বিশ্বের ইতিহাসে সর্বোচ্ছ জুলুম ও মামলাবাজ সরকার হিসাবে গিনিচবুকে স্থান পাবেন হাসিনা সরকার।
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৮ জুন, ২০১৩, ১০:১৫:৫৭ সকাল
সংঘাত-সংঘর্ষে সাধারণ জনগণসহ জামায়াত-শিবিরের বহু নেতাকর্মী নিহত হন। পঙ্গুসহ আহত হন আরও অনেক। জামায়াতের তথ্য অনুযায়ী, ৫৪ মাসে বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা ২৬ হাজারের মতো মামলায় দলটির ৫ লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে সারা দেশে গ্রেফতার হন ৪৩ হাজার নেতাকর্মী। বর্তমানে সারা দেশে ২০ হাজারের মতো নেতাকর্মী কারাগারে আটক আছেন। গ্রেফতার আতঙ্কে ঘরছাড়া অধিকাংশ নেতাকর্মী। প্রয়োজনমতো চিকিৎসাও নিতে পারছেন না তারা। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পেশাগত কর্মক্ষেত্রে ঠিকমতো সময় দিতে না পারায় আর্থিকভাবেও হুমকির মুখে পড়ছেন অনেক নেতাকর্মী।স্বাভাবিকভাবে কোনো কর্মকা-ই চালাতে পারছে না জামায়াত। প্রশাসন কোনো সভা-সমাবেশ করতে না দেয়ায় দীর্ঘদিন দলের রুকন সম্মেলন হয়নি। দলীয় সংবিধানের আলোকেই জরুরি পরিস্থিতি অনুযায়ী চালানো হচ্ছে সাংগঠনিক সব কর্মকা-। তিনি বলেন, গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে শুধু আমরা নই, গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা সাময়িক এসব ক্ষতি মেনে নিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।জামায়াতে ইসলামীতে চলছে জরুরি অবস্থা। সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে দলের কেন্দ্র থেকে। বলা হয়েছে জরুরি অবস্থা বিবেচনায় চলতে হবে। সরকারের কঠোর নীতির কারণে দলটি স্বাভাবিকভাবে চালাতে পারছে না কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম। প্রথম ও দ্বিতীয় সারির অধিকাংশ নেতা দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকায় তৃতীয় সারির নেতারাই এখন দল চালাচ্ছেন। দেশব্যাপী অব্যাহত ধরপাকড়ের কারণে সক্রিয় নেতাকর্মীরাও আছেন আত্মগোপনে। দলীয় অফিস তো দূরের কথা, বাসাবাড়ি, অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কোথাও বিচরণ করতে পারছেন না তারা। উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা নেতারা। তারা কর্মীদের চাঙা রাখতে দিচ্ছেন দিকনির্দেশনা। তারা মনে করছেন, তাদের ওপর জুলুম চলছে। জরুরি পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা বিবেচনায় চলা ছাড়া আর উপায় নেই। তারা মনে করছেন, বর্তমানে যে অবস্থা চলছে তা সাময়িক। বর্তমান সমস্যাসঙ্কুল অবস্থাকে সাময়িক হিসেবে আখ্যায়িত করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতকে নির্মূলের জন্য সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র করেও দলটিকে এখনও যেমন আটকাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না। প্রতিকূল পরিবেশেও দলকে মজবুত রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে। দল ও দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে যদি সরকার কোনো ফরমায়েশি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিরোধ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।গ্রেফতার বাণিজ্যের মাধ্যমে সারা দেশে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে শুধু আমরা নই, গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা সাময়িক এসব ক্ষতি মেনে নিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন