মদিনা সনদ ও হাসিনার করণীয়।

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৩৭:২৩ দুপুর



আমার কেন জানি আজকাল শুধু মনে হয়, ওরা ভিন্নমতাবলম্বী, সাহসী, সত্যবাদী, দেশপ্রেমিক কোনো বাংলাদেশী নাগরিককে মুক্ত থাকতে দেবে না। তুমি যদি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাও, চুপ করে থাকো।

একটি রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন জানি। খুব স্বাভাবিক। প্রতিটি মানুষ রাজনৈতিক। কিন্তু যে কোনো অন্যায় তো অন্যায়ই, যে কোনো অবিচার তো অবিচারই, যে কোনো অত্যাচার তো অত্যাচারই। এসবের তো অন্য কোনো নাম নেই, অন্য কোনো সংজ্ঞা নেই। তবে? এই নীরবতার কারণ কী?

যে আদর্শের জন্য জীবন দিয়েছেন, তার কতটুকু এই ‘সোনার বাংলা’য় বাস্তবায়ন হয়েছে? প্রশ্ন করি , বর্তমানকে কীভাবে দেখছেন এবং বর্তমানে কী করছেন? সংগ্রাম কি চলমান প্রক্রিয়া নয়?

আমাদের আঁতেলরা এক একটি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে গিয়ে কেমন জানি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়ে যান। একটি মার্কা, একটি রঙ তাঁদের অন্ধ করে দেয়। চোখের সামনে সমাজটা নষ্ট হয়ে যায়, চোখের সামনে মানুষগুলো কুঁকড়ে যায়, চোখের সামনে দেশটা বধ্যভূমিতে পরিণত হয়, এদের কিচ্ছু যায় আসে না।

দেশের শাসক গোষ্ঠীর পুরোনো বাকশালী প্রেতাত্মা রা আবারও রাজনীতির স্থান টি কে অপরষ্কার করে দিয়ে যাচ্ছে এবং এক-নায়কতন্ত্রের বাকশাল কে প্রতিষ্ঠা করতে মত-বিরোধী দের উপর লোমহর্ষক নির্যাতন করে যাচ্ছে , সমাজের বুদ্ধিজীবি শ্রেনীর মুল্যবান মানুষ গুলো যতদিন না এ অবস্থার সু-পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করবেন ততদিন এধরনের কর্মকান্ড চলতেই থাকবে...

সংক্ষেপে মদিনা সনদের ধারা ও বর্তমান সরকারের করণীয় তুলে ধরা হলো।

----------------------------------------------

ধারা : করণীয়

---------

১) সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ ইসলামী রাষ্ট্রের অধীনে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে।

করণীয়:হাসিনাকে এখনি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে।

২) হযরত মুহাম্মদ (স) ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান থাকবেন।

করণীয়:যেহেতু আল্লার রাসুল (সাHappy আমাদের মাঝে নেই সেহেতু নবী রাসুলদের উত্তরসরী হিসাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্বজন সীকৃত আলেম কে রাষ্ট্র প্রধান বানানো হোক।

৩) কোন সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদীনা বা মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনরুপ সাহায্য-সহযোগীতা করতে পারবে না।

করণীয়:এখানে ভারতের সাথে টিপাইমুখ বাধ, গোপন করিডোর চুক্তি ও বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে রাশিয়া বা অন্য কোনো দেশ থেকে অস্ত্র কেনা যাবেনা।

৪) মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

করণীয়:বাংলাদেধে সংখ্যা লগু নির্যাতনকারী আওয়ামী ছাত্রলীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে নাস্তিকরা কোনো ধর্মেই নাক গলাতে পারবেনা।

৫) মদিনার উপর যে কোন বহিরাক্রমণ কে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে। এবং সেই আক্রমণ কে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে।

করণীয়:বাংলাদেশকে বিদেশী শক্তির(ভারতের) কালো থাবা থেকে বাচাতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি ও বিপক্ষ শক্তি বলে বিভক্ত করা যাবেনা।বরং দেশ রক্ষায় দল মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্য স্থাপন করতে হবে।

৬) রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

করণীয়:অতিদ্রুত বিরুধী দলের উপর পুলিশের গুলি ও সংখ্যা লগু নির্যাতন বন্ধ করে তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

৭) অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।

করণীয়:বাংলাদেশের সকল অসহায় ও দুর্বল (গরীব) নাগরিককে সরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করতে হবে।

৮) সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।

করণীয়:বাংলাদেশে বর্তমানে যে রক্তক্ষয়,হত্যা ও পুলিশী নির্যাতন চলছে তা নিষিদ্ধ করে দেশকে প্রবিত্র ঘোষণা দিতে হবে।

৯) কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।

করণীয়:বাংলাদেশে যদি প্রকৃত কোনো যুদ্ধাঅপরাধী থাকে তাহলে তার নিরাপেক্ষ বিচার করেতে হবে এজন্য কোন সম্প্রদায় বা দলকে দায়ী করা যাবেনা।

১০) মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।

করণীয়:

সরকারকে বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মাঝে যে সম্প্রীতি আছে তা রক্ষা করতে হবে।

১১) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক।

করণীয়:রাষ্ট্রপ্রতিই সর্বোচ্চ বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হবেন।এবং তিনি নিজেই বর্তমান যুদ্ধাঅপরাধের বিচার করবেন।

১২) মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুমতি ব্যতীত মদীনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না।

করণীয়:রাষ্ট্রপ্রধানের অনুমতি ব্যতীত বাংলাদেশ কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিতে পারবেনা।

১৩) মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।

করণীয়:নির্বাচনের সময় দেশের জনগনকে দেয়া ওয়াদা (ইসলাম বিরোধী কোনো আইন পাশ করা হবেনা) ভঙ্গ করে হাসিনা যে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সে জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।পাশাপাশি তার পুত্র জয় বিদেশী পত্রিকায় দেশবিরোধী ও ইসলাম বিরোধী যে প্রবন্ধ লিখেছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

---------------------------------------

বিষয়: বিবিধ

১২৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File