশ যাকাত তহবিলে প্রদান করবেন। সাহেবে নেছাব সদস্যগণ (রুকনগণ) তাদের যাকাতের ৬০% ভাগ সংগঠনের যাকাত ফান্ডে জমা দেবেন।

আত্মগঠন তথা সবর ও ইস্তেকামাতের নিয়তে, চরিত্র গঠনের সাধনায় মানোন্নয়নের অবলম্বন হিসেবে এ মাসটি যথাযথভাবে গুরুত্ব সহকারে পালনের জন্য শাবান মাস থেকেই শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে এবং রামাদানের প্রথম দিন থেকেই বর্ণিত পরামর্শগুলো সাধ্যনুয়ায়ী বাস্তবায়নে আতœনিয়োগ করতে হবে। আল্ল¬াহ আমাদেরকে তাঁর প্রিয় গোলাম ‘মুমিন- মুজাহিদ-মুত্তাকী ও মুহসিন’ হিসেবে কবুল করুন। আমীন। আল্ল¬াহ হাফেজ।

(রফিকুল ইসলাম খান)

ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল



আমীর, ঢাকা মহানগরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

বলুন তো এ সরকার এদেরকে রুখবে কি দিয়ে। আসলে কি এ সরকারের এ ক্ষমতা আছে। যারা জীবন বাজী রেখে সংগ্রাম অব্যহত রাখে?.।.।.।.।

বিষয়: বিবিধ

২৪৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File