ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মবিরোধিতা একই মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:০৬:২৯ সকাল



ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মবিরোধিতা একই মূদ্রার এপিঠ ওপিঠ এবং এ দুয়ের সাথে নাস্তিকতার নিবিড় সম্পর্ক। সরকার যা করছে তা মুনাফেকের ন্যায় সুপ্রকল্পিতভাবে করছ।.

এ দেশে মুরতাদ, নাস্তিকদের আস্তানা হল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে; কিন্ত কেন? সেকুলারিজমের দার্শনিক ভিত্তি ও লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মহীনতা এবং নাস্তিকতার প্রসার। Webster dictionary নাস্তিক্যবাদ এর এর সংজ্ঞা দিয়েছ: the doctrine that there is neither god nor any other deity; এবং সেকুলারিজমের অর্থ লিখেছে, “a system of doctrines and practices that rejects any form of religious faith and worship “;দুটি শব্দ আলাদা হলেও অর্থ প্রায় একই। এজন্য একজন সত্যিকার সেকুলারিস্ট নাস্তিকের ন্যায় ধর্মীয় বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করে ফেলে কিংবা নাস্তিক্য প্রবন হয়ে পরে। Oxford English Dictionary সেকুলারিজমের অর্থ লিখেছে, “belief that morality and education should not be based on religion”; বাংলা একাডেমী প্রকাশিত ইংরাজী-বাংলা অভিধানে সেকুলারিজমের অর্থ লিখেছে, “নৈতিকতা ও শিক্ষা ধর্ম কেন্দ্রিক হওয়া উচিৎ নয়, এই মতবাদ; ইহজাগতিকতা; ইহবাদ।” এ, টি, দেবের ইংরাজী-বাংলা অভিধান Students’ Favourite Dictionary সেকুলারিজমের অর্থ লিখেছে, “রাজ্যনীতি, শিক্ষা ইত্যাদি ধর্মের প্রভাব হইতে মুক্ত রাখিবার মতবাদ।” উপরোক্ত দুটি বহুল পঠিত ইংরাজী-বাংলা অভিধানে সেকুলারিজমের অর্থ ধর্মনিরপেক্ষতা লেখেনি। প্রকৃতপক্ষে সাধারন মানুষদের ধোকা দেয়ার জন্য সেকুলারিজমের প্রতিশব্দ ধর্মনিরপেক্ষতা প্রচলন করা হয়েছে। শেখ মুজিবর রহমান বলেছিলেন, তিনি সেকুলারিজমে বিশ্বাস করেন; সুতরাং আওয়ামীলীগের ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে সেকুলারিসমকে বুঝতে হবে।.

একজন মুসলমানের নিকট তার নৈতিকতা ও শিক্ষার উৎস্য ইসলাম বহির্ভূত হলে, তার মুসলমানিত্বের কতটুকু অবশেষ থাকে? অধিকাংশ আলেম মনে করেন, সেকুলারিজম একটি কুফুরী মতবাদ। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, যারা আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী বিধান দেয় না তারাই কাফের (সুরা মায়িদাহ, আয়াত ৪৪)।.

নাস্তিক্যবাদ এবং সেকুলারিজমেও এক ধরনের বিশ্বাস ব্যাবসথা রয়েছে--সেটা বরং এরূপ যে, কোন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই এই বিশ্বাস স্থাপন করা এবং অন্য বিশ্বাস ব্যাবস্থাকে (ধর্মীয় বিশ্বাস) প্রত্যাখ্যান বা তুচ্ছ জ্ঞান করা। সেকুলারিজম বিশ্বাস ব্যবস্থায় সুনিদৃষ্ট কোন দেব-দেবি, ঈশ্বর প্রভৃতির অস্তিত্ব নেই; তবে একজন নাস্তিকের কাছে মানব জাতি বা প্রকৃতিই সর্ব শক্তিমান।এজন্য আলেম সমাজকে একটি বিষয় বিবেচনা করা দরকার তা হলে, সেকুলারিস্টদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন, তাদের জানাজা পরা ইত্যাদি শরিয়তের দৃষ্টিতে ঠিক হবে কিনা তা নির্ধারন করতে হবে।.

কলামিস্ট সিরাজুর রহমান লিখেছন

জন ওয়েন অভিনীত রিও লোবো নামের ছায়াছবিটি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বলতে হবে।

ছবির কাহিনীতে ইউনিয়নিস্ট বাহিনীর এক সার্জেন্ট তার অধীন কয়েকজন সাবেক সৈনিককে নিয়ে রিও লোবোতে আস্তানা গেড়ে বসে। এই লোকদের দিয়ে সে বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথের গরু কিংবা ঘোড়ার পাল ছিনিয়ে নিত। চার পাশের খামার মালিকদের ওপর জোরজুলুম করে নিজেদের জোত-জমা ওই সাবেক সার্জেন্টের নামে লিখে দিতে বাধ্য করা হতো। এলাকার মূল শহরে সে নিজের লোকদের শেরিফ (পুলিশ প্রধান), ডেপুটি ও জজ নিয়োগ করেছিল। কেউ সার্জেন্ট এবং তার দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে উল্টো তাকেই মারধর করা কিংবা গুলি করে খুন করা হতো।

আজকের বাংলাদেশের সাথে রিও লোবোর মিল চোখে না পড়েই পারে না। এ দেশের বিশাল পুলিশ বাহিনী রিও লোবোর শেরিফ ও ডেপুটিদের মতো। চোর চুরি করলে দোষ নেই, কিন্তু চুরির খবর যদি কেউ প্রকাশ করে পুলিশের চোট উল্টো তার ওপরই গিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের বিচারপদ্ধতি দলীয়কৃত বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। সুতরাং সুবিচার পাওয়ার আশা নেই বলে মনে করা হয়। শাসকের ওপরও এখন হাতির ঘাড়ের ছারপোকার মতো উৎপাত সৃষ্টি করেছে শাহবাগীরা। সরকার নিজেদের অন্যায় কাজের প্রতি মেকি সমর্থন হিসেবে দেখানোর জন্য এদের খোরপোষ আর অর্থ দিয়ে শাহবাগে বসিয়ে দিয়েছিল। এরা এবং এদের ‘পালের গোদা’ ডা: ইমরান সরকার এখন সে সরকারের ওপরই তম্বি করে, সরকারকে লাল চোখ দেখায়।

সম্মানিত পাঠক এখন আমাদের কি করা উচিৎ বলুন তো?

বিষয়: বিবিধ

১২৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File