উষ্ণ-সিক্ত অনুভূতি
লিখেছেন লিখেছেন পল্লবগ্রহিতা ২৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৩৯:৫৪ বিকাল
“জীবনের মোক্ষম মুহূর্তে দু’হাতে সোনা ফলাতে পারি নি। সফলদের আর আমার মাঝে আজ বিস্তর ব্যবধান। খুব জুলুম করেছি নিজের উপর, একেবারেই নির্মমভাবে। এখন আমার পরিস্থিতি এমন যে, আমি যেন বর্তমানের এক ছোট্র দ্বীপে নিতান্তই একাকী আর অসহায় কেউ, যার চারপাশে হতাশার জলরাশি, ক্ষণিক প্রলয়ে যার গভীর সমুদ্রে মিলিয়ে যাবার দশা, তবে চোখের সীমানায় আবছা হলেও দৃশ্যমান সেই ভবিষতের তীর যেখানে এখনো ফুলে-ফলে সুশোভিত ভবিষতের অবারিত মাঠ।
কিন্তু, পারবো কি সেই তীরে পৌছতে? আমি তো অলসতা, অপরিণামদর্শীতা আর নিজের উপর চিরচরিত সেই নির্মমতার জাল এখনো ছিড়তে পারিনি। গভীরতার গভীর সেই নিরবতা তো আমাকে এখনো স্পর্শ করতে পারলো না। অন্ধকারের আসক্তিতে চোখের কোণায় কোণায় লুকানো ঘোর তো এখনো কাটলো না দু’চোখ থেকে।
আমি পারবো কী? পারবো কী এই ক্ষয়িষ্ণু আমির অবশেষটুকু রক্ষা করতে?”
ভাইয়ার এমন এসএমএস-এ কিছুটা আচম্বিত হলো আরণ্যিকা। নিজের কোন আপন ভাই না থাকলেও এ ভাইয়াটাকে সবটা সময় অসম্ভব সমীহ করে সে। শুধু কি আরণ্যিকা, অদৃতা আর আনাতোলিয়াও তো খুব মানে ভাইয়াটাকে। কিন্তু এমন এসএমএস কেন? সবটুকু পুরোপুরি বোঝা না গেলেও এটা স্পষ্ট যে ভাইয়াটা হতাশ। কিন্তু যে ভাইয়াটা সবসময় উৎসাহ- যার হাসিতে, শাসনে, মশকারিতে, উপহারে সদা-সর্বদা আমাদেরকে এগিয়ে নেবার চিন্তা, সেই ভাইয়াটা হতাশ! মেনে নিতে চাইছে না মন। ইদানিং ভাইয়ার এসএমএস-গুলোও কেমন জানি জটিল, জটিল আর দুর্বোধ্য। যা কিছু বোঝা যায় তাতে সেই ভাইয়াকে আবিষ্কার করা তো দুরূহ। মানসিক সমস্যা, সময়টা খারাপ তার ইত্যাদি ইত্যাদি।
মোবাইলের স্ক্রিনের লাইটটা দুবার জ্বলে নিভে গেল। মানে আরেকটা এসএমএস। এই মোবাইল কোম্পানীগুলোর আর কাজ নেই। সারাদিন খালি কোম্পানীর মেসেজ, যার গুরুত্ব মোবইলটা হাতে নেয়া পর্যন্ত, কারণ এধরণের মেসেজ আসলেই প্রথম কাজ ডিলেট করা। অনেকখানি বিরক্ত হয়েই মোবইলটা হাতে নিল আরণ্যিকা। কিন্তু আবার ভাইয়ার মেসেজ। মেসেজটা ওপেন করলো সে।
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের পরিবারে আপনাকে লাল গোলাপ অভিনন্দ।
ভাল থাকুন।
সর্বদায়ের জন্য এ কামনা।
পর্বগুলো আরো একটু লম্বা করা যেতে পারে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন