একটি পোষা কুত্তা ও শাহবাগী নাটকের এন্টি-ক্লাইমেক্স
লিখেছেন লিখেছেন মুন্না ভাই ১২ মার্চ, ২০১৩, ১১:৩৮:১৭ রাত
গ্রামের রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন মাতব্বর সাব। দেখলেন রাস্তার পাশেই একটি দেশী কুত্তার বাচ্চা ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে। পুরুষ হলেও না খেতে না খেতে চেহারা নেড়ী কুত্তার বাচ্ছার মত হয়ে গেছে। এক্কেবারে হাড্ডি-মাংস সার। পিঠের লোম পর্যন্ত উঠে গেছে। হয়তো মা নেড়ী কুত্তাটা অনেক আগেই তাকে ফেলে রেখে অন্যত্র কোথাও চলে গেছে। অবস্থা দেখে দয়া হলো মাতব্বর সাবের। রাখাল দিয়ে কুত্তার বাচ্ছার ঘাড়ে ধরে বাড়িতে আনলেন মাতব্বর সাব। থাকতে দিলেন গোহাল ঘরের এক কোণায়। মাছের কাটা-কুটা, হাড্ডি আর পোলা-পানের নষ্টকরা ভাত খেতে দিলেন তাকে। মাঝে মধ্যে অবশ্য বাড়ীতে মেহমান আসলে পোলাও মাংসের উচ্ছিষ্টাংশও পেত ঐ কুত্তার বাচ্ছা।
মাতব্বর অবশ্য তাকে খেতে দেয়, থাকতে দেয় তার নিজের স্বার্থেই। বাড়ীতে যাতে নতুন কেউ আসলে ঘেউ ঘেউ করতে পারে, রাতের বেলায় চোর-ডাকাত তাড়াতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি। আস্তে আস্তে বড় হতে লাগল কুত্তার বাচ্ছ। মাতব্বরের খেয়ে খেয়ে সে অনেক মোটা তাজা হয়ে উঠল। সে ভুলে গেল যে একটি নিছক নেড়ী কুত্তার বাচ্ছা। সে আরো কয়েকজন কুত্তার বাচ্ছাকে একত্রিত করল। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে ঘেউ ঘেউ ডাক দিতেই জড়ো হয়ে যেত অত্র এলাকার সকল কুত্তার বাচ্ছা। তারা সেখানে হাসা-হাসি ও বিভিন্ন রঙ তামাশা করত। তাদের অনেকে আবার বাংলা বিড়ি, বাংলা মদ, দেশী গান্জা, পচা তারী এসবও খেত। আর তারা তাদের মনিবদের বিরুদ্ধে ঘেউ ঘেউ করে গালি দিত। আন্দোলনের নীল নংশা বুনতো। অবশ্য মানুষ দেখলে তারা পাছার মধ্যে লেজ গুটিয়ে সরে পড়তো। তারা পরিকল্পনা করল যে পাশের গ্রাম গুলোতে গিয়েও আন্দোলন করবে । এবং একপর্যায়ে গিয়ে তারা সকল বড় কুত্তা, পাতি কুত্তা ও ছোট কুত্তাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাকদিল । প্রথম দিন তাদের দাবী ছিল একদফা। দিন যায় তাদের দফাও বাড়তে থাকে। তাদের পরিকল্পনা একদিন তারা গ্রামগুলোতে কুত্তার রাজত্ব কায়েম করবে। মানূষগুলোর উপর খবরদারী করবে। কিন্তু কুত্তার বুদ্ধিতো আর মানুষের বুদ্ধির সমান হতে পারেনা। তারা শুধু ঘেউ ঘেউ ই করতে পারে। অবশেষে গ্রামের সচেতন মানুষেরা কুত্তাদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারল। এবং তারা সম্মিলিত হয়ে সকল কুত্তাদের এমন পেদানী দিল যে তারা পাছার মধ্যে লেজ গুটিয়ে এমন দৌড় দিল যে এলাকা ছেড়ে চলে গেল। পবে অবশ্য তাদের আর ঐ এলাকায় আর কোন দিন দেখা যায়নি।
এবারআসি শাহাবাগীদের প্রসঙ্গে। হঠাৎ কোথা থেকে উদয় হলো এক শাহবাগী সরকারের। নাম তার এরমান এইডস সরকার। আন্দোলনের পশরা সাজালো শাহবাগে। সহজেই জনপ্রিয়তা পেয়ে গেল। বাম,রাম, শিল্পী, সাহিত্যিক, তরুণ তরুণী সবাই লুটো-পুটি খেল সেখানে। সংহতি জানাতে এসে বসে পড়ল অনেকেই। বুঝে না বুঝে জনতার ঢল। পোলাও, বিরিয়িানি চকোলেট এসবকিছু আসতে লাগল ঈশ্বরের পক্ষ থেকে। নাটক জমলো ভালই। মেগা সিড়িয়াল। নাটকের কাহিনীটা হয়তা কোন এক ভারতীয় নাট্যকারের লেখা। আর আর্টিস্ট গুলো খাস এ দেশীয়। নাটকের পর্ব যেন শেষ হয়না। কাহিনীর মার-প্যাচে নাটক চলতে থাকে। দিন গড়িয়ে রাত আবার দিন। নাটকের মঞ্চেই স্থাপন করা হলো ভ্রাম্যমান প্রক্ষালন। আরো কত কি সুযোগ সুবিধা। নাটকের ক্লাইমেক্স শুরু হয়েও যেন হয়না। একই কাহিনী আর ভালও লাগেনা। প্রতিক্ষায় থাকলাম কখন শুরু হবে নাটকের এন্টি-ক্লাইমেক্স। অবশেষে চট্রগামের কাহিনী দিয়ে শুরু হলো ম্যারাথন নাটকের এন্টি-ক্লাইমেক্স।
অনেক হাম্পি-ধাম্পির পর অবশেষে লেজ গুটিয়ে শুয়ে পড়ল শাহবাগীরা। চট্রগ্রামে হেফাজতে ইসলাম ‘শাহাদাত স্কোয়াড’ গঠনের সংবাদে ভীত হয়ে পূর্বনির্ধারীত কর্মসূচী স্থগিত করল শাহবাগের সরকার। মঙ্গলবার রাতে গণজাগরণ (গণশৌচাগার) মঞ্চের ব্যানারে শাহবাগকারীরা এক সংবাদ সম্মেলন করে তাদের সমাবেশ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। শাহবাগীদের প্রতিরোধের সূচনা হল চট্রগ্রামের পূণ্য ভূমি থেকেই। প্রতিরোধের শুরু মাত্র। শাহবাগীরা হয়ত ভুলে গেছে এ দেশ অলি আওলিয়ার দেশ। এ দেশ তিতুমিরের দেশ। হযরত শাহজালাল, হযরত শাহ পরাণ, হযরত শাহ মাখদুম সহ নাম না জানা অসংখ্য অলি-আওলিয়ার পূণ্যভুমি। গৌড়গোবিন্দরা এখানে বেশী দিন টিকলে পারে নাই। তাই আমার বিশ্বাস শাহবাগীরাও বেশী দিন টিকতে পারেবেনা। গল্পের কুত্তাগুলোর শেষ পরিনতি হবার আগেই প্লিজ এখানেই থামুন। শাহবাগী বন্ধুরা আপনারা আপনাদের প্রিয় শাহবাগ নিয়েই পুলিশি হেফাজতে সেখানেই পড়ে থাকুন থাকুন। দেশের শান্তি প্রিয় সহজ প্রাণ মানুষদেরকে আর বিরক্ত করবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন