দেউলিয়া হবার আর কত দেরী পাঞ্জেরী?আগামীকাল সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৯ জুন, ২০১৩, ০৩:৩৬:১৫ দুপুর



তিন নেতাকে কারাদণ্ড দেয়ায় আগামীকাল

সোমবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের

ডাক

দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।অথচ তিন নেতার

মধ্যে দুইজন নেতা এখনও গ্রেফতারই হয়নি!

কি বুঝলেন!!

আগের দিন বাঘে খাইছে!

পাইকারি হারে গ্রেফতার,রিমান্ড,হত্যা,গুম

আর কতদিন সহ্য করবে!

আন্দোলন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি ...

হার্ডলাইন কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি ...

এখন তা উদাহরণসহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

"দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেভাবে রুখে দাঁড়ায়

আক্রান্ত দুর্বল

বিধ্বস্ত জাহাজ

যাত্রীরা আঁকড়ে ধরে ভাসমান পাটাতন

তেমনি একাগ্রতা নিয়ে আমি আপনাদেরকে আস

বিপ্লবের জন্য

প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলছি..... "

দেউলিয়া হবার আর কত দেরী পাঞ্জেরী?

===================

বাসায় লুঙ্গি পড়লে প্রায়ই মোবাইলটা কোমড়ে গুজে রাখি। কখনও মনে হয় ওটা একটা পিস্তল, আবার কখনও কখনও তলোয়ার। নিস্ফল ক্রোধ হতাশায় গলে গলে পড়ে... কেন আমি প্রতিবাদ করতে জানি না? কেন আকাশ কাপিয়ে চিৎকার করতে পারিনা? পারিনা কেন মাটি দাপিয়ে মিছিল করতে? আর কত দিন? আর কত দিন দাঁতে দাঁত চেপে মুখে কাষ্ঠহাসি টেনে বলব "ভাল আছি, বেশ ভাল আছি..."

আমি তো ভালো নেই। ভালো নেই আমরা কেউই। প্রতিটা মানুষ শঙ্কিত, প্রতিটা মানুষের চোখে সচকিত চাহনি - এই বুঝি বাঘ এলো, এই বুঝি গেল সাধের জীবন। কিন্তু আমি যদি সাধের জীবন বন্ধক রেখে ভালবাসতে পারি, তাহলে জীবনের পেছনে যে মৃণ্ময়সুধা, তার বেলায় কেন উদাসীন? প্রেমিকাকে ফুল দেবার সপ্নে বিভোর আমি; কিন্তু যদি কোন ফুলের গাছই না থাকে? বাঘের ভয়ে মরার আগেই নির্বাক জিন্দালাশ হয়ে আছি, কিন্তু বনটাই যে ধীরে ধীরে উজার হয়ে যাচ্ছে... আমার এ মড়ার ঘুম কেন ভাঙ্গে না?

যেভাবে লোভে লোভে বাকিতে ফাঁকিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে পুরো দেশ, দেউলিয়া হবার আর কত দেরী পাঞ্জেরী?

কে এই পাঞ্জেরী? কেচ্ছায় আছে, রাজকুমারী অপেক্ষা করে, পংখিরাজ ঘোড়ায় চড়ে এক রাজারকুমার আসবে, তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে স্বপ্নের দেশে, তারপর তাহারা সুখেশান্তিতে স্বপ্নের মত করে বসবাস করিতে লাগিবে। কিন্তু আমি কেন সেই একই স্বপ্নে বুদ হয়ে আছি? দেখেও না দেখার ভান করছি প্রতি মুহূর্তে - আকাশকুসুম কল্পনায় মত্ত হয়ে আছি - কেউ না কেউ প্রতিবাদ করবে, বিদ্রোহ বিপ্লব করবে, দেশে শান্তি আসবে, ভাল দিন আসবে - আমি আপাতত সহবাসে মন দেই - আমি সাংসারিক মানুষ, দুবেলা দুমূঠো খেয়ে দিন গুজরান করি - আমি আন্দোলন ফান্দোলনে নেই।

কিন্তু, আমিই তো পাঞ্জেরী। আমিই তো শেষ আশা ভরসার স্থল। সবার কাছে না হোক, আমার আপাপবিদ্ধ অশূচীস্পর্শা মেয়েটার কাছে, আমার চঞ্চল স্বপ্নাবিষ্ট ছেলেটার কাছে - যাদের সেই সুদুর বেহেস্ত থেকে দোয়া করে, নিমন্ত্রণ করে এনেছি আমি, সাথে শপথ নিয়েছি - এই আত্মাদের আমি পৃথিবীতে নিরাপত্তা দেব, স্থিতি দেব, দেব মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠার সুযোগ ও পরিবেশ। আজ অন্য কোন বাবা বা মায়ের দুঃখে আমার কোন বিকার নেই। থাকবার কথাও না - আমি সাংসারিক মানুষ। কিন্তু কাল যদি আমার মেয়ে ধর্ষিতা হয়? একটা বুলেট এসে কেড়ে নেয় আমার ছেলের তাজা প্রাণ? তখন? তখন কি হাজারো প্রতিবাদ প্রতিরোধে ফিরে পাওয়া যাবে আমার মেয়েটির বা ছেলেটির ইপ্সীত জীবন? কি হবে স্বর্গদুয়ারে ওদের কাছে করা আমার প্রতিজ্ঞার?

কিছু কিছু শোক আছে - আহাজারি আর চোখের পানিতে কোনদিনই দ্রবীভূত হয় না। আর চুপচাপ অন্যকারো আশায় বসে থাকলে কোন মানুষের/জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয় না।

বিষয়: বিবিধ

২০৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File