এ নাটকের ক্লাইমেক্স কোথায়?
লিখেছেন লিখেছেন মুন্না ভাই ১২ মার্চ, ২০১৩, ০৭:১০:২৬ সকাল
কী ঘটছে দেশে আসলে? মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার দিন হরতালের ডাক দিয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সারা দেশে হরতাল পালনও হয়েছে। কিন্তু এর জন্য অকল্পনীয় মাসুল দিতে হয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী আর হরতাল সমর্থনকারীদের তো বটেই, এমনকি নিরীহ সাধারণ মানুষকেও। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসছে। কোনো কোনো মিডিয়া বলছে পুলিশের গুলিতে খুন হয়েছেন ৩৭, জামায়াতের দাবি মৃতের সংখ্যা ৭০। আর কেউ বলছে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। বিভিন্ন সূত্রে ধারণ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কাছে থেকে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে মারছে হরতালের পক্ষের লোকদেরকে। বোঝাই যাচ্ছে আহত হয়েছেন শত শত। এই মুহূর্তে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওচিত্রে যেমন দেখা গেছে পুলিশ কাছে থেকে হরতাল সমর্থকদের বুকে আর পায়ে গুলি করেছে, তাতে আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
অনেকের মতো আমারও মনে প্রশ্ন জাগে, কী হতে যাচ্ছে দেশে? সরকার আর সরকারের বিপক্ষ দল দেশকে আসলে কোনদিকে নিয়ে যাচ্ছে? দেশ কি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? যেভাবে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেশে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করছে তাদের প্রতিপক্ষকে দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন আর হত্যা করার জন্য; তা অবলোকন করে আমরা আসলেই শঙ্কিত। এর শেষ কোথায়? কী পরিণতি অপেক্ষা করছে সামনে? প্রবাসে বসেও স্বস্তিত্বে নেই আমরা। সারাক্ষণ একে-ওকে ফোন করে জানার চেষ্টা করছি দেশের প্রকৃত চিত্র আসলে কী। সরকার এরই মধ্যে ইন্টারনেটসহ অন্যান্য মিডিয়াকে কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের পছন্দের কিছু ফেসবুক পেজ আর ব্লগ ছাড়া অন্য সব পেজের টুঁটি চেপে ধরেছে, যাতে তাদের প্রতিপক্ষ কোনোভাবেই পরস্পরের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করতে না পারে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পরবর্তী সহিংসতা রোধে এই নিয়ন্ত্রণ করা হলে আশার কথা ছিল। কিন্তু তারা এটা করছে কেবল প্রতিপক্ষের বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার জন্য। তাদের পছন্দের মিডিয়া আর ব্লগগুলো বিনা বাধায় ইসলাম, নবী মোহাম্মদ (সা.) আর মুসলমানদের আচার-কৃষ্টির বিরুদ্ধে ঘৃণ্য প্রচারণায় মেতে আছে। যদিও তারা অতি সম্প্রতি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আন্দোলনের ফলে সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতার কথা বলছেন। কিন্তু আগে তারা এসব করেননি কেন? সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। উল্টো তাদেরকে বিভিন্নভাবে উত্সাহিত করা হচ্ছে। ব্লগারদের একজন রাজীব কেন খুন হয়েছেন তা পরিষ্কার হওয়ার আগেই তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে এরই মধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার আসল মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করল। অথচ আরেক মিছিলকারী শ্লোগান দিতে গিয়ে শাহবাগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। কই তাকে তো শহীদ ঘোষণা দেয়া হয়নি। কিংবা তার জানাজাও শাহবাগে পড়া হয়নি। দু’জনের ক্ষেত্রে এরকম দুই নীতি কেন দেখানো হলো? মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াতসহ অন্যান্য পাকিস্তানপন্থি রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিন্দনীয় তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগসহ বাম দলগুলোর রাজনীতিও ধিক্কার পাওয়ার যোগ্য। কিছু লোক ছাড়া দেশের আপামর জনসাধারণ তখন দেশরক্ষায় বুকের তাজা রক্ত অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ যদি সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে চায়, তাহলে তাদের নিজেদের দলভুক্ত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের কেন তারা আইনের আওতায় আনছে না? যুদ্ধাপরাধী কি কেবল জামায়াত আর বিএনপির মধ্যেই বিদ্যমান?
সরকার বাকস্বাধীনতার কথা বলে ধর্মের অবমাননকারী ব্লগারদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। অপরদিকে বিবেকের তাড়নায় যখন কিছু দৈনিক ওইসব ভণ্ডামির বিরুদ্ধে সোচ্চার, সরকার তখন তাদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চরণ করছে। তাদেরকে দেশে অশান্তির উস্কানিদাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। প্রতিপক্ষ যখন সত্য প্রকাশ করছে, সরকারের নিজেদের নিয়ন্ত্রিত আইনে তা হয়ে যায় দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ তাদের পালিত অশুভ শক্তি যখন বিনা বাধায় ইসলাম ধর্ম, নবী মোহাম্মদ (সা.) আর ইসলামের বিভিন্ন রীতিনীতিকে অশ্লীল-ঘৃণ্য আর অশ্রাব্য ভাষায় আক্রমণ করে, তাদের কাছে তা কোনো অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না। কারণ তারা এই সরকারের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। সরকারের ব্যর্থতা আর পাহাড় সমান দুর্নীতি থেকে মানুষের মনোযোগকে তারা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। সরকার তাই তাদের লালন করে যাচ্ছে।
এত খুন, রাহাজানি, নির্যাতন, নিষ্পেষণ, দমন, অত্যাচার কিসের আলামত বহন করছে? আমরা ’৯০-এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সেই স্বৈরাচারী সরকারও এভাবে গুলি করে পাখির মতো এত মানুষ হত্যা করেনি। সেই স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান জেনারেল এরশাদও বর্তমান সরকারের নব্য ফ্যাসিবাদী কীর্তি দেখে লজ্জা পাচ্ছেন। যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতার কথা বলে আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছি, সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীও মিছিল-মিটিং করার অপরাধে এভাবে এত মানুষ হত্যা করেনি। স্বাধীন দেশে এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে এ সরকার তাদের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটাল। এ সমাজে আসলে ঘুণে ধরে গেছে। ফলে আসল চিত্র অনেক গণমাধ্যমেই ফুটে উঠছে না। মিডিয়ার বিশাল একটা অংশ নিজেদের বিবেবকে বিকিয়ে দিয়েছে। তারা সরকারের এই নব্য ফ্যাসিবাদী অন্যায় কর্মকাণ্ডকে ঢালাওভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পদলেহনে তারা পুলকিত বোধ করছে। সত্য আজ নিমজ্জিত। জাতির বিবেক আজ রুদ্ধ। অন্যায়কারী নাস্তিক আজ দেশের নাগরিকদের করের টাকায় সুরক্ষিত এবং নিরাপত্তাপ্রাপ্ত। সরকার তাদের নিরাপত্তার জন্য দিয়েছে গানম্যান। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীপ্তকণ্ঠ আজ শত হুমকি-ধমকির সম্মুখীন। মামলা আর হামলার ভয়ে তারা সদা সন্ত্রস্ত। অন্যায়কারী আজ নিরাপদ। অন্যায় প্রকাশকারীর পিছু নিয়েছে শয়তানের প্রেতাত্মা। তাদের জেল, নির্যাতন আর হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এটাই কি গণতান্ত্রিক সরকারের আসল নমুনা? মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন আর বাস্তবে কেবল ইসলামকে গালি দিয়ে যাচ্ছেন।
শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে সবাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জাতীয় সংসদে জামায়াতের আসন সংখ্যা হলো নিম্নরূপ। ১৯৮৬=১০, ১৯৯১= ১৮, ১৯৯৬=৩, ২০০১=১৮, ২০০৮=২। এতে প্রমাণিত হয়, সব মুসলমান জামায়াত সমর্থন করেন না। কিন্তু সরকারি মদতে যখন নাস্তিক ব্লগাররা জামায়াতকে গালি দিতে গিয়ে প্রকৃত ইসলামকে গালি দেয়, তখন মুসলমান হিসেবে সবারই অনুভূতিতে আঘাত লাগার কথা। টুপি-দাড়ি এদেশের মুসলমানের ধর্মীয় লেবাস। যারা এ ধর্মীয় পবিত্র লেবাসকে রাজাকারের ভূষণ হিসেবে অপমানিত করে, তারা সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসে না। স্বাধীনতা-উত্তর একদল লেখক-নাট্যকার গ্রামের লম্পট মাতব্বরকে টুপি, দাড়ি আর লুঙ্গি-পাঞ্জাবিতে উপস্থাপন করতেন। মধ্যখানে বেশ কিছুদিন বিরত থাকলেও নব্য ফ্যাসিবাদীদের দ্বারা তা আবার ফিরে আসছে। যাতে মুসলমান হিসেবে প্রতিটি নাগরিকই শঙ্কিত হওয়ার কথা। নব্য নাস্তিক্যবাদের এ হোতারা কোনো এক বৃহত্ শক্তির পরোক্ষ ইঙ্গিতে ইসলামকে অবমাননা করার এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে। মুসলমান হিসেবে সবারই সে অবমাননার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া কর্তব্য। আমরা প্রত্যক্ষ করলাম কীভাবে সেসব ধর্মপ্রাণ মুসল্লির বিরুদ্ধে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছিল সরকার। সরকারের এ কর্মকাণ্ড অবশ্যই ঘৃণ্য, আর এর নিন্দার ভাষা আমাদের জানা নেই।
মনে রাখতে হবে, অপরাধ যেই সংঘটিত করুক, অপরাধ অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা যেমন জামায়াতের মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, স্বাধীন দেশে কথায় কথায় গুলি করে মানুষ হত্যাও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। হরতাল প্রতিরোধের নামে দিনেদুপুরে ক্যামেরার সামনে কুপিয়ে মানুষ হত্যা কি কোনো অংশে কম মানবতাবিরোধী অপরাধ? আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, গাড়ি পোড়ানো কিংবা ময়লার গাড়িতে ঢিল ছোড়ার কল্পিত অপরাধে বিরোধী দলের মহাসচিবকে এ সরকার কীভাবে কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন জেলে পুরে রেখেছিল। শুধু তাই নয়, তাদের অঙ্গুলি নির্দেশে কীভাবে বারবার তার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাকে তার আইনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। বিকাশের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত, চিহ্নিত অপরাধীকে কীভাবে নিরাপদে গোপনে জেল থেকে বের করে দেয়া হলো তা আমরা জেনেছি। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে এক মামলায় জামিন হলে জেলগেট থেকেই অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আইনের অপব্যবহার করা হয়েছিল। ওগুলো কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?
এ সরকারের আমলে দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে অপমানিত হতে হয়েছে। ড. ইউনূসসহ আরও অনেককেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় ঘোষিত হওয়ার পর মাওলানা সাঈদীও বিচারক আর পুলিশের সামনেই আওয়ামীপুষ্ট কিছু ব্যক্তির দ্বারা অশালীন আচরণের শিকার হন। দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য, দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের একজন অধ্যাপক, আওয়ামীপুষ্ট সাংস্কৃতিক দলের প্রধান যখন আদালতে কাউকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে এবং মারতে উদ্ধত হন, তখন বুঝতে হবে এ সমাজের কত গভীরে পচন ধরেছে। অপরাধীর অপরাধ যত বড়ই হোক, তাকে কথায়-আচরণে কিংবা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা কোনো সভ্য মানুষের কাজ নয়। সার্বিয়ার যুদ্ধের পর হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে সার্ব নেতা স্লোবোদান মেলোসোভিচের বিচার হয়েছে। যারা টিভিতে সে বিচারের দৃশ্য দেখেছেন তারা বলতে পারবেন, বসনিয়ার মুসলমানদের ওপর গণহত্যার দায়ে দোষী ওই সার্ব নেতার সঙ্গে আদালত কত ভদ্রতার সঙ্গে আচরণ করেছে। ইউরোপিয়ানদের এই ভদ্র আচরণ সত্যিই অনুকরণীয়। আইনে অপরাধীর যা শাস্তি প্রাপ্য, তা সে পাবে। মাওলানা সাঈদীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে সরকারপক্ষীয় লোকগুলো নিজেদের হীনমন্যতাকে তো সবার সামনে উন্মোচন করলেনই, সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্যকে প্রহসনের বিচার হিসেবে প্রমাণিত করলেন। এক বিচারকের স্কাইপের কথোপকথন প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও আগে থেকেই এ বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থাই সন্দেহ পোষণ করে আসছিল।
জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে আওয়ামী সরকারের এই ফ্যাসিবাদী আচরণ দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? সরকার এক যুদ্ধাপরাধের বাহানা দিয়ে দেশের মানুষকে আর কত বোকা বানাতে চায়? বিগত কয়েকদিনে সরকারের যে মারমুখী নিষ্ঠুরতা দেখেছি, এর পরিণাম কি ভালো কিছু বয়ে আনবে? আওয়ামী লীগ আজ বিরোধী দলকে যেভাবে দমন করে আসছে, ভবিষ্যতে তারা বিরোধী দলে গেলে তাদের সঙ্গে একই আচরণ করা হলে তারা কি তখন মানবতার প্রশ্ন তুলবেন? যে হিংসার রাজনীতি আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সে হিংসার বীজ কেবল বাড়তে বাড়তে বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হলে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। প্রতিশোধ আর পাল্টা-প্রতিশোধে দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সরকার দেশের পুলিশ বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এভাবে দেশের নাগরিকদের একাংশের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশকে কোথায় নিয়ে ঠেকাচ্ছে? সরকারের ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে দেশের বিবেকবান মানুষ আর কত চুপ থাকবে? অতীতে আমরা স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে বহুবার জনতার জয়লাভ দেখেছি। আইয়ুব-এরশাদ কেউই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। অত্যাচারের তীব্রতা যত বাড়তে থাকে, স্বৈরাচারের ক্ষমতা তত সঙ্কুচিত হয়ে আসতে থাকে। অতীতে এর অনেক উদাহরণ রয়েছে। অতীত থেকে কেউ শিক্ষা নিতে চায় না। অথচ অতীত কতই না বড় শিক্ষক।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন